নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“হত্যাকান্ড ও হুকুমের আসামি”

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭



আসলে, যেদিন জামাল খাসেগির মৃত্যু হয়, সেদিন বেচারার ভাগ্য খারাপ ছিলো। হয়তো প্রথম বউয়ের অভিশাপ লেগেছিলো ওর উপরে!

পূর্বাভাসঃ

প্রায় দুই মাস হতে চলেছে, সাংবাদিক জামাল খাসেগি’র হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে। এযাবতকালের বেশ তোলপাড় করা ঘটনার মাঝে এই হত্যাকান্ড একটি।
এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের এতো মাথা ঘামানোর কারণ আমার ব্যক্তিগত মতামতে দু’টি।

এক. নাক গলানোর শীর্ষ এ থাকা যুক্তরাজ্য,

দুই. কার্যত আঙুল যাচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্র ‘সৌদি আরব’ এর এক রাষ্ট্রপ্রধানের দিকে!

‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়,’ প্রবাদটি আজকাল সৌদের প্রিন্স আর রাষ্ট্রপ্রধানের দিকে মনে হচ্ছে বেশ কার্যকরি। কারণ অনেকগুলো হলেও এক্ষেত্রে একটি, আর তা হলো জামাল খাসেগির নাগরিকত্ব।

জামাল খাসেগি শুধুমাত্র যে সৌদি আরবের নাগরিক ও সাধারণ ছা-পোষা সমালোচনা-সাংবাদিক ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তাঁর সাহসিকতার-সমালোচনার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিলো পুরো পাশ্চাত্য জুড়ে, যেখানে তিনি সম্প্রতি ‘যুক্তরাষ্ট্রের’ স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছিলেন।

জামাল খাসেগির পূর্ব অভিজ্ঞতার দরুণ, তার লেখালিখি ও সমালোচনার দরূণ, ২০০৩ সালে সে ‘যুক্তরাজ্যে’ স্বেচ্ছানির্বাচনে যান এবং লন্ডন থেকে তখন তিন বেশকিছু পত্রিকায় লেখালিখি শুরু করেন। সৌদি পরিবারকে কটাক্ষ করতে করতে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেন পাশ্চাত্যের কাছে, যদিও মিথ্যে কিছু লিখেন নি তিনি।
তবে, সত্য ততক্ষণ ভালো লাগে যতক্ষণ এর মাঝে মিষ্টি থাকে!

২০১৭ সালে জামাল খাসেগি ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এ যোগ দেন রিপোর্টার হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র জামাল খাসেগিকে সৌদি সরকার ও রাজপরিবারের সমালোচনার জন্য মূলত এখানে নিযুক্ত করে!

বর্তমান প্রিন্স, সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ কর্তাধর্তা মোহাম্মদ বিন সালমান (MBS) বেশ কয়েকবার জামাল খাসেগিকে নিরস্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

হত্যাকান্ডঃ

আসলে, যেদিন জামাল খাসেগির মৃত্যু হয়, সেদিন বেচারার ভাগ্য খারাপ ছিলো। হয়তো প্রথম বউয়ের অভিশাপ লেগেছিলো ওর উপরে!

কারণ, জামাল খাসেগি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিলো এক তুর্কি সাংবাদিককে। আর, এই তুর্কি সাংবাদিকের সঙ্গে বিয়ে জন্য খাসেগির প্রয়োজন ছিলো প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের প্রমাণের নথি। আর নিজের ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যবশত অথবা অন্যদের ক্ষেত্রে সৌভাগ্যবশত, জামাল খাসেগির সেসব নথি ছিলো সৌদি আরবে, নিজের দেশে।

নিজের বিবাহবিচ্ছেদের কাগজগুলোর কথা সরকারকে জানালে তারা জামাল খাসেগিকে ‘ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট’ এ গিয়ে, সেখান থেকে সংগ্রহ করার কথা জানালো।

বিভিন্ন আচার-ব্যবহার ও গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান, (কেবিএস), যিনি মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এর ছোট ভাই, জামাল খাসেগিকে কিভাবে ইস্তাবুল কনস্যুলেটে যাওয়ার কথা বলে।

আর, বাকিটা ইতিহাস!

জামাল খাসেগি’র নাম-শৌর্য ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেছে!!

এখন, এই ঘটনায় অনেকে অনেক কিছু বলেছে, লিখেছে। বলেছে ‘সিআইএ’ এর কথা, বলেছে ‘এমবিএস’ এর সম্পৃক্ততার কথা, বলেছে ‘অনেক কথা।’
কিন্তু বলে নি কিছু কথা!

যেই মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলো তাঁর কথা, তুরস্কের ‘রাজনীতি’র কথা, যুক্তরাষ্ট্র ‘সরকারের বৈদেশিক স্বার্থের’ কথা, সৌদি আরবকে নিজের নিয়ন্ত্রাধীন করার কথা!

আসলে, কথায় আছে, ‘বুকে ছুরি মারার চেয়ে ভয়ংকর বন্ধু হচ্ছে সে, যে পিঠে ছুরি মারে।’ জামাল খাসেগি এখন ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে বিশ্ব নেতার সোনার ডিম হিসেবে অথবা জাদুর কাঠি হিসেবে।

অবশেষে, বলা যায়, এটি একটি ‘হত্যাকাণ্ড ও হুকুমের আসামি’র গল্প।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

মাকার মাহিতা বলেছেন: এটাকে ডিটেকটিভ হত্যাকান্ড বলতে পারেন! এই হত্যাকান্ডের পিছনে কার হাত আছে অথবা কার নির্দেশে এই হত্যাকান্ড তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এখন কথা হচ্ছে, জামাল খাসোগির মতো আরও যেসকল হত্যাকান্ড দেশে-বিদেশে হয়ে চলেছে, হচ্ছে এবং হবে এর পেছনে সক্রিয় একটি গোষ্টির তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। অথচ হত্যাকান্ডের মূল হোতারা দিব্যি ঘুরে বেড়ায়, তাদের কিছুই হয় না, তারা ক্ষমতাধর থেকে পরাক্রমশালী ক্ষমতাধরে পরিনত হয়! এটাকে আমার ভাষায় বলে থাকি টম এন্ড জেরি'র মতো চুর পুলিশ খেলা। মানে, মারে একজন মরে অন্যজন, আসল অপরাধী ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়!

এখন আসি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে, যেমন ধরুন:- সাগর-রুনী, বিশ্বজিৎ, সিলেটের ইলিয়াস সাহেব, হলি আর্টিসান, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন সহ আরও যেসকল বড় বড় হত্যাকান্ড ঘটেছে এর পেছনের কলকাঠি কারা নেড়েছেন এটা যদিও প্রকাশ পায় নি তবে মূল হোতা কে জনগণ একটু হলেও হলফ করতে পারে, এই সকল হত্যাকান্ডের মাঝে নির্দোষ ব্যাক্তিকে ফাঁসানো হয়, নির্দোষ ব্যাক্তি মারা পরে, পার পেয়ে যায় মূল অপরাধীরা! তারা, জনসমাজে মাথা উঁচু করে দম্ভভরে চলাফেরা করে! তাদের ট্রেডিশন অন্যরকম। তাদের মতো সহজে কেউ হতে পারে না, তারা রাষ্ট্র ক্ষমতা, বন্দুকের নল, বাতাস সংস্কৃতির মোড়লের কর্তৃত্ব, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার দাপট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলে! বড় হত্যা কান্ডের চেয়েও আরও বড় বড় অপরাধ কর্ম করেই চলে তাদের বিচার হয় না। তারা বিচারের বাইরে...

সকল সমস্যা শুধু মাত্র নিরিহ জনগণের!
জামাল খাসোগি তার বাইরে নয়!

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি আজও বর্বর রাষ্ট্র আছে। তারা কবে ভালো হবে?

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.