![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুকে এই ক্ষণে হাল ফ্যাশান হইল হেফাজতীদিগের জন্য নাশ্বিকা-ক্রন্দন করিয়া গোটা কতক পোস্ট লিখা। তাহার সহিত শাহবাগীদিগকে গালমন্দ করা তো রহিয়াছেই। দু’মাস পূর্বে যেমন চল ছিলো শাহবাগে গমন করিয়া চেক-ইন মারা। দু’মাস বাদে কী হিট খাইবে তাহা বলিতে পারিবা। যাহাই হউক, এই হইল গিয়া বাঙালী মুসলমান মধ্যবিত্ত। এক্ষণে তাহারা মানবাধিকারের কথা পাড়িতেছে। বলিতেছে, রাষ্ট্র বিনা-বিচারে মানুষ মারিতে পারিবে না। জব্বর! কথাটি নিতান্তই সত্য। কিন্তু, পরক্ষণেই প্রশ্ন উঠিতেছে—কোথায় ছিলো আপনাদের এই মানবাধিকারের সেন্টিমেন্ট যখন র্যা ব গঠন করিয়া চরমপন্থি দমন করিবার নামে সর্বহারা পার্টির লোকদিগকে খতম করিয়াছিলেন? কোথায় গিয়াছিলো এই বোধ যখন সন্ত্রাসী দমনের নামে বিনা বিচারে ক্রসফায়ার করিয়া মানুষ কতল করিয়া গাঙের ধারে ফেলিয়া রাখিত র্যা ব-পুলিশ? কোথায় ছিলেন আপনারা যখন অপরেশন ক্লিনহার্ট হইয়াছিলো? যখন রিমান্ডের নামে পিটাইয়া ৭০-৮০ জন বিডিআর জোয়ান হত্যা হইয়াছিলো? যখন শফিপুরে আনসার বিদ্রোহ হইলে আর্মি দিয়ে বেগম জিয়া চাষার ছেলে তস্য-গরিব আনসার সদস্যদিগকে চিড়িয়ার মতন গুলি করিয়া মারিয়াছিলো? কোথায় ছিলো দরদ যখন গ্রাম থেকে দু’মুঠো ভাতের জন্য চাকুরী করতে আসা পুলিশ কনস্টেবলদেরকে থেতলাইয়া মারিয়াছে দুর্বৃত্তরা? আর কোথায় ছিল আপনাদের সস্তা সেন্টিমেন্ট যখন জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়া ’৭০ আর ’৮০ এর দশকে পাহাড়ে ঘটিয়াছিল গণহত্যা? যে র্যা ব-বিজিবি-পুলিশ-আর্মি চরম বাম ও পাহাড়ি দমনে কাজে আসিয়াছে, তাহারাই যে পেশাদারীত্বের ও জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়া চরম ডান নিধনেও পিছপা হইবে না তাহাই কি স্বাভাবিক নহে? তদাপি, ইহা আপনাদের নিকট অস্বাভাবিক লাগিতেছে কেন? কারণ, আপনারা শর্টকাটে বেহেস্তে যাইতে চাহেন। সমাজ ও ব্যক্তি-জীবনে এসলামের মূলমন্ত্র বিন্দুমাত্র কায়েম না করিয়া, ঘুষ-দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ঢুবিয়া থাকিয়াও আপনারা পুলসিরাত পার হইতে চাহেন মাদ্রাসার বড়হুজুরের হাতে হাদিয়া গুঁজিয়া দিয়া, গরিব ছাত্রদিগকে বছরে মাত্র একদিন ভাত খাওয়াইয়া, কুরবানীর পশুর চামড়া দান করিয়া। জীবনে যে কোরআনুল কারিম ছুইয়াও দেখেন নাই, মৃত্যু হইলে মাদ্রাসা হইতে লোক ভাড়া করিয়া আনিয়া মরণত্তোর কোরআন-খতম সমাধা করিয়া আপনারা শর্টকাটে জান্নাতে প্রবেশ করিতে চাহিয়াছেন। এইক্ষণে ভাবিতেছেন যে ইহাদিগের জন্য দরদ দেখাইয়া কাঁদিলেই বুঝি আল্লাহ মালিক সেই চোখের জলে আপনাদের সমস্ত গুনাহ-খাতা ধুইয়া আপনাদেরকে আসমানের হুরপরীদের সান্নিধ্যে স্থাপন করিবেন। কিন্তু, আপনাদের এই সমগ্র মায়াকান্নাটাই একপ্রকারের ভণ্ডামী। আপনি তো চাহেন নাই মাদ্রাসার আপনার ভাইটি আধুনিক শিক্ষ পাইয়া ডাক্তার-এঞ্জিনিয়ার হইতে আপনার সাথে প্রতিযোগীতা করুক, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে আপানার স্থানটি দখল করুক, সরকারী চাকুরী পাইতে আপনার সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। এত যে নাকি-কান্না করিতেছেন, মানিবেন যদি সরকার আইন করিয়া দেন যে, মাদ্রাসার পিছাইয়া পড়া ছাত্রদিগের জন্য বিসিএস সহ সকল সরকারী চাকুরীতে ১০% কোটা রাখা হইবে? তখন তো ঠিকই দেখিবো প্রেস-ক্লাবের সম্মুখে কোটা-মুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলনের মানববন্ধনে খাড়াইয়া রহিয়াছেন। তাহা হইলে হোয়াই দিস ইনকনসিসটেন্সি? হোয়াই দিস কোলাবেরি? মনে রাখিবেন, খুর দিয়া চাছা বন্ধ করিলেই মুখে দাড়ি গজাইবে, আর রাস্তার ধারে টুপি-সুরমার দোকান রহিয়াছে বেশুমার। টুপি-দাড়ি থাকিলেই কেহ আলেমেদ্বীন হইয়া যায় না। তাহার জন্য দাড়ি-টুপির ভেতরের মানুষটিকে মানবতার জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হইয়া উদার হইতে হয়। আরও স্মরণে রাখিবেন, বেহেস্তে যাইবার কোন রয়্যাল রোড আল্লাহ তাআলা বাতলাইয়া দেন নাই। কোন শর্টকাট এজেন্টও তিঁনি দুনিয়ার বুকে নিয়োগ করেন নাই। সমাজের সর্বস্তরে ইনসাফ কায়েম করুন, তাহা হইলেই হাশরের ময়দানে পুলসিরাত যমুনা সেতুর মতন প্রশস্ত বোধ হইবে আল্লাহ দিলে।
২| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: হেফাজতীরা তো আসিয়াছিলই শহীদ হইতে। তাহাদের শহীদি তামান্না পুরা হইয়াছে। দু:খ কি? সোজা বেহেশত। সাথে তাহাদের বাবা মাও।
৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
দন্ডিত বলেছেন: আমরা খুনের ব্যাপারটা বহু আগেই মাইনা নিতে শিখছি। এইগুলা নতুন কিছু না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
সাইফুল বাতেন টিটো বলেছেন: তাই বলিয়া কি খুনের বদলে খুন হইতেই থাকিবে?