নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই পর্যালোচনা (রিভিউ) ০৬, "১৯৭১ : ভেতরে বাইরে"

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৮



বই পর্যালোচনা (রিভিউ) – ০৬
বইয়ের নাম - ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে
লেখক – এ কে খন্দকার
ভাষা – বাংলা
ঘরনা - মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
বইয়ের পৃষ্ঠা – ২৩২
বিনিময় মূল্য – ৩৮০ টাকা
প্রকাশন – প্রথমা
ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং) – ৪.২/৫

বইটি নিয়ে দেশের ঊর্ধ্বতন লোকেরা, বিশেষ করে, দলীয় রাজনীতিবিদ বেশ কটাক্ষ করেছেন এবং নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন!
কিন্তু, সত্য জানতে হলে সত্যের গভীরে যেতে হয়। অন্যকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করানোর আগে নিজেকে বিবেকের কাঠগোড়ায় দাঁড় করাতে হয়।

বইটি শুরু হয়...

১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ সারা বিশ্বে নানা দিক দিয়ে বিরল একটা ঘটনা। তাই এই গৌরবের যুদ্ধ নিয়ে সরল ভাবে যে কোন আপ্তবাক্য মেনে নেয়া যায়না। কিছু জিনিস খেয়াল রাখা দরকার, যে অঞ্চলের মানুষ এবং স্বয়ং শেখ মুজিব পাকিস্তানের জন্য ১৯৪৭ সালে লড়াই সংগ্রাম করেছে, ঠিক ২৩ বছরের মাথায় সেই রাষ্ট্র ভেঙে ফেলতে চাইছে—এই জরুরী অবস্থা’র টানাপোড়েন না বুঝলে বাংলাদেশ এর ভবিষ্যতে বাস্তবিক অন্ধকার আছে। ১৯৭০ এর নির্বাচনে ছয় দফার ফলস্বরূপ জনগণ সাহস দিয়েছিল আওয়ামীলীগকে।
কেন?

এ পূর্ব বাংলা’র ভাগ্য পরিবর্তন এর জন্য। ক্ষমতা’র পালাবদলে ইয়াহিয়া নামক সেনা শাসক শুরু করল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জানার আগ্রহ সব সময়ই তীব্র। কেন যেন, কোন এক বিচিত্র কারণে আমরা সেই আগ্রহটা মেটাতে পারেন। যখন বইপত্র নিয়ে বসি, দেখি একই দিনের ইতিহাস একেক বইয়ে একেক ভাবে লেখা। ভৌগলিক বা পরিবেশগত যে কারণেই, গড়পড়তা আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা ব্যাপারটা স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। দলঘেষা লোকজন বেশি। ইতিহাসের বইগুলো, ঐতিহাসিক দলিলগুলোতেও দেখা যায় ক্ষমতা বদেলের সাথে সাথে ইতিহাসও অনেকভাবে পাল্টে যায়, যা খুব দুঃখজনক।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা সর্বমোট ২৩২ পৃষ্টার বইটিতে শুরুতে ভূমিকা আর শেষে উপসংহার ব্যতিত যথাক্রমে ১৯৭১ এর জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ, স্বাধীনতার ঘোষণা ও অস্থায়ী সরকার গঠন, মুক্তিযুদ্ধে যোগদান, মুক্তিযুদ্ধ, মুজিব বাহিনী, নৌ-কমান্ডো, বিমানবাহিনী, যৌথ নেতৃত্ব গঠন, বীরত্বসূচক খেতাব, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ শিরোনামে ১০টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সবশেষে মুক্তিযুদ্ধকালিন বিভিন্ন বিষয়ে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংযুক্ত করা হয়েছে।
নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়া সমুচিত না হলেও ভাবোলপদ্ধি দিয়ে কিছু বলতে পারি।

উপন্যাসে প্রাবন্ধিক সমসাময়িক সামাজিক জাতির আত্মিক বৈশিষ্ট্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, দেশীয় রাজনীতি, বৈশ্বিক রাজনীতি, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে লিখেছেন।
দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম অর্ন্তসত্তাকে জাগিয়ে তুলে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে লাখ লাখ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভিড় করে আছে। যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল সাধারণ মানূষের দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, বেদনা ও ত্যাগ।

মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানূষের আশা আকাঙ্ক্ষা, ধৈর্য্য এবং ত্যাগের ফলে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোন ব্যক্তিবিশেষের ত্যাগের বিনিময়ে বা একক কোন দলের জন্য হয় নি। এটি ছিল আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। তাই সম্মিলিতভাবে বিজয় অর্জন করার লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যে, আমরা যদি এই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমাদেরও একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সাহিত্যপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধপ্রেমী ও বাঙালি জাতিসত্তা প্রেমী পাঠকদের বইটি পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার যিনি এ.কে. খন্দকার নামে পরিচিত, উনি অবশ্যই পাঠককে হতাশ করবেন না!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

রাকু হাসান বলেছেন:

ভেতরে বাইরে নিয়ে চমৎকার রিভিউ । আমি বইটা পড়তেছিলাম কিন্তু শেষ করা হয় নি । যতটুকু পড়েছি তাতেই বুঝেছি বইটি দেশপ্রেমিক মানুষ মাত্রই পড়া দরকার । শুভকামনা ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

বাংলার মেলা বলেছেন: বইটি লিখে তিনি তার দল আওয়ামী লীগকে চরম বাঁশ দিয়েছেন। যে আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হসেবে দাবি করে, মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়কের ভাষায় সেই দলের নেতারা তখন ৭০ এর নির্বাচনে নিজেদের অভাবনীয় বিজয় নিয়ে মদমত্ত ছিল, বাঙালি সামরিক অফিসাররা তাদেরকে পরিস্থিতি বুঝানোর চেষ্টা করলেও তার বুঝতে রাজী হয়নি। তাদের ধারণা ছিল কয়েকদিন পরে যারা পুরো পাকিস্তান শাসন করতে যাচ্ছেন, কেবল পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে তাদের ফায়দা কি হবে?

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বইটি পড়বো।
আসলে ব্লগে এত সময় দেই- তাই বই পড়া একেবারেই হচ্ছে না।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

বইটি পড়ে নিয়েন, জানতে পারবেন অনেক কিছু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.