নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাকিবুল ঘুমাচ্ছেন!

কাজী রাকিবুল ইসলাম

কাজী রাকিবুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়রে আমার সোনার দেশের সোনালী ব্যাংক

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

কিছুদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের লোকাল পত্রিকায় একটি ছবি ছাপা হয়েছিল, একজন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কম্পিউটারে গেমস খেলছে অথচ সেই কর্মকর্তার ডেস্কের সামনে দীর্ঘ মানুষের লাইন।
সোনালী ব্যাংকে লেনদেন করতে গিয়ে ভোগান্তির অভিজ্ঞা প্রায় সকলেরই আছে। মূলত সাধারণ মানুষদের নিয়ে সোনালী ব্যাংক ইঁদুর বিড়াল খেলা খেলে। সোনালী ব্যাংক অনুরাগী কেউ হয়তো বলতে পারেন, সোনালী ব্যাংক যত ফ্রি সার্ভিস দেয় সরকারকে সেটা আর কেউ দেয় না, সোনালী ব্যাংকে প্রতিদিন যত মানুষ আসে তত মানুষ অন্য ব্যাংকে যায় না। এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে বলছি, সোনালী ব্যাংক সরকারকে সুবিধা দেয় নিজেদের লাভের জন্য, যেন কোটি কোটি টাকা লোপাটে সহায়তা করে নেজেদের পকেটেও টু-পাইস ঢোকানো যায়। আর দ্বিতীয়ত সবচেয়ে বেশি মানুষ আসবে বলে বিনোদনের জন্য লোকজন দাঁড় করিয়ে গেমস খেলতে হবে সেটা মানা যায় না। ব্যাংকের এই সোনার স্টাফদের মনে রাখা উচিত এইসব সাধারণ মানুষের কষ্টে উপার্জন করা টাকা থেকেই আপনাদের মাস শেষে বেতন হয়!
এবার নিজের কয়েকটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি, হয়তো এই অভিজ্ঞতার কারণে পোস্টটি অনেকের কাছে প্রতি হিংসা পরায়ণ মনে হতে পারে, তারপরেও বলছি কারণ সত্য সত্যই, আর যে ঘটনা আমার সাথে ঘটেছে তা অন্য অনেকের সাথেও হয়তো ঘটেছে। একবার সোনালী ব্যাংকে ড্রাফট কাটতে গেছি, ফরম পূরণ করে কাউন্টারে টাকা জমা দিবো, লোক নেই, কোথায় গেছে নামাজ পড়তে, তখন বাজে মাত্র পৌনে একটা। যাই বুঝলাম তিনি খুবই ধার্মিক তাই আজানের আগেই নামাজে চলে গেছেন, কাউন্টারে পাশের লোককে টাকা জমা নেয়ার কথা বললাম, তিনি আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেন আমি এইমাত্র মানুষ খুন করে এসেছি। যাইহোক ওই কর্মকর্তার নামায় দুইটা পর্যন্তও শেষ হতে না দেখে ড্রাফট করেই ফিরে আসি। পরদিন গেলাম চাষাঢ়া কর্পোরেট অফিসে। একজন কর্মকর্তা আমাকে ডেকে নিয়ে খুব বিনম্রভাবে বললো, ভাই আপনার বাড়ির আশেপাশে আর কোন ব্যাংক নেই? আপনি এখানে এসেছেন কেন? ... আর এরপর আর আসবেন না। কর্পোরেট অফিস আপনাদের পাঁচশত টাকার ব্যাংক ড্রাফট করার জন্য খোলা হয়নি। পরে আরও একবার ড্রাফট করার প্রয়োজন হলে আমি এবার গেলাম ধার্মিকদের আখড়া নারায়ণগঞ্জ ফরেন এক্সচেঞ্জে। কিন্তু এবার এক কর্মকর্তা যা শোনালেন শুনে আমি থ। এ ব্যাংক থেকে কয়েকবার ড্রাফট করলেও তিনি বললেন, এখান থেকে ড্রাফট করা যাবে না, আপনি কর্পোরেট শাখায় যান। এখন আপনারাই বলুন, আমি যদি এদের শ্বশুরের পুত্র বলি গালি দেই, তাহলে কি আমার খুব বেশি দোষ হবে? অন্যায় হবে?
বলছি না সোনালী ব্যাংকের সব অফিসারই একরকম। দশমণ দুধ নষ্ট করার জন্য যে একফোঁটা চনাই যথেষ্ট আশা করি তা কাউকে বলে দিতে হবে না।

পাদটীকা: প্রমিত বাংলা নিয়ম অনুযায়ী’ আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে সবসময় ‘ই’কার হবে। যেমন- সোনা ও আলি হবে সোনালি, রূপা ও আলি হবে রূপালি। কিন্তু এখানে বানানের ক্ষেত্রে সোনার ব্যাংকের ঝামেলা। এখন আপনার সন্তানকে আপনি পড়ালেন একরকম যে যদি ব্যাংকের সাইনবোর্ড দেখে অন্যরকম লেখে, তখন এ দায় কে নেবে!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

আল ইমরান বলেছেন: কি বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তবে সবখানেই ভালো খারাপ থাকে। আমি সোনালী ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসার। আমার ব্রাঞ্চে যে পরিমান লোকবল দরকার সে পরিমানে নেই। এতটুকু হলফ করে বলতে পারি আমার টেবিলে কেউ আসলে অন্য কোন টেবিলে যাওয়ার দরকার হয়না। টোটাল সার্ভিস ওয়ানস্টপ। নতুনদের কারনে সার্ভিসে পরিবর্তন আসছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় জিনিসের পরিবর্তন করতে সময় বেশি লাগে। আমাদের সারা দেশে ১২০০ (প্রায়) শাখা। যার ৫০% ও বাংলাদেশের অন্য কোন ব্যাংকের নেই। এমনও যায়গায় আমাদের শাখা আছে যেখানে বিদ্যুৎ নেই। তাই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। দিন অবশ্যই বদলাবে। আর গালাগালি যা দিলেন তার প্রতিউত্তর করব না। কারন আমাদের এখন প্রতিউত্তরের সময় না। আর কে কার লাভ খুঁজে সেটা আরেকটু জেনেশুনে বললে খুশি হতাম। আর বানানের কথা বলছেন, জানেন বোধহয় নামের বানানে ভুল নাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

কাজী রাকিবুল ইসলাম বলেছেন: আল ইমরান সাহেব আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে প্রতিটি জিনিসেরই দুটি দিক আছে। আমি দেখিয়েছি একটি দিক আপনি দেখালেন অন্যদিক। তাছাড়া আমার খুব খুউব কাছে একজন মানুষ সোনালী ব্যাংকের অফিসার। ও অন্য জেলায় থাকে। কোন কাজের প্রয়োজন হলে, ও ওর পরিচিত কারো কাছে যেতে বলে, আমি যাই না। তো ব্যাংকে কীরকম পরিশ্রম করে, আমি জানি। আর আমার ব্লগে যে কথা লিখছি সেটার ভুক্তভোগীও আমি। এখন আমার দুই পাশের ব্যাংকই যদি এরকম করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে বলেন??? কারণ অনেক ক্ষেত্রেই সোনালী ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা থাকে যে এখান থেকেই ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে।
যাইহোক পরিশেষে বলি নামের বানানে ভুল নেই ঠিক আছে, কিন্তু যখন ছাত্র-ছাত্রী ভুল করে সোনালী ব্যাংকের দোহাই দেয়, তখনতো একটু কষ্টও লাগে।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

আল ইমরান বলেছেন:
একটু খেয়াল করেন..... যখন সোনালী ব্যাংকের নামকরন হয়েছিল তখন প্রমিত বাংলা নিয়ম ছিল কি? =p~

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

কাজী রাকিবুল ইসলাম বলেছেন:



বাংলা একাডেমি প্রথমে তাদের নামের বানানে একাডেমী লিখতো কিন্তু পরে প্রমিত বানান অনুসারে ঠিকই শুধরে নিয়েছে, সোনালী ব্যাংকের মতো একটি বড়ো এবং দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছে এই চাওয়া কি খুবই অযৌক্তিক???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.