![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। শিশুরাই বড় হয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী- রাষ্ট্রপতি হন। অথচ আমাদের দেশে যে হারে শিশু নিধন শুরু হয়েছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে সবচেয়ে ভয়াবহ র্রপ প্রমাণ পায় শিশু নিধনের মহোৎসব।
গত ৮ জুলাই ১৪ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে অমানবিক, নির্মম ও বর্বরোচিত নির্যাতন করে হত্যা হয়েছে। রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কামরুল ইসলাম ঘটনার পর সৌদি আরবে পাড়ি দেন। তা কি করে সম্ভব যদি পুলিশের সহযোগিতা না থাকে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছে। উক্ত পুলিশ কর্মর্তাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাড়ঁ করানো প্রয়োজন বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
এদিকে গত ৩ আগষ্ট রাতে শিশু রাকিব (১২) কে দরে মোটর সাইকেলের চাকার হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের নল মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে কমপ্রেসার চালু করে দেয়। এতে করে শিশু রাকিবের পেটে বাতাস ঢুকে পেট বড় হয় এবং নাড়িভুড়িঁ ছিড়ে যায় এবং ফুসফুস ফেটে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় রাকিব।
৩ আগষ্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সংলগ্ন স্থান হতে অজ্ঞাত পরিচয় একটি ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির বয়স আনুমানিক ৯ বছর। তাকে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, শিশুটির বুকে ও কপালে ছ্যাঁকার দাগ, পিঠে গভীর জখম। থুতনিতেও জখম।
গত ৪আগষ্ট মঙ্গলবার ভোরে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের তারাপুর কামার বাড়ীতে জ্বিন তারানোর নামে নিজের শিশু সুমাইয়া আক্তারকে হত্যা করেছে কাঠ মিস্ত্রি এমরান হোসেন। জ্বিনে আছর করেছে মর্মে তার নিজ কন্যা সুমাইয়া আক্তারকে পেটাতে থাকলে এক পর্যায়ে সে মারা যায়।
এ ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শিশু হত্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। থামছে না কোনো মতেই। আমরা সভ্য দেশের সভ্য নাগরিক। আমাদের এ কেমন সভ্যতা যে, রাজন, রাকিব সুমাইয়ার মতো শিশুদের অকালেই প্রাণ হারাতে হচ্ছে? কি অপরাধ ছিলো তাদের?
গত ৪ আগষ্ট সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য সাংসদ ইলিয়াছ আলী মোল্লাহ বলেছেন “ আফ্রিকার কালো মানুষগুলো এখনো সভ্যতা পায়নি। আমাদের আর্মি তাদের সভ্য করার জন্য সেখানে গিয়েছে। তাই আমার প্রশ্ন আমরা এ কেমন সভ্য জাতি যেখানে শিশু নিধনের মহোৎসব চলে? এরই নাম কি সভ্যতা? অন্যদেরকে সভ্য করার আগে আমাদের নিজেদেরকে সভ্য হতে হবে। তারপর অন্যদের সভ্য হতে পরামর্শ দিতে হবে।
শিশু নিধন বন্ধে বিভিন্ন স্থানে মানব বন্ধন, সভা-সেমিনার হলেও কোন কাজে আসছে না। বরং দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে আমাদের দেশের শিশু নিধনের চিত্র। শিশু নিধন বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ। শিশু হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে হবে। তাহলে তা দেখে অন্য অপরাধীরা এমন অপরাধ করার সাহস পাবে না বলে আমি মনে করছি।
©somewhere in net ltd.