নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
''আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি'' বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীতে দেশকে ভালবাসার জন্য উদ্ভোধ্য করা হয়েছে। দেশকে মা হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীর কোন সন্তান মায়ের অবহেলা, অপমান ও কষ্ট সহ্য করতে পারে না, এজন্য প্রতিনিয়ত নিজের মাকে আগলে রাখতে চায়, খুশি রাখতে বদ্ধপরিকর। দেশটাও মায়ের মতো। দেশের প্রতি যেমন ভালবাসা থাকতে হবে, তেমনি দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা, দেশের মানুষকে ভালবাসা, ঘুষ ও দুর্ণীতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করা। আমরা সবাই স্কুল কলেজে পড়ার সময়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কোন কোন অনুষ্ঠানের সময় জাতীয় সঙ্গীতের সূরে আন্দোলিত হই, দেশের প্রতি অনুগত হওয়ার শপথ নেই। সত্যি কী আমরা এই শপথের মর্যাদা রাখতে পারি?
দেশের রাজনীতির কথায় আসি। কি দেখতে পাই? বাংলাদেশের রাজনীতি আজ ভূমি দস্যূদের দখলে, বাংলাদেশের রাজনীতি আজ চোরা কারবারীদের দখলে, বাংলাদেশের রাজনীতি আজ কালো টাকার মালিকদের দখলে, বাংলাদেশের রাজনীতি আজ খুনি ও সন্ত্রাসীদের দখলে, বাংলাদেশের রাজনীতি আজ ব্যবসায়ী ও অশিক্ষিত মানুষদের দখলে। একজন সাধারন মানুষ রাজনীতি করতে গেলে প্রাণটাও যেতে পারে। এখন রাজনীতিবিদরা অস্ত্র নিয়ে চলে, রাজনীতি করতে হলে কোমরে পিস্তল রাখতে হয়, চাপাতি রাখতে হয়, খুন করতে হয়, সন্ত্রাস করতে হয়। ছেলেদের ফেন্সিডিল আর ইয়াবার টাকা যোগাতে হয়, মোটর সাইকেলের তেলের টাকা দিতে হয়।
শুধু রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে কী লাভ? বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক আছে মানুষকে হুমকি দিয়ে, চরিত্র হননের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বখরা নেয় রিপোর্ট না করার জন্য। পুলিশ ও সরকারী অফিস থেকেও সম্মানী নেয়। টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ পত্রিকায় ছাপিয় মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আবার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী ও এমপি/মন্ত্রীকে প্রমোট করে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজের পদ-পদবীর উন্নতির জন্য, ডীন হওয়ার জন্য, ভিসি-প্রো ভিসি হওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের পেছনে ঘোরাঘুরি করেন। শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন। নিজের পছন্দের ছাত্রকে ফাস্টক্লাস ফাস্ট বানান। আবার অনেক শিক্ষক চাকরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজনীতিবিদদের অনুগ্রহ নিয়ে রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য, বিভিন্ন লোভনীয় পদে বসার জন্য চাটুকারীতা করেন। স্কুল কলেজের শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে বাসায় কোচিং করেন, ছাত্রদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন।
অনেক নামকরা আধুনিক কবি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে কবিতা লেখেন, রাজার বন্দনা করেন তাদের শুভ দৃষ্টি পাবার আশায়। অনেক সাহিত্যিক মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নিয়ে গবেষনাধর্মী লেখা বাদ দিয়ে সস্তা বুদ্ধীজীবী হওয়ার চেষ্টা করেন। তাদেরকে তোষামোদ করে প্রবন্ধ লেখেন, বিভিন্ন উপাধী দেন। পরিণামে জুটে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে সস্তা বুদ্ধিজীবীর খেতাব। সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত কমিটিতে অংশ গ্রহণের সুযোগ। বাংলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হওয়ার সুযোগ।
গরীব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় ডাক্তারী পড়ে অনেকে ডাক্তার হন। বিনিময়ে বেশিরভাগ সময় আমরা ডাক্তার নামধারী একজন নীতিহীন ও স্বার্থপর পাই। তাকে যখন বলা হয় অন্তত তিনটি বছর গ্রামে থেকে সাধারন মানুষের সেবা করতে, সেই ডাক্তারকে দেখি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে বছরে পাঁচ ছয়বার গিয়ে সিগনেচার করে বাকি সময়টা শহরে বসে প্রাইভেট প্রেক্টিস করতে। অনেকে সরকারী হাপাতালে চিকিৎসা না করে প্রাইভেট মেডিকেলে রোগী দেখেন। নামে বেনামে টেস্ট দেন, প্রেসক্রিপশনে অপ্রয়োজনীয় ঔষধের নাম লেখে দেন শুধুমাত্র কমিশনের নেশায়।
বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা নয়-ছয় করে। প্রতিদিন তার ড্রয়ারে কলো টাকার স্তুপ জমে। কোটি কোটি টাকা লুট করেন। নিজের ও পরিবারের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত, সরকারী অফিসের ঝাড়ুদার থেকে বিগ বস পর্যন্ত কোথায় নেই দুর্নীতি? প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সেবার বদলে প্রভুর মানসিকতা নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েন। কোন কোন অফিসের পিয়নেরও ঢাকা সহ দেশের অনেক শহরে তিন চারটা অট্টালিকা আছে। সরকারী চাকরি নয় যেন আলাদীনের চেরাগ। অনেকেই সরকরী গাড়ি অফিসের কাজে ব্যবহার না করে নিজের বউ বাচ্চার বিলাসিতার জন্য ব্যবহার করেন।
আর এক পক্ষ হল ধর্ম ব্যাবসায়ী, এরা ধর্মের নামে বিভিন্নভাবে সাধারন মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নিজের আখের গোছায়। এদের অনেকেরই না আছে চরিত্র, না আছে ধর্মীয় জ্ঞান। না আছে সামাজিক মূল্যবোধ, না আছে বিবেক। এরা সাধারন ধর্মভীরু মানুষের সম্পদ লুটে পুটে খায়। মানুষকে বিভ্রান্ত করে সম্পদের পাহাড় জমায়।
কথায় আছে, মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। বাংলাদেশে পুলিশ দেখে ভয় পায় না এমন মানুষ বিরল। আইনকে পুঁজি করে এমন কোন জগণ্য কাজ নেই যা তারা করতে পারে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা, হত্যা-গুম করতে সহযোগিতা করা, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপরাধীকে খালাস দেওয়া। আর মানুষকে আইনের ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় এরা সিদ্ধ হস্ত।
আরেক পক্ষ হলো এনজিও (NGO) ব্যবসায়ী। এরা বিভিন্ন সেবামূলক কাজের কথা বলে দেশ বিদেশের বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আনে। নাম মাত্র টাকা সেবামূলক কাজে খরছ করে বাকিটা নিজেদের ভোগ বিলাসে ব্যয় করেন। একদিন এক এনজিও কর্মীর কাছে শুনেছি সুইডেনের একটি দাতা সংস্থা থেকে বাহাত্তরটি টিউবওয়েল এসেছিল, এনজিও টির চেয়ারম্যান মাত্র সাতটি টিউবওয়েল বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরন করেন। কিন্তু বাহাত্তরটি নাম্বারের নেম প্লেট একটি টিউবওয়েলের নীচে লাগিয়ে প্রমাণ হিসাবে ছবি তোলেন, যাতে দাতারা বুঝতে পারে সবকয়টি টিউবওয়েল মানুষের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে!
রাজনীতিবিদ রাজনীতি করতে হলে, মন্ত্রী/এমপি হতে হলে, এমনকি দলের ছোট একটি পদ পেতে হলেও টাকা ঢালতে হয়।কোন অনুষ্টানে গেলে চাঁদা দিতে হয়। আপনি জমি দখল করলেও পক্ষে থাকতে হয়। খুন/ছিনতাই করলেও পক্ষে থাকতে হয়। না হলে পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে অন্য প্রার্থীর পক্ষে জান মাল বাজী রেখে লড়তে দেখতে হয়।
শুনেছি একজন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইদানিং কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা লাগে, পুলিশের কন্সটেবল নিয়োগেও সমপরিমাণ টাকা দিতে হয়। এই দু'টি চাকরিতে গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারের গরীব ছেলে মেয়েদের নিয়োগ হয়। কিন্তু এখানেও সীমাহীন দুর্ণীতি। কিছুদিন আগে একজন মন্ত্রী স্বীকার করেছেন তিনি নিজেও চোর, মন্ত্রী/এমপি সবাই চোর, সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী সবাই চোর। আসলে ঘুষ দুর্ণীতি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে তিনি এমনটি বলেছেন। তবে যতদূর জানি তিনি নিজে দুর্ণীতিগ্রস্ত নয়।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "মানুষের ভোটাধিকার নাই। অবস্থা পরিবর্তনের সকল সুযোগ কেড়ে নেয়া হয়েছে।"................. ঠিকই বলেছেন। আর ভোটাধিকার হলেই বা কী? সরকার আসে সরকার যায়, দুর্নীতি তো কমার কোন লক্ষণ নেই।
২| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নিয়োগ বানিজ্যো এদেশে একটি বড় সমস্যা।কিন্তু এ নিয়ে কখনই কাউকে মাথা ঘামাতে দেখিনি।
দেশে নিয়োগ বানিজ্যে যেন একটি নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে।
ভাল লিখেছেন কাওসার ভাই।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, সোহল ভাই। নিয়োগ বাণিজ্য হলো নীরব ঘাতক।
৩| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতির শুরু এর জন্ম লগ্ন থেকে। ভাল মানুষের এখানে রাজনীতি করার কোন সুযোগই নাই। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই ডাকাত। তবুও গনতন্ত্র বজায় থাকলে একটা সুবিধা যে,যে দলই ক্ষমতায় থাকে এটলিস্ট তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের এটুকু ভয় থাকে যে ক্ষমতা হারালে খবর আছে। এখনতো এই ভয়টাই চলে গেছে। সবাই বুক ফুলিয়ে চেতনার গান বাজিয়ে অপকর্ম করেই যাচ্ছে।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতির শুরু এর জন্ম লগ্ন থেকে। ভাল মানুষের এখানে রাজনীতি করার কোন সুযোগই নাই। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই ডাকাত। তবুও গনতন্ত্র বজায় থাকলে একটা সুবিধা যে,যে দলই ক্ষমতায় থাকে এটলিস্ট তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের এটুকু ভয় থাকে যে ক্ষমতা হারালে খবর আছে। এখনতো এই ভয়টাই চলে গেছে। সবাই বুক ফুলিয়ে চেতনার গান বাজিয়ে অপকর্ম করেই যাচ্ছে।"...............
চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। এই ভয় পাওয়াটা কিন্তু কম নয়। আসলে দেশকে নিয়ে কোন আশার আলো দেখি না। চরম হতাশ।
৪| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঘুষ-দুর্নীতি এমনভাবে মহামারী আকারে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে যে, তা এখন অনেকটাই ডাল-ভাতের মতো 'স্বাভাবিক' বিষয় হয়ে উঠেছে। সবাই এখন একই সঙ্গে 'ঘুষ-গ্রহণকারী' ও 'ঘুষ প্রদানকারী' হয়ে উঠেছে। পরস্পর পরস্পরকে ঠকাচ্ছে।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, ঠিকই বলেছেন।
"সবাই এখন একই সঙ্গে 'ঘুষ-গ্রহণকারী' ও 'ঘুষ প্রদানকারী' হয়ে উঠেছে। পরস্পর পরস্পরকে ঠকাচ্ছে।"...........
এটা এখন জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এজন্য ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
৫| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই
খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম আপনার ফিচার প্রতিটি কথাই খুবই বাস্তব এবং যুক্তিসংগত। দূর্নীতি যখন প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে তখন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে। সুন্দর উপস্থাপনা।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "দূর্নীতি যখন প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে তখন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?"
তারেক ভাই, ঠিকই বলেছেন।
৬| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সরকারী চাকরি হোক কিংবা কোন কাজ হোক সবকিছুতেই টাকার খেলা। তবে আমরা সাধারন মানুষ ও ঘুষ দিতে দিতে যারা ঘুষ নেয় তাদের লোভ বাড়িয়ে দিয়েছি প্রথম থেকে। মানুষের প্রয়োজন কে পুজি করে ঘুষ আদায় করে খুব মজা পায় কিন্তু যাদের কষ্টের টাকা তারাই তো বুঝে গায়ে খেটে টাকা অর্জন করা এবং সেই টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়া কতখানি কষ্টকর। এখন যে যত ঘুষ দিতে পারে আর তেল মাখাতে পারে তারাই টপ এ।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "তবে আমরা সাধারন মানুষ ও ঘুষ দিতে দিতে যারা ঘুষ নেয় তাদের লোভ বাড়িয়ে দিয়েছি প্রথম থেকে। মানুষের প্রয়োজন কে পুজি করে ঘুষ আদায় করে খুব মজা পায়।"...............
চমৎকার বলেছেন। এর দায়ভার যারা ঘুষ দাতা তাদেরও আছে।
৭| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাওসার ভাই আপনার শরীর ঠিক আছে? গত দুদিনে আপনার কোনও পোষ্ট না পেয়ে বারে বারে ঢুঁ মেরেছি। যাক অবশেষে এলেন যখন পরে আবার আসছি।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী ভাই। একটু ব্যস্ততার জন্য গত দুইদিন ব্লগে আসতে পারিনি। খোঁজ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগেই বলে নিই আপনার দেয়া তৃতীয় ছবিটি ( কার্টুন) মালয়েশিয়ার নাজিব সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি কার্টুন। মাহাথির সরকার ইতোমধ্যেই জিএসটি বাতিল ঘোষণা করেছেন।
আর হ্যাঁ,ঘুষ একটি পুষ্টিকর খাবার। এটা সরকারী চাকরি যারা করে তারা খায়। মানে তাদেরকে খেতে হয়। আর সরকারী কোন সার্ভিস যারা পেতে চায় তারা দেয় মানে তাদেরকে দিতে হয় মানে দিতে বাধ্য করা হয়।
ঘুষের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ। তবে জ্ঞানী লোকে বলেঃ ঘুষ খেতে পারবেন তবে তা হবে সহনীয় মাত্রায়। মাত্রা অতিক্রম করা চলবে না। বদনাম হবে।
শেখ হাসিনা কেন যে ঘুষের বিপক্ষে কোন কথা বলেন না আমার বুঝে আসেনা।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, সাজ্জাদ ভাই। তৃতীয় ছবিটা যে নাজিব সরকারের বিরূদ্ধে প্রকাশিত কার্টুন তা জানা ছিল না। জেনে ভাল লাগলো।
"আর হ্যাঁ,ঘুষ একটি পুষ্টিকর খাবার। এটা সরকারী চাকরি যারা করে তারা খায়। মানে তাদেরকে খেতে হয়। আর সরকারী কোন সার্ভিস যারা পেতে চায় তারা দেয় মানে তাদেরকে দিতে হয় মানে দিতে বাধ্য করা হয়।"........... চমৎকার বলেছেন।
"শেখ হাসিনা কেন যে ঘুষের বিপক্ষে কোন কথা বলেন না আমার বুঝে আসেনা।".......
গণতন্ত্রের মাকে নিয়ে কথা বলার স্পর্ধা/বুকের পাটা নেই আমার!!!!
৯| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগেই বলে নিই আপনার দেয়া তৃতীয় ছবিটি ( কার্টুন) মালয়েশিয়ার নাজিব সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি কার্টুন। মাহাথির সরকার ইতোমধ্যেই জিএসটি বাতিল ঘোষণা করেছেন।
আর হ্যাঁ,ঘুষ একটি পুষ্টিকর খাবার। এটা সরকারী চাকরি যারা করে তারা খায়। মানে তাদেরকে খেতে হয়। আর সরকারী কোন সার্ভিস যারা পেতে চায় তারা দেয় মানে তাদেরকে দিতে হয় মানে দিতে বাধ্য করা হয়।
ঘুষের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ। তবে জ্ঞানী লোকে বলেঃ ঘুষ খেতে পারবেন তবে তা হবে সহনীয় মাত্রায়। মাত্রা অতিক্রম করা চলবে না। বদনাম হবে।
শেখ হাসিনা কেন যে ঘুষের বিপক্ষে কোন কথা বলেন না আমার বুঝে আসেনা।
২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "শেখ হাসিনা কেন যে ঘুষের বিপক্ষে কোন কথা বলেন না আমার বুঝে আসেনা।".......
গণতন্ত্রের মাকে নিয়ে কথা বলার স্পর্ধা/বুকের পাটা নেই আমার!!!!
১০| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
নতুন বলেছেন: জনগন নিজের সুবিধা নিতে কিছুটা ঘুষ দেয়,
দেশের মানুষ লাইনে দাড়াতে চায় না।
একটু বাড়তি সুবিধার জন্য একটু বাড়তি খরচা করতে সবাই রাজি।
চাকুরীর সল্পতার জন্য ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেতে চায়, প্রতিযোগিতায় যেতে চায় না।
সবাই ভন্ডামী করে.... তাই দেখতে ভদ্র এবং ধামিক` হলেও অনৈতিক কাজে বাধেনা।
আমাদের শুরুটা করতে হবে নিজেদের থেকে। আগে নিজেকে পাল্টাতে হবে। তবেই যদি আস্তে আস্তে সমাজ পাল্টায়।
২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমাদের শুরুটা করতে হবে নিজেদের থেকে। আগে নিজেকে পাল্টাতে হবে। তবেই যদি আস্তে আস্তে সমাজ পাল্টায়।".......
আপনার প্রতিটি কথাই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শেষের কথাটি।
১১| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কাওসার ভাই কেমন আছেন?
যেদিকেই তাকাই মানুষের দূর্নীতি চোখে পড়ে।
তাই নিজে ভালো হওয়ার বিকল্প নেই।
অন্যায়ের প্রতিবাদ এখন যেন,'ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো'
সুন্দর+
২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি ভাল আছি ভাই। তুমি কেমন আছ? তোমার কমেন্ট চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত।
১২| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ৯৪ ওজন নিয়ে
সাজো তুমি হিরো হে?
কত এলো হাতি ঘোড়া,
মোর কাছে জিরো যে।
বুঝি বুঝি সব বুঝি
ব্লগে তোর পাগলামি
মোর পদে ভাগ চাস
হতে চাস তুই আমি??
রাজনীতির ম্যাওপ্যাও
কেন তুমি করো হে??
লাভ নেই, নেই লাভ
ওসব আমি জানি যে?? (ঐ ঘাটের জল অনেক আগেই খেয়েছি)
যে যা বলে, বলে যাক
থামিস না ভাই তুই(লেখালেখি চলুক)
ব্লগে তার সাথি হোক
কানা, খোঁড়া জবা জুঁই...
ভালো থাক, সুখে থাক
দোয়া করি আমি হে,
কোনদিন দেখা হলে
বলিস না তুমি কে???
আমি নাকি গানা ছাড়া
কোন কিছু পারি না!
পাজি গাজী বলে কেন
আমি তাহা জানি না?
মোর কথা বলি আমি
নিজে ফাটাই হাঁড়ি
(আমার সাথে) টক্কর দেবার মত লোক
নেই ব্লগ বাড়ী।।
২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
৯৪ নয় এখন, কমতে শুরু হয়েছে
৪৯ হতে আর নয় দেরী বেশি যে।
বুঝি বুঝি সবই বুঝি, যত সব জেলাসি
না পাওয়ার বেদনায়, হবে তুমি হতাশই।
যা হওয়ার হয়ে গেছে, প্যায় প্যায় করে
হবে কী?
অন্যর ভাড়া ভাতে লোভ করা
ভালো কী?
১৩| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কি আর করা। আমাদের সারা জীবন দেখে এবং সয়ে যেতে হবে।
২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শাহাদাৎ ভাই, ঠিক বলেছেন।
১৪| ২১ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বোঝা গেল, সব সেক্টরেই ভেজাল। সিস্টেম হয়ে গিয়েছে সব। এখন এটা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল দুই পরিবারমুক্ত দেশ। কিন্তু এটা এখনই হওয়ার নয়। তাই দেশও ঠিক হবে না আপাতত..
২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "এখন এটা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল দুই পরিবারমুক্ত দেশ।"......
পাবলিক এই ফর্মুলার বাইরে যেতে চায় না। এদের কেই হচ্ছেন, "জাতীয় আম্মা" আবার কেউ "গণতন্ত্রের মা"............
১৫| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৫
তালাচাবি বলেছেন:
শুভ সকাল, স্যার।
"শুনেছি একজন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ইদানিং কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা লাগে, পুলিশের কন্সটেবল নিয়োগেও সমপরিমাণ টাকা দিতে হয়। এই দু'টি চাকরিতে গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারের গরীব ছেলে মেয়েদের নিয়োগ হয়। কিন্তু এখানেও সীমাহীন দুর্ণীতি। কিছুদিন আগে একজন মন্ত্রী স্বীকার করেছেন তিনি নিজেও চোর, মন্ত্রী/এমপি সবাই চোর, সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী সবাই চোর। আসলে ঘুষ দুর্ণীতি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে তিনি এমনটি বলেছেন।"....................
চমৎকার বলেছেন।
২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে, ধন্যবাদ।
১৬| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
শামচুল হক বলেছেন: দিন দিন ঘুষ দুর্নীতি বাড়ছে তো কমছে না। সামনে যে আরো কি অবস্থা হবে?
২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমাদের লোভে লাগাম আর বিবেকে শান না দিলে থামার কোন লক্ষণ নেই।
১৭| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @মো: নিজাম উদ্দিন ভাই এবং কাউসার চৌধুরী ভাই, আপনাদের ছন্দ যুদ্ধ দারুন লাগল এখন তো আমার ও লোভ লাগছে ছন্দে ছন্দে মন্তব্য করার জন্য।
"ভাই নিজাম উদ্দিন এবং কাউসার চৌধুরী
ঝগড়া ঝাটি বন্ধ করে মিলেমিশে চলি
রোজা রমজানের দিন তাই, সংযম করি !
দারুন লেগেছে ভাই আপনাদের ছন্দ যুদ্ধ
তাইতো, আমি আনাড়ি ও এখন আপনাদের মত ছন্দ যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ"
২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
রোঁদ বৃষ্টির লুটোপুটি তে আজ
শেয়ালের মামার বিয়ে! উপহার দিতে হাজির হলাম তাই
কথার ফুলঝুরি নিয়ে।।
কথা নয় গো শুধু শুধু, লেখার হাত পাকা,
এতো গুণী কবি তবু পাশের দোলনা ফাঁকা।
হতাশ হওয়ার কিছুই নেই, ধৈর্য হলো মূল
হঠাৎ এসে রসিক ভ্রমর বাড়িয়ে দেবে ফুল।।
১৮| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: কি দারুন প্রতিউত্তর কাউসার চৌধুরী ভাই
খুশী মনে আপনাকে তাই ধন্যবাদ জানাই
পাশের দোলনা যদিও ফাঁকা
দুঃখ করার কিছু নাই
কথার ফুলঝুরি কভু একা নয়
ব্লগে, আপনারা আছেন তাই
২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কবির এমন কথা শুনে
চিত্ত হলো মোর খোশ,
ব্লগখানা মাতিয়ে রাখুন
কবিতা হোক জোশ!!
১৯| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দুর্নীতি আমাদের সর্বত্র। দুর্নীতিকে এখন আর দুর্নীতি মনে হয় না।
২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভাই। এখন দুর্নীতিকে মূলনীতি বলা উচিৎ।
২০| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: হেন কাজ নেই যা পুলিশ করেনা তাই পুলিশকে বেশি ভয় পাই; এরা কোন মানুষের মধ্যে পরেনা। সেই সংগে রাজনীতিকেও ঘৃনা করি।
২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের পুলিশকে আমি ভীষণ ভয় পাই।
২১| ২২ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৪
স্ব বর্ন বলেছেন: সিন্ডিকেট-লবিং-ঘুষ ঐতিহ্যর সাথেই এখন এগুলোকে তদারকি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা খুব ভাল লেগেছে।
২২ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্ব বর্ন ভাই। কথাটি একদম ঠিক বলেছেন।
২২| ২২ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৩
স্ব বর্ন বলেছেন: বন্ধ হোক এসব অনিয়ম !আমাদেরই পাল্টে দিতে দুর্নিতীর এমন ধারা।
২২ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সহমত, আপনার সাথে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: পচন ধরে গেছে পুরো সমাজ ব্যবস্থায়। সামনে দিন আরো খারাপ হবে। মানুষের ভোটাধিকার নাই। অবস্থা পরিবর্তনের সকল সুযোগ কেড়ে নেয়া হয়েছে।