নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
ছোটবেলা ডায়েরি লেখার খুব শখ ছিল মায়িশার। জন্মদিনে ছোট মামার দেওয়া ডায়েরির সাইজটাও ছিল তার মতো পিচ্ছি। তবে মলাটটি ছিল খুব সুন্দর নীল ও সবুজে ঘেরা। ডায়েরিতে লেখা অনুভূতিগুলো ছিল ছোট ছোট অভিমান মিশ্রিত। অনুভূতিগুলো ছিল এমন; "আজ স্কুলে যেতে একদম ইচ্ছে ছিলো না, তবুও আম্মু জোর করে ঘুম থেকে তুলেছেন।" দুধ না খেতে চাইলে মায়িশা লিখতো, "মা আচ্ছা করে বকা দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুরো একগ্লাস দুধ খাওয়ালো আজ, আমি দুধের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারি না।" না খেতে চাইলে মা জোর খাটাতেন, আব্বুর কাছে নালিশ করতেন।
মায়ের এমন বাড়াবাড়ি মায়িশার একদম পছন্দ ছিল না। ডায়েরিতে অভিমান করে লেখতো- "মা একটা দুষ্টু মহিলা, খু-উ-ব পঁচা। শুধু শুধু জোর করে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়, গোসল করায়, কথা না শুনলে চোখ রাঙায়; সারাদিন কার্টুন দেখতে দেয় না, শুধু শুধু বকা দেয়। বাবা তো এমন করে না; বাবা গল্প শোনায়, দোকান থেকে চকলেট কিনে দেয়, বার্গার খাওয়ায়, চিপস কিনে দেয়। আর ছুটির দিনে বেড়াতে নিয়ে যায়। কত্তো ভাল একটা বাবা আমার।"
একদিন বাবাকে নিয়ে লিখলো, "আব্বু, আম্মু কেন তোমার মতো হয় না? বড় হয়ে তোমার জন্য একটা ভালো আম্মু এনে দেবো। তোমাকে অনেক চকলেট কিনে দেবো। নতুন জামা কিনে দেবো। পার্কে নিয়ে ঘোড়ায় চড়াবো। বিরিয়ানি খাওয়াবো। ঈদ আসলে নতুন পাঞ্জাবি কিনে দেব। আর মা তোমাকে বকা দিলে আচ্ছা করে শাসন করবো। আই লাভ ইউ, আব্বু।"
স্কুল নিয়ে লিখলো, "স্কুলটা যদি তুফানে উড়ে যেত তাহলে কত মজাই না হতো, হা-হা- আর স্কুলে যেতে হতো না।" স্কুল থেকে ফিরে আরেকদিন লিখলো, "মহুয়া মিস একটা পঁচা; শুধু শুধু হোমওয়ার্ক দেয় আর পড়া না পারলে চোখ রাঙায়। পপি মিস কত্তো ভালো; চকলেট দেয়, গল্প করে, হাসি মুখে কথা বলে; একদম চোখে রাঙায় না। মাম্মী যদি ঐ মিস-টার মত ভাল হতো!"
************************************************************************************
যতদূর চোখ যায় শুধু ঢেউ আর ঢেউ। বর্ষার এই সময়ে ইলিশ মারার ধুম পড়লেও আজ নৌকা কম।
বিলাসবহুল প্রমোদতরীটি যখন ডাঙায় ভিড়লো তখন সূর্য ডুবুডুবু। লোকালয় থেকে একটু দূরে ছোট্ট একটি দ্বীপে একজন সেলিব্রিটির জন্মদিনের পার্টি ছিলো দিনব্যাপী। ঝিরঝির বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া আর রোদ-মেঘের লুকোচুরি ছিল সারাদিন। ঘাট থেকে উপরে উঠার সরু পাথর বিছানো রাস্তাটি ততক্ষণে কাদায় লেপটে আছে। দুপুর থেকে প্রায় শ'খানেক সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরা আর দূর দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এসে জড়ো হয়েছে প্রমোদতরী সচক্ষে দেখতে সাথে সেলিব্রিটি পরিবার।
তরীটি ডাঙায় ভিড়লো। সুঠাম দেহের সাতজন কালো কোট পরা সিকিউরিটির সাথে 'তৃতীয়' পরিবার তিন সদস্য। সামনে মা-মেয়ে আর পেছনে তিনি; যার জন্য আম জনতার এই দিনভর অপেক্ষা। অধীর আগ্রহে ডাঙায় অপেক্ষা করতে থাকা উৎসক চোখগুলো ততক্ষণে প্রমোদতরীকে ডিঙিয়ে মা-মেয়ের হাইহিল, সাদা হট প্যান্ট, ফর্সা উম্মুক্ত উরু, প্রায় উম্মুক্ত উন্নত বক্ষ এবং টাইট আউটফিটে আবদ্ধ। পেছনে, ক্লান্ত বদনে পা টেনে টেনে স্যুট-টাই পরে বার্থডে জেন্টেলম্যান হাঁটছেন।
সাংবাদিকরা পনেরো বছরের জাইকার ছবি তুলছে নানান ভঙ্গিতে, এঙ্গেলে আর ক্লোজ একশনে। একটি টিভি লাইভ করছে, বেশ ক'টি ফেইসবুক থেকে লাইভ চলছে। যাদের ক্যামেরা-মোবাইল নেই তারা যতটুকু সম্ভব চোখের লেন্স ছোট্ট করে ক্যামেরা করছে আর মস্তিষ্কের ম্যামোরিতে তা জমা করছে।
"জাইকা ম্যাডাম একটা সর্ট প্লীজ, একটা সেলফি প্লীজ, স্মাইল প্লীজ।"
কাদায় লেপটে যাওয়া হাই-হিলকে সামনে রেখে একটু দূরে রেঞ্জ রোভার
০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: দাদা, পড়ার আগেই প্লাস। অনেক ভাল লাগা ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: এটা কি আপনি সত্যি কোন কাহিনী বললেন!!
আমি এক মায়িশার গল্প জানি, ১৩ বছরের মেয়ে, এভাবে অল্পদিন ভুগে মারা গেছে।
পড়ে মন খারাপ হলো, কিন্তু আপনার লেখা ভাল হয়েছে।
০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আপু। গত চার মাস আগে আগে আমার পাশের বাড়ির একটি মেয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বয়স ছিল ১৯ বছর। এত ভদ্র, হাস্যজ্জল আর সুন্দরী মেয়ে আমার জীবনে খুব কমই দেখেছি। মূলত তাকে কল্পনা করেই গল্পটি লেখা।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
ভাইরাস-69 বলেছেন:
ক্যানসার মানেই নো এনসার !মায়িশার ফেইসবুক স্ট্যাটাস,গল্পটি পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইরাস-৬৯ ভাই। আসলেই মন খারাপের মত বিষয়। তবে আশার কথা এখন প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার ধরা পড়লে, কিউর হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। আশা করি, এমন একটি দিন আসবে যেদিন ক্যানসারের কারণে পৃথিবীতে একটি মানুষও মারা যাবে না।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: পড়লাম ডায়েরী কিন্তু ক্যানসারের করুণ কাহিনী। পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমার এক ভাগ্নি ক্যান্সারে এভাবেই মারা গেছে। সেসব দৃশ্য মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আসলেই ক্যানসার একটি মরণব্যাধি।
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো লেগেছে অনেক ।
তবে পোষ্ট পড়ে চোখ দুটি টলমলে ।
আমার নতুন গল্প।
"""ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট""""
লিংক
(Click This Link)
এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনাদের অনুপ্রেরনাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে ।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রোকন ভাই, অবশ্যই সময় নিয়ে পড়বো।
৬| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি ।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলেই কাহিনীটা হৃদয় বিদারক।
৭| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কাওসার ভাই, এমনি একটা মেয়ের ফেসবুক স্টাটাস ভাইরাল হয়েছিল গত বছর, সেই কাহিনীর সাথে অনেক মিল পেলাম। ভাল লাগলো।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, আপনার লিঙ্কটা পড়লাম তারেক ভাই। আমার গল্পের সাথে মেয়েটির স্ট্যাটাসের কিছুটা মিল আছে। তবে তা কাকতালীয়।
৮| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: Click This Link
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পড়েছি।
৯| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ক্যান্সার রোগটি আমি খুব ভয় পাই।
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। ক্যানসার সত্যি সত্যি ভয় পাওয়ার মতই একটা রোগ।
১০| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
লাবণ্য ২ বলেছেন: খুবই কষ্টের গল্প ভাইয়া।আমার এক আত্মীয় কিছুদিন আগে ক্যান্সারে মারা গেছে।
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপু, গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ ভয়ানকভাবে অসুস্হ হয়, সেটা আমি বুঝি; তবে, সেগুলো নিয়ে গল্প ইত্যাদি আমি পড়তে চাই না
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। আপনি আমার লেখা পড়েন এটা আমার কাছে অনেক সম্মানের। আসলে এমন মর্মান্তিক আত্মকথা আমরা শুনতে চাই না। তারপরও কেউ না কেউ লেখতে হয়, মানুষগুলোর অনুভূতি শেয়ার করতে হয়। এটাই জীবন।
১২| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুঃখিত। গল্পটি ভালো লাগেনি...
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: স্যরি ভাই, আপনার ভাল লাগেনি শুনে খারাপ লাগছে। আশা করি পরবর্তী গল্পটি ভাল লাগবে।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,
একটি দীপ নিভে যাওয়ার এই গল্পটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন জেনে কৃতজ্ঞ । তবে যে বিশেষণ দিয়ে উৎসর্গটি শুরু করেছেন ,
আমি তার যোগ্যতা রাখিনে । আমি একজন সাধারণ ব্লগার মাত্র ।
এবারে গল্প প্রসঙ্গ - একটি ফুলকে আপনি ঝরে যেতে দেখেছেন নিজের জীবনে । লিখেছেন তারই আবহে একটি বিদায় সংগীত। তেমনি অনেক পাঠকও তাদের এমন মর্মান্তিক বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে গল্পটিকে কষ্টকর একটি মাত্রায় নিয়ে গেছেন ।
সবটা মিলিয়ে স্পর্শকাতর একটি লেখা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে প্রথম কমেন্টে স্যার বলে সম্ভোধন করায় আপনি আপত্তি করেছিলেন। তারপর থেকে ভয়ে স্যার বলে সম্ভোধন করি না। যদিও ভেতরে ভেতরে স্যার বলি, সম্মান করি। এমন একজন সম্মানী ব্যক্তিকে আমার মত সাধারন একজন লেখক একটি লেখা উৎসর্গ করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনি আমার গুরুজন। আপনাদের পরামর্শ ও আশীর্বাদ আমার ভাল লেখার অনুপ্রেরণা। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
১৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
রসায়ন বলেছেন: খারাপ লাগলো ।
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।
১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া জীবনের বাস্তবতার জীবন্ত প্রকাশ!
ব্যাথাতুর মুগ্ধতা!
আমি দেখছি অথৈকে কাছে থেকে। খুবই কষ্টকর!
লেখায় ++++
০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লাগা ভাই। শুভ কামনা রইলো।
১৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৯
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:
করুণ কাহিনী পড়ে মনটা একটু ভারী হলো। ওভার অল ভালোই লাগলো
আর হ্যা নুরু ভায়ের পোস্টে আপনাকে নিয়ে একটু লিখেছি, দেখলে খুশ রহিব
০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাইজান কী বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেব!!! আমার মত অতি নগণ্য একজন ব্লগারের নাম আপনার ছড়ায় উল্লেখ করেছেন এজন্য অনেক কৃতজ্ঞ ভাই।
মন্ডল, পবন, প্রামাণিকে
ব্লগে নুরের আলো,
ট্রাক্টরের টায়ার ফুটো হলে
দেখায় কি তাহা ভালো?
রাজীব নুরের আজিব লেখা
পড়তে অতি মিষ্টি
কাওছার ভায়ের ছোট গল্পে
সবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। :`<
সেহরি খাওয়ার জরুরতে
নিলাম একটু বাক
আগামীকাল কথা হবে
এখন তবে থাক।
১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৩
রাকু হাসান বলেছেন: তো মাইশা কেন ফেসবুক অনলি মি করে রাখছিলো ? সে কি তার অসুস্থতার কথা জানানোর আগ্রহ ছিল না ? নাকি লিখে মনের কষ্ট টা কমানোর জন্য ! সবমিলিয়ে গল্পটা কষ্টের হলেও ভাল ছিল ..।আলোচিত ব্লগের লেখা পড়লে অন্যরকম লাগে ,,,,শুভকামনা রইলো । মাইশারা যেন অকালে তাদের স্বপ্নগুলো হারায় না । স্রষ্টা তাদের বাঁচিয়ে রাখুক ।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, রাকু হাসান ভাই। মায়িশা ছোট বেলা থেকে নিজের ছোট্ট ছোট্ট অনুভূতিগুলো ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখতো। তখন সে নিজের অনুভূতিগুলো গোপনে এই ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখতো, কাউকে দেখতে দিত না।
যখন তার ক্যানসার ধরা পড়লো তখন নিজের কষ্টের অনুভূতিগুলো লিখে রাখতে চাইলো। তবে তা গোপনে। এজন্য সহজ মাধ্যম হিসাবে ফেইসবুকে লেখে রাখলো এবং তা ডায়েরি আকারে (Only me)। শেষ দিনে তার মনে হলো কষ্টের অনুভূতিগুলো সবাইকে জানিয়ে দিতে। এজন্য এগুলো সে পাবলিক করে দেয়।
১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় কাওসার ভাই । গতবছর সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে আমার একবাল্য বন্ধু দীর্ঘ প্রায় সাতমাস এই মারণরোগে ভোগার পর কলকাতার রুবি হসপিটলে চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষ মুহূর্তে ডাক্টার সুবীর গাঙ্গুলির পরামর্শে আর জি কর হসপিটলে স্থানান্তরিত করা হয় এবল ওখানেই সে মারা যায়, স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তানকে রেখে। রুবি আর আর জি করে থাকাকালীন দীর্ঘ দিন আমিও সপ্তাহে অন্তত তিন / চার দিন করে যেতাম। শেষের দিকে একদিন আমার হাত ধরে, তুই আমাকে যেখানে পারিস নিয়ে চল, আমি বাঁচতে চাই। উত্তরে আমি বলেছিলাম, চিকিৎসা চলছে ভেঙে পরিসনা, সব ঠিক হয়ে যাবে।
৬ টি কেমো আর ২৯ রেডিওথেরাপি দেওয়ার পরও আবার কয়েকদিনের মধ্যে যন্ত্রনা শুরু হয়। এবার চললো হোমিও চিকিৎসক ড পি ব্যানার্জ্জীর কাছে চিকিৎসা । বেশ কিছুদিন হওয়ার পর আবার ঘোঁজাডাঙা সীমান্তে এক জ্বীন বিশারদের কছেও বাড়ির লোক নিয় গেল। এদিকে রোগের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে লাগলো, ফলে আবার রুবিতে। ততদিন আঠারো লক্ষ বেড়িয়ে গেছে, ডাক্টার তখন আর জি করে রেফার করেন। উল্লেখ্য রুবির সুবীর গাঙ্গুলি আর জি কর হসপিটলেরই ওঙ্কোলজির বিভাগীয় প্রধান। আর টাকা খাওয়াটা বোধহয় মানবিকতায় বেঁধেছিল যেকারনে শেষ কদিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আর জি করে চিকিৎসার সুযোগ করে দিলেন। ওখানেই দশ / বার দিনের মাথায় আমার বন্ধু পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
ভাল থাকুন প্রিয় কাওসার ভাই।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই, আপনার বাল্যবন্ধুর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া এবং তার কষ্টের ও বেঁচে থাকার অনুভূতি পড়ে খুব কষ্ট পেলাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে আশার কথা এখন প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার ধরা পড়লে, কিউর হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। আশা করি, এমন একটি দিন আসবে যেদিন ক্যানসারের কারণে পৃথিবীতে একটি মানুষও মারা যাবে না।
১৯| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: টিস্যু খুজতাছি
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি ভাই, আসলেই গল্পটি কষ্টের।
২০| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
শামচুল হক বলেছেন: একজন ক্যান্সার রুগীর তিল তিল করে নিঃশেষ হওয়ার কষ্টের ডায়েরী। ধন্যবাদ চৌধুরী ভাই।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শামচুল ভাই, গল্পটি পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
২১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: হা হা হাসি পেলাম এবং খুশি হলাম ও সাথে দুই গুচ্ছ ঈদের শুভেচ্ছা
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আবারও ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
২২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাস্তবেও এমন ঘটে।
মায়িশারা ভাল থাকুক।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্প পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মাইদুল সরকার ভাই।
২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। ক্যানসার সত্যি সত্যি ভয় পাওয়ার মতই একটা রোগ।
আজ আমার মেয়ের জন্মদিন। ওর জন্য দোয়া করবেন।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মেয়ের জন্মদিনে অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা রইলো। আশীর্বাদ করি যাতে একজন সফল মানুষ হতে পারে।
২৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
আবু ছােলহ বলেছেন:
গল্প ভাল লাগলো। সব মায়িশারা ভাল থাকুক। লেখার হাত দারুন। বেশ ঝরঝরে।
আপনার জন্য শুভকামনা।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় আবু ছোলহ ভাই। গল্পটি পড়ায় ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
২৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
জ্ঞান পাগল বলেছেন: ভাল লাগল আবার খারাপও লাগল
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলেই, খারাপ লাগার কথা। একজন ক্যানসার আক্রান্ত মানুষ ধুকেধুকে মারা যাচ্ছে আর এই অনুভূতিগুলো লিখে রাখছে। এগুলো লেখা ও পড়া বেশ কষ্টের।
২৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
মিথী_মারজান বলেছেন: প্রতিটা চলে যাওয়ার গল্পই খুব মন খারাপের হয়।
সুস্হ ও সুন্দর থাকুক সকল কোমলমতি প্রাণ।
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্পটি পড়ায় ও মন্তব্যে খুশি হলাম আপু। শুভ কামনা রইলো।
২৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুবই দুঃখ লাগলো মায়িশার গল্পটা পড়ে। যদিও এটা গল্প, তবে বাস্তবেও তো এমনটা হয়।
দুঃখের এবং কষ্টের!!
০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসলেই ভাই। এটা গল্প হলেও বাস্তবতার ছোয়া আছে। গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫
সোহানী বলেছেন: খুব মন খারাপ করে দিলেন। মন্তব্য পড়ে জানলাম আপনার প্রতিবেশীর কথা। ঠিক একইভাবে আমিও গত এক বছর ধরে তিল তিল অপেক্ষায় ছিলাম এমন মৃত্যুর। সে কস্টের কথা আরেকদিন বলবো। কস্টের কথা শেয়ার করতে ভালোলাগে না।
উৎসর্গ যথাযথ, আমার প্রিয় একজন।
০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "ঠিক একইভাবে আমিও গত এক বছর ধরে তিল তিল অপেক্ষায় ছিলাম এমন মৃত্যুর। সে কস্টের কথা আরেকদিন বলবো।".......
আমি জানি না, আমার প্রিয় আপুটার এমন কোন স্মৃতি আছে কিনা। আমি বাকী জীবনটা আপনাকে একটি দিনের জন্যও অসুস্থ দেখতে চাই না। সব সময় ভাল থাকাটা চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: আপাতত প্লাস।
পড়ে কথা বলবো, সময় লাগবে।