নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইঘুর মুসলিমঃ "চীন ও রাবিয়া কাদির"

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২১




চীন বিষয়ে সংবাদ মানেই ‘সফলতা’র খবর। সাগরে ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহন বিমান তৈরি, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ ইত্যাদি। রাবিয়া কাদিরের ‘গল্প’ এ তালিকায় বেমানান। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে রাবিয়া মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। চীনে তো নয়ই, চীনের বন্ধুদেশগুলোর প্রচারমাধ্যমও তাঁর সংবাদ এড়িয়ে চলে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। রাবিয়া থাকেনও চীন ছেড়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। তারপরও তিনি চীনের এক প্রবল প্রতীকী প্রতিদ্বন্দ্বী। দেশটির অবিশ্বাস্য সফলতার দীপ্তি রাবিয়া কাদিররা অনেকাংশে ম্লান করে দেন।

বিশ্বে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অন্যতম বধ্যভূমি আজকের জিনজিয়াং। তবে চীন বলছে, তারা সেখানে লড়ছে ‘উগ্রবাদ’ ও ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’-এর বিরুদ্ধে। পূর্ব তুর্কিস্তানজুড়ে সন্ত্রাসী আক্রমণগুলো চীনের বক্তব্যকে সমর্থন করে। তবে সেটা এ সত্যও বলে, অহিংস পথে হয়তো উইঘুরদের কথা বলার সুযোগ নেই আর।

জিনজিয়াংজুড়ে নিরাপত্তা কড়াকড়ি ছাড়াও চীনের হ্যাকাররা উইঘুরদের অনলাইন কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। রাবিয়া কাদিরকে নিয়ে তৈরি ৫৪ মিনিটের ‘টেন কন্ডিশন অব লাভ’ তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করতে গিয়েও বিশ্বের অনেক চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ বাধার মুখে পড়েছে। রাবিয়া নিজেও এখন অনেক দেশে ভিসা পান না। শক্তিশালী চীনের সঙ্গে কোনো দেশ আর সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না!

চীনের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র উইঘুরদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সেটা যতটা চীনকে বিব্রত করতে, ততটা নয় উইঘুরদের স্বার্থে। প্রচুর উইঘুর রাজনৈতিক কর্মী যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়ে আছেন। ১১ সন্তানের জননী রাবিয়া কাদিরও তাঁদের একজন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশে কারাভোগ শেষে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেন তিনি।
২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব উইঘুর কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। অনেকে তাঁকে মুসলমানদের ‘দালাই লামা’ বলেন।

তবে তিব্বতের দালাই লামার মতো রাবিয়াকে নিয়ে পশ্চিমে উচ্ছ্বাস নেই। ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘তিব্বত স্টাডিজ’ নিয়ে যতটা আগ্রহী, উইঘুররা তার ছিটেফোঁটা মনোযোগও পায় না। এর কারণ অস্পষ্ট নয়। রাবিয়ারা মুসলমান। আবার চীনের প্রভাবে মুসলিম ‘উম্মাহ’ও উইঘুরদের সমর্থনে সোচ্চার নয় কখনো।


এ রকম বহুমুখী প্রতিকূলতায় উইঘুরদের সামনে ভবিষ্যতের কোনো স্পষ্ট ছবি নেই। তাদের চাওয়া-পাওয়ার ইতিবাচক পরিণতি জড়িয়ে আছে চীনের মূল জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বাধীনতার ভবিষ্যতের সঙ্গে। ৭২ বয়সী রাবিয়া কাদির কি তা দেখে যেতে পারবেন? এর উত্তর তাঁর জানা নেই। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দমবন্ধ জনপদের মতোই তাঁরও ভরসা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

মাহিরাহি বলেছেন: অর্থ আর ক্ষমতা, মানবতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

বলেছেন: :) কাল প্রথম আলোতে পড়েছিলাম। এই লিখা কি আপনিই লিখেছিলেন?

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সত্য একদিন ঠিকই উন্মোচন হবে,
ভেঙ্গে যাবে মিথ্যার শক্তশিকল।
আজ বিশ্বজুড়ে অবহেলিত মুসলিমরা
ঠিকই সম্মানিত হবে আগামীকাল।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আরব লীগ, ও আইসি ওপেক এরা সববাই নীরব কেন? দুনিয়ার সব মুসলিম দেশগুলো এক না হলে সারা দুনিয়ায় এৃভাবে মুসলিম নিধন আর নিরযাতন চলবেই।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ৭২ বয়স!!!

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

কালীদাস বলেছেন:




আপনার পরিচয়
একজন রিক্সাওয়ালাকে দেখে সালাম দিতে যদি আপনার মনে কৃপণতা আসে, তবে আপনি অহংকারী! nnঅহংকারী জাহান্নামী।

আপনার পরিসংখ্যান

পোস্ট করেছি: ১৯টি
মন্তব্য করেছি: ৯টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৬২টি
ব্লগ লিখেছি: ২ সপ্তাহ ৫ দিন
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন


আপনার পরিচয় যেটা লিখে রেখেছেন নিজেই জাজ করে দেখেন কতটা মিলে আপনার কার্যকলাপের সাথে। পাবলিকের কমেন্টের রিপ্লাই দিলে জাত যায়গা নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.