![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিনের আজও আমার মা টিভিতে নাটক দেখছিলেন। আমিও পাশে বসে ছিলাম। সেখানে একটা দৃশ্য ছিল এমন, একটি মেয়ে রাতে অফিস থেকে ফেরার পথে কিছু দুষ্কৃতিকারীর কবলে পড়েছে, তারা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মেয়েটি পালানোর চেষ্টা করছে, চিৎকার করছে। কিছু লোক এগিয়ে এসেও ভয় পেয়ে পিছু হটে যায়।
এরকম নাটক বা সিনেমার দৃশ্য টিভি পর্দায় আমরা হরহামেশাই দেখি। বাস্তবেও প্রতিনিয়ত আমাদের আশেপাশে এসকল ঘটনা ঘটে চলেছে, হয়তো একই রকম; হয়তো পরিবর্তিত রূপে। কিছু ঘটনা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, অধিকাংশই থেকে যায় অগোচরে। প্রতিদিন যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মত অপরাধ ঘটেই চলেছে। দুষ্কৃতিকারীদের কবল থেকে রেহাই পায় না কেউ, শিশু থেকে বৃদ্ধা সবাই এদের শিকার।
আমরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাই, ঘটনা মনে বেশি পীড়া দিলে ভুলে যাই। মনে মনে ভাবি, এমনটা হবেই; কিছু করার নেই। নয়তো ভাবি ভুক্তভোগী তো আমার কেউ না। ভাবি যে এসব দেখার দায়িত্ব আমাদের না; এই দায়িত্ব প্রশাসনের। যদিও এটা সত্যি যে, এসকল অপরাধীদের ধরা এবং তাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা আইন প্রশাসনের দায়িত্ব; কিন্তু তারা যথাযথভাবে সেটা করছে না বলেই অহরহ আমাদের দেশের নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়।
তবে কতকাল নিজের জাগ্রত বিবেককে কালো কাপড় পরিয়ে অন্ধ বানানোর বৃথা চেষ্টা করা যায়, কতকাল না দেখার ভান করে অদৃষ্টের ওপর মিথ্যে দায় চাপিয়ে ঘরের কোণে বসে থাকা যায়?
এখানে স্কুলে পড়া কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কয়েকটি লাইন উল্লেখ করা দরকার –
“চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।”
একজন নারী যখন যৌন হয়রানির শিকার হয়, সে যে কি ট্রমার মধ্য দিয়ে যায় তা আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এমনকি তার পরিবারের ভয়, দুশ্চিন্তাও আমরা অনুভব করতে পারবো না যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের কোন মেয়ে একই ঘটনার সম্মুখীন হবে।
আমি যখন এসব ব্যাপার নিয়ে ভেবে খুব হতাশ হই; আমার ধারণা অনেকেই হন। তবে এই আশাও রাখি সকলের একতাবদ্ধ প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই একদিন আমরা আমাদের মেয়েদের জন্য একটা নিরাপদ সমাজের প্রবর্তন ঘটাতে পারবো। আজকের এই মানসিক পীড়াই আমাদের সেই কাজটা করতে সাহায্য করবে। আলো আসবেই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৩
কাজী ফয়সাল হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আলো আসবেই।
হ্যাঁ আলো আসবেই তবে আমাদের
সততা ও মানসিক দৃঢতা আসতে হবে
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
কাজী ফয়সাল হোসেন বলেছেন: হ্যাঁ, আলো আসবেই ।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
কাজী ফয়সাল হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব আশা মাশায় কাজ হবে না। সবাইকে ধর্মীয় ভাবে শিক্ষিত করতে হবে। অপরাধীর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে...
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫০
কাজী ফয়সাল হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি লিখি যাতে দু একজন পড়ে সামনে আগানোর জন্য সাহস পায়, আর আমি পাই আমার বন্ধুর পথের সঙ্গী ।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২০
খাঁজা বাবা বলেছেন: কার এত সময় সেধে ঝামেলা কাধে নেবে?
নগর জীবনে যেমন আমরা আত্মীয় বান্ধবহীন হয়ে পরছি তেমনি মনুষত্ব হারাচ্ছি।
সবাই আত্মকেন্দ্রীক হয়ে পরছে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২
কাজী ফয়সাল হোসেন বলেছেন: সহমত । কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা থেকে আমাদের বের হতে হবে। আমরা যারা সমস্যাটা বুঝতে পারছি তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে এগোতে হবে ।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
কে ত ন বলেছেন: উপস্থাপকঃ আপনি এ পর্যন্ত কয়জন নায়িকাকে ধর্ষণ করেছেন?
অতিথিঃ তা ৫০/৬০ জন তো হবেই। শাবানা/ববিতা থেকে শুরু করে হাল আমলের পরীমনিকেও ধর্ষণ করা হয়ে গেছে।
উপস্থাপকঃ কাকে ধর্ষণ করতে আপনি সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
অতিথিঃ নায়িকা মৌসুমি ও পূর্ণিমাকে
উপস্থাপকঃ হি হি হি
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
একে৪৭ বলেছেন: এই আলো কখনোই আসবেনা।
সব চোর একসাথে নিজেদের বিবেককে জাগ্রত করে ভালো হয়ে যাবে না।
সব ঘুষখোর দুর্নিতীবাজ নিজেরা নিজেরা সপথ করে সুফি হয়ে যাবে না।
সবাই একসাথে আওয়ামীলিগ কিংবা বি.এন.পি কে ভোট দেবে না।
একই ফুলের গন্ধ সবার নাকে সুবাস রুপে ঢুকবেনা।
এসো নিজেকে বদলাই, এইসব স্লোগান কাগজে কলমে কিংবা গল্পে পড়তেই সুন্দর, এগুলো মোটিভেশনাল স্পিকারদের মুখেই সুন্দর, আদতে থিওরিটিক্যালিই অকার্জকর।
সবার মত, সবার পথ একরকম কখনোই হবে না।
আলো আসবেনা, কেউ একজনকে আলো জালতে হবে।
হয় নিজে ক্ষমতায় গিয়ে জ্বালান, আর না হয় কেবল আপেক্ষা করেন যদি কেউ একজন এসে আলোটা জ্বালিয়ে দিয়ে যায়। এমন এক আলো, আলোর রং ভালো লাগুক বা না লাগুক, সে আলোতেই বসবাস করতে যিনি বাধ্য করবেন।
(দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমার চোখে বর্তমান বাংলাদেশে এমন কাউকে এখনো দেখিনি যিনি এই আলো জ্বালানোর মতো জ্ঞান, সততা এবং প্রজ্ঞা বহন করেন।)
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
আরজু পনি বলেছেন: আপাতত শিরোনাম দেখে গেলাম। পরে আসছি...
১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
আরজু পনি বলেছেন: ভিড়ের মধ্যে গেলে আমি আমার চেয়ে আমার মেয়ের জন্যে আতঙ্কে থাকি।
নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয় তা কিছুটা শিখে গেছি চলতে হয় বলেই।
কিন্তু আমার, আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করবো এখনও জানি না!
তারপরও আশায় থাকি...
আলো আসবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।