নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্ষনের জন্য পোষাক কোনভাবেই অজুহাত নয়, যেমন অজুহাত নয় কারো প্যারেন্টিং।"

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫




প্রতিটা বয়সের আসলে একটা নির্দিষ্ট সৌন্দর্য আছে, যেটা যে বয়সের সেটা সেই বয়সেই মানায়।

একটা চার পাঁচ বছরের মেয়েকে চোখে আইলাইনার,ঠোঁটে লিপিস্টিকে দেখতে খুবই অস্বস্তিকর লাগে।

একই ব্যাপার যখন তের চৌদ্দ বছরের মেয়ে মুখে পুরু মেকাপ, চোখে রংগিন লেন্স,আর চুলে কৃত্রিম রঙ লাগিয়ে স্কুলে যায়।

বিচ ড্রেস হিসেবে যখন মেয়ে-বাচ্চাদের দেখি বিকিনি বা টু-পিস পরানো হয় তখন আমার ভীষন অস্বস্তি হয়। বাচ্চাটা ইউনিসেক্স একটা জিনিস বা সুইমস্যুট পরে নামবে এমনটাই কি হওয়ার কথা ছিল না?কেন তার উপর সেই জিনিস দেয়া যেটা আমরা ইমপোজ করছি।

সেক্স অবজেকটিফিকেশন নিয়ে শতকরা কতজন বাংগালির ধারনা আছে আমি জানি না, মোটা দাগে নারীর ক্ষেত্রে সেক্স অবজেকটিফিকেশন বা যৌন সামগ্রিকীকরণ বলতে মূলত বোঝানো হয় পুরুষের যৌন আকাঙ্খা পূরণের উদ্দেশ্যে নারীকে মানুষ না বরং যৌন উপকরণ হিসেবে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটিকে।

এই যে বাচ্চাদের ইচ্ছা-অনিচ্চা তৈরী হবার আগেই তাদের মধ্যে একটা 'বড় হওয়া'র প্রবণতা তৈরী করে দেয়া,তার মধ্যে 'তুমি মেয়ে,তুমি এই পরবে' 'তুমি এই করবে' এই প্রবনতা ঢেলে দেয়া মোটা দাগে এই জিনিসটা খুব ভয়ংকর।এতে বাচ্চাদের সেক্স অবজেক্ট হিসেবে সমাজকে দেখতে অভ্যস্ত করা হয়।

হিন্দি চ্যানেলের অনুকরণে বাচ্চাদের নাচ-গানের প্রতিযোগিতা হয়,এইসবে বাচ্চাদের নাচের যে অংশগুলো হয় প্রচন্ড ভয়ংকর এই জিনিসগুলো কিভাবে প্যারেন্টরা এলাউ করেন আমি জানি না।নিজের শরীরকে 'অবজেক্টিফাই' করার বয়স অন্তত এটা না।

হ্যা,মেল পারফিউমের এডে একজন মেয়ে বিশেষ ভংগিতে অভিনয় করতেই পারেন,কারন তিনি বয়সে আঠারো এর উপরে,তার শরীর সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা তার।
কিন্তু একটা বাচ্চা মেয়েকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে আইটেম গানের সাথে নাচানোর সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনার।
হোয়াট ইফ,এই বাচ্চা মেয়েটা স্বাবলম্বী হবার হবার পর প্যারেন্টের নামে,এই সব অনুষ্ঠান কতৃপক্ষের নামে মামলা করে যে তাকে সেক্স অবজেক্ট হিসেবে ছোটবেলায় ব্যবহার করা হয়েছে?

একটা শিশু শুধুই শিশু হিসেবে জন্মায়।

তাকে মেয়ে শিশু ছেলে শিশু হিসেবে আলাদা করা শুরু হয় কানে আযান শোনানোর মাধ্যমে,টিপ কপালের মাঝে/সাইডে পরানোর মাধ্যমে,তার জন্য ব্লু বা পিংক বেবি প্রোডাক্ট কেনার মাধ্যমে,তার খেলনা কেনার মাধ্যমে,তার পোষাক কেনার মাধ্যমে।

মেয়ে শিশুর শাড়ির সাথে ব্লাউজ লাগে,তার সাজার আলাদারকম জিনিস পত্র লাগে,তার ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগে,চোখে শ্যাডো লাগে.....হ্যালো মম,আর ইউ ওকে?
বাচ্চাটার বড় হতে হতে নিজেকে 'সেক্স অবজেক্ট' হিসেবে ভাবাটা আপনার হাত দিয়েই শুরু হচ্ছে না??

বড়দের ধর্ষনের জন্য পোষাককে দায়ী করে যখন ফতোয়া দেয়া হয় সেটার আমরা প্রতিবাদ করি, একই সাথে শিশু ধর্ষনের বেলায় শিশুদের সেক্স অবজেক্ট বানানোর এই চেষ্টাগুলোরো প্রতিবাদ হওয়া উচিত।

সাম্প্রতিক একটা শিশু-ধর্ষণের ঘটনার বর্ননায় জানলাম বাচ্চাদুটাকে লিপিস্টিকের লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়েছে নরপশুগুলো।

এইটুকু পরে আমার বুকটা দুমড়ে উঠেছে।

আহারে সোনামানিকেরা আমার!

লিপিস্টিক দিয়ে বড়দের মত সাজা যায় জেনেছিলি, বড় হওয়ার বিপদটুকু তো জানতিস না....

আপনার শিশুকে বড়দের মত করে নয়,শিশুদের শিশুর মত করে বড় করুন।

(পুনশ্চঃ ধর্ষনের জন্য পোষাক কোনভাবেই অজুহাত নয়,যেমন অজুহাত নয় কারো প্যারেন্টিং।)

কৃতজ্ঞতাঃ ডা মৌরী,
মেডিকেল অফিসার, বশেমুমেবি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: সকালবেলা এরকম পোষ্ট পড়তে ভালো লাগে না।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৬

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি ।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

রাফা বলেছেন: হুমম...যুক্তি আছে কথায়।তবে ধর্ষক প্রকৃতপক্ষে অসুস্থ মানসিকতার মানুষ।আপনি আমি অসমানজস্য পৃথক করতে পারি।কিন্তু ধর্ষকের কাছে তার কুৎসিত আকাংখা পুরন করার সামগ্রী ছাড়া অন্য কিছু নয় মেয়েরা।

ধন্যবাদ,মো.খা.সা.ফয়সল।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
++++++

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

আখ্যাত বলেছেন: লিপস্টিক আধুনিক নারীর জীবনের অংশ
লিপস্টিকহীন নারী, অপুর্ণ নারী
লিপিস্টিকের গুরুত্ব, তাৎপর্য, মহিমা সর্বোপরি এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার শক্তি কারো নেই।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

হাবিব বলেছেন: ভালো লিখেছেন

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ।

ধর্ষক সামাজিক ব্যাধি, সামাজিক রোগী।

ওদের নিমূর্লে ধ্বংস করতে হবে, নতুবা আমরা স্বস্তির শ্বাস নিতে পারবো না।

বিবেচনা আমাদের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.