নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস-২০১৬ ও বাংলাদেশ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০৯

আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা হ্রাসে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উদ্যোগী করতে প্রতি বছরের ২২ এপ্রিল পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। দিবসটির ৪৬ তম বার্ষিকী আজ। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হল "Trees For the Earth".
একটি দেশের পরিবেশ রক্ষায় ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে শতকরা ২৫ ভাগ বৃক্ষাবৃত্ত রাখা অপরিহার্য। দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় বনভূমি আমাদের নেই। সরকারি হিসেবে ১৬ ভাগ, হলেও বাস্তবে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৭.৭০%। আর ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে মাত্র ৫ শতাংশ। দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বনভূমির পরিমাণ মাত্র ৩.৫ শতাংশ। তাই সময়ের প্রয়োজনে গাছলাগানো এখন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদশে প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের মতে, বিশ্বের বনভূমি উজার হতে হতে অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বিশ্ব পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ১৯৯২ সালের ৩ জুন থেকে ১৪ জুন ব্রাজিলের রাজধানী শহর রিও-ডি- জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত হয় পরিবেশ বিষয়ক বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলন। শিল্পোন্নত দেশসমূহ মোট ১৭০ টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, বিশ্বজুড়ে যে সর্বনাশা বৃক্ষনিধন চলছে তা এ বিশ্বকে এক কঠিন সমস্যায় ফেলবে। প্রতি সেকেণ্ডে উজার হচ্ছে এক একর পরিমাণ বনভূমি। এ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে একই সঙ্গে বৃক্ষনিধন ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বিশ্বকে মানুষের বাসযোগ্য করে রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই দেশকে বদলে দেয়া সম্ভব।

উপরের চিত্রটি ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে নেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণভাবে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছি, কিন্তু সেগুলো ফলপ্রসূ হচ্ছে না। শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র গাছপালা নিধন চলছে। গড়ে উঠছে বিশাল অট্টালিকা আর বানিজ্যিক ভবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও অনেক গাছ বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে বৃক্ষের অভাবে আবহাওয়ার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি। গোটা দেশ আজ মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বেশি ঠাণ্ডা, বেশি গরম, ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা, বায়ু দূষণ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তান্তবলীলা, ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারে অধিক সংখ্যক গাছ-গাছালি। তাই গাছ লাগানোকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। যার যেখানে সুযোগ আছে গাছের চারা লাগাই, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করি। আজকের এই ধরিত্রী দিবসে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই
‘গাছ লাগিয়ে ভরবো দেশ
বদলে দেব বাংলাদেশ।’

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

কাউসার আলম বলেছেন: "সকল পোস্ট" ট্যাবের কোথাও এই পোস্টটি খুঁজে পাচ্ছি না কেন?

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন: আলোচিত ব্লগের পোস্টগুলো সবচেয়ে বেশি পঠিত, মন্তব্য এবং পছন্দের ভিত্তিতে প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়।
এখানে মডারেশনের কোন ভূমিকা নেই।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

চাঁদপুরের চাঁদ বলেছেন:
happy-earth-day-2016

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.