নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুগ্ধ হওয়ার মত অনেক স্মৃতি জরিয়ে থাকে শুধু শৈশব কালে। আমার শৈশব কালের ভালবাসার অধিকাংশ স্মৃতিই আমার মামার বাড়িকে ঘিরে।
মামার বাড়ীর গাছপালা, রাস্তাঘাট, আসবাবপত্র, ঘরের পুরানো সেই সাজ, পুকুর ভরতি মাছ, প্রত্যেকটা ধুলিকণা আমার শৈশবের সাথে মিশে আছে।
যে সকল সুখের স্মৃতি আমাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দেয় তার মধ্যে বর্ষাকালে মামার বাড়ির স্মৃতিগুলো অন্যতম। শৈশবে বর্ষার সময় সাঁতার শেখানোর মামাদের আপ্রাণ চেষ্টা, বাড়িথেকে সাঁতরে গিয়ে রাস্তায় উঠা, শাপলা তুলা, মাছ ধরা! বৃষ্টির সময় বর্ষার পানিতে গোসল করে খুব মজা পেতাম। আমাদের বাড়ি থেকে মামার বাড়ির দূরত্ব ৫ মিনিটের হাঁটা পথ। আমার যখনই মামার বাড়িতে যেতে ইচ্ছা হতো, আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে নানীকে ডাক দিতাম, নানী মামাকে পাঠিয়ে দিত আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মামা সাঁতরে এসে আমাকে নিয়ে যেতো। আমাকে যদি কেউ কখনো জিগ্যেস করে এবং এক সেকেন্ডে উওর দিতে বলে যে; তোমাকে এই দুনিয়ায় কে সবথেকে বেশি ভালবাসে? আমি বলব আমার নানি। প্রবাসে থেকে আমি আল্লাহর কাছে যে দোয়া সবথেকে বেশি করি তা হচ্ছে দেশে গিয়ে আমি যেন আমার নানিকে আবার দেখতে পাই।
মামার বাড়ি থেকে নিচে নামার জন্য যে রাস্তা; পাশে টিউবওয়েল এবং টিউবওয়েলকে ঘিরে লেবু গাছ, মেহেদী গাছ, নারিকেল গাছ, দীর্ঘ মাচাঙ, আর সামনেই বড় ফসলি জমি। যেখানে শাঁক-সবজি চাষ আর ধান মাড়াইয়ের জন্য নির্ধারিত ছিল! জীবনের প্রয়োজনে সেই সেই চির চেনা দৃশ্যটা এখন আর নেই।
মামার বাড়ির পরিবর্তন টা আমি দেখে এসেছি এবং দেখে অভ্যস্তও হয়েছিলাম। তবুও সত্যিই, শৈশব নিয়ে আমি যখন ভাবি তখনই মামার বাড়ির সেই আগের দৃশ্যটাই বারবার আমার চোখে ভাসে।
©somewhere in net ltd.