![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...
আমরা অনেকেই কি ও কী-এর সঠিক ব্যবহার জানি না। প্রথমেই দেখা নিই এ সম্পর্কিত প্রমিত বানানরীতিটা কী।
প্রমিত নিয়ম ২.০১-এ বলা হয়েছে :
"সর্বনাম পদরূপে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে 'কী' শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন : কী করছ? কী পড়ো? কী খেলে? কী আর বলব? কী জানি? কী যে করি! তোমার কী। এটা কী বই? কী করে যাব? কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে। কী আনন্দ! কী দুরাশা!
অন্য ক্ষেত্রে অব্যয় পদরূপে ই-কার দিয়ে কি শব্দটি লেখা হবে। যেমন : তুমিও কি যাবে? সে কি এসেছিল? কি বাংলা কি ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী।"
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে (পরিমার্জিত সংস্করণ ডিসেম্বর ২০০০, পৃষ্ঠা ২৬১) দেয়া আছে এ রকম :
"কি, কী [কি] সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া বিশেষণ রূপে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে ঈ-কার, যেমন- 'কী রূপ' (কিন্তু 'কিরূপে')। সর্বনাম কোন বস্তু; কোন বিষয়ে (তুমি কী খাবে?) অব্যয় ১। সংশয়সূচক; প্রশ্নবোধক শব্দ (তুমি কি যাবে?)। ২। অথবা; কিংবা (কি শীত কি গ্রীষ্ম)। বিশেষণ, ক্রিয়া বিশেষণ ১ কোন্ রকমের (কী জিনিস?)। ২। কেমন (কী করে এ কথা বললে?)। ৩। কতো (কী আনন্দ!)"
'কিভাবে' বানানটি অনেকেই 'কীভাবে' লিখে থাকেন। কিন্তু ব্যবহারিক অভিধানে এই শব্দটা নেই, তবে বানান অভিধানে 'কিভাবে' হিসেবেই শব্দটা দেয়া আছে বলে আমার মনে হয় 'কীভাবে' বানানটি ভুল।
কিনা- একসঙ্গে লেখা। টাকা দেবে কিনা জানি না।
নাকি- একসঙ্গে লেখা। পাগল নাকি?
কিরে- একসঙ্গে লেখা। কিরে, ভাত খাবি নে?
কিসে (কী থেকে, কী জন্য)- একসঙ্গে লেখা। কিসে কী হলো।
এবার তাহলে আমার সন্দেহ দূর করুন; কোন্ টা সঠিক?
যাব কি যাব না, ভেবে পাই না।
নাকি,
যাব কী যাব না, ভেবে পাই না।
আরও দেখুন :
বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম সম্পূর্ণ (রিপোস্ট) ২৮ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম ১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:০০
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২২
খলিল মাহমুদ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০
তৃষ্ণার্ত বলেছেন: যাব কি যাব না, ভেবে পাই না। - এটাই ঠিক।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২২
খলিল মাহমুদ বলেছেন: শিওর?
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: +
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
খলিল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ বস, প্লাসানোর জন্য।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
গৌতম রায় বলেছেন: কি হবে যখন উত্তর হবে হ্যাঁ ও না দিয়ে। এছাড়া দুটো অপশনের মধ্যে উত্তর যখন দুটোই হয় তখনও কি হয় ি দিয়ে। যেমন- কি শীত কি গ্রীষ্ম, সে প্রতিদিনই স্কুলে আসে। এর বাইরে প্রায় সব কি লিখতে হয় ী-কার দিয়ে।
যাব কি যাব না, এটা বোধহয় ী-কার হবে।
ভালো প্রশ্ন করেছেন। এটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
খলিল মাহমুদ বলেছেন: আমার প্রশ্নের উত্তরটা জেনে জানান প্লিজ। ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
ডিমওয়ালা বলেছেন: --শুরুতেই বলি, যদি কোনো বেয়াদপি হয় তাহলে মাফ করবেন।
২য়ত, আমার উত্তরটা ব্যাকারনিক নয়।
আমার মতে দুটোই ঠিক। দুটোকে আর আলাদা করে না ধরে এখন থেকে আসেন একই ধরে নেই। ব্যাকারনিক যে কারন গুলো দেখালেন ওগুলো আমরা ভুলে যাই। কারন ২টা।
১, আমাদের ভাষা থেকে এসব জড়তা দুর করতে হবে। ভাষাকে আরো গতিশিল করতে হবে।
২, ভাষার মুল লক্ষ্য হলো দ্রুত ও সহজে এবং unambigous ভাবে, মনের ভাব প্রকাশ করতে দেওয়া। এখন এই যে কি ও কী এর বেলায়, লেখার সময় তফাত বোঝা গেলেও, বলার সময় কোনো তফাত বোঝা যায়না।
আমার মনে হয়, আমাদের এখন বের হয়ে আসতে হবে এসব পুরোনো ব্যাকারনিক নিয়ম থেকে। যে সময় এই নিয়ম গুলো লেখা হয়েছিলো সে সময় হয়তো এগুলোর কোনো যৌক্তিকতা ছিলো। কিন্তু এখনকার সময়ে সেগুলা হয়তো আর যৌক্তিক নয়।
ভাষার যেসব জড়তা থাকে, সেই ভাষা ও ভাষা ব্যবহারকারিরা হয়ে যাবে অচল।
ধন্যবাদ
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
খলিল মাহমুদ বলেছেন: 'আপনি কি খাবেন?' এটা মৌখিক ভাবে প্রশ্ন করলে উত্তরদাতা সঠিক উত্তর দিবেন, হ্যাঁ/না বাচক, বা সর্বনাম/বস্তু বাচক। কিন্তু লিখিতরূপে প্রশ্নটা ধরা কঠিন।
কি/কী-এর ব্যবহার অনেক প্রাচীন না, রবীন্দ্ররচনায় মাঝে মাঝে কী দেখা যায়; কিন্তু বাংলা একাডেমী প্রমিত বানানরীতি প্রণয়নের পর এর ব্যবহার ব্যাপকতা পায়।
"উনিশ শতকের আগে পর্যন্ত বাংলা বানানের নিয়ম বলতে কিছু ছিল না।
... ... ... ...
... ... ... ...
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে কর্মশালা করে ও বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে বাংলা বানানের নিয়মের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছেন।" সেই খসড়া এবং বিশ্বভারতী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমিতকৃত বানানরীতি থেকে সাহায্য নিয়ে বাংলা একাডেমী প্রমিত বানানরীতির পরিমার্জিত সংস্করণ ২৭ নভেম্বর ২০০০ তারিখে চুড়ান্ত হয়। প্রমিত রীতির বানান অনেক আধুনিক, সরল ও সহজবোধ্য। পুরোটা দেখুন এখানে Click This Link
আমাদের সব ধরণের জড়তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এরকম একটা আধুনিক রীতির প্রয়োজন। আপনার বক্তব্যের সাথে এজন্যই সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছি। নিয়মটা আগে পড়ুন, তারপর দেখবেন আপনি কতো জড়তাবিহীন।
ভালো থাকুন।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
পান্থ বিহোস বলেছেন: 'কিভাবে' বানানটি অনেকেই 'কীভাবে' লিখে থাকেন। কিন্তু ব্যবহারিক অভিধানে এই শব্দটা নেই, তবে বানান অভিধানে 'কিভাবে' হিসেবেই শব্দটা দেয়া আছে বলে আমার মনে হয় 'কীভাবে' বানানটি ভুল।
-
-
-
-
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান এবং বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধানে "কীভাবে" শব্দটি নেই। একথা ঠিক। তবে কীভাবে বানান কিভাবে হবে না তাই বলে।
"কী" এবং "কি"-এর সংক্ষিপ্ত একটি বর্ণনা দেয়া যায় এভাবে_ হ্যাঁ এবং না দিয়ে যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় তাহলে সেখানে "কি" হবে।
যেমন_ তুমি কি খেয়েছো? উত্তর : হ্যাঁ/ না
আর যদি প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বা না দিয়ে দেয়া না যায়, অর্থাৎ বর্ণনা করে দিতে হয় তাহলে প্রশ্নে "কী" হবে।
যেমন_ তুমি কী খেয়েছো? উত্তর : আমি ভাত খেয়েছি/ নাস্তা খেয়েছি।
এদিক থেকে চিন্তা করলে "কীভাবে" বানানটি "কীভাবে"-ই লিখতে হবে। কারণ "কীভাবে" দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর বর্ণনা করে দিতে হয়।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
খলিল মাহমুদ বলেছেন: আপনার বক্তব্য খুব পরিষ্কার। প্রাথমিক পাঠ্য হিসেবে এটাই সহজ উপায় কি/কী-এর ব্যবহার মনে রাখার। একটু উচ্চতর অধ্যয়নের ক্ষেত্রে পুরো নিয়মটি জানা থাকা বাঞ্ছনীয়।
যে শব্দটা অলরেডি অভিধানে দেয়া আছে লেখার ক্ষেত্রে সেটাই শুদ্ধ বানান হবে, আমার তাই ধারণা। যেমন, 'কিরূপে', এটাকে ভেঙে কী রূপে লেখার সুযোগ দেখি না। তেমনি 'কিভাবে' বানানটা অভিধানে এভাবেই আছে, যেমন আছে কিরে (কী রে হবে না), কিসে (কী সে হবে না), কিনা, নাকি, ইত্যাদি।
আর কী খবর?
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: আমি একটি সহজ উপায় জানি। অন্তত আমি এই পদ্ধতি সব সময় অনুসরণ করি। তা হল- যে ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর শুধু "হ্যাঁ" কিংবা "না" দিয়ে দেয়া যায়, সেক্ষেত্রে "কি" ব্যবহার করি। আর যেখানে শুধু "হ্যাঁ/না" বললে উত্তর যথার্থ হয় না, সেক্ষেত্রে "কী" ব্যবহার করি।
উদাহরণ- আপনি কি খান?- এর উত্তর হবে "হ্যাঁ" কিংবা "না"। কিন্তু যদি প্রশ্ন করি- আপনি কী খান?- তখন এর উত্তর হবে "ভাত" কিংবা অন্যকিছু।
আশা করি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
খলিল মাহমুদ বলেছেন: আপনি কি খান?
ডিমওয়ালাকে দেয়া উত্তরটা দেখুন প্লিজ। পান্থ বিহোসকে দেয়া জবাবটাও দেখুন এ ব্যাপারে।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: @পান্থ বিহোস
আপনার মন্তব্য আমি এই মাত্র পড়লাম। প্রথমে লক্ষ্য করিনি। আপনার আর আমার ব্যাখ্যা একই হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:০৬
খলিল মাহমুদ বলেছেন: আমিও তো আপনার এ লেখাটা খেয়াল করি নি।
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পান্থ বিহোস বলেছেন: প্রুফের কাজ করেন এমন একজনের সাথে কথা বললাম বিষয়টা নিয়ে। তিনি জানালেন এক দেড় বছর ধরে তাঁরা "কীভাবে" ব্যবহার করছেন। আচ্ছা, আপনার কাছে কি বাংলা একাডেমি অভিধানের নতুন সংস্করণ আছে?
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
খলিল মাহমুদ বলেছেন: তিনি যদি দেখাদেখি লিখে থাকেন, তাহলে তাঁর 'কীভাবে' বানান শুদ্ধ হিসেবে ধরা মনে হয় ঠিক হবে না। তিনি যার টা দেখে লিখেন, তিনি যদি মনে করেন নিয়মানুযায়ী 'কীভাবে'ই ঠিক, সেটা ভিন্ন কথা, যেমন আমিও মনে করছি নিয়মানুযায়ী 'কিভাবে'ই ঠিক। লক্ষ্য করুন, কী ভাবে- এখানে দুটো শব্দ, কিভাবে- এখানে একটি শব্দ, যার বানান সুনির্দিষ্ট করে বানান অভিধানে লেখা রয়েছে। কীভাবে শুদ্ধ হলে 'কীরূপে'ও শুদ্ধ হবার কথা, কিন্তু 'কিরূপে'ই শুদ্ধ। (এই পোস্টেই নিয়মের মধ্যে দেয়া আছে)। তাই জনৈক প্রুফরিডারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাঁর বানানটা শুদ্ধ নাও হতে পারে।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৪৩
ডিমওয়ালা বলেছেন: "লেখক বলেছেন: 'আপনি কি খাবেন?' এটা মৌখিক ভাবে প্রশ্ন করলে উত্তরদাতা সঠিক উত্তর দিবেন, হ্যাঁ/না বাচক, বা সর্বনাম/বস্তু বাচক। কিন্তু লিখিতরূপে প্রশ্নটা ধরা কঠিন। "
-- কথা ঠিক, কিন্তু, প্রশ্নটা সহজ হয়ে যাবে contextual তথ্য থেকে।
একই সাথে বাক্য বিন্যাস বদলালেও কিন্তু ব্যাপারটা সহজ হয়ে দাড়ায়:
"আপনি কি কি খাবেন" আর "আপনি কি কিছু খাবেন" বললেই ভাবটা সঠিক ভাবে প্রকাশ পায়। আপনি যদি এখন ভাষার সংখিপ্ত রুপ গুলো নিয়ে ব্যাকারনের নিয়ম বানান তাহলে সেটা হবে বাহুল্য মাত্র।
"লেখক বলেছেন: প্রমিত রীতির বানান অনেক আধুনিক, সরল ও সহজবোধ্য।"
-- আমি মোটামুটি দেখলাম। আমি অসশিকার করছিনা যে নিয়ম গুলো হয়তো তাদের পুরবোসুরির তুলনায় আধুনিক, সরল ও সহজবোধ্য। কিন্তু তারপরেও বরতোমান যুগের বিচারে আধুনিক এনাফ(enough)
নয়। যেসব জিনিষকে ভিত্তি করে ব্যাকারনের নিয়ম করা হয়েছে সেগুলোর কোনোটাই এ যুগে যৌক্তিক না। কোন শব্দ সংষ্কৃত থেকে এসেছে আর কোনটা বিদেশি, তাতে আমি একজন সাধাড়ন ভাষা ব্যাবাহারকারি, তাতে আমার কি এসে যায়।
ভাব প্রকাশের জন্য আমারতো জানার দরকার নাই যে কোন শব্দ কোথা থেকে এসেচে। আজকের যুগে যেটা সঠিক উচ্ছাড়ন সেটাকে প্রকাশ করতে পারলেই হলো। ৫০ বছর পরে যেয়ে যদি উচ্ছারং হয় তাইলে তখন তাই-ই হবে।
এতে করে লাভ কি হবে, লাভটা হবে ভাষার বিকাশ।
একটা ভাষাকে বিকাশ হতে না দেওয়া হলো একটা বাচ্চাকে বড় হতে না দেওয়ার মতো।
"গুজবে শুনেছি" - হলিউডে নাকি অনেক চাইল্ড স্টার আছে, তাদেরকে নাকি ওষুধ খাইয়ে ১৮/১৯ বচ্ছর পর্যন্ত বাড়তে দেওয়া হয় না।
আমরা এসব হাজার বছরের পুরোনো নিয়মের ধার ধরে ঠিক ঐ কাজটাই করছি ভাষার বেলায়।
"লেখক বলেছেন: 'আমাদের সব ধরণের জড়তা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এরকম একটা আধুনিক রীতির প্রয়োজন।' আপনার বক্তব্যের সাথে এজন্যই সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছি। নিয়মটা আগে পড়ুন, তারপর দেখবেন আপনি কতো জড়তাবিহীন।"
-- আমি কিন্তু বলেছি খালি ব্যাকারনিক ও ভাষাগত জড়তার কথা। সবধরনের জড়তার কথা না।
-- নিয়মটা পড়লাম। তবে আমি কিন্তু এই লেখার কোথাও নিজেকে জড়তাবিহিন দাবি করি নি।
ধন্যবাদ
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৩
খলিল মাহমুদ বলেছেন: "আজকের যুগে যেটা সঠিক উচ্ছাড়ন সেটাকে প্রকাশ করতে পারলেই হলো।"......আমার মনে হয় পৃথিবীর কোনো ভাষারই এরকম বানানরীতি নাই। যে কোনো আধুনিক ভাষার জন্য একটা সর্বাধুনিক বানানরীতির প্রয়োজন; তা আছেও। বইয়ের ইংরেজি বুক কিভাবে লিখবেন? উচ্চারণ বুক দেখুন ইংরেজিতে : book, buk, buuk, buok, bouk, booke, bwuk, bwok,buwk. বানানের এমন জগাখিচুড়ি অবস্থা নিশ্চয়ই চলতে পারে না, তাই না? তাই হুবহু উচ্চারণের অনুরূপ বানান সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধ নয়।
এগুলো উচ্চতর অধ্যয়নের বিষয়; ধাপে ধাপে না এগুলোকে বোঝা মুশকিল। আমিও যে পুরোপুরি বুঝি অবশ্যই তা না ; কেবল বই থেকে নিয়মটুকু ঠুকে দিয়েছি। যাঁরা পুরনো অভিধান কিংবা ভারতীয় অভিধানে অভ্যস্ত তাঁদের জন্য এ আধুনিক ও সরলীকৃত বানানরীতিটি বুঝতে সামান্য বেগ পেতে হবে বৈকি।
তবে এ ব্যাপারে আপনার প্রবল আগ্রহ আমাকে আনন্দ দিল। ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ২:৪৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: যথারীতি চমৎকার।
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:২৩
খলিল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৭:৫০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
১) তোমার নাম কী?
২) তোমার নাম কি খলিল?
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫
খলিল মাহমুদ বলেছেন: ১। খলিল
২। হ্যাঁ
খুব সুন্দর।
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:০২
আট আনা বলেছেন: বেশ কিছুদিন আগে হুমায়ুন আহমেদের একটা বইতে এইটা পড়েছিলাম। সে অবশ্য এত রেফারেন্স দেয় নাই।
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫
খলিল মাহমুদ বলেছেন: হুমম।
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:০৫
তনুজা বলেছেন: যাব কি যাব না, ভেবে পাই না
আপনি নিজেই তো বলে দিয়েছেন , আবার সংশয় কেন?
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
খলিল মাহমুদ বলেছেন: এটা কোন্ নিয়মে পড়ে তা নিয়ে সন্দিহান। ক্রিয়া বিশেষণ যদি হয়, তবে হবে 'কী।' অথবা/কিংবা হলে হবে 'কি'। সংশয়সূচক নিয়মটা নেই। মোট কথা ব্যাকরণবিদের শরণাপন্ন হতে হবে এখন এই 'যাব কি যাব না' নিয়ে।
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:১০
মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: কী যে করি!!
যাব কি যাবো না, ভেবে পাই না।
আবার কী নিয়ে যাবো, তাও ভেবে পাই না।
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৪৬
খলিল মাহমুদ বলেছেন: তনুজা দ্রষ্টব্য।
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি এরকম টি জানতাম যে প্রশ্নের উত্তর হা বা না দিয়ে অর্থাৎ এক কথায় দেয়া যায় সেটায় কি ব্যবহৃত হয়
আর যেটাতে যায় না সেখানে কী ব্যবহৃত হয়
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৭
খলিল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম ভাই।
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অনেকেই ভাষার গতির কথা বলে বাংলা বানানকে সহজ করার কথা বলেন...!
বাট আমি বলি প্রতিটা ভাষার নিজস্ব কিছু ঐতিহ্য আর বৈশিষ্ট্য আছে... তাই বাংলা বানানের এই জটিলতাটা আমি উপভোগ করি...
আচ্ছা ইংরেজরা কি তাদের উদ্ভট বনানগুলো গতির দোহাই দিয়ে বদলাইছে...?
যেমন: মম, থট, লাফ, লেফটেনেন্ট, ভন ইত্যাদি...
খলিল ভাই উপরের কিছু কমেন্ট পড়ে এই কমেন্ট করলাম...
আশা করি ভাল আছেন?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১
খলিল মাহমুদ বলেছেন: খুব ভালো উদাহরণ দিয়েছেন। মনে ধরলো। আমিও এ জটিলতা উপভোগ করছি। আসলে নিয়মগুলো খুব সহজ। একবার রপ্ত হয়ে গেলে আর কোনো জটিলতা থাকে না।
ধন্যবাদ সুপান্থ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
সাদা কাগজ বলেছেন: ১ম +