নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফস্বলের ব্লগার ......।

থিওরি

আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/

থিওরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত্নে রাখুন বইপত্র

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

ধরুন, কোন একটি বই বহুদিন ধরে আপনি হন্যে হয়ে খুজছেন! কিন্তু বইটি পাচ্ছেন না কোথাও! একদিন কোনো একটা গ্রন্থাগারে বইটি আপনার চোখে পড়ল! আনন্দে আত্নহারা হয়ে সূচিপত্র দেখে বের করতে গেলেন যা এতদিন ধরে খুজছেন। কিন্তু পাতা উল্টিয়ে দেখলেন আপনার সেই দরকারি পাতাগুলো কেউ নিজের মনে করে কেটে নিয়ে গেছে! রাগে আপনার তাপমাত্রা দু ডিগ্রি বেড়ে গেল! মনে মনে অদূশ্য মানুষটির চোদ্দগুস্টি উদ্ধার করলেন! তাতে লাভ কিছুই হল না! বরং বইটির সর্বনাশ হল! মুহূর্তে মূল্যহীন হয়ে পড়ল বইটি! বইয়ের প্রতি এহেন আচরণ যে ঠিক নয় তা দুস্কূতিকারী সহ আমি আপনি সবাই জানি! তবুও অনেকেই এমনটি করে!

বইয়ের যত্ন কিভাবে করতে হয় এটা সবাই জানি । তবে আরেকবার মনে করিয়ে দি,

#তাক থেকে যত্নসহকারে বই বের করে পড়ুন এবং পড়া শেষে যথাস্থানে রেখে দিন!

#অনেকেই বইয়ের পাতা উল্টানোর সময় থুতু ব্যবহার করেন । এটা বই এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক খতিকর ॥ কাজী দীন মোহাম্মদের অদ্ভুত প্রতিশোধ গল্পের কথা মনে আছে তো!

#অনেকেই বইয়ের পাতা উল্টানোর সময় তাড়াহুড়ো করে । এতে বইয়ের বাধন খুলে যায় ।

# বই পড়ার সময় পেজ ভাজ করে রাখা মোটেও ঠিক নয় । বুক মার্কার বা টুকরো কাগজ ব্যবহার করতে পারেন ।

# কোনো লাইন মনোপুত হলে কলম দিয়ে কখনোই আন্ডাইলাইন করবেন না । এটা ভার্চুয়াল বই না! আপনার লাল নীল কালীর আচর পরবর্তী পেজে লাইন কেটে দিতে পারে । পেন্সিল দিয়ে আণ্ডার লাইন করবেন । আর হ্যাঁ এটা অনেকের উপকারও করবে!

#বইয়ের ভিতর ভালবাসা চাই টাইপের এড দিবেন না! ইমেইল আইডি, মোবাইল নাম্বার কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন । বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কিছু বইয়ে এতো কমেন্ট দেখছি যা পড়তে বইয়ের চেয়েও বেশি সময় লাগবে!

#বই মুড়িয়ে পড়বেন না । এভাবে পড়লে বইয়ের বোর্ড ভেঙে যায় ।

#চা কফি বইকে খেতে দিবেন না! এমনিতেই তার পেট পিঠ সব ভর্তি!

# বইপত্র বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন । তা না হলে পড়ার যোগ্যতা হারাবে আপনার প্রিয় বইটি॥ বাচ্চা কাচ্ছা ওয়ালা বাড়ীতে বইপত্র যেখানে সেখানে রাখবেন না । রাখলে কি হয় আমি বুজছি!



এতখখন যা বললাম তা লাইব্রেরি বা অন্যের বই পড়ার জন্য! আপনার নিজের বই যেভাবে ইচ্ছা পড়েন আর দাগান । তবে কিভাবে রাখবেন সে সম্পর্কে একটু জানুন ।

#বইটি কেনার পর প্লাস্টিকের কভার দিয়ে মুড়িয়ে নিলে আপনার বইয়ের প্রচ্ছদ ভালো থাকবে কয়েক যুগ । বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বইগুলো এজন্য ছিড়ে গেলেও প্রচ্ছদ থাকে নতুন!

#15দিন অন্তর সুতি কাপড় দিয়ে বই পরিস্কার করা উচিৎ। বইয়ের সংগ্রহ যদি দীর্ঘ হয় এবং সেলফে আবদ্ধ থাকে তবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে ।

# বই সব সময় আলো বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখা উচিৎ । আবদ্ধ অবস্থায় বা কাচের ভিতর অনেকদির রেখে দিলে পোকা ধরে ॥ আমি এমন অনেকের শোকজের বইতে তেলাপোকার নিম্ফ পেয়েছি!

#বই যদি একান্তই আবদ্ধ রাখতে চান তবে সাথে কিছু ন্যাপথলিন বা নিমপাতা রেখে দিন । কচি নিমপাতা বইয়ের সাথে রাখলে ভালো কাজ হয় ॥

#বই সবসময়ই খাড়া করে রাখতে চেস্টা করুন।

#বই সবসময় শুকনো জায়গায় রাখুন । আলো বাতাসহীন স্যাতস্যাতে ঘর আপনার বইয়ের আয়ু অধ্েক করে দিবে!

#নিয়মিত বই ব্যবহার করুন । তাহলে বইয়ের অবস্থা বুঝতে পারবেন ।



এই হলো বইয়ের যত্নআত্তি । ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আপনার পঠিত বই তুলে দিতে হলে একটুতো যত্ন নিতেই হবে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: বাহ। আপনি তো দেখছি পুরা বই এর ডাক্তার। আমার কলেজ লাইব্রেরীতে বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল। কিন্তু দুষ্ট পোলাপান এমন সব মন্তব্য লিখতো।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

থিওরি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আমার কলেজ লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান মাঝে মাঝেই ঘুমিয়ে থাকত । একদিন এক বন্ধু আলমারী খুলে আট দশটা বই নিয়ে আসছিল! ঠিক পায় নি!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.