![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
বাংলাদেশ বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে দেশে শিশু হত্যা ও ব্লগার হত্যা বেড়েই চলেছে। এ দেশ স্বাধীন দেশ। মত প্রকাশের অধিকার সবারই রয়েছে। যে কোন ধর্মের লোকই তাদের নিজ নিজ মত প্রকাশ করতে পারে। ব্লগারদের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। কিন্তু আমাদের দেশের এক শ্রেণীর উগ্রপন্থি মানুষ ব্লগারদেরকে হত্যা করে গোটা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।
গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৫ জন ব্লগার খুন হয়েছে। হত্যাকারীদের প্রথম শিকার ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারী দূবৃত্তরা তাকে হত্যা করে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারী খুন হন ব্লগার অভিজিৎ রায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে খুন করে দূবৃত্তরা। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ খুন হন ওয়াশিকুর রহমান। ঢাকার বেগুন বাড়ী এলাকায় হত্যা করা হয় তাকে। ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেটে খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। গত ৮ আগষ্ট খুন ঢাকার গোড়ানে খুন হন ব্লগার নিলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় নীল।
এসব বিষয় বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্দ করতেই চলছে ব্লগার হত্যা। যারা এসব হত্যকান্ডের সাথে জড়িত তারা কি আদৌ ভেবে দেখেছেন যে, ইসলাম হত্যাকে অনুমোদন দিয়েছে কি না? ইসলাম কখনো হত্যাকে অনুমোদন দেয় না। পবিত্র হাদীস শরীফে এসেছে- কোন ব্যক্তি যদি কাউকে হত্যা করে তবে সে যেন সমগ্র জাতিকে হত্যা করলো। অর্থাৎ- সমগ্র জাতিকে হত্যার দায়ভার তার উপর বর্তাবে এবং সমগ্র জাতিকে হত্যার মতো তার আমল নামায় লেখা হবে। তাদের ভেবে দেখা উচিত মানুষ খুন করে শান্তি আনতে পারে না।
যারা এসব কাজ করছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- ব্লগের জবাব ব্লগেই দিন। লেখালেখির মাধ্যমে আপনারা এর জবাব দিন। অস্ত্র ফেলে হাতে কলম তুলে নিন। ব্লগাররা যদি ইসলামের বিরুদ্ধে, আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তাহলে আপনারা কলমের মাধ্যমে এর জবাব দিন। অর্থাৎ আপনারা ব্লগের মাধ্যমেই এর জবাব দিন। এ জন্য ব্লগারদেরকে হত্যা করা মানে “মাথায় ব্যাথা হওয়ার কারণে মাথা কেটে ফেলে দেয়া’র মতো কাজ”। এখন আপনারাই চিন্তা করুন মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলে দিলেই কি মাথা ব্যথার সামাধন হয়ে যাবে? কখনো নয়, মাথা ব্যথার জন্য প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতে ঔষধ সেবন করা। তাহলেই মাথা ব্যথার সমাধান হবে। বিষয়টিও ঠিক তেমনি, আপনারা হত্যা কর্মকান্ড বন্ধ করে লেখালেখির মাধ্যমে জবাব প্রদান করুন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২০
এম ছানাউল্লাহ বলেছেন: ভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় হত্যার সাথে নিলাদ্রি নিলয় এর হত্যার ঘটনা সম্ভবত মেলানো যাচ্ছে না! এক্ষেত্রে নারীঘটিত অপরাধের যে চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে তা জঙ্গীবাদী ঘটনার দাবীকে দুর্বল করছে। প্রতিটা প্রানই মূল্যবান। তাই বলে আমি নিলয় হত্যার প্রতিবাদে কোন মতাদর্শকে গালি দিয়ে লিখতে পারি না! এদেশে ধর্মীয় গোড়ামী যততাই নোংরা ঠিক ততটাই নোংরা এইসব ছদ্মবেশী ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকগুলো! নিজের স্বার্থ হাসিল, মানুষের চোখে আলোচিত হবার জন্য অন্যের ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত হানাটা এদের নিয়মিত স্বভাব!
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩২
ইমরান সামি ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে একদল আছে এরা ৯/১১ এর পর আমেরিকান মুসলিম বিদ্বেষী নতুন ক্রুসেডের যোদ্ধা; বাংলাদেশে এরা 'মুক্তমনা' দাবীদার! ৯/১১ এর পর শুরু হওয়া নতুন ক্রুসেডে ইসরাইলী/আমেরিকান পলিসি অনুযায়ী মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রীস্টানদের বদলে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ফ্যানাটিক ইসলাম বিদ্বেষী আর ফ্যানাটিক ইসলামিস্টদের। ফ্যানাটিজম সব সময়ই খারাপ। হোক সে ফ্যানাটিক এথেইস্ট বা ফ্যানাটিক আইএসআইএস। তার আসল পরিচয়, সে সমাজকে অস্থিতিশীল করে।
আমার জীবন ভর আমি পশ্চিমা মুক্তমনাদের দেখে এসেছি সব ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। আমেরিকান/ইসরাইলী পরিচালনায় বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী ক্রুসেডে যেসব এন্টাই ইসলামিস্ট ফ্যানাটিক যোদ্ধা রয়েছেন, তারা নিজেদের 'মুক্তমনা' দাবী করছেন! এরা মুক্তমনা নাম নিয়ে নিয়মিত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, আর মানুষকে তাদের প্রতি আক্রমণ করতে উষ্কানী দিয়ে যাচ্ছেন। এদের নেতারা বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন। তাদের তো কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই। যাদেরকে এরা ভবিষ্যতে বিদেশে নিয়ে যাবেন এমন লোভ দেখিয়ে এসব উষ্কানীমূলক লেখা লেখাচ্ছেন, জীবনটা যাচ্ছে তাদের।
একজন মুক্তমনা কখনো ফ্যানাটিক হতে পারে না, অন্যের উপর অত্যাচার কামনা করতে পারে না, অন্যের উপর অত্যাচারে উল্লাস করতে পারে না, মানুষের মৃত্যুতে উল্লাস করতে পারে না। বাংলাদেশের 'মুক্তমনা' দাবীদারদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কোনটা আপনারা কেউ লক্ষ্য করেছেন?
এবার যারা বাংলাদেশে বসে ইসলাম বিরোধী ক্রুসেডে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বলছি- স্যরি, এতক্ষণে নিশ্চই বুঝে গেছেন, আপনারা 'মুক্তমনা' তো ননই এমন কী 'নাস্তিক'ও নন। আপনাদেরকে ভুল পরিচয়ে পরিচিত করে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে যুদ্ধে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। নিজেকে মুক্তমনা নাস্তিক দাবী করতে চাইলে আপনি বার্টান্ড রাসেল, মিশেল ফুকো, নোয়াম চমস্কি বা বাংলাদেশে আহমেদ শরীফকে জানুন। ফ্যানাটিক স্যাডিস্ট হুমায়ুন আজাদ বা তসলিমা নাসরিন 'নাস্তিক' বা 'মুক্তমনা' নন; তারা ঐ আমেরিকান/ইসরাইলী ক্রুসেডের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সেনাপতি। আপনি হয়তো জানেন না, আপনার মৃত্যু কতজনের কাম্য- ফ্যানাটিক ইসলামিস্টরা আপনার লাশ নিয়ে উল্লাস করবে, সরকার আপনার লাশকে জঙ্গীদের কাজ দাবী করে আরো কিছু বিরোধী দলের নেতা/কর্মীকে দরজার নীচ দিয়ে জঙ্গীবাদী লিফলেট ঠেলে দিয়ে গ্রেফতার করবে, আর আপনাকে যারা মদত দিয়েছে, সেই পশ্চিমা দেশে নিরাপদে অবস্থানকারী আপনার ইউনিট কমান্ডাররা আপনার লাশ দেখিয়ে তাদের জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করবে। যেহেতু সবার কাছেই আপনার লাশের ব্যবহারিক মূল্য অনেক বেশি, তাই এদের যে কারো হাতে আপনার মৃত্যু ঘটতে পারে। আপনি কি আপনার লাশকে এভাবে ব্যবহৃত হতে দিতে চান? যদি না চান, তাহলে মুক্তমনের চর্চার নামে একটি ধর্মের উপাস্য এবং প্রচারকের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিক লেখালেখি বন্ধ করুন। আবারো বলছি, এগুলো মুক্তমনের চর্চা নয়, এগুলো ফ্যানাটিক ধর্মবিদ্বেষ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫২
আর জে নিশা বলেছেন: আই এস,
তালেবান,
হরকাতুল জিহাদ
জামাত এ ইসলামী বাংলাদেশ
ছাত্র শিবীর
হিযবুত তাহরীর
জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)
হরকাত-উল জিহাদ (হুজি)
আনসারুল্লাহ
বাংলা টিম সহ আরো অনেক দল যাদের কাজ শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ।