![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
শিল্প ও বন্দরনগরী আশুগঞ্জ। আশুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব। এই প্রেসক্লাববে ঘিরেই সাংবাদিক সমাজ ও স্থানীয় এক শিক্ষক নেতার মাঝে শুরু হয়েছে লড়াই। শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এই লড়াই। সাংবাদিক সমাজ বনাম শিক্ষক নেতা লড়াইয়ের মূল বিষয়বস্তু হলো কে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং কখন প্রতিষ্ঠিত হয় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব।
সাংবাদিক সমাজের পক্ষে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাদেকুল ইসলাম গত ৪ আগষ্ট মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগ এনে “বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৩ সালে সাংবাদিক সেলিম পারভেজকে আহ্বায়ক করে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রথম আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৯৫ সালে মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সেলিম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গত জুন মাসে শাহজাহান আলম তার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে প্রকাশক করে “ শেকড়ের সন্ধানে” নামে একটি বই প্রকাশ করে। বইটির ৫৬ পৃষ্ঠায় লেখক ১৯৮৫ সালে আশুগঞ্জ প্রেসকক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় বলে তথ্য দেয়া হয় এবং বইটির ২২১ পৃষ্ঠায় তিনি নিজেকে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহলে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
এদিকে আশুগঞ্জের স্থানীয় জনসাধারণ রয়েছে দ্বিধাদ্বন্ধে। তারা রয়েছে আদালতের রায়ের অপেক্ষায়। সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কি সাংবাদিকরাই নাকি ওই শিক্ষক নেতা জানতে চান জনগন। জনগণ এও জানতে চান যে, কে কখন আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন?
©somewhere in net ltd.