নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন তারাবতীর পৃথিবী

তানিয়া হাসান খান

আমি কোথাও নেই

তানিয়া হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃদয়ের অবগাহন ..(২য়পর্ব এর পথমাংশ).. written by Tania Hasan Khan

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

এখানে পাবেন ১ম পর্বের প্রথমাংশ



এখানে পাবেন ১ম পর্বের শেষাংশ



এরপরে....যা হল...



১৯৭০,৩রা, এপ্রিল…….

বলাতলি, মানিকগঞ্জ।



খুব সকালে পাখির শুভেচ্ছা সংগীতে ঘুম ভাঙ্গে কিষাণের। ছয়টি মাস পরে কিষাণের বাড়ি ফিরে আসায় সেলিব্রেশন করছে যেন। ফজরের আযানের সময় একবার উঠে আব্বার সাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছে সে। ফিরে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিল। কতদিন পরে নিজ বাড়িতে পাখির গানে ঘুম ভাঙল তার। মিষ্টি রোদ তার মুখে এসে পড়েছে। বাইরে থেকে সবার কথা শোনা যচ্ছে। গ্রামে সবাই এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে, মনে হয় কত বেলা হয়ে গেছে। অথচ ঘড়িতে মাত্র এখন সাতটা বাজে। আলসি ঘুম ছাড়তে বিছানায় এপাশ ওপাশ করছে কিষাণ। হঠাৎ জানালা দিয়ে একটা চুরি পড়া হাত এগিয়ে এল তার দিকে। টুন টুন করে শব্দ হচ্ছে। বোঝাই যচ্ছে হাতটি কার ।



চৈতালী: আমার নূপুর তো দিতে ভুইলা গ্যাছ । অহন দ্যাও!



কিষাণ: কি! এই ভোর বেলায় হাজির? কালতো খুব ভাব দেখানো হল। যে লাগবেনা। এখন আমি কোথায় পাব? ওটা তো মিতুকে দিয়ে দিয়েছি। মিতু এত করে ধরল। দিয়ে দিলাম।



দুষ্টু দুষ্টু হাসে কিষাণ।



চৈতালী: মিছা কতা কওন লাগবনা। মিতুর নূপুর আমি দেখছি। ওইডা অন্য রহম। আমার জইন্য যেইডা আনস সেইডার মতন না। তাড়াতাড়ি দ্যাও।



কিষাণ: তুই আগে বল। এত সকাল সকাল তুই নূপুর নিতে আসছিস। এটা ঠিক মিলল না তোর আচরণের সাথে। আর কোন কারণ থাকলে বলে ফেল। আর, কি কথা ছিল! সুন্দর করে কথা বলতে হবে আমার সাথে। আমার কথা না রাখলে তো আর আমি তার কথা শুনি না।



আবারও হাসে কিষাণ।



চৈতালী: আচ্ছা বলব এখন থেকে। দিলে দ্যাও, নইলে আমি যাই গা। আর শোন সকাল বেলা বাড়ি থেকে আসি নাই। রাতে তোমাদের এ বাড়িতেই ছিলাম। চাচী আর মিতু খুব করে বলল। তাই বাড়ি যাই নাই।

কিষাণের বিষম খাওয়ার অবস্থা।



কিষাণ: তুই এখানে ছিলি। কই তোর সাথে আর দেখা হয় নাই! মিতু আর আমি গল্প করলাম আমার ঘরে। মিতু কিছু বললনা। তুইও কেন আসলি না।



চৈতালী: আমি তোমার সাথে রাগ করেছি কিষাণ ভাই। তুমি তাও বুঝ নাই। এই মোটা মাথা নিয়ে কি এত বিদ্যান হইছ আল্লাই জানে। আমি মিতুকে নিষেধ করে ছিলাম।



কিষাণ: ভিতরে আয় চৈতালী। সকাল বেলা তোর মুখ দেখে ঘুম ভাঙেনি অনেক দিন। দেখি আজকে দিন কেমন যায়?



চৈতালী: আমার হাত ব্যাথা হইতেছে। তাড়াতাড়ি দাও। আচ্ছা আসছি।



কিষাণ: এই নে তোর নূপুর। আড়ে তুই দেখি চোখে কাজল দিয়েছিস। বাঙালি মেয়ে কাজলে যে কি সুন্দর! তা তো কবি সাহিত্যিক হলে আরও সুন্দর করে বলতে পারতাম।



চৈতালী নূপুরটা হাতে নিল। ওর উজ্জ্বল মুখটি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। মনটা কেঁপে যাচ্ছে ভীষণ ভাবে।



চৈতালী: ইস! কি যে বল কিষাণ ভাই। তোমার কথা আমি বুঝি না। আচ্ছা যাই এখন।



এতটুকু বলেই চৈতালী এক ছুটে চলে গেল। কিষাণ থ হয়ে গেল। চৈতালী এখন আর ছোট নাই। বড় হয়ে গেছে। আর সেটা ওর কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দিল। কিষাণ ভাবছে। এই ছোট বেলার খোলার সাথী কি ধীরে ধীরে প্রেমিকায় রূপ নিচ্ছে! ‍কিষাণ নিজেকে খুব ভাল করে জানে।

চৈতালীকে ও খুব ভালবাসে। কিন্তু সেটা প্রকাশ করার সময় এখন নয়। চৈতালীকে ওর বোঝাতে হবে। সে বুদ্ধিমতি মেয়ে বোঝালে ঠিক বুঝবে।



হাত মুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চুলার পারে বসে মায়ের সাথে গল্প করে করে নাস্তা করবে কিষাণ। এটা তার ছোট বেলা থেকেই অভ্যাস। সে লক্ষ করেছে মাকে যদি সে সময় দেয় আর গরম গরম নাস্তা করতে সে চুলার পাশে বসেই খেতে চায়। মার মুখটা খুব আনন্দিত হয়। তখন কিষাণেরও বড় ভাল লাগে মাকে দেখতে। এই মুখটি দেখবে বলে সে আজকেও রান্না ঘরে বসে নাস্তা করতে এগিয়ে গেল।



আয়শা বেগম : আইছো বাজান! ঘুম ভাঙছে? তুমি সকালে তোমার আব্বার সাথে মসজিদে গেছ তোমার আব্বায় বেজায় খুশি অইছে। আইসা বস আমার কাছে।



কিষাণ: হ্যা, মা। আমি এখন তোমার পাশে বসে খাব আর গল্প করব। তোমার হাতের গরম গরম নাস্তা তো আর সারা দুনিয়া খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। বড়ই দুর্লভ জিনিস। মিতু কোথায় মা? দেখিনা যে।



কিষাণ মুগ্ধ চোখে তার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। তার মায়ের গর্বিত মুখ সে দেখতে পেল।



আয়শা বেগম : আরে মিতু গেছে তুমার বাপের লগে জাল আনতে। পুকুর থাইকা মাছ ধরব আইজ। তুমার আব্বা আর বইনে তো তুমি বাড়ি আইলে কি থুইয়া কি করব তাল পায় না।



কিষাণ: হা হা হা। আর তুমি? তুমিও তো মা কত্ত যত্ন কর। যখন হলে ডাইনিংয়ে খেতে বসি। শত কাজের মাঝে থাকলেও তোমার মুখটি মনে পড়ে। বাড়ি আসার জন্য মনটা কেমন করে। দিন গুনতে থকি কবে বাড়ি আসব।



আয়শা বেগম: আমারও তুমার জইন্যে বড়ই ‍চিন্তা অয়। কবে যে এই সব পড়াশুনা শ্যাষ হইব! আমার মানিক আমার ঘরে ফিরা আইব। ঢাকায় তুমার খালার বাড়িত যাওনা কেন বাজান বেড়াইতে? তুমার খালায় জিগায় আমারে। আমি তো কিছু কইতে পারিনা। তুমার ফুপুও তো সবসময় কয়। যইবা, ওরা তেুমারে কত্ত ভাল পায়। হলে কেমুন কি খাওন দাওন। খালা-ফুপুর বাড়িত বেড়াইলে তুমারও বালো লাগব। বাজান! আর একটা পরাটা নিবা?



কিষাণ: দাও। খুব ভাল লাগছে। তোমার হাতে জাদু আছে মা। যাই রান্না কর। মুখ স্বাদ টুকু ‍লেগে থাকে।



আয়েশা বেগমের মুখে সেই কিষাণের খুঁজে পাওয়া মন প্রশান্তি হাসি।



আয়শা বেগম: হ! অইছে! অখন যাও গেরামের সব মুরুব্বি গো লগে দেহা কর গিয়া। দূরে গেলে মিতু আর চৈতালীরে নিয়া যাইও।



কিষাণ: ঠিক আছে মা। মাছ ধরবে কখন? সেটা আগে দেখি। তারপরে বের হব।

ফয়েজ আলী আর মিতু এসেছে জাল আর একজন জেলে নিয়ে।

আয়শা বেগম: ওই যে আইসা পরছে। ও কিষাণের বাপ! মাছ ধরলে তাড়াতাড়ি ধইরা আইন। কুইটা ধুইয়া তো আবার রান্ধন লাগব। আর কিষাণ রে সাথে লও। ও মাছ ধরা দেখব।



মিতু: আমিও যামু আব্বা।



ফয়েজ আলী: আইচ্ছা তাইলে লও তাড়াতাড়ি চল। ও কিষাণের মা একখান মাছ রাখার ঝাকা দেওন লাগব যে। চলো ভোলা। আমগো ভিডার পিছনের পুশকুনিতে। কিষাণ আর মিতু তুমরা ঝাকা লইয়া আইস।



মাছ ধরা কিষাণের খুবই প্রিয় শখ। ছোটবেলায় বর্শিতে কত রকম মাছ ধরেছে। শীতকাল ছিল ওদের মাছ ধরার সব চাইতে উপযুক্ত মৌসুম। ওর ধরা মাছে যেদিন বাড়িতে তরকারি রান্না হইত। সেদিন কিষাণের মনটা খুব ভাল লাগত। মনে হত ও নিজের বাড়ির জন্য অনেক জরুরি কাজটা করে ফেলেছে। বাবার মাছ কেনার খরচ বাচিয়ে দিয়েছে। পুকুর পাড়ে বসে এই সব ফেলে আসা দিনকে মনে করছে কিষাণ। মাছ ধরার চূরান্ত প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মিতু অতি আগ্রহে জেলের কাজ গুলি পর্যোবেক্ষণ করছে। আর ফয়েজ আলী জেলেকে সাহায্য করছে।





কিষাণ: আব্বা আমি কি একবার জাল ফেলব?



ফয়েজ আলী: আইচ্ছা ফালাইও। আগে ভাল কইরা দেহ ভোলা কেমন কইরা জাল ফালায়। হ্যারপর তুমিও দেইখ চিষ্টা কইরা।



মিতু: আব্বা! মাছ ধরা কত্ত মজার। আমি চৈতালী বু রে ডাইকা আনি। বু অনেক মজা পাইব।



ফয়েজ আলী: আইচ্ছা যা! চৈতালী রে ডাইকা আন।



কিষাণ: ওদের হৈ হুল্লোরে তো মাছ ভয় পেয়ে যাবে। আর হইছে মাছ ধরা!!



মিতু: ভাইয়া। অহন কইছো ,কইছো ! তয় চৈতালী ‍বু রে কিছু কইবা না কইলাম । তোমার উপরে সে বেজায় বেজার অইছে। বুঝতেছ না! গতবারও গেরামে আইলা আমগো বাড়িত কি তারে ডাইকা আনন লগছিল ?



ফয়েজ আলী: হা হা হা । নারে কিষাণ ওরা মেলা হাসিখুশি। আমগো মেলা খেয়াল রাহে। মাইয়া অইল ঘরের শোভা। যার নাই তার ঘর আন্ধার।



এক দৌড়ে ‍মিতু গেল চৈতালীদের বাড়ি।



মিতু: ও চৈতালী বু! কই গো তুমি? আব্বায় ভোলা কাকারে ডাইকা আনসে। মাছ ধরব। তুমি দেখবা না। আব্বায় ডাকতেছে। চল!



চৈতালী: তাই! আইচ্ছা কিষাণ ভাই কই? হ্যায় থাকলে যামুনা।



মিতু: ইস রে চৈতালী বু! খামাখাই প্যাচাও। চল তো। আমি ভাইয়ারে কইয়া দিছি যে তুমি বেজার অইস। ও তুমারে আর কিছু কইব না । হাসাই। অহন চল তো।



চৈতালী: আইচ্ছা তয় চল। কোন পুশকুনিতে ? বিডার পিছনে?

মিতু: হ! আমি খুশি অইসি চৈতালী বু! তুমি তো জান না! তুমি না থাকলে আমি কোন মজা পাইনা?



চৈতালী: আইচ্ছা চল! আর পাকামো করন লাগব না।



চৈতালী আর মিতু পুকুর পাড়ে পৌছাতে পৌছাতে একবার জাল ফেলা হেয়ে গেছে। আর তাতে উঠে এসেছে অনেক বড় একটা রুই মাছ। সাথে আরও কিছু ছোট মাছ।



মিতু: আরে কত্ত বড় মাছ! দেখছ চৈতালী বু! ঘাটে নামলে এইডাই মনে হয় পায়ে ঠোকর মারত।



চৈতালী: হ রে! কত্ত বড়! আরও আছে। কারন সকাল বেলা আমি পুশকুনির ধারে সারি হয়ে থাকতে দেহি রোজ। ভোলা চাচা আবার জাল ফালাও।



ভোলা: এই তো মা জননী। তুমিও পারবা । আইসো ধর।



ফয়েজ আলী: হা হা হা। কি রে চৈতালী ? মাছ ধরবি? আয় তাইলে।

মিতু: যাও চৈতালী বু! অনেক মজা হইব।



চৈতালী এদিক ওদিক তাকিয়ে কিষাণকে না দেখে রাজি হয়ে গেল। সুন্দর করে জাল ফেলল। এরই মধ্যে কিষাণ ফিরে এল।



কিষাণ: হায় হায় চৈতালী বিবি জাল ফেলছে? আজেকে মাছ আর পাওয়া গেল না। আমি আর আরেকটা ঝাকা আনলাম। যাই রাইখা আসি।



মিতু ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে চোখ পাকালো। জাল টানল চৈতালী। আরও বড় একটা মাছ উঠেছে। মিতু এক আনন্দ চিৎকার দিল। ভোলা বাকীটা টেনে তুলল।



মিতু: কি ভাইয়া। বু বলে পারবো না! তুমি যাও আরও ঝাকা লইয়া আইসো। হুম!



ফয়েজ আলী: আমাগো মাইয়ারা অনেক কিছু পারে। তোর ছোড চাচার ওই একই কইন্যা বইলা সে অনেক কিছুই শিখাইছে। যা এই গেরামের অনেক পোলারাও সাহস করব না করতে। সব ভীতুর দল। আমি ‍মিতু রেও শিখামু। কুন দিন কুন কামে লাগে জানে কেডা?



চৈতালী: বড় চাচা !মাছ ধরন অনেক মজার। আমার অনেক বালো লাগে। আমি এর আগে আমগো পুশকুনির মাছ ধরছি ভোলা চাচার লগে।



ভোলা: নাও কিষাণ বাজান! আহো। জাল ফালাও। দেহি শহরে যাইয়া গেরামের কাম কাজ মনে আছে না ভুইলা গ্যাছো।



কিষাণ হাসি মুখে এগিয়ে গেল। জালটা ধরার কৌশল আছে। তার ঠিক মনে নাই। তবুও চৈতালী যখন জানতে চায় নাই। এখন সে জানতে চাইলে প্রেষ্টিজের বিষয় হয়ে যাবে। মিতু হাসা হাসি শুরু করতে পারে। সে চুপ চাপ জাল ফেলল। যেভাবে ফেলল তাতে জালটা প্রসারিত হল না। এভাবে তো ফেলার কথা না। তবুও কিষাণের মান রাখার খাতিরে কেও কিছু বলল না। কিছুক্ষণ পরে জাল টানল কিষাণ। ভোলা এবার এগিয়ে দিল। এবার জালে ধরা দিয়েছে বেশ কিছু শৈবাল, কুচো চিংরি, আর পটকা মাছ। সবাই এবারে এতক্ষণের জমে রাখা হাসি হেসে ফেলল। হো হো করে। কিষাণও বোকা বোকা চেহারায় একটু হাসল বটে।



মিতু: ইস! খুব তো চৈতালী বু রে কইতেছিলা। অখন?



কিষাণ: শোন! আমি তোদের মত গ্রামে সব সময় থাকলে আমারও চর্চা থাকত। এগুলো তো চর্চার বিষয়। মাঝে মাঝে করলে সিসটেম মনে থাকে।হুম!



ভোলা: হ! তুমি ঠিকই কইছো বাজান। আহ তুমারে দেহায় দেই। আমার মনে অয় এর পরে আর জিন্দেগীতেও ভুলন লাগবনা।



ফয়েজ আলী: যাও মায়েরা! যেই মাছ গুলান উঠছে বাড়িত দিয়া আহো। কুইটা ধুইয়া রান্ধনের অনেক সময় লাগব। আরে কিষাণ! মাছ ধরন শিখা শ্যাষ কর জলদি। হ্যারপর বড় দেইখা একখান মাছ তোর ছোড চাচীর কাছে দিয়া আয়।



কিষাণ: জ্বী আব্বা। আচ্ছা ভোলা চাচা আমরা আর একবার জাল ফেলি আসেন।



মিতু আর চৈতালী বসছে আয়শা বেগমের সাথে মাছ কুটতে যাতে তাড়াতাড়ি রান্না চড়াতে পারেন তিনি। চৈতালী আর মিতু কিষাণের জাল ফেলার দৃশ্য বর্ণনা করে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে। হাসছেন আয়শা বেগমও।

তিনজন হাত দিয়েছে বলে মাছ কোটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। কিষাণও চৈতালীদের বাড়ি মাছ দিয়ে চলে এল। চৈতালী কিষাণের দিকে এক ঝলক দেখে নিয়ে হাসি লুকিয়ে বাড়ির দিকে চলল।



কিষাণ: মা! ছোট চাচীর কাছে মাছ দিয়ে এসেছি।



আয়শা বেগম: বালো করছ বাজান। অখন যাও নাইয়া আসো। অনেক মাছ ধরছ শুনলাম।



মিটি মিটি হাসেন আয়শা বেগম।



কিষাণ: কে বলেছে? মিতু না চৈতালী? ওই দুইটা যা ফাজিল হইসে মা! তুমি জান না। আমি কি গ্রামে থকি? থাকলে তো মাসে একবার না একবার মাছ ধরাই হইত। তাইনা ? আমি চর্চা থাকলে আরও পারতাম। এইটা তারা বুঝবেনা।



আয়শা বেগম: হা হা হা । আইচ্ছা যাও। এর বিচার পরে করুম।



Date: 1/2/13

Time:6:30

……………………………………

(চলবে)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: এই পোষ্ট কে নির্বাচিত করার জন্য মডারেশন প্যানেল কে অসংখ্য অগণিত অফুরন্ত ধন্যবাদ। !:#P !:#P !:#P
এটা মূলত আমার গ্রাম মানিকগঞ্জের ভাষায় লেখা। এই ভাষার চর্চা ধরে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র ‍প্রয়াশ। গণ্পটি ধারাবাহিক ভাবে চলবে। সবাইকে নিয়মিত পড়ার আমন্ত্রণ রইল। যারা পড়েছেন বা পড়বেন সবাইকে ধন্যবাদ। !:#P !:#P !:#P

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
লেখা ভালোই লাগতাছে । :)

চলুক এভাবে ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া। :) :) :)

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অভিনন্দনান্টি !:#P
আমি কাল পড়ে জানাবো কেমন হৈসে, একটু সর্দির মতো লাগতেসে মাথা ব্যাথা। এতো বড় লিখা মন দিয়ে পড়তে পারবোনা :( ||

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: ওকে ভাতিজা.... :) :) :)

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন: আপু ভালো হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষা রইলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া। :) :) :)

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপু নামের পর একটু স্পেস দিলে পড়তে সুবিধা হত।

বেশ ভালই হচ্ছে। সামনের পর্বের অপেক্ষায়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: রাতুল ভাইয়াকে বিশেষ ধন্যবাদ :) :) :)

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯

একজন আরমান বলেছেন:
চালিয়ে যাও আপু।
+++

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া। :) :) :)

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
পড়সি হাসানান্টি, সুন্দর আগাচ্ছে।

চৈতালী: মিছা কতা কওন লাগবনা। মিতুর নূপুর আমি দেখছি। ওইডা অন্য রহম। আমার জইন্য যেইডা আনস সেইডার মতন না। তাড়াতাড়ি দ্যাও।

চৈতালী: ইস! কি যে বল কিষাণ ভাই। তোমার কথা আমি বুঝি না। আচ্ছা যাই এখন।

বুঝসেন কি বুঝাইতে চাইসি??

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ ভাতিজা.। :) :) :)

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর হইসে লেখা :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: তোমাকে বিশেষ ধন্যবাদ আপ্পি । :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.