নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জরায়ু ক্যান্সার, বাল্যবিবাহ ও কথিত ষড়যন্ত্র

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫



জরায়ুর মুখের ক্যান্সার বিষয়ে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং কথিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জঘন্য মিথ্যাচার নিয়ে চলুন আপনাকে পরিচিত করানো হোক....


নাস্তিক্যবাদের পৃষ্ঠপোষক ও কট্টর ইসলাম বিদ্বেষীরা সূক্ষ্ণ শয়তানী হেডলাইন দেয়, "জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ!"

আশ্চর্য!

এ ধরনের বক্তব্য বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচারীতা। জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেনা যে, বাল্য বিয়ে এই রোগের প্রধান কারন। অল্প বয়সে বিবাহ ব্যাপারে পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ এখন যেন দায়ভার ইসলামের উপর চাপিয়ে দেবার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

আর এই অসুস্থ প্রচারণার শিকার হয়ে আজ এমনকি মুসলিমরাও এর বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছে অথবা নানাভাবে একে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে।

কিন্তু কেন? মুসলমান কি নিজের ধর্ম আর নিজের রবের কথা ভুলে গিয়েছে?

মেডিক্যাল সাইন্সের প্রেক্ষাপটে অল্প বয়সে বিবাহের বিরুদ্ধে এই প্রপাগান্ডার কিছু অজানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা জরায়ুর ক্যান্সার (ইংরেজি: Cervical cancer) নারীদের একটি রোগ। যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে। তবে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীরা এ রোগের শিকার হন বেশি। আবার ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকে বেশি বয়সের নারীরাও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। ২০ বছরের কম বয়সীদের নিচে এ রোগ সাধারণত হয় না। উপযুক্ত চিকিৎসায় শতভাগ আরোগ্য সম্ভব।

❒ ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর তথ্য মতে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের কারন সম্পর্কে যা বলা আছে —

(ক) হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। HPV একটি গ্রুপ ভাইরাস। এর প্রায় ১০০ টাইপ আছে আছে। সাধারনত অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারনে এই ভাইরাস ছড়ায়। বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য HPV 16 , HPV 18 টাইপ দায়ী।

(খ) অতিরিক্ত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে কিন্তু যা জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার মুল কারন নয় তা হল —

● যেসকল নারী ধূমপান করে.
● রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে যেমন এইডস হলে.
● জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি গ্রহন করলে.

❒ ন্যাশনাল সারভাইকাল ক্যান্সার কোয়ালিশনের তথ্যমতে —

● হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। HPV একটি গ্রুপ ভাইরাস। এর প্রায় ১০০ টাইপ আছে আছে। সাধারনত অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারনে এই ভাইরাস ছড়ায়। বেশিরভাগ ক্যান্সারের জন্য HPV 16, HPV 18 দায়ী।


❒ ইংল্যান্ডের ক্যান্সার রিসার্চ এর তথ্যমতে —

● HPV ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষের সাথে অবৈধ এবং বিকৃত সম্পর্কের কারনে আক্রান্ত হয়।
● প্রতি ১০ টা কেসের একটার কারন হল জন্মনিয়ন্ত্রন গ্রহন করা।
● দারিদ্রতা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠার কারণেও এই রোগ হতে পারে।

❒ আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটিঃ

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের বিষয়ে কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরের কথা বলেছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি যেসকল রিস্ক ফ্যাক্টর উল্লেখ করেছে তা হল —

(ক) হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়।
(খ) অতিরিক্ত কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে কিন্তু যা জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার মুল কারন নয় তা হল —

● যে সকল মহিলা ধুমপান করে,
● দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন AIDS আক্রান্ত মহিলা,
● যারা অটোইমুইনি রোগের জন্য ইমুনিসাপ্রেসেন্ট ড্রাগ ব্যবহার করছে,
● Chlamydia infection - এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা বিকৃত সম্পর্কের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত মহিলার জরায়ুর মুখের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি।
● ফলফলাদি এবং শাকসব্জি কম খেলে রোগ প্রতিরোধ ঠিকমত হয়না যার কারণে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে,
● অতিরিক্ত ওজন হলে,
● জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি ব্যবহার করলে,
● একাধিক পুরুষের সাথে বিকৃত সম্পর্ক,

তাহলে দেখা যাচ্ছে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের জন্য মুল দায়ী হল একটি ভাইরাস যার নাম HPV। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি দিয়ে ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। যা অবৈধ এবং বিকৃত আচরণের কারণে ছড়ায় বেশি। কোনক্রমেই অল্প বয়সে বিয়ের কারন নয়।এখানে রিস্ক ফ্যাক্টরের কোনটিতেই বলা হয়নি যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে এই রোগ হয়।

মুর্খ ডাক্তার এবং ইসলামবিদ্বেষিরা বাল্য বিয়েকে মুল কারন হিসেবে বলেছে। তারা বলেনি যে HPV নামক ভাইরাস মুল কারন। যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানই বলছে ৯৯ ভাগ মুল কারন হল HPV, সেখানে তারা কি করে বলতে পারে বাল্য বিয়ে মুল কারন?

আজকে যারা বাল্য বিবাহকে জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের মুল কারন বলে তারা মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নোংরামী, অনৈতিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অল্প বয়সে বিবাহ কিছুতেই জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের কারন নয়, বরং এ ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে অল্প বয়সে বিয়েই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।



কৃতজ্ঞতাঃ ডা. মুহাম্মাদ তালহা (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০

নজসু বলেছেন:


আস সালামু আলাইকুম।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

দেরিতে সন্তানগ্রহন , আকাম কুকামে লিপ্ত হওয়াই জরায়ু ক্যান্সারের প্রধান কারণ বলিয়া প্রতীয়মান হয় ! এই সভ্যতার অসভ্য সভ্য (!) মানুষেরা নিজেদের ইয়ের চালুনিসম ফুটো আড়াল করার জন্যই সুইয়ের ইয়েতে ফুটো আছে কিনা ইহা লইয়া চিল্লাচিল্লি করিয়া থাকে !

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: জানতে পারলাম।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: শুভ সকাল!

ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

ধন্যবাদ, আসলে পড়া-জানা-মানার মাঝে সার্থকতা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.