নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

“আমি ধর্মকে মেনে চলে অসাম্প্রদায়িক ধার্মিকতাকে বুকে লালন করি কিন্তু আমি ধর্মান্ধ মোটেও নই!” ❤

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“একজন তর্কবাগীশ ও বর্তমান বাংলাদেশ”

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭



দেশের মাটি আজ সোনার ছেলেদের রক্তে ভেজা হলেও কেউ কাঁদে না, কিন্তু, একজন কেঁদেছিলেন। তিনি কেঁদেছিলেন, তিনি ফুঁপিয়ে ছিলেন। ক্ষোভে, রাগে, বেদনা।

পূর্বাভাসঃ

২১শে ফেব্রুয়ারি পরিষদ ভবনে (বর্তমান জগন্নাথ হলের অডিটরিয়াম) অধিবেশন শুরু হয় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে, পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থা পরিষদ ভবনে মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক চলছিলো সে সময়।

আচমকা, গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়!

তাতে ভেঙে যায় বৈঠক, ছাত্ররা গুলি চালানোর কথা জানায়, সংসদদের কেউ কেউ বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন।

ক্ষাণিক বাদে, যখন অধিবেশন শুরু হয়, তখন বক্তব্য দিতে উঠেন আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অধিবেশন স্থগিত রাখার দাবি জানান।

তিনি বলেন, “জনাব স্পিকার সাহেব, প্রশ্নোত্তরের পূর্বে আমি আপনার কাছে একটা নিবেদন করতে চাই। যখন দেশের ছাত্ররা, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ আশা-ভরসার স্থল, পুলিশের গুলির আঘাতে জীবনলীলা সাঙ্গ করছে, সেই সময় আমরা এখানে বসে সভা করতে চাই না। প্রথমের এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত করতে হবে, তারপর হাউস চলবে।”

তর্কবাগীশ এর এহেন বক্তব্য পুরো পরিষদ অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে উঠে, স্পিকার বারবার বলতে থাকে, “তর্কবাগীশ, আইন পরিষদের রীতি ভঙ্গ করেছেন।” জবাবে আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন যেন ঘটনাস্থল দেখে এসে বিবৃতি দেন, নইলে আমরা হাউস চলতে দিবো না।”

স্পিকার আর তর্কবাগীশ এর মধ্যে তর্কবির্তক চলাকালীন তর্কবাগীশকে ‘মওলানা সাহেব’ বলে সম্বোধন করছিলেন, কিন্তু একসময় স্পিকার রেগে গিয়ে ‘মি. তর্কবাগীশ’ বলে সর্তক সম্বোধন করেন। এই অবাক করা ডাকের, ‘মি. তর্কবাগীশ’, এর অর্থ, ‘আপনাকে পরিষদ সদস্য থেকে বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা এখনো আমার আছে!’

তবুও, তর্কবাগীশ নিজের বক্তব্য অটল থাকেন, স্পিকার অধিবেশন স্থগিত করে।

মওলানা তর্কবাগীশ মেডিকেল হোস্টেলে অবস্থিত কন্ট্রোল রুমের মাইক থেকে বক্তৃতা দেন, তিনি পরিষদ ভবনে উপস্থিত সদস্যদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। বক্তৃতা করার সময় তিনি ক্ষোভে-আবেগে কেঁদে ফেলেন।

আর, আজ, বাংলার সেই দামাল ছেলেরা পথে মরছে, ঘাটে মরছে, পুলিশের গুলিতে মরছে, কর্তৃত্বে চাপে মরছে,নীতির চাপে ধুঁকছে।

কোথাও কেউ নেই, একজন তর্কবাগীশ কে আজ বাংলার প্রয়োজন। বাংলার ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের জন্য একজন তর্কবাগীশকে প্রয়োজন।
ছাত্রদের দুঃখে এখন আর কেউ কাঁদে না, কিন্তু একজন তর্কবাগীশ কেঁদে ছিলেন। তিনি ক্ষোভে কেঁদেছেন, বিরহে কেঁদেছেন।

আমাদের আজ একজন তর্কবাগীশ দরকার।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: এখন তরুন সমাজ টিকটক করে। বেশির ভাগ সময় পার করে মোবাইল টিপে টিপে।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর আগে উনি আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ছিলেন, বিস্ময়কর ব্যাপার উনার সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। খুব একটা আলোচনাও হয় না।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো কথা ভালো উদ্যোগ মানুষের কাছে সব সময় তেতো লাগে।

আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে মানুষেরা নেতা হতেন!
এখন দুপেয়ে জীবের ছড়াছড়ি কেবলি... মানুষ কই?

একজন অভিভাবকের শুন্যতায় ঘর যেমন বাঁধনহীন হয়ে যায়, দেশও তেমনি!

কই সে মানুষ?
কই সে নেতা?

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৫

Sujon Mahmud বলেছেন: ভাবতেই গর্ভ বোধ করছি যে উনি আমাদের এলাকার লোক

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

মোহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল বলেছেন: যুগের অনুপাতে নতুন নতুন আত্নার জন্ম হয়। অন্যের উপর ভরসা না করে নিজের উপর ভরসা করুন, সমাজ-দেশ বদলাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.