নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লিখার মত এত মহান হইনি। আমি কোন স্পেশাল কেউ না, আর আমার জন্যও কেউ স্পেশাল নয় একমাত্র আমার মা ছাড়া।

কবি নজরুলের ছাত্র

মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি।

কবি নজরুলের ছাত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প। ফিরা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫


→ আব্বু আব্বু তুমি কখন আসবে?
→ আসবো মা আসবো , তোমার আব্বুর ছুটি হলেই বাড়ি চলে আসবো।
→ আচ্ছা, আমার জন্য একটা লাল জামা নিয়ে আসবে,ঈদেরদিন আমি এই জামাটা পড়বো।
→ ঠিক আছে মামনি, তোমার জন্য লাল জামা নিয়ে আসবো।
→ আর হ্যা তাড়াতাড়ি চলে আসবে, ঈদেরদিন আমরা সবাই ফিরনি, সেমাই খাবো একসাথে।
→ আচ্ছা মামনি, খুব তাড়াতাড়ি আসবো,
এই বলেই রায়হান সাহেব ফোন রেখে দিলেন।
.
আজকাল কাজের খুব চাপ, ঈদের মাত্র চারদিন বাকি,
এখনো ছুটির কিছু হয়নি, বেতন বোনাস কিচ্ছুনা।
হতাশ হয়ে অফিসে বসে আছেন রায়হান সাহেব।
গত ঈদেও তেমন ছুটি মিলেনি, কোরবানি ঈদে তো কমছে কম ঈদের দুইদিন আগে ছুটি চাই।
এবার বোনাস পেয়ে পরিবারের সবার জন্য কিছু কিনতে হবে, ঈদের ছুটি ছাড়া তো পরিবারের সবার সাথে দেখা করার সুযোগ হয়ে ওঠেনা।
.
পিচ্ছি মেয়ে ঈশাত, সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে তার বাবা তার জন্য ঈদের জামা নিয়ে আসবে, তার জন্য ঈদের উপহার নিয়ে আসবে, বাবা বাড়ি আসবে ছোট্ট মেয়ের মুখ হাসু খুশী,
আসমা বেগম নিজেও খুশী, স্বামী বাড়ি ফিরলেই হয়,
উনার আর কিছু চাইনা, পরিবারের সবার সাথে ঈদ করা, স্বামীর হাসুমাখা মুখখানা দেখতে পারলেই আসমা বেগম খুশী।
.
ঈদের আগেরদিন, আসমা বেগম উনার স্বামীর পছন্দের সব জিনিষ সাজিয়ে ঘুচিয়ে রেখেছেন, প্রিয় খাবারের বন্দোবস্ত করে রেখেছেন, কেবলমাত্র ঈদেরছুটিই পরিবারের সবার সাথে কাটে, তাই স্বামীর পছন্দমতো সব জোগাড় করে রেখেছেন।
রায়হান সাহেবের বাবা মা উনারাও অপেক্ষায় এই বুঝি ছেলে ফিরলো, একসাথে ঈদ করবেন সবার মনে আনন্দের ছায়া।
ফোন বেজে উঠলো, আসমা বেগমের কন্ঠে হ্যালো....
ওপাশ থেকে কি যেন বললো,
ফোনটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেলো।
সবকিছুই স্তব্ধ হয়ে গেল।
.
রায়হান সাহেব বাড়ি ফিরছেন,
গাড়িতে বসে কল্পনা করছেন, মেয়ের হাসিমাখা মুখটি চোখে ভাসছে, মেয়ের জন্য নতুন জামা, বাড়ির সবার জন্য নতুন জামা, বাড়িতে সবাই খুশী।
বাসের ঝাকনিতে বাস্তবে ফিরে এলেন রায়হান সাহেব।
নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।
সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে, পরিবারের সবার হাসিমাখা মুখটি চোখে ভাসছে।
বাড়ি ফিরা হলোনা রায়হান সাহেবের।
.
( রায়হান সাহেব যে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই বাসের এক্সিডেন্ট হয়ে যায়, বাসে অবস্থানরত সব যাত্রী মারা যান।
আসমা বেগমকে ফোনে এ কথা বলা হয়েছিল যে উনার স্বামী সেই বাসে মারা যান)।
.
লিখা : Al-Amin Ahmed
(কাজী নজরুলের ছাত্র)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধুর মিয়া, কাজী নজরুলে পড়লেই কি কবিতা, গল্প বের হতে থাকবে নাকি? প্লট নেই, ম্লট নেই, ছোট বাচ্ছার স্বপ্ন ভেংগে ঘোড়ার ডিমের গল্প লেখেন?

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইসব সাধারণ গল্প তো ঠিক পড়ে ভাল লাগার মত হয় না।
আর, এইসব নিয়ে গল্পের সংখ্যাও না।


লিখেছেন সেটা ভাল। তবে, লেখায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.