নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলা ২০১৯, বই ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫



#বইমেলা২০১৯
#বই৩৮৩৯৪০৪১৪২

পাতাঝরা মন
সাইফুল ইসলাম জুয়েল
ধরণ : উপন্যাস
প্রকাশক : অনিন্দ্য প্রকাশ (প্যাভিলিয়ন-৩)
প্রচ্ছদ : সোহানুর রহমান অনন্ত

৩৮. ৩৯. ৪০. ৪১. ৪২.

৩৮.

লেখক সবার প্রিয়, সবার মানে সবার।

ছোট থেকে বড়, বড় থেকে বুড়া... সবার কাছে লেখকের ভালোবাসা আলাদা।

আর, আমার কাছে এই লেখকের চেয়ে মানুষ লেখক কে ভীষণ ভালো লাগে।

বলছিলাম চমৎকার মানুষ Asif Mehdi ভাই এর কথা।

বরাবরের মতো ভাইয়ের বই আসছে ঝটপট করে, দারুণ সব অভিজ্ঞতা নিয়ে।

ফ্ল্যাপ থেকেঃ

‘দয়া করুন, ম্যাডাম। কষ্ট হচ্ছে খুব।’ আতংকিত রুবিরু এভাবেই প্রাণভিক্ষা চাইল। তার জীবন নির্ভর করছে শুধু একজন মানুষের করুণার ওপর।

মানুষটির একটি সিদ্ধান্ত জীবন্ত রাখতে পারে রুবিরুকে। হাতে সময় খুব কম। সাড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিতে হবে সেই সিদ্ধান্ত। কেন রুবিরুর কষ্টের শুরু? বেঁচে ফিরতে পারবে তো রুবিরু? কী ঘটতে যাচ্ছে তারপর? পৃথিবী কি পারবে সেই মহাবিপদ মোকাবিলা করতে?
.
মাত্র এক শতক পরের ঘটনা ‘ট্রুপিটু’। হঠাৎ-ই মানুষ অজানা এক রোগে আক্রান্ত হলো। ঝরে পড়তে থাকল অজস্র তাজা প্রাণ। থেমে গেল পৃথিবীর কর্মচাঞ্চল্য। দুনিয়াজুড়ে নেমে এল নীরবতা। সবাই যখন আতংকিত হয়ে ঘরের ভেতর, ঠিক তখনই পৃথিবীতে হাজির হলো তারা!

অন্যদিকে, আরেকপাশে জেগে উঠছে আরও দুই শক্তি- অনুভূতিসম্পন্ন রোবট এবং…আরেকদলের কথা এখনই নয়। মানুষ, এলিয়েন আর রোবটের ত্রিমুখী অবস্থানে টিকে থাকবে কি এই সবুজ পৃথিবী?
.
আসিফ মেহ্‌দীর বই মানে প্রতি অনুচ্ছেদে পড়ার আনন্দ। সায়েন্স ফিকশনগুলোতে বাড়তি পাওয়া যায় বিজ্ঞানের নানা মজার তথ্য। ‘ট্রুপিটু’তে ফুটে উঠেছে মস্তিষ্কের অজানা সব দিক, কৃত্রিম অনুভূতি তৈরির প্রক্রিয়া, জিরো স্পেস গেট-এর বর্ণনা, রোবটের উপকরণসমূহ ছাড়াও চমকপ্রদ অনেক বিষয়।

১.
বইয়ের নাম: ট্রুপিটু:পৃথিবীর মহাবিপদ!
লেখক: আসিফ মেহ্‌দী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ
মলাট মূল্য: ১৫০ টাকা
ক্যাটাগরি: সায়েন্স ফিকশন
.
২.
বইয়ের নাম: নিলীন
লেখক: আসিফ মেহ্‌দী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশনী: অনন্যা
মলাট মূল্য: ১৩০ টাকা
ক্যাটাগরি: সাইকো থ্রিলার
.

৩৯.

শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়, এর এক শিক্ষক, ইনি।

স্যারের ক্লাস কখনো করা হয়নি, এ যাবত কালে না!

তবে উনার বই পড়েছি আমি, সেই প্রথম #স্বপ্ন থেকে সর্বশেষ #পরী।

আহ!!

প্রতিটির মাঝে এতো করুণ বেদনা আর সমাজ উপেক্ষিত বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, কি আর বলবো।

পুরো ডিপার্টমেন্টে আমি হাত গোনা কয়েককে পছন্দ করি, উনাদের সাথে কথা বলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

উনাদের সাথে কথা বলে নিজেকে নিজের মনে করি, আর তাদের মধ্যে আমার খুব খুব প্রিয় স্যার Khairul Islam স্যার।

যেহেতু স্যার এবার পিএইচডি এর শেষদিকে আছেন, তাই ৫ তারিখের পর থাকবেন না।

স্যারররর, মিস করবো!!!!

আর, এবারের বই স্যারের পঞ্চম বই, নামটা অসাধারণ!!

৫ম উপন্যাস: যে প্রেমে নেই বিরহ
(5th Novel: Love without tragedy)
অন্বেষা প্রকাশন
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ

ফ্ল্যাপ থেকেঃ

রেবা আর নিলয়। ক্যম্পাসে সবার মুখে মুখে তাদের নাম। না! তারা এ যুগের লাইলি-মজনু নয়। তারা এযুগের বিরহহীন প্রেমের এক বিরল দৃষ্টান্ত।

প্রেম মানে যেখানে সমাজ আর পরিবারের অবধারিত বিরধীতা, সেখানে ওরা সৃষ্টি করেছে নতুন ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের কাছে ওরা আইডল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স। এক বছরের ব্যবধানে নিলয় চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। ফুলব্রাইট স্কলারশিপে আর একটা মাস্টার্স করতে। রেবা তখন দেশে। নিলয় ফিরলে ধুমধাম করে হবে তাদের বিয়ে।

দারুন ছন্দে এগোচ্ছিল সবকিছু।

হঠাৎ ফেসবুকে ফাইরাল হওয়া এক ছবিতে সবকিছু এলোমেলো!
‘বেডে শুয়ে আছে নিলয়। মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে একটি মেয়ে।’

না! এটা কোন হাসপাতালের ছবি নয়। মেয়েটা ডাক্তার কিংবা নার্সও নয়। তাহলে কি রহস্য এই ছবির?

এদিকে নিলয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না রেবা। বিব্রত ও বিরক্ত উভয় পরিবার।

কমেন্টস এর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে একটি ছবি।
এখন কী হবে? কী হবে তাদের বিরহহীন প্রেমের?

আর যাই হোক পাঠক এক অন্যরকম প্রেম কাহিনীর সাক্ষী হবে।
সেখানে হয়ত সত্যিই বিরহ নেই।

৪০.

একজন লেখিকা, নাম Sadiya Siddika।
উফফফ!!!
লেখিকা তো শুধু লেখিকা না, লেখিকা যেন শব্দরাজ্যের সম্রাজ্ঞী।

লেখিকা মাঝে মাঝে নিজের দেবীত্ব ভাসিয়ে তুলে নিজের দেবতাকে নিয়ে লেখে, দেবতার জন্য কাঁদে, দেবতাকে ভালোবাসে।

আমি আমার এই সময় পর্যন্ত দেবতা-দেবী (!) যে যুগলবন্দি দেখেছি, এই লেখিকা সেটাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গিয়েছে।

লেখিকা এককথায় জোশ!!

ফ্ল্যাপ থেকেঃ

আমি অবাক হয়ে দেখলাম রুপন্তির কপাল বেয়ে মুক্তারমত ঘাম চুইয়ে পড়ছে।

আমার ইচ্ছে করলো আমার হাত দিয়ে আলতো করে রুপন্তির কপাল থেকে ঘাম মুছে দিতে। আমি পারলাম না। আমার কোন অধিকার নেই রুপন্তিকে ছুঁয়ে দেয়ার। বিধাতা আমাকে সে অধিকার দেয়নি।

আমার অধিকার না থাকা সত্ত্বেও অনেক কাল আগে এক মেয়ের কপালের ঘাম মুছেছিলাম। আমার মস্তিষ্ক অচেতন হতে লাগলো। আমি রুপন্তিকে প্রায় জড়িয়ে ধরতে নিয়েছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে রুপন্তি আমাকে এক ঝটকায় ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।

আমি জানিনা আমার সাথে কি হয়েছে। তাও মাথা নিচু করে আমি বললাম, রুপা দুঃখিত! তুমি দয়া করে বাসায় চলে যাও। আমার এই আচরনের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।

রুপন্তি আমার কথা শেষ করতে দিলো না। তার আগেই রাগে উঠে চলে গেলো। আশেপাশের সবাই আমাদের দেখছে।

আমি প্রায় টলতে টলতে বাসায় ফিরে আসলাম আর সে রাতেই আমার রোগটা দেখা দিলো। আমি মারাত্মক অসুস্থ মন নিয়ে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করলাম আর যেন অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয়।

আমি মন থেকে চাইলাম আমি যেন সুস্থ হয়ে যাই। কিন্তু ঈশ্বর যে জিনিস আমার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, তা আমি কিভাবে এড়িয়ে যাই?
#উপন্যাসঃ একটি বসন্ত অতঃপর কৃষ্ণচূড়া
#প্রকাশনীঃ Afsar Brothers
স্টল নং ৫২১-৫২৪

৪২.

লেখিকা Hasina Sayeed, উনার দ্বিতীয় বই এটি। প্রথম বই "দ্বিতীয় বাসর" এর মতো করে এটি দাপিয়ে বেড়াবে পাঠকের হৃদয়।

রোমান্টিক জনরার বইটা লেখিকার শব্দের মতো মিষ্টি এবং চমকপ্রদ।

ফ্ল্যাপের কাহিনীঃ

"নামটা যেন কী?'
"মেঘ'
" মেঘ?ওটা আবার নাম হয় নাকি?'
"জ্বী আমার বাবার দেয়া নাম...।'
" আজ থেকে আপনার নাম মেঘা।'
মেঘ কখনোই সম্মতি দিতে চাইতো না তার অফিসের বস তাকে দমিয়ে রাখতে চাইতো।কারনে অকারনে ডমিনেন্ট আচরন গুলো সহ্য করতো মেঘ।

এরপর কেঁটে গেলো অনেকগুলো বছর।

নীল দেখলো মেঘকে। শহরের রাস্তায় বড় শপিংমলের পাশ দিয়ে আইলেন্ডের ধার ঘেষে এলোমেলো ভঙ্গীতে হাঁটছিল। কেমন যেন বিষন্ন, মনে হচ্ছিল অসুস্থ।সাথে অসম্ভব সুন্দর একটা বাচ্চা ছেলে।

একটা রেস্টুরেন্টে নীল বসলো ওদের নিয়ে।শিশুটিও ততক্ষণে শান্ত হয়ে গেছে।আসার সাথে সাথে গরম গরম চিকেন বার্গার।তার আগে আইসক্রিম কিনে দিতে হয়েছিল।

"আচ্ছা ওর ঠান্ডার সমস্যা নেই তো?'মনে মনে ভাবলো নীল।

মেঘ রেস্টুরেন্টের আলিশান সোফায় মাথা পেছনে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
"এতক্ষণ তার বসের কাঁধে মাথা দেয়া ছিল সারারাস্তায় তা কী বলতে পারবে?'
এর কিছুক্ষণ পরই কোনোরকমে চোখটা মেলল।
অস্ফুটস্বরে বল্ল,
" পানি।'
"এই ওয়েটার তাড়াতাড়ি পানি আনো ম্যাডামের জন্য?'
মেঘ যেন এবার ভালো করে তাকালো।আবারো সেই পূবেকার চাহনি। মনে হলো বিশ্বাস হচ্ছে না,নীল তাকে ম্যাডাম বলে সমোন্ধন করছে।

নীল কী আসলেই বলতে পেরেছিল?

জানতে পেরেছিল মেঘার জীবনে কি ঘটেছিল? এতদিন পর হারিয়ে যাওয়া নীল ও মেঘের পরবর্তী ধাপ কী হয়েছিল।যে কতগুলো বছর দুজনের দুটি পথ পৃথক হয়েছিল?কিন্তু কেন?

আসছে শিখা প্রকাশনী থেকে, ৫৭৬-৫৭৯ নম্বর স্টল। আপনাকে স্বাগতম, পাঠক।

#বইয়েররদুনিয়ায়স্বাগতম

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন সব প্রচ্ছদ!
ইনশাল্লাহ সংগ্রহ করবো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৮

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ইন্ শা আল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.