![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“মা, মাতৃভাষা, মাতৃভূমি” এ শব্দ তিনটি আমরা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উচ্চারণ করি। পৃথিবীর ইতিহাসে মা, মাতৃভাষা, মাতৃভূমির অপমান সইতে না পেরে বহু জাতি যুগ যুগ ধরে তাদের বিদ্রোহীবাণী উচ্চারণ করে গেছেন। এর মধ্যে বাঙালি জাতির মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের ইতিহাস বেশ মর্মস্পর্শী । কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি আমরা মাতৃভূমির পবিত্রতা নষ্ট করে চলছি নিরন্তর এবং অহরহ আমাদের এই মহান মাতৃভাষাকে করছি কলুষিত । বিদেশী ভাষা ও সংস্কৃতি প্রভাব ছড়াচ্ছে আমাদের জীবনের পরতে পরতে।যা আমাদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক ও লজ্জাজনক।
আমাদের টিভি নাটকের সংলাপসহ শিক্ষিত যুব সম্প্রদায় বাংলা ভাষাকে ইংলিশ ও হিন্দির মিশ্রণে জগাখিচুড়িতে পরিনত করেছে।এখন আধুনিক মায়েরাও হয়ে গেছে তথাকথিত আধুনিক তাই ঘুম পড়ানি মাসিপিসি ছড়ার পরিবর্তে তারা কোমলমতি শিশুদের ঘুম পাড়াচ্ছেন টুইংকেল টুইংকেল শুনিয়ে।পরিতাপের বিষয় এই যে এই লেখাটা লেখার সময়ও আমার বাসার পাশে হিন্দি গান বাজিয়ে বাংলা ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে!!
এ বিষয়ে আশার কথাও বলা যায়।যেমন ভাষা শহীদদের স্মরণে অমর একুশে বই মেলা মাতৃভাষা চর্চার এক বড় আধার হয়ে উঠতে পারে।
তাই সবাইকে বিনয়ের সাথে বলছি আসুন রক্তের বিনিময়ে যে ভাষা একদিন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল সেই ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাতৃভাষার চর্চা করি।
মহান একুশে ফ্রেবুয়ারি অক্ষয় হোক অমর হোক। বাংলাদেশ হোক চিরজীবী।সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কোমলমতি শিশুদের ঘুম পাড়াচ্ছেন টুইংকেল টুইংকেল শুনিয়ে।পরিতাপের বিষয় এই যে এই লেখাটা লেখার সময়ও আমার বাসার পাশে হিন্দি গান বাজিয়ে বাংলা ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে!! "
-কিছু বাংগালী নিজকে বাদুর বানায়ে আনন্দিত, এদের ভাবনাশক্তি দুর্বল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: আপনার যুক্তিনিষ্ঠ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
আলম সুমন বলেছেন: ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেলে প্রান আমরা তোমাদের ভূলবনা ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একুশের মর্যাদা ও বাংলা ভাষার ব্যবহার ও প্রয়োগের বিষয়ে আপনার এই গণ সচেতনামুলক মুল্যবান লিখাটি পাঠে ভাল লাগল । আপনার লিখাটি পাঠে মনে হল ভাষা নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করার সুযোগ আছে । আমরা কি ভাষার উন্নয়ন চাই, না কথার উন্নয়ন চাই , নাকি এর বহুল প্রয়োগ চাই সে নিয়ে একটি মতানৈক্য প্রয়োজন ।
বাংলা ভাষার বর্ণ সংখ্যা নিয়ে আমার নীজের কিছু ভাবনা আছে, বিষয়টি বানান ভুলের জ্বালায় অতিষ্ট হয়েই ভাবা । অনেক চেষ্টা করেও আমরা অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে বানান শুদ্ধ করে লিখতে পারছিনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভূল হয়েই যায় , বিদেশী ভাষা ইংরেজীতে বানান ভুল কমই হয় , কিন্তু নীজ মাতৃ ভাষায় বানান ভূল এ লজ্জা কোথায় রাখি । আপনার পোষ্টে বাংলা ভাষা নিয়ে কিছু কথামালা থাকায় আমার নীজের ভাবনা নিয়ে দুএকটি কথা বলতে চাই । একটি পোষ্টে করা আপনার মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম আপনি বাংলা সাহিত্যের একজন অধ্যাপক, তাই আমার ভাবনার বিষয়ে আপনার মুল্যবান মতামত কামনা করি ।
বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত বর্ণ সংখা প্রায় অর্ধ শত ( ৎ ংঃঁ সহ ) এর মধ্যে প্রায় সমার্থক ও সম উচ্চারণ সম্পন্ন শব্দ গুলি নিম্ম রূপ :
১) ই , ঈ = ২ টি
২) উ ঊ = ২ টি
৩) গ ঘ= ২ টি
৪) জ ঝ য = ৩ টি
৫) ড ঢ = ২ টি
৬) দ ধ = ২ টি
৭) ন ণ = ২ টি
৮) ব ভ = ২ টি
৯) শ ষ স = ৩ টি
১০) র ড় ঢ় = ৩ টি
মোট = ২৩ টি
প্রায় সমার্থক ও সম উচ্চাণমূলক শব্দ সংখা দেখা যায় ২৩ টি, এই সমার্থক সম উচ্চাণ মূলক শব্দ গুলিকে কমিয়ে একটি বর্ণে রুপান্তর করে সহজেই ১৩ টি বর্ণ কমানো যায় । এর ফলে বাংলা ভাষায় বর্ণ সংখ্যা কমে ৩৭ টি হতে পারে । বাংলা ভাষার বর্ণ সংখা কমানো গেলে এর লিখন ও টাইপিং গতি ধারণাতীত ভাবে বৃদ্ধি পাবে । ছাত্র ছাত্রীগনসহ দেশের অগনিত জনতা মুক্তি পাবে বানান ভুলের অভিশাপ থেকে ।
ণত্ব ও ষত্ব বিধান সে তো শত বছরের পুরাতন , বাংলা ভাষায় ‘ণ’ ও ‘ষ’ – র ব্যবহার বলতে গেলে তেমন নেই । অর্থাৎ খাঁটি বাংলা শব্দে বা তদ্ভব শব্দে কখনোই ণ/ষ ব্যবহৃত হয় না । শুধু তাই না , অর্ধ-তৎসম দেশী ও বিদেশী শব্দেও ‘ণ/ষ’ ব্যাহৃত হয় না । কিন্তু যে সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন পরিবর্তন ছাড়াই সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে সে সব শব্দে সংস্কৃত ভাষা বানান অনুসরণ করার জন্য ‘ণ/ষ’ ব্যবহার করতে হয় বলেই জানা যায় । তাই এই বিধানের কি হতে পারেনা কোন পরিবর্তন , আধুনিক লিখন ডিভাইস ( ওয়ার্ড প্রসেসিং ইন কমপিউটার , মোবাইল ইত্যাদি) প্রতিদিনই হচ্ছে আপডেটেড , অথচ বাংলা বর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন এখনো রয়ে গেছে শত বছর আগের ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের রীতির মধ্যেই অনেকটা সীমিত । ফলে বাংলা শব্দ লিখনের টা্ইপিং গতি ইংরেজীর প্রায় অর্ধেক । এছাড়া আরো যে কত সমস্যা সেটা কমপিউটারে বাংলা ভাষায় লিখতে গেলে বুঝা যায় ।
বলা যায় যে, বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত অপরাপর শব্দের বর্ণ থেকে শ্রোতা বা পাঠক ঠিকই বুজে নিতে পারবে বক্তব্যের বিষয় বস্তু কিংবা বক্তার মনের ভাব । এজন্য শব্দে সমার্থক বর্ণ প্রয়োগই অধিক গুরুত্বপুর্ণ , যেমন পাখী কে পাখি লিখলে ঠিকই বুজা যায় যে এটা দিয়ে পাখীই বুঝানো হয়েছে । কবি গুরু রবিদ্রনাথ ঠাকুর তার খাচার পাখি কবিতায় পাখী কে পাখি লিখেছেন । ভাবার্থ বুজতে কারো কোন অসুবিধা হয়না ।
ইংরেজী ভাষায় but , put , last ,lust , push bush , এরকম অনেক শব্দেই একই বর্ণ ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম উচ্চারণ বা অর্থ বুঝানো হয়ে থাকে । ফলে মাত্র ২৬ টি বর্ণমালা নিয়ে ইংরেজী এখন বিশ্বের অ্ন্যতম সেরা ভাষা । বাক্যের মধ্যে শব্দের প্রয়োগ অনুযায়ী বিভিন্ন অর্থ বুজানোর জন্য একই বর্ণ প্রয়োগ করা হয় সফল ভাবে ।
ভাষা একটি সতত পরিবর্তনশীল বিষয় । যে ভাষা যত গ্রহণ ও বর্জন করতে পারে সে ভাষা ততই সমৃদ্ধ ও উন্নত হয় । সংস্কৃত ভাষা একসময় খুবই উন্নত ও সমৃদ্ধ ছিল , কিন্ত রক্ষশীল এই ভাষাটি কিছু গ্রহণ করেনি এবং বর্জনও করেনি । ফলে কালের প্রবাহে এ ভাষাটি আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে । তবে আশার কথা আমাদের বাংলা সহজেই গ্রহণ ও বর্জন করতে পারে। তাই বাংলা ভাষার আরো সমৃদ্ধির জন্য, আমাদের ভাষার বর্ণ উন্নয়নের বিষয়ে ভাষা বিজ্ঞানিদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করি । ভাষার নতুন নতুন বর্ণ এমনি এমনি মাটি ফোড়ে বেরিয়ে আসেনি, কালের প্রবাহে প্রয়োজনের তাগিদে যেমনি ভাবে বর্ণমালার উৎপত্তি হয়েছে তেমনিভাবে একটি বর্ণের সাথে আর একটি বর্ণ মিলে মিশে আর একটি সুন্দর ও বহুমাত্রিক উচ্চারণ ক্ষমতার অধিকারী বর্ণ হিসাবে আবির্ভুত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় ।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরও বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের জন্য অনেকগুলি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন । যথা সংস্কৃতের "অন্তঃস্থ য়" বর্ণটি বাংলায় "য" হরফ দিয়ে লেখা হত, কিন্তু শব্দে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ বর্তমান "বর্গীয় জ" কিংবা "অন্তঃস্থ য়"-এর মতো উচ্চারিত হত। বিদ্যাসাগর "বর্গীয় জ" উচ্চারণের ক্ষেত্রে "য" বর্ণটি ব্যবহার এবং "অন্তঃস্থ য়" উচ্চারণের ক্ষেত্রে "য"-এর নিচে ফুটকি দিয়ে নতুন "য়" বর্ণটি ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিলেন। একইভাবে "ড" ও "ঢ"-এর নিচে ফুটকি দিয়ে বিদ্যাসাগর "ড়" ও "ঢ়" হরফ দুইটির প্রচলন করেছিলেন।বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় অব্যবহৃত "দীর্ঘ-ৠ" ও "দীর্ঘ-ৡ" বর্ণ দুইটি বর্জন করেছিলেন। তবে পরবর্তিতে কেবল "৯" বর্ণটির বাংলায় প্রচলন হারায় ।
সময়ের সাথে বিদ্যাসাগরীয় হরফের সামান্য কিছু পরিমার্জনের চেষ্টাও করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগরী হরফের দুই ধরনের এ-কার (মাত্রাছাড়া ও মাত্রাসহ) দুইটি ভিন্ন কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি শব্দের শুরুর মাত্রাযুক্র এ-কার দিয়ে "অ্যা" ধ্বনি বুঝিয়ে ছাপানো শুরু করেন।
আনন্দবাজার প্রকাশনা সংস্থার সুরেশচন্দ্র মজুমদার রাজশেখর বসুর পরামর্শে বাংলা হরফের বিরাট আকারের সংস্কার সাধন করেন। তিনি অনেক যুক্তব্যঞ্জনের একই উপাদান ব্যঞ্জনাক্ষরের সাধারণ আদল আলাদা করে সেটির হরফ বানালেন, ফলে যুক্তব্যঞ্জন ছাপানোতেও হরফের সংখ্যার অনেক সাশ্রয় হল। শেষ পর্যন্ত সুরেশচন্দ্র বাংলা হরফের সংখ্যাকে ৫০টিতে নামিয়ে আনতে পেরেছিলেন।
তাই দেখা যায় বাংলা বর্ণ মালার সংস্কার নিয়ে অনেক বিজ্ঞজনেই অনেক কাজ করেছেন । আমিও তাই মনে করি এখনো বাংলা ভাষা হতে কিছু বর্ণ কমানো সম্ভব ।
বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কমানোর জন্য আমার প্রস্তাবনাটি শুধুমাত্র একটি ধারণা মাত্র । তবে কাজটি খুব সহজ নয় । প্রথমত রক্ষনশীলতা, সর্বোপরি উচ্চারণ ও ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে জটিলতা । তবে এটা ইচ্ছা করলেই কাটিয়ে উঠা যায় ।
যেমন কিছুদিন পুর্বে ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় বাসের ভিতর দেয়ালে নিম্মে বর্ণিত বাক্য ভুল বর্ণ ব্যবহার লক্ষ করেছিলাম : বাসের দেয়ালে এক জায়গায় লিখা আছে,
বদ্র ব্যবহারে ভংশের পরিচয় , যা আসলে হবে ‘ভদ্র ব্যবহারে বংশের পরিচয়’ ।
জানা যায় লিখাটি দীর্ঘ দিন যাবত এরমই লিখা আছে । ভূল বর্ণ ব্যবহার কিংবা বর্ণ পরিবর্তনের পরেও কিন্তু এর মর্মার্থ বুজতে কারো কোন অসুবিধা হয়নি । যদিও এটা বর্তমান প্রচলিত বর্ণ প্রয়োগ প্রেক্ষিতে কটু ও সুশ্রবনীয় ছিলনা । তথাপি শব্দের মধ্যে বর্ণের এরূপ ভূল প্রয়োগে আমার কিংবা অপরাপর যাত্রীদের ব্যবহারে কোন পরিবর্তন হয়নি । বাস চালক অথবা হেলপারের সাথেও কেও অভদ্র আচরণ করেন নি । একটি কথাই বার বার মনে হয়েছে শব্দের মধ্যে বর্ণটিই বড় কথা নয় ভাবটিই বড় কথা । তাই মনে হলো বাংলা ভাষা থেকে কিছু সমার্থক ও সম উচ্চারণ সম্পন্ন শব্দাবলী কমিয়ে বর্ণ সংখ্যা সহজেই কমানো যায় । বাংলা সাহিত্যের লিখন , পঠন ও সাধারণ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এখন থেকেই এর পরীক্ষামূলক একটা প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে ।
বাক্যে ব্যবহৃত শব্দে অন্তর্ভুক্ত বর্ণ থেকেও সঠিক উচ্চারণ ও অর্থ বুঝা যাবে । যেমন ইংরেজী শব্দ but put থেকে বুঝা যায় । b p দুটিই consonant , নিয়ম অনুযায়ী উচ্চারণ হওয়া উচিত বাট পাট কিন্তু তা হচ্ছেনা, বাক্যে শব্দ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এবং conventional উচ্চারণ বিধি থাকার কারণে । তাই চলার পথে বাসে বসে এটাকে বাস , বাছ, বাঁশ, বাষ ভাস, ভাষ, ভাশ, ভাছ যা কিছুই বলিনা কেন এটাকে সকলই বাস বলেই ধরে নিবে । লিখার বেলাতেও তাই হবে । তবে বর্ণ কমানো এবং একে সকলের কাছে বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য় করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হবে ।
যাহোক, এ বিষয়ে সকলের সুচিন্তিত গঠনমূলক মতামত বাংলা ভাষার বর্ণমালা উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যায় ।
ধন্যবাদ , একুশ নিয়ে সুন্দর পোষ্টটির জন্য । তবে আমার প্রস্তাবটাও একটু বিবেচনা করে দেখবেন, বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কমানোর কোন সুযোগ আছে কিনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০০
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি গতকালকেই আমি লক্ষ্য করেছিলাম। আমি এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে আগ্রহী। তবে সেটি দুই ভাবে করা যেতে পারে। যথা;- ১।আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর হিসেবে, ২। পোস্ট আকারে । প্রথম পদ্ধতিতে কেবল আমি আর আপনি নিজেদের মতামত বিনিময় করতে পারবো। আর ২য় পদ্ধতিতে অন্যান্যরাও আমাদের সাথে যোগদিতে পারবেন এবং তাদের মতামত জানাতে পারবেন।
তবে আমরা কোন পদ্ধতি বেছে নেব সে সিদ্ধান্তের ভারটা আপনার উপর চাপিয়ে দিলাম।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বাংলা ভাষাকে বিশ্বায়ন সহ একুশে বই মেলা'কে অন্তর্জাতিক বই মেলারূপে সম্মানিত করার দাবি রইল।
বেঁচে থাকুক মাতৃভাষা বাংলা, জেগে থাকুক সকল ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহীদ সকল মানুষের অন্তরে।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করে যাওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য । বিলম্বিত উত্তরের জন্য দু:খ প্রকাশ করছি । বিকেলে নীজের একটি পোস্ট করা নিয়ে একটুখানি সময় দিতে হওয়ায় , এবং প্রাপ্ত মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য লিখণিতেও খনিকটা ব্যস্ত থাকায় অন্য কোথাও যাওয়া হয়ে উঠেনি। বাংলা টাইপের গতি আমার বড়ই মন্থর ।
আপনার মতামত দেখলাম । আমি সানন্দ চিত্তে জানাচ্ছি যে আপনার মত একজন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপকের অপেক্ষাতেই এতদিন ছিলাম । বাংলা ভাষার উপরে আমার কোন দখল নেই , আমি এই ডিসিপ্লিনের ছাত্রও নই । পরিবারে বাংলা ভাষার দুই একজন অধ্যাকপক থাকায় ছোট থেকেই তাদের ব্যক্তিগত লাইবরেরীর পুথি পুস্তক পড়তাম । এই পর্যন্তই বাংলা ভাষার জ্ঞনের দৌঁড় ।
তবে কবিতা পাঠের জন্য এক সময়ে অন্বেষা নামে একটি সংগঠন গড়েছিলাম । তাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কবিতার আসর বসাতাম । বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কিছু কমাবার চিন্তাভাবনাটা সে সময়ে্ই মনের মধ্যে উকি দেয় । কথা বলি অনেকের সাথেই, তুচ্ছ করে উড়িয়ে দেয় তা সকলেই । বিদেশের ইউনিভার্সিটিতে আমার পি এইড ডি করার কালে সে সময়ে সখ্যতা গড়ে উঠায় কলিকাতা ও বিশ্বভারতীর দুই জন বাংলা ভাষার অথ্যাপকের সাথে বিষয়টি নিয়ে বিষদ আলোচনা করি । উনারা কথা দেন দেশে ফিরে গিয়ে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উদ্যোগ নিবেন । এ লক্ষ্যে একটি গবেশনা প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে আমি কাজ শুরু করি ।
আমি জানতাম ইংরেজী ভাষার অবৈজ্ঞানিকতা দুর করার জন্য রবার্ট বার্নার্ড শ দান করেছিলেন মোটা অংকের টাকা । কিছু দাতা সংস্থাও আছে যারা কোন তৃতীয় বিশ্বের দেশের ভাষার উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য করে । প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠিত ভাষার বর্ণ সংখ্যার মত মৌলিক একটি বিষয়ে মোটা দানের গবেষনার জন্য একটি শক্ত প্রেক্ষাপট ও জনমত একান্ত প্রয়োজন । এ কাজটাই বড় কঠীন , একটি ভাষার বর্ণের সাথে জড়িত আছে অনেক কিছুই , শব্দের গঠন , উচ্চারণ , ব্যকরণ, লিখন , মুদ্রন , কম্পিউটার সফটওয়ারে বাংলা ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের বর্তমান কারিগরী অবস্থান প্রভৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এটা ভাষার সার্বিক সকল শাখা প্রশাখাতেই প্রভাব বিস্তার করবে । তাই এটা নিয়ে ব্যপক আকারে গবেষনার জন্য আন্তর্জাকিক কোন তহবিল হতে কিংবা দেশের ভিতরে পালিক ফান্ড হতেও অর্থায়ন বেশ কঠীন। প্রথমত এর প্রয়োজনটাই সর্ব সন্মত নয়, তার পরে এর উপরে হাত দেয়ার বিষয়ে রয়েছে তীব্র রক্ষনশীলতা । এর জন্য জনমত গঠন সে তো আরো অনেক দুরের কথা । এখানেই দেখুন না ভাষার উপরে আলোচনায় কয়জনে কলম ধরে, ভাষার ব্যপারে কোন পোষ্টে প্রসঙ্গ থেকে অপ্রাসঙ্গীক কথাবার্তাই অনেকটা স্থান দখল করে , আর বেশীর ভাগ পাঠক্ই এ ধরনের লিখা স্কীপ করে । এই যদি হয় হাল, কে তুলিবে পাল , আছে কার হিম্মত ।
আমার মনে হয় এ মহুর্তে যেটা আমরা করতে পারি সেটা হলো আমরা শুধু এর প্রয়োজনটা বিবিধ ধরণের বাস্তব গ্রহণ যোগ্য যুক্তি দিয়ে তুলে ধরে বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলতে পারি । এর জন্য বেশী প্রয়োজন আপনাদের মত বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক ও ভাষা গবেষক আর সামুর মত একটি পাঠক সমাজ ।
তাই আপনাকে আমি সবিনয় অনুরোধ জানাই, যদি মনে করেন বাংলা বর্ণের সংস্কার প্রয়োজন তাহলে পৃথক পোষ্টে কলম ধরেন , আমি যার পরনাই খুশী হব । আমি যতটুকু জানি এর পক্ষে অনেকেই সমর্থন দিবেন ।
বাংলা একাডেমী এখন পর্যন্ত তার প্রমিত বাংলা বানান নিয়মের উপরে একটি পুস্তক প্রকাশ করে মনে করছে এর বাইরে এখন আর তেমন কিছু করার নাই, সকলেই যদি তাদের বইটি ফলো করে তাহলে হয়ে যাবে সকল কিছুর সমাধান সহসাই । কিন্তু আসলে কি তাই , এখনো বাসে লিখা থাকে বদ্র বেবহারে ভংসের পরিচয় !!! । এজাতীয় বানান ভুলের ছড়াছড়ি অনেক পাবলিক প্লেইসে হর হামেসাই দেখা যায় । তা্ই দেশের সিংহ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের যোগ্যতার ( ৫ম শ্রেণী পাশ ) অধিকারী জনগণের ধারণ ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে বাংলা ভাষার বর্ণ মালাকে সেভাবেই আশু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।
যাহোক, এ বিষয়ে আপনার মুল্যবান বিজ্ঞজনচিত পৃথক পোষ্ট দেখার অপেক্ষায় রাইলাম ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার একটা ভুল ধারণা ঠিক করে দিচ্ছি। আমি বাংলার অধ্যাপক নই।
পৃথক পোষ্ট দিয়েছি। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
৭| ১৪ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
অনুকথা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মহান একুশের এই দিনে আপনার পোস্টে এই মন্তব্যের মাধ্যমে সকল ভাষা শহীদের জানাচ্ছি শ্রদ্ধাঞ্জলি!!

একুশের চেতনা অমর হোক!!