![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারানোটা কেবল স্মৃতিতেই থাকুক। স্মৃতির পটে থাকুক চিরসতেজ ও অমলিন।
এটা একটা ভার্চুয়াল মাজার। অনলাইনমুখী মানুষদের ইবাদত আরো সহজ করার জন্য মাজারটি স্থাপিত করা হয়েছে। যেখানে মানুষজন সহজেই অনলাইনে ইবাদত করতে পারবে। এখানে রয়েছে অনলাইনে কম পরিশ্রম ও কম সময়ে নেকি এবং সওয়াব হাসিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের সাথে সাথে মানুষজন খাপ খাওয়াচ্ছে। পড়ালেখা, আড্ডা, বিনোদন, কেনা-কাটা, পাত্র-পাত্রী দেখা, বিয়ে-শাদি, প্রেম-ভালোবাসা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চাকরি ও আয়-রোজগারসহ আরো অনেককিছুই এখন অনলাইনে করা যাচ্ছে। শুধু একটা অভাব ছিল অনলাইনে ইবাদত করার।
অনলাইনে ইবাদত করার এই অভাবটা দূর করতেই এই ভার্চুয়াল মাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মাজারটি প্রতিষ্ঠা করার সাথে সাথে আরো কিছু ইবাদতের নিত্য-নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এতে সহজেই মানুষজন দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য অশেষ সওয়াব এবং নেকি হাসিল করতে পারবে। মাজারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রিন্স গুলজার আরেফিন। তার আসল নাম মোঃ গুলজার মিয়া। ফেসবুকের আসার পর মোঃ গুলজার মিয়া নাম বদলে প্রিন্স গুলজার আরেফিন রেখেছে। যাহোক, প্রিন্স গুলজার আরেফিন অনলাইনমুখী মানুষদের খুব সহজে ও অল্প পরিশ্রমে ইবাদত ও নেকি হাসিল করার জন্য এই মাজারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং নিজে উক্ত মাজারের স্বঘোষিত প্রধান খাদেম হিসেবে অধিস্থিত হয়েছেন। তার সাথে রয়েছেন বেশকিছু সহকারী খাদেম। সেই সাথে মাজারটির ভক্তদের জন্য ইবাদতের জন্য বিশেষ নিয়ম-কানুনের ব্যবস্থা করেছেন।
এখানে ভক্তদের ইবাদতের বিশেষ নিয়মগুলো হচ্ছে: মাজারের খাদেম গুলজার এবং তার সহকারী খাদেমদের তৈরি করা পোস্টগুলোতে শেয়ার, লাইক, কমেন্ট, মানুষজনদের ইনবক্সে ধর্মীয় ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড এবং তা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছানো। ভক্তদের এসব প্রত্যেকটি কাজের জন্য নেকি’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেমন:
১। কেউ তাদের তাদের পোস্টে লাইক দিলে পাবে ৫ নেকি।
২। তাদের পোস্টগুলোতে কেউ আমিন, ইনশাল্লাহ্ ইত্যাদি লিখে কমেন্ট করলে পাবে ১০ নেকি।
৩। তাদের পোস্টগুলো শেয়ার করলে পাবে ২০ নেকি।
৪। তারপর আছে মানুষজনদের ইনবক্সে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড করা যেগুলো ফরোয়ার্ড করলে পরে মাসেই লাখ লাখ টাকাসহ ও বিভিন্ন ধরনের সুসংবাদ পাওয়া যাবে। ম্যাসেজ ফরোয়ার্ডের মাধ্যমে ভক্তরা পাবে ৫০ নেকি।
৫। তাদের পোস্টগুলোতে কমেন্ট ছাড়াও শুধুমাত্র পোস্টগুলো কপি করে বিভিন্ন সংবাদপত্রের পেজ, সেলিব্রেটি বা জনসাধারণের দেয়া পোস্টগুলোতে গিয়ে কমেন্ট করা। লোকজন বিরক্ত হোক বা না হোক তাতে কোন সমস্যা নেই, যতবার ইচ্ছা কমেন্ট করা যাবে। এতে পাওয়া যাবে ৩০ নেকি। ভক্তরা এক পোস্ট কপি করে মানুষ বা পেজের কোন পোস্টে গিয়ে যতবার ইচ্ছা ততবার মন্তব্যের জায়গায় পেস্ট করতে পারবে। যতবার পেস্ট করবে নেকি তত বেশি।
৬। তাছাড়া আরো আছে মানুষদের টাইমলাইনে গিয়ে নারীদের পর্দার গুরুত্ব বোঝানো, এতে বেশ সফলতা লাভ হয়েছে। ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, নায়ক-নায়িকাসহ প্রায় সেলিব্রেটি’র পেজে এই আন্দোলনের সারা পাওয়ার ব্যাপারটি লক্ষ করা যায়। এখানে ভক্তরা পাবে ৭০ নেকি।
এখানে উল্লেখ্য, প্রধান খাদেম গুলজার একটি মাজারটির জন্য আলাদা অ্যাপস বানিয়ে রেখেছেন। যার দ্বারা কে কত আমিন আমিন বলে কমেন্ট করল, কে কতবার লাইক, শেয়ার দিল এবং কে কতবার ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড করল তা অ্যাপসে কাউন্ট হবে। কাউন্ট অনুযায়ী নেকি বাড়বে। নেকি অনুযায়ী সেসব ভক্তরা গুলজারের খাস মুরিদ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এবার গুলজারের সহকারী খাদেমদের কাজগুলো কি কি তা জানি।
১। বিভিন্ন জায়গায় যেমন মাংসের টুকরায়, মানুষের শরীরে, শাক-সবজি, ফলমূল, পশু-পাখি, আকাশ-বালু, মাটি-পানিসহ বিভিন্ন জায়গায় ফটোশপের মাধ্যমে আল্লাহর নাম লিখে তা ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রচারণামূলক পোস্ট দেয়া এবং পোস্টের নিচে লিখে দেওয়া কেউ আমিন না বলে যাবেন না।
২। দ্বিতীয় কাজটি হল সাপের পা, ব্যাঙের শিং, ইঁদুরের হাত, ছয় পা ওয়ালা কুকুর-বিড়ালসহ যাবতীয় প্রাণীর এক পা খুড়া, এক চোখ কানা, একাধিক মাথাসহ বিভিন্ন রকম এডিট করে ভক্তদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নিয়ামত হিসেবে প্রচারণা করা এবং ভক্তদের সুবহানাল্লাহ্ লিখে কমেন্ট করার জন্য আহ্বান জানানো।
৩। তৃতীয় কাজটি ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড: ফরোয়ার্ড করার জন্য বিভিন্ন ম্যাসেজ তৈরি করা। কিছু সহি হাদিস ও কিছু কু-হাদিস, কোরআনের বাংলা অনুবাদ, তাদের নিজস্ব কিছু বার্তা লিখে এসব ম্যাসেজ তৈরি করা হয়। ম্যাসেজের নিচে লিখে দেয়া হয় এই ম্যাসেজটি আরো ত্রিশ-চল্লিশজন ব্যক্তিকে পাঠালে জান্নাত নিশ্চিত এবং অল্পদিনের মধ্যেই কোন বিশেষ সু-সংবাদ বা কোটিপতি নিশ্চিত সম্ভাবনা।
৪। চতুর্থ কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন হাদিস তৈরি করে সেলিব্রেটিদের পেজে গিয়ে হাদিসগুলো কমেন্টে দিয়ে আসা। তাদের স্ত্রী-বোনরা কেন পর্দা করে না তা নিয়ে কিছু গালিগালাজ করা। তাদের এ কাজের সাফল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রিকেটার সাকিব-তামিমসহ যাবতীয় সেলিব্রেটি’র পেজে গেলেই জানা যায়।
৫। পঞ্চম কাজটি হল ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেজ এবং গ্রুপ তৈরি করে তাতে ইসলামিক নাম বসিয়ে নতুন নতুন ভক্ত তৈরি করা ও তাদের সাবক্ষণিক একটিভ রাখা। গ্রুপে যত্রতত্র জনসাধারণকে অনুমতি ছাড়াই এড করে নেয়া। কেউ যদি অনুমতি না নিয়ে বারবার গ্রুপ থেকে লিভ নেয়ার পরও আবার গ্রুপে এড করার কারণে বিরক্ত হয়ে গালি দেয় তবে পেজ বা গ্রুপের সবাই একজোট হয়ে তার আইডিতে গণহারে রিপোর্টকরণ।
৬। সহকারী খাদেমদের ছয় নম্বর কাজটি হল ইসলামিক নাম দিয়ে খবর তৈরি করা। ভার্চুয়াল জগতে গুজবের দ্রুত প্রসার থাকায় সহকারী খাদেমরা তাতে কোমর বেধে কাজ করছেন। যেমন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শালী ইসলাম গতকাল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, ভারতে ওমুক নায়িকা ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া তুরস্কের নেতা এরদোর্গান কিছুদিন পর পর ভারত, মিয়ানমার ও আমেরিকা আক্রমণ করে থাকেন তা জানা যায় এইসব গ্রুপ ও পেজগুলোর কল্যাণে।
৭। সাত নম্বর কাজটি হচ্ছে চটকধার খবর তৈরি। কারণ মাজারের খেদমতে বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পত্রিকাগুলোর বেশিরভাগে নিউজ হয় এরকম “এ কি করলেন ওমুক নায়িকা, ওমুক খেলোয়ার দেখুন ভিডিও সহ”। তাছাড়া বিদেশি গেমস, মুভি, শর্টফিল্প কাটছাট করে কিছু মুখরোচক নিউজ তৈরি করা। এক্ষেত্রে তারা ইরানের রেডিও তেহরানের বাংলা ভার্সনকে ফলো করে থাকেন। রেডিও তেহরানে কোন নিউজ শেয়ার হওয়া মাত্র এই অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলোতে দ্রুত শেয়ার করা হয়। আর বাকি অর্ধেক কলকাতার পত্রিকা ও দেশের পত্রিকাগুলো থেকে কপি করা হয়ে থাকে।
এভাবে হযরত মুড়ি শাহ এর ভার্চুয়াল মাজারের অগ্রগতি দিন দিন বাড়ছেই। বর্তমানে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ভক্তগণ অগণিত নেকি’র আশায় মাজার কর্তৃক প্রদত্ত পোস্টগুলো লাইক, কমেন্ট, শেয়ারসহ যাবতীয় দেশের সব পত্র-পত্রিকায় তাদের ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ওহ, সবকিছুই জানা গেল এবার মাজারের পীর হযরত মুড়ি বাবার সম্পর্কে কিছু জানি। কথিত আছে -মুড়ি বাবা মাদাগাস্কেরর একজন বড় পীর ছিলেন। পরে বাংলাদেশে এসে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে লোকজনের হেদায়াতের জন্য থিতু হন। বিভিন্ন ধরনের কেরামতি দেখাতে পারতেন। ছাগলকে হাঁস বানানো, কুকুর কে বিড়াল বানানো, গরুর মুখ দিয়ে মানুষের মত কথা বলানোসহ অনেক কেরামতি দেখাতে পারতেন।
তবে দেশের সুশিল সমাজ বলে থাকেন বাংলাদেশের কোন একটি অজপাড়া গায়ে এ মুড়ি বাবার জন্ম। তার আসল নাম হাদু মিয়া। ছোটবেলা একবার একবাড়ি থেকে মুড়ি চুরি করার পর এলাকায় মুড়ি চোরা নামে পরিচিত ছিলেন। ছোট বেলা থেকে ছোট-খাট চুরি-চামারি করে ধীরে ধীরে ডাকাতির পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এই মুড়ি চোরা। একবার ওনাকে ডাকাতিতে হাতে-নাতে ধরে এলাকার লোকজন রাম-ধোলাই দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে এলাকা থেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। প্রায় ২০ বছর পরে গ্রামে পুনরায় ফিরে এসেছিলেন এই মুড়ি চোরা। এলাকাবাসী প্রথমে না চাইলেও তার বৃদ্ধ বয়সের কথা চিন্তা করে গ্রামে থাকতে দেয়। পরে এই মুড়ি চোরা আশ-পাশের দু-চার গ্রাম মিলিয়ে যত গাঁজাখোর ছিল তাদের নিয়ে একটি গাঁজার আড্ডাখানার স্থাপন করেন। এটা একসময় অাখড়ায় পরিণত হয়েছিল, কিছুদিন পর পর দেশের প্রায় অঞ্চল থেকেই বিখ্যাত গাঁজাখোর পাগলা গায়করা এসে গান-বাজনা করতেন। তাছাড়া কিছু মহিলা এনে এখানে নাচ-গানের ব্যবস্থাও ছিল। মুড়ি চোরার মৃত্যুর পর এলাকাবাসী গ্রামের কবরে তাকে দাফন করতে না দেওয়ায় তাকে গাজাঁর আখড়ার পাশেই কবর দেওয়া হয়েছিল। তখনও ওখানে গাঁজার আড্ডা ও গান বাজনা ব্যাপকভাবে চলতেছিল। পরে কেন যেন কবরটি পাকা করে মাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে। মুড়ি চোরার কবর এর নাম পাল্টে হযরত মুড়ি শাহ্’ এর মাজার নামকরণ করা হয়। ধীরে ধীরে মাজারটিতে মানুষের আনা-গোনা বাড়তে থাকে। অন্যান্য মাজারের মত মুড়ি শাহ’ এর মাজারও একদিন লোকে-লোকারণ্য হয়, বছরে চার-পাঁচবার ওরশ বসে, মাহফিল, মেলা তো লেগেই থাকে। গুলজার এই মাজারটিকে সর্বশেষ অনলাইন ভার্সন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রথমে মাজারের অল্প-কিছু তরুণ ছেলেদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর ইন্টারনেটের বিশাল নেটওয়ার্ক থাকায় মাজারটি প্রসার দ্রুত বেড়ে যায়।
গুলজার আজ ভাবছেন অনলাইনে মাজারটির প্রচারণার প্রথম দিককার কথা! তখন কি পরিশ্রমটাই না করতে হয়ে গুলজারকে। প্রথমে নিজের আইডি দিয়ে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছিলেন। তেমন একটা সাড়া না পাওয়ায় এঞ্জেল সুমি, এঞ্জেল নার্গিস, প্রিন্সেস জেরিনসহ প্রায় দশ-পনেরটা নামে ফেসবুকে আইডি খুলেন। তারপর মানুষদের এড দেওয়া শুরু করেন। মেয়েদের আইডি দেখে মানুষজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। প্রতিটি আইডিই কিছুদিনের মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তারপর ইসলামী নাম দিয়ে ফেসবুকে তিনটি গ্রুপ খোলেন। প্রতিটি আইডি’র যত ফ্রেন্ড ছিল সবাইকে এড করা শুরু করেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে অানফ্রেন্ড করে দিত। তাতে কিছু আসত-যেত না গুলজারের। আস্তে আস্তে গ্রুপ তিনটিতেই লক্ষ লক্ষ মেম্বার হয়ে যায়। তারপর আবার পেজ খুলতে থাকেন। পেজের পোস্টগুলো রিচ করার জন্য মানুষদের বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট করতে হত গুলজারের। যেমন:- কাপড়, চুল, নখ, ইত্যাদির ছবি দিয়ে সাথে লিখে দিতেন ওমুক নবী ওমুক পীরের এগুলো, এটা দেখার পর সবাই সুবহানাল্লাহ লিখুন। ফটোশপের মাধ্যমে গরুর চারটি মাথা তৈরি, মাংস, লতা-পাতা, গাছগাছালি, পশুপাখি, আকাশ ও পানির উপর আল্লাহ’র নাম লিখে তাদের পেজে ও গ্রুপে পোস্ট দিতেন এবং ফ্যানদের বলে দিতেন কেউ আমিন না বলে যাবেন না। কমেন্টে সুবহানাল্লাহ্ ও আমিন পুরনো হওয়ার পর ইয়েস-নো, আল্লাহর কসম, বাবার কসম, হ্যাঁ-না, জন্মতারিখ, নামের প্রথম অক্ষর, বউ কয়টি ইত্যাদি কমেন্টে লিখা সহ বিভিন্ন নতুন নতুন অপশন নিয়ে আসতেন।
প্রচারণার আরেকটি হচ্ছে নিউজ শেয়ার। কিছুদিন পর পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা আক্রমণের শিকার হয়, আর গুলজার লিখতে থাকেন তুরস্কের এরদোগান এই জাহাজ পাঠিয়ে দিল বার্মা আক্রমণের জন্য। এসব নিউজ লোকে খুব খেত। সানি লিওন মুসলমান হয়ে গেছেন, ঐশ্বরিয়া মুসলমান হয়ে গেচ্ছেন, জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে মুসলমান হয়ে গেছেন টাই নিউজ দিতেন এবং বলে দিতেন আমিন আমিন কমেন্ট করে দ্রুত নিউজটা শেয়ার করার জন্য। ভক্তগণ গুলজারের নির্দেশ মেনে দ্রুততার সাথে শেয়ার ও কমেন্টের কাজটি সম্পাদন করতেন। ধীরে ধীরে গুলজারের সহকারী হিসেবে বেশকিছু সহকারী খাদেম নিয়োগ দিলেন। তাদের কেউ গুলজারের জন্য নিউজ তৈরি করে ও কপি করে, কেউ কেউ ফটোশপের কাজটি সম্পাদন করে, কেউ পেজ চালানোর দায়িত্ব পালন করে। আবার কেউ ম্যাসেজ তৈরি করে ফরোয়ার্ড করার জন্য।
কিছুদিন হল গুলজার অনলাইনে মাজারের তৈরি পণ্য বিক্রি করা শুরু করেছেন। কোম্পানি’র নাম দেয়া হয়েছে ইসলামী অনলাইন শপ ডট কম। বিভিন্ন রকমের পাথর, তাবিজ, গাছের মূল, গাছের ছাল, ডাল, পাতাসহ জোঁকের তেল, কুকুরের তেল, বিড়ালের তেল, কুমিরের তেল, শিয়ালের তেল, ষাণ্ডার তেল ইত্যাদি পণ্যগুলো বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। এর মধ্যে সবচাইতে বেশি বিক্রি হয় ইসলামী চা পাতা ও ইসলামী মধু। পণ্য প্রসারের ক্ষেত্রে গুলজার ভারতীয় কোম্পানি পতঞ্জলির নিয়মকানুন ফলো করে থাকেন। কোম্পানির নামের আগে ইসলামী শব্দ জুড়ে দেয়ায় মানুষজন দেদারসে পণ্য কিনে নিচ্ছে। গুলজার স্বপ্ন দেখেন একদিন পতঞ্জলির মত তার ইসলামী অনলাইন শপ ডট কম কোম্পানিটিও দেশের সেরা কোম্পানির মধ্যে একটি হবে। ইসলামী সাইকেল, ইসলামী শাক-সবজি, ইসলামী সয়াবিন তেল, ইসলামী চেয়ার-টেবিল, ইসলামী খাতা-কলম, ইসলামী বার্গার-স্যান্ডুইচ, ইসলামী মোবাইলসহ আরও বেশ কিছু পণ্যের ইসলামি নামকরণের জন্য ভেবে রেখেছেন গুলজার। সেই সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গ পাওয়ার ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে কোনকিছু হলে সুপারিশ পেতে সুবিধা হয়। অল্প কিছু পাতি নেতা অবশ্য গুলজারের মাজারের ভক্ত হয়েছেন। গুলজার আফসোস করেন যদি বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সানিধ্যে যেতে পারতেন তবে জনপ্রিয়তার তলানীতে থাকা ঢাকার সিনজি সার্ভিসটার নাম পাল্টে ইসলামী পরিবহন করে দিয়ে সিএনজি’র সুদিন ফেরাতে পারতেন। যত কিছুই হোক ইসলামী নামটা দেখে সিএনজি’কে মানুষজন তখন আর অত হেলা করতে পারত না। উবার, পাঠাও এর আদলে লাগাও নামে কোন সার্ভিস আনার কথাও মাথায় রেখেছেন।
বর্তমানে গুলজার অনলাইনে মানুষদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছেন। বাতের ব্যথা, মনের ব্যথা, জ্বীনে ধরা, তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়া, প্রেমে সফলতা, অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করা, যৌনরোগসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকেন। এ কাজটি তিনি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও ইমুর মাধ্যমে সম্পাদন করেন। মানুষজন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার কাছে ম্যাসেঞ্জারে বা ইমুতে বার্তা পাঠান। গুলজার কিছুক্ষণ পর পর সেগুলোর সমাধান দেন। এতে একটি সমস্যাও হয়। যেমন কিছু আজাইরা মানুষজন যতসব ফাউল বিষয় নিয়ে তার কাছে সমাধান চান। গুলজার এতে খুব বিরক্ত হয়।
গত কয়েকদিন যাবৎ গুলজারের কাছে ভালো কোন বিষয় নিয়ে মানুষজন আসছে না। তারপরও ম্যাসেঞ্জার ও ইমুতে বহু ম্যাসেজ জমা পড়ে আছে। একটা একটা করে গুলজার সেসব বিষয়ের সমাধান দিচ্ছেন। চলুন কিছু ম্যাসেজ দেখি:-
১ম ম্যাসেজ:
- হুজুর, সালামালিকুম।
- ওয়ালাইকুম সালাম।
- শরীরটা ভালো আছে হুজুরের?
- হুমম, ভালো আছে। সমস্যা কি বলেন?
- হুজুর, আমি একটা বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলাম।
- জানতে চাচ্ছেন বুঝলাম, কি জানতে চাচ্ছেন সেটা তো আগে বলেন?
- হুজুর, আসলে আমি জানতে চাচ্ছিলাম ঢাকায় এখন মশার কয়েলের দাম কেমন?
- ওই, তুই কি ভীনগ্রহ থিকা নামছুস বেটা? এই গ্রহে থাকলে অন্তত তোর কয়েলের দাম জানার কথা। (ব্লক)
২য় ম্যাসেজ:
- হুজুর, আসসালামু আলাইকুম, ভালো আছেন হুজুর
- হুমম, আমি ভালোই আছি। আপনি কি বলতে চান বলেন?
- হুজুর আমার বাসায় কয়েকটি মাছ ভাজা রয়েছে।
- মাছ ভাজা আমারও ভালো লাগে, খেয়ে ফেলুন।
- হুজুর আমি মাছ ভাজা চায়ের মধ্যে ভিজিয়ে খেতে চাচ্ছিলাম। এভাবে খাওয়া জায়েজ কি না তাই জানতে চাচ্ছিলাম।
- মাছ ভাজা গুয়ের মধ্যে ভিজিয়ে খা হারামজাদা। কোথা থেকে দড়ি ছিড়ে আসে ছাগলগুলো। (ব্লক)
৩য় ম্যাসেজ:
- হুজুর, আসসালামালিকুম
- ওয়ালাইকুম সালাম। সমস্যা কি বলেন?
- হুজুর, আমি ভাত খাচ্ছি।
- ভাত খাওয়াতে সমস্যা কই?
- হুজুর আমি ভাতের সাথে তরকারীও খাচ্ছি।
- ভাতের সাথে তরকারী খাবেন না তো কাগজ খাবেন নাকি?
- হুজুর আসলে বলতে চাচ্ছিলাম, তরকারিটা অনেক ছোট সাইজের চিংড়ি মাছের ছিল।
- আরে মিয়া, তাতে সমস্যা কি? খেয়ে ফেলেন জলদি।
- না হুজুর, আমি চাচ্ছিলাম চিংড়ি মাছগুলোর মধ্যে শুধু মেয়ে চিংড়িগুলো খেতে। কিন্তু রান্না হওয়া চিংড়ি মাছগুলোর মধ্যে কোনটা মেয়ে আর কোনটা ছেলে চিংড়ি চিনতে পারছি না।
- হালার পো হালা, জীবনে কত কিছু দেখলাম, কিন্তু তোর মতো নমুনা আমি আজও দেখি নাই। (ব্লক)
আজ ভালো কোন বিষয় নিয়ে কেউ আজ নক না করায় গুলজার তার ফেসবুক টাইমলাইন দেখতে লাগলেন। কতজন কতকিছু পোস্ট করেছে। মানুষদের আজে বাজে ন্যাকামি, লুলামি পোস্ট দেখে ভালো লাগে না গুলজারের। ভাবেন তাদের মনে কি মরণের ভয় নাই নাকি? টাইমলাইন দেখতে দেখতে গুলজারের চোখ পড়ল তার পরিচিত একজন ছোট ভাইয়ের। সে ছেলেটাকে গুলজার ম্যাসেজ ফরোয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন ম্যাসেজ পাঠাতেন। তাছাড়া ছেলেটার সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কথা হত। কিন্তু আজ ছেলেটা কতগুলো বেপর্দা মেয়েদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। রাগে ছেলেটাকে নক করলেন গুলজার।
- কি অবস্থা কেমন আছো?
- জ্বী, হুজুর আমি ভালো আছি? আপনি কেমন আছেন?
- তোমার কাজ-কাম দেখে কি আর ভালো থাকা যায়? সারাদিন কি শুধু মেয়েদের সাথে সেলফি উঠাও নাকি?
- কি আর করব হুজুর! আমি এখন বেহেস্তের টিকিট পেয়ে গেছি। তাই আর কোন চিন্তা নেই।
- কি বলছ তুমি? বেহেস্তের টিকিট পেয়ে গেছে মানে কি?
- হুজুর আপনি আমাকে আগে যে ম্যাসেজ পাঠাতেন আর বলতে এগুলো ফরোয়ার্ড করলে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক টাকা পয়সার মালিক হব আর কোন সুসংবাদ আসে। টাকা পয়সা না পেলেও সুসংবাদটা পেয়ে গেছে। স্বপ্নে একদিন দেখি আমার বেহেস্ত কনফার্ম হয়ে গেছে। তাই মনের সুখে সেলফি উঠাচ্ছি।
এ কথা শুনে রাগে জ্বলতে লাগলেন গুলজার। আর কিছু না বলে আবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইন দেখতে লাগলেন। আরেকজন লোকের একটি স্ট্যাটাসে চোখ পড়ল গুলজারের। স্ট্যাটাসে লোকটি একটি প্রেমের গল্প লিখেছেন এবং প্রায়ই লোকটির গল্প গুলজারের চোখে পড়ে। তা দেখে গুলজার লোকটিকে ম্যাসেঞ্জারে নক করলেন-
- আসসালামু অালাইকুম, কেমন আছেন?
- আছি তো ভালোই, আপনি কে?
- আমি গুলজার। অনেকদিন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন, তাই ভাবলাম একটু পরিচিত হয়ে নেই।
- ওহ্ আচ্ছা।
- আচ্ছা আপনি তো প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে গল্প লিখেন। রোহিঙ্গারা সমস্যায় আছে, মানুষজন এখন দ্বীনের পথ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে, ইসরায়েল জেরুজালেম দখল করে ফেলেছে। এসব নিয়ে কিছু লিখুন।
- দেখুন ভাই আমি রাজনীতি বিষয়ে তেমন কিছুই বুঝি না। আপনারা আছেন না, আপনারা এ বিষয়টা নিয়ে লিখুন।
- আচ্ছা, প্রেম-ভালোবাসার লেখাতো সবসময়ই দেন। তবে ধর্মীয় কিছু লেখাও মাঝে মধ্যে দিয়েন। মানুষজন ধর্ম ছেড়ে এখন নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে।
- দেখুন ভাই ইহুদি-নাসারা ও নাস্তিকের ফেসবুকে আইসা এত পরহেজগারী দেখিয়ে কি হবে? আমি আমার ইবাদত মসজিদ বা বাসাতেই করে থাকি। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্যই ফেসবুকে আসি। আচ্ছা ভালো থাকুন। পরে আবার কথা হবে।
ওহ্ আজ দিনের প্রথমেই মনটা খারাপ হয়ে গেল গুলজারের।ভাবলেন একটু মেয়েদের ম্যাসেজ দেখি। নাহ্, মেয়েদেরকে দেওয়া ম্যাসেজগুলোর উত্তর আসেনি এখনো। রিপ্লাই দিতে মেয়েদের যে কেন এত কষ্ট হয় তা জানেন না গুলজার। আবার যতসব বখাটে ছেলেগুলোর প্রোফাইলে দুনিয়ার সব মেয়েরা গিজগিজ করতে থাকে। এমন সব লুলামির কমেন্ট দেয় তা দেখে গুলজারের খুবই মন খারাপ হয়। গুলজারের পোস্টেও প্রচুর কমেন্ট আসে। কিন্তু ওগুলো ইয়েস, সুন্দর, নাইস, ঠিক ভাই, পাছায় আছি ভাই টাইপের। এসব কমেন্ট বেশি আসলেও তাতে মন ভরে না গুলজারের। তিনি চান মেয়েরা তাকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর লেখা লিখে তার পোস্টে কমেন্ট করুক। কিন্তু মেয়েরা কেন যে যতসব বখাটে, ইয়াবাখোর ছেলেগুলোর পোস্টে এত এত কমেন্ট করে তা ভেবে পান না।
হঠাৎ করে একসময় মাসুমা আন্টির একটি ম্যাসেজ এল। মাসুমা আন্টি প্রায় পয়তাল্লিশ বছর বয়সের বুড়ী মহিলা। তার সাথে প্রায় সময়ই হাই-হ্যালো, ভালো-মন্দ এসব নিয়ে কথাবার্তা হয় গুলজারের। একবার ফেসবুকে খুব সুন্দর একটি মেয়ে দেখে গুলজারের মনে ধরেছিল। মেয়েটির সুন্দর নূরানী চেহারা দেখে পাগলপ্রায় গুলজার সাথে সাথেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে দেয়। সাথে সাথে কিছু
সহি ইসলামী রোমান্টিক ম্যাসেজও করে। দিন যায়, মাস যায়, বছর গেল, কিন্তু মেয়েটা তার রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করা তো দূরের কথা এমনকি ম্যাসেজগুলা পর্যন্ত সিন করল না। রাগে দুঃখে গুলজারের কলিজা ফেটে যায়। পরে মেয়েটির পোস্টগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার মায়ের আইডি খুঁজে বের করলেন গুলজার। মেয়েটির মা এই মাসুমা বেগমকে রিকু পাঠানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মাসুমা বেগম গুলজারের রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করলেন। গুলজার কিছুটা আশার আলো দেখতে পেলেন। মাসুমা বেগমের সাথে গুলজারের হাই-হ্যালো থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা চলতে লাগল। গুলজার বিভিন্ন হাদিস ও ধর্মীয় কিছু নিয়ে কথা বলত মহিলাটির সঙ্গে। এভাবে মহিলাটির সঙ্গে গুলজারের বেশ সুসম্পর্ক গড়ে উঠল। গুলজার অপেক্ষা করতে লাগল একটি সুসময়ের যখন মাসুমা বেগমকে বলতে পারবেন তার মেয়েকে গুলজারের পছন্দ হয়েছে। যাহোক মাসুমা বেগম গুলজারকে ম্যাসেজ করলেন কেমন আছে, সকালে খেয়েছে তা জানতে চাইলেন গুলজারের কাছে। গুলজার বেশ ভালো মতোই উত্তর দিয়ে যাচ্ছে মাসুমা বেগমের। আলাপ-আলোচনার এক পর্যায়ে মাসুমা বেগম গুলজারকে বললেন
- দেখ গুলজার আমি তোমাকে একটি কথা বলতে চেয়েছিলাম।
- বলুন।
- আজ তুমি আমাকে আপনি না বলে তুমি তুমি করে বলবে।
মাসুমা বেগমের এক কথা শুনে গুলজার হতবাক হয়ে গেল। কি বলতে বুঝতে পারছে না। তারপরও বলল-
দেখুন আপনি আমার অনেক বড়। প্রায় মায়ের মত।
- দেখ গুলজার, আমরা অনেকদিন ধরেই কথা বলছি। আমরা এখন বন্ধুর মত হয়ে গেছি। তাই আজ থেকে তুমি অামাকে তুমি তুমি করে কথা বলবে।
- দেখুন, আপনি বুঝতে চেষ্টা করুন।
- না কোন কিছুর আর বুঝার দরকার নেই, যা বলেছি আজ থেকে তাই করবে। বয়স কম বেশি কোন ব্যাপার না। এখন আমরা বন্ধু, আমি তোমাকে আমার বন্ধুর মতো দেখে আসছি।
গুলজার মাসুমা বেগমের ম্যাসেজের কোন আর কোন রিপ্লাই না দিয়ে ফোনটা বন্ধ করে বাসার বাহিরে একটি কাঁঠাল গাছের নিয়ে গিয়ে বসল। রাগে গড়গড় করতে করতে ভাবতে লাগল এই জোয়ান বয়সে পয়তাল্লিশ বছর বয়স্ক মহিলার কাছে নিজের ভার্জিনিটি হারানোর কোন ইচ্ছাই নেই তার। কাঁঠাল গাছের নিচে হালকা ঘাস ছিল তাই গুলজারের বসতে কোন সমস্যা হয়নি। কাঁঠাল গাছটা খুব নিচু, ডালগুলো নুইয়ে পড়ছে, গুলজার হাত বাড়ালেই গাছের ডালে ধরতে পারবে। গাছের ডালগুলোতে কিছু তাজা কাঁঠাল পাতা রয়েছে। পাতাগুলো গুলজারের মুখের খুব কাছেই। হালকা বাতাসে পাতাগুলো নড়ছে। গুলজারের কাছে সেই কাঁঠালপাতাগুলোকে খুব আপন মনে হতে লাগলো। যেন গুলজারের সাথে কাঁঠালপাতাগুলোর জনম জনমের সম্পর্ক।
চলবে .................
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: একটু দুর্বল মনের অধিকারী মানুষগুলো এসব দেখে আবার ফটোকপি করত। যদিও কেউ সুসংবাদ আজ পর্যন্ত পায়নি।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গুলজারের সাথে কাঁঠালপাতাগুলোর জনম জনমের সম্পর্ক,শেষ লাইন টা সবচেয়ে ভাল
খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম দারুণ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম তারেক মাহমু ভাই।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: এত পেচাপেচীর কিছু নাই। ছাগলের বাচ্চারা সব সময় কাঠাল পাতাই চিনে।জিনগত সম্পর্ক কাঠাল পাতার সাথে। ওগো কারনে সাধারন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি হয়।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ইতিবাচক মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ চির-দুরন্ত ভাই।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জায়গামত হিট করলেই হলো। শর্টকাট মুসলিমরা যদি সচেতন হয় আর কি...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পুরোটা শেষ করতে পারলাম না, তবে যেটুকু পড়লাম আপনার কাছে মুরিদ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। লেখনিতে মুগ্ধ হয়ে আপনার কাছে মুরিদ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: কাঁচা হাতের লেখা তো ভাই, অতটা এখনো হতে পারিনি। ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: অসাধারন লেখা। তবে পড়ে আমি হাসি চেপে রাখতে পারলাম না। এটা বাস্তব নাকি গল্প?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: বাস্তব কল্পনা মিলিয়েই লিখেছি ভাই।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭
শিখণ্ডী বলেছেন: আগে মাথায় এলে মুরি শাহ বা মুলা শাহ আমিই হতাম। ফসকে গেল! কয় পর্বে লিখবেন? বিষয় নির্বচন,গদ্য চমৎকার! পড়ার ইচ্ছে রইল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: পর্যান্ত সারা পেলে বেশ কয়েটি পর্বে দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা হা! ম্যাসেজগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং
চলুক...
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: একেবারে দশে দশ। ভালো লাগলো
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯
অলিউর রহমান খান বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা। লেখায় সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।বেষ্ট হয়েছে !
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ দোস্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: অনেক বড় লেখা,
এরকম ভন্ডামি আগেও ছিল, এই যেমন একটা পৃষ্টায় লেখা থাকত রাসুল (সঃ) সপ্নে দেখেছে ইত্যাদি ইত্যাদি, যদি কেই এই কাগজ ১০০ ফটোকপি করে বিলি করে তাহলে ৪০ দিনের মাথায় সুসংবাদ পাবে, ছিঁড়ে ফেললে ক্ষতি হবে।