![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা কবি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ও সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
মহান আল্লাহপাক কোরআনে ফরমান- আমি ই কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এটির হিফাজতকারী।
আল্লাহপাকের একমাত্র মনোনিত ধর্ম ইসলাম কখনো ইয়াজিদের শাসনামলে মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে, কখনো হাজ্জাজের আমলের নির্যাতনে ধূলিসরিত হয়েছে, কখনো খলিফা মামুনের আমলে বাতিল পন্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে, আবার কখনো তাতারীগণ বীরবিক্রমে এর উপর প্রচন্ড আঘাত হেনেছে, কখনো খারেজীগণ এ মুকাবেলা করেছে, রাফেজীরাও একে সমূলে বিনাশ করার অপচেষ্ট চালিয়েছে। কিন্তু এটি এমনই এক পাহাড়, যার সম্মুখে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারে নি। এটা যেমনি ছিল, তেমনি মজবুত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা একে স্থির ও অটল রাখুন।
এ সমস্ত ফিতনার মধ্যে ওহাবী-নজদীদের ফিতনা ছিল সর্বাধিক বিপজ্জনক। এ ব্যাপারে আমাদের নবী করিম (সাঃ) প্রথম থেকেই সতর্ক করে গেছেন, নানা ভাবে মুসলমানদেরকে সজাগ করে দিয়েছেন।
মিশকাত শরীফের দ্বিতীয় খন্ডের “ইয়ামন ও শামের বর্ণনা” অধ্যায়ে বুখারী শরীফের বরাত দিয়ে হযরত আব্দুল্লা ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত “একদিন দয়ার সাগর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত তুলে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করছিলেন। হে আল্লাহ, আমাদের শাম প্রদেশে বরকত দাও, আমাদের ইয়ামন প্রদেশে বরকত দাও। উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে জনৈক সাহাবী (রাঃ) আরজ করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের নজদের জন্যও দোয়া করুন। পুনরায় হুজুর (সাঃ) দোয়া করলেন, শাম ও ইয়ামনের নাম উল্লেখ করলেন, কিন্তু নজদের নাম নিলেন না, উক্ত সাহাবী (রাঃ) পূণরায় নজদের জন্য দোয়া করার জন্য বললেও তিনি (রাসুল সাঃ) আবারো শাম ও ইয়ামন প্রদেশের জন্য দোয়া করলেন এবং নজদের নামে দোয়া করলেন না বরং বললেন- যে অঞ্চল সৃষ্টির আদিকাল থেকেই আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত সে ভূখন্ডের জন্য দোয়া কিভাবে করি? ওখানেই ইসলামের ভিতকে নাড়াদানকারী ভূমিকম্প ও ফিতনা আরম্ভ হবে, ওখানেই শয়তানী দলের আবির্ভাব ঘটবে। এ থেকে বুঝা গেল যে হুজুর (সাঃ) এর পবিত্র দৃষ্টিতে (পথভ্রষ্ট ও ঈমান নষ্ট করার দিক থেকে) দাজ্জালের ফিতনার পরে ছিল নজদের ফিতনার স্থান, যার সম্পর্কে তিনি এভাবে ভবিষ্যতবাণী করে গেলেন।
{জা’আল হক, পৃষ্ঠা-২(চলবে)}
©somewhere in net ltd.