নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফস্বলের ব্লগার ......।

থিওরি

আমারর ব্লগবাড়ীতে আপনার সুস্বাগতম । ইনটারনেট বিপ্লবের যুগে কোন তথ্য যদি সার্চ দিয়ে না পাওয়া যায়, সত্যিই বিরক্তিকর! এই বিরক্তি কিছুটা দূর করার জন্যই আমার ব্লগি ..।! প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেলে ভাল লাগবে নিজের, স্বার্থক হবে ব্লগিং! আসবেন আবার, বারবার! আমার সাইট http://www.kazisour.blogspot.com/

থিওরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একনজরে ঘটনাবহুল নবম জাতীয় সংসদ!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

আজ শেষ হচ্ছে নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ । 2008 সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল নবম জাতীয় সংসদের পথচলা । প্রথম থেকেই বিরোধী দলহীন সংসদে পাস হতে থাকে একের পর একটি বিল

সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে বহুল আলোচিত তত্ত্বাধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী সদস্যের সংখ্যা ৪৫

থেকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে ৫০ জনে।

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর

কারণে স্পিকার আব্দুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন

এবং দেশের ইতিহাসে প্রথম একজন নারী, স্পিকার হিসেবে সংসদের

দায়িত্ব নিয়েছেন। নবম

সংসদে নির্বাচন কমিশন আইন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সদস্যপদের জন্য তিন বছরের সদস্যপদের ব্যারিকেড

তুলে দিয়ে বিতর্কিত আইন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদক আইন

সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের

বিরুদ্ধে মামলার আগে সরকারের

অনুমতি নেওয়ার বিষয় যুক্ত

করে দুদককে দুর্বল করা হয়েছে।

যা মহজোট সরকারের সংবিধান

এবং নির্বাচনী ইশতেহারের লঙ্ঘন

বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই সংসদে একই সঙ্গে সংসদ নেতা,

বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, নারী ও শিশু বিষয়ক

প্রতিমন্ত্রী, হুইপ হিসেবে নারী সদস্যরা দায়িত্ব

পালন করেছেন। নবম সংসদেই ৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের । বিচারের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা এখন বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এই সংসদে ১ম থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে বিতর্কিত কুইক রেন্টাল আইন ব্যবস্থাটিকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে।

এই স;সদেই ছিল তরুণ সা;সদদের প্রাধান্য । সরকার দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনির গ্রেফতার ছিল বহুল আলোচিত । এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিদের বেফাস কথাবার্তায় সরকারকে প্রায়ই বিব্রত হতে হয় ॥

নবম জাতীয় সংসদের ৪১৮

কার্যদিবসে বিরোধীদলের

উপস্থিতি ছিল মাত্র ৭৬ দিন। এর

মধ্যে বিরোধীদলীয়

নেতা হাজিরা দেন মাত্র ১০ দিন।

ঘটনাবহুল নবম জাতীয়

সংসদে ২৭১টি বিল পাস হয়েছে। এর

মধ্যে বেসরকারি বিল ছিল ২টি।

নবম জাতীয় সংসদে গৃহীত

বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত

প্রস্তাবের সংখ্যা ৫টি।

প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উত্তরদানের জন্য

১৯তম অধিবেশন পর্যন্ত ৩ হাজার

৪৯৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৭৯৩টির উত্তর

দেন।

তারকা চিহ্নিত সাধারণ প্রশ্নের

উত্তর দেওয়ার জন্য ৬০ হাজার

১৪৭টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর দেওয়া হয়

৩২ হাজার ৬০০টি।

৭১ বিধিতে নোটিশ পাওয়া যায় ৯

হাজার ৬৫৬টি। এর মধ্যে গৃহীত

৪৭৪টি নোটিশের মধ্যে ৩০২টির

ওপর ২ মিনিট করে ২ হাজার ৬৪২

মিনিট আলোচনা হয়।

সংবিধান সংশোধন

সম্পর্কে বিশেষ কমিটি গঠন একটি ও

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন ৫১টি।

অন্যান্য সংসদের মধ্যে প্রথম জাতীয়

সংসদে আইন পাস হয় ১৫৪টি, দ্বিতীয়

সংসদে ৬৫টি, তৃতীয় সংসদে ৩৯টি,

চতুর্থ সংসদে ১৪২টি, পঞ্চম

সংসদে ১৭৩টি, ষষ্ঠ সংসদে মাত্র

একটি, ৭ম সংসদে ১৯১টি, এবং অষ্টম

সংসদে আইন পাস হয় ১৮৫টি। এর

আগে সর্বোচ্চ কার্যদিবসের

রেকর্ডটি ছিল পঞ্চম জাতীয়

সংসদের। তখন ৪০০ কার্যদিবস সংসদ

চালিয়ে রেকর্ডের খাতায় নাম

লেখায় ৫ম সংসদ। ওই সময়ে ক্ষমতায়

ছিল বিএনপি।

অন্যদিকে, বিএনপি ক্ষমতায়

থাকাকালীন সময়ে ষষ্ঠ সংসদের

মেয়াদ ছিল মাত্র ৪ কার্যদিবস।

সর্বনিম্নের রেকর্ডটিও বিএনপির।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদ

(১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭৫

সালের ৬ নভেম্বর) ১৩৪ কার্যদিবস,

দ্বিতীয় সংসদ (১৯৭৯ সালের ২

এপ্রিল থেকে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ)

২০৬ কার্যদিবস,তৃতীয় সংসদ (১৯৮৬ সালের ১০ জুলাই

থেকে ১৯৮৭ সালের ৬ ডিসেম্বর) ৭৫

কার্যদিবস,চতুর্থ সংসদ (১৯৮৮ সালের ১৫ এপ্রিলথেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর) ১৬৮কার্যদিবস,সপ্তম সংসদ (১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাইথেকে ২০০১ সালের ১৩ জুলাই) ৩৮২কার্যদিবস এবং অষ্টম সংসদ ৩৭৩ কার্যদিবস বৈঠকে বসে।

আর নবম স;সদ চার শতাধিক বৈঠক করছে ॥



আরেকটি কার্যকর (!)স;সদের প্রত্যাশায় ...………

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.