নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসগুলি খুব গোপনে ফোটায় ছোট ছোট সাদা ফুল

উঁকি দাও ফুল!

খারেজি

এইপথে আলো জ্বেলে এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে, সে অনেক শতাব্দীর মনীষির কাজ.....

খারেজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরাতাল মুস্তাকিম!

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৪৬



১.

জুম্মাবারে নামাজ পড়তে যাইয়া খেয়াল করলাম পাড়ায় নতুন আসা বন্ধুটা একবার বেশি তাকবীর (এই তো শব্দটা?- দু কানের কানের লতি ছোঁয়া ) বাধছে। অস্বস্তিকর না ব্যাপারটা! নামাজ শেষে জিগাইলাম বিষয় কী।

কয় আমরা মুহাম্মদী। জানিস না শেষ জামানায় ইসলামের তিয়াত্তরটা (নাকি পচাত্তরটা?) জামাত বাইরাইবে, এদের মধ্যে একটা মোটে হেদায়াত পাইবো। এই একটা জামাত হইল মুহাম্মদী।

কেমুন লাগে কন! কইলাম: চান্দু, কইলা একখান কথা। তোর বাড়িতে প্রথম যেদিন গেলাম, সেইদিনই ফ্রিজ থাইকা বাপের বিয়ার চুরি কইরা আইনা আমাগো সাধলা, আমি একলা খাইলাম না। অহন তুমি যাবা বেহেস্ত, আর আমি যামু দুজখ!

পোলা আমার চায়া আধাহাত খাটো হইলে কি হইব, মাটিতে কথা পড়তে দেয় না। কয়: সব হিন্দু আর খৃষ্টানে কি মদ খায়? আমাগো শুভ্রাংশু স্যারে কি মদ খায়? জুয়া খেলে?

বুঝলাম, ফাঁন্দে পড়ছি। ঋষিতুল্য শুভ্রাশু স্যারকে নিয়ে ও কথা ভাবাই অসম্ভব। মাথাচুলকায়া কইলাম, না, তা খায় না।

শুভ্রাংশু স্যার কি বেহেস্তে যাইব মদ খায় জুয়া খেলে এমন মুসলমানের আগে?

চূড়ান্ত প্রশ্নটা শোনার আগেই যতদূর জ্ঞান ধর্মীয় জ্ঞান ছিল, তার টিমটিমে আলোতে আমি তখন হাচড়ে পাচড়ে শুভ্রাংশু স্যারের জন্য কোন একটা সুসমাচার খুঁজছি। না কিছুই তো পাওয়া গেল না!

শেয়ালপানা হাসি হাসি মুখ নিয়ে কয়েক সেকেন্ড আমার উত্তরের অপেক্ষা করে দোস্ত বলল, ওই রকমই, বাকিদের ঈমান যেহেতু ঠিক নাই, তাই অন্য মাজহাবের আগে মুহাম্মদীরা বেহেস্তে যাবে।



তর্কে হারলে অল্পবয়েসীরা যা করে, আমিও তাই করলাম, আরে যা যা, যাইস তো বেহেস্তে... আম্রা তো ভাইসা আসছি... বলে হাত নেড়ে বাড়ি ফিরলাম।

অস্বস্তি আর যায় না।



খাবার টেবিলে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম: মুহাম্মদীরা কারা?

ওনার সংক্ষিপ্ত উত্তর: এরা আব্দুল ওয়াহাবের অনুসারী। মাজহাব মানে না বইলা এগো লা মাজহাবীও বলে। একটু পিউরিটান।



পিউরিটান! তাই তো হইতে চাই বরাবর। কেউ যদি দেখায়া দেয় কেমনে খাটি শুদ্ধ কেমনে হইতে হয়, মনে তুচ্ছ সংশয় আর যখন থাকে না, চোখ বন্ধ করে যে রাস্তায় হাঁটা যায়...

"আব্বু, মুসলমানদের মাঝে কি খালি মুহাম্মদীরাই বেহেস্তে যাবে...?"



পিতৃদেব খাদ্য চিবানো বাদ দিয়ে কয়েক মুহুর্ত আমার দিকে স্থির তাকিয়ে বললেন, "অংকে কত পাইছিস লাস্ট সেমিস্টারে? কাল থেকে বিকালে বাইরে যাওয়া বন্ধ আমার কাছে অ্যালজেব্রা করবি।"



বিকেল বেলা মাঠে না যেতে পারা অনেক বড় নির্যাতন, আরও বড় নির্যাতন অ্যালজেব্রা কষা। তারচেয়েও বেশি কিন্তু গায়ে লাগল আমার হেনস্তায় হাসি চাপতে গিয়ে বড় বোনের বিষম খাওয়ায়। আমার ধর্মীয় অত্যুৎসাহ ভাইবোনদের চিরকালের মস্করার বিষয়।



বাবার সাথে কখনোই বেশি কথা বলার সাহস করতাম না, ওনার হিসাবে এক আর দুইয়ের পর আর কোন ক্রমিক নাম্বার নেই। আমি যেহেতু লাড্ডাগোড্ডা, কাজেই পাঠ্যবইয়ের বাইরের যে কোন প্রশ্নেই উনি ভ্রুঁ কুচকে পাস্টপার্টিসিপল এর পরীক্ষা নেয়া শুরু করতেন। বাকি তিন ভাইবোন প্রশ্নটা এগিয়ে নিলে হয়তো আরও কিছু জানা যেত, কিন্তু ওদেরও তেমন মাথা ব্যাথা হলো না আব্দুল ওয়াহাবের পিউরিটান অনুসারীদের নিয়ে।



২.

দিনগুলো পার হতো যথারীতি, রাতগুলো ছিল ভয়ংকর। আমি তো ছিলাম ধূলিকনা, কেন মাবুদ প্রাণ দিলা! যদি দিলাই প্রাণ তো পরীক্ষায় কেন ফেল? কত আছে তোমার নির্বাচিত বান্দা, মায়ের গর্ভ থেকেই কোরআনে হাফেজ হয়ে আসে, শৈশব থেকেই চেনা যায় তাদে সুলক্ষণচিহ্ন। আমারে তো মাবুদ বানাইলা অতিসাধারণ, কেমনে এই ঘোর পরীক্ষায় পাড়ি দেই! পা ফস্কালে অনন্ত দোজখ, আর সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে গিয়ে পাই সার্বক্ষণিক উপহাস। অনন্ত আজাবের হাত থেকে মুক্তির একটা উপায় দেখায়া দাও, আমি জীবনভর যা অনুসরণ কর্তে রাজি আছি। কিন্তু এই অন্ধের মত পরীক্ষা যে আর সহ্য হয় না, মাবুদ। কেঁদে কেঁদে দিলটা সাফ হয়। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি। চোখের জল বোধ হয় মগজের টনিকও, ক'দিন বালিশ ভিজিয়েই ধা করে মাথায় আসে... তাইতো তাইতো। তারপর শান্তির ঘুম।



পরের জুম্মায় আমার ব্রক্ষাস্ত্র ছাড়ি: তুই কি এই সব হানাফী-শাফায়ে-মালেকী-হাম্বলী, সব কিতাব পইড়া জানছিস যে মুহাম্মদীরাই সঠিক, তারাই বেহেস্ত যাবে?

পেট চেপে গা জ্বালানো শব্দে খ্যাক খ্যাক করে হাসে হারামজাদাটা, তারপর বলে: তুই কি বেদ-জবুর-তাওরাত কোরআন সব ধর্ম গ্রন্থ পইড়া দেখছিস ইসলাম ধর্মই খাঁটি?

আমতা আমতা করি, ও কিন্তু জবাবের অপেক্ষা করে না মেটেই। বলে: আম্রাও সেই রকম জানি যে বাকি সব মাজহাব হইল দোজখী, খালি এক মুহাম্মদী মাজহাবই শাফায়াত পাবে।

তর্কে হেরে গেলেও প্রথমে একটা স্বস্তির অনুভূতি পেলাম, অন্তত কোন মাজহাব শাফায়াতের রাস্তায় আছে, তা একেবারে নির্ধারিত হয়ে যায়নি। তারপরও হতভাগার আত্মবিশ্বাস দেখেবুকের ভেতর সেই খচ্ খচ্ টা রয়েই গেল।



তারপরতো আবার সেই দিন ফুরোলে রাত! আরও কত কি নতুন চিন্তা মাথায় আসে! বেহেস্তে কত বছর থাকবো? হাজার... কোটি বছর? তারপর ধরো এই যে "আদম ও বানাইয়া খেলছো তারে লইয়া"... আল্লা যদি এই খেলা বারবার খেলতে চায়? এই আমি যে বেহেস্তগামি, তাতে না হয় আপাতত কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরও আল্লার আবার যদি একই খেলা খেলতে ইচ্ছা করে?

তবে আবার এই জীবন? আবার এই পরীক্ষা? আবার এই উপহাস, তাচ্ছিল্য? ডুকরে কেঁদে উঠতে চায় মন।





৩.

আমাকে উদ্ধার করতেই পাণ্ডুব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ক'দিন বাসায় এলেন ঢা.বি পড়ুয়া চাচাত ভাই। রসায়নের ছাত্র। বিরাট পণ্ডিত। সারাদিন বকবক কর্তে কোন ক্লান্তি নাই তার। আমি সর্বদাই তার গুনমুদ্ধ, যদিও আজ বহু বছর উনি আমাকে এড়িয়ে চলেন। আমার সমস্যা শুনে বললেন, কি যে বলিস! সুরা ফাতেহা পড়িস নাই? ইহ্ দিনাস সিরাতল মোস্তাকিস...



আমি মুদ্ধ। সরল মনের সহজ পথের পথিকদের জন্যই তো ইসলাম। উনি আরও শোনালেন গরু কোরবানি না দিতে চাওয়া ইহুদীদের গল্পটা, ওরা মুসা নবীকে নানান ছুতায় আসলে ধর্মের সহজ নির্দেশটাই ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল।



কথা সহজ: সরল মনে তুমি যখন উপাসনা করবা, আল্লা তুমার সকল ইবাদত কবুল কইরা নিবে।



আহ্! কি শান্তি!! সব সংশয় আর দ্বিধা নিমিষেই দূর। আমার চিন্তা আর ক্ষমতা দিয়ে যেমন ভাবে পারি, তেমনভাবেই ইবাদত করতে হবে। ধর্মের সরল পথ!



ততদিনে স্কুলে জড়িয়ে গেছি একটা ধর্মীয় ছাত্র সংগঠনের সাথে। জেনে নিয়েছি নাস্তিকদের নাম-ধাম। আহমদ শরীফ আর বদরুদ্দীন উমর তো দুই শয়তানের প্রতিভূ। সালমান রুশদীর ফ্যাচাংটা কি সেই বছরই লাগল, না আরো পরে?

ক'দিন পর উনি মোটামুটি সুস্থ্য হলে দু'জনে বেড়াতে বেরুলাম। ফার্মগেট পর্যন্ত রিকসায় গিয়ে মিরপুরের বাসে উঠেছি, খালার বাসায় যাব। বাসে উঠেছে এক পাগলা বুড়ি। তার হাতে বিশাল এক ফুলের তোড়া। একা একাই বকবক করছে সে। আড়ি পেতে তার কথা শুনে বুঝলাম,তোড়াটা মিরপুর মাজারে দিতে যাচ্ছে সে।

"ভাইজান!" ভয়ে জমে গেলাম আমি।

"কি হইছে?" ভাইজান অবাক।

"ওই বুড়ি মাজারে ফূল দিতে যাইতেছে, বুড়ির পাপ হইবো না, বুড়ি তো দোজখী!"

"হ্যাঁ, তা তো হবেই। কবরপুজা তো পাপই।" অবাক হলাম, উনি বেশ হৃষ্টচিত্তেই কথাটা বললেন।

"কিন্তু বুড়ি তো না জাইনা সরল মনে করতেছে।"

"কিন্তু আল্লা তো সকল মুমিনের জন্য জ্ঞানার্জন ফরজ করছে। তুমি জানি না বইলা মাফ পাইবা না। জাইনা সরল মনে ভুল করো, কোন ক্ষতি নাই।"

"কিন্তু ভাইজান, আল্লা তো আহমদ শরীফ আর বদরুদ্দীন উমররে অনেক জ্ঞান বুদ্ধি দিছে। তারা যদি সরল মনে নাস্তিক হইয়া যায়, তাদের জ্ঞান বু্দ্ধির জন্য কি তারা দায়ী..."

"কি যে করি তোরে নিয়া..." ভাইজান বাসের জানলা দিয়া বাইরে তাকালেন।

.....







আগের দুই কিস্তি

Click This Link

মন্তব্য ১১২ টি রেটিং +২৩/-৩

মন্তব্য (১১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৪৭

খারেজি বলেছেন: খারেজি বলেছেন: পুলাপান বয়েসের চিন্তা ভাবনা, মাফ কইরা দিয়েন সবাই।
কিন্তু সিরাতল মুস্তাকিম ছাড়ি নাই।
ঐ এক রাস্তাতেই আছি।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫১

কঁাকন বলেছেন: উফফ!!!
আপনারে নিয়া আর পারা গেল না

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৮

খারেজি বলেছেন: না পারা গেলে ছাইড়া দেন অ্যালায়।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫২

কঁাকন বলেছেন: এইটার ই কি লাস্টের প্যারা হারায় গেসিলো ?

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৬

খারেজি বলেছেন: না, সেইডা আরেকটা পুরান লেখা।

এইডার ড্রাফট পরশু হারায়া গেছিলো।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫৯

মানুষ বলেছেন: :D

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৬

খারেজি বলেছেন: কি কইতাম!

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৩

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: চমৎকার লেখা, আগেরটিও পড়লাম। আপনিও মোহভঙ্গের দলে? আগে ঈমান শক্ত ছিলো?

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৬

খারেজি বলেছেন: নারে ভঅই, আমার মোহভঙ্গ হয় নাই, আমি সিরাতাল মুস্তাকিমে আছি।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৬

তনুজা বলেছেন: আমি তো ছিলাম ধূলিকনা, কেন মাবুদ প্রাণ দিলা! যদি দিলাই প্রাণ তো পরীক্ষায় কেন ফেল? কত আছে তোমার নির্বাচিত বান্দা, মায়ের গর্ভ থেকেই কোরআনে হাফেজ হয়ে আসে, শৈশব থেকেই চেনা যায় তাদে সুলক্ষণচিহ্ন। আমারে তো মাবুদ বানাইলা অতিসাধারণ ------



খিকখিকখিক


পোস্টে ঝাজা


ইয়ে আঙ্কেল আপনার বয়স কত?

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৭

খারেজি বলেছেন: অঙ্ক পারি না বইলাই তো বাপে কুন উত্তর দিত না।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৭

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: ঝাজা/জাঝা মানে কী? কিছু মনে নেবেন না, নতুন ব্লগার :(

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৯

খারেজি বলেছেন: ভুইলা গেছি, এরমানে ঝাজাকাল্লাহ কি যেন!
ঐ পিডে হাত বুলায়া দেওয়া আর কি।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১২

ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: হাহাহাহাহ ওই আরবদের কাছ থেকে আওড়ানো জিনিষটার প্যারোডি? অ্যান্টেনার ওপর দিয়ে গেছিলো, ধন্যবাদ

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৬

খারেজি বলেছেন: প্রথমবার আমারও তাই হইছিল্।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১৩

তনুজা বলেছেন: ট্র্যানজিস্টার গুলাবি (তামিম ইরফানের) পোস্টে জিজ্ঞাসা করতে পারেন , সে জানে


ঝাজাকাল্লাহ খায়রান , তবে এর একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫৬

খারেজি বলেছেন: ঐতিহাসিক!
আর আমি জানি না?
জরদি কন!

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১৪

রিসাত বলেছেন: আরে যা যা, যাইস তো বেহেস্তে... আম্রা তো ভাইসা আসছি..B-)


পান্ডুব্যাধি কী জিনিস ?;)

আমাদের একটা বাংলার স্যার ছিলেন,,, দেলোয়ার হোসাইন(সাঈদী না আবার;)),, মহা ফাঁকিবাজ,,, উনার ক্লাস হইলো ক্লাসে আইসা গপ্পোসপ্প করা করা আর আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা,,, উনি একটা কথা বলতো,,, যে,,, তোমরা ভাইবা দেখো,,, ধরো তুমি একটা খেলনা বানাইছো বা অন্য যেকোন জিনিস বানাইছো,,, এখন সেইটা যদি ম্যালফাংশান করে কিংবা যদি সেইটারে ধ্বংস করতে? ঠিক এইভাবে চিন্তা কর,,, আল্লাহ তো সব ধর্মের মানুষরেই কতো যত্ন কইরা বানাইছে,,, সবগুলা মানুষই তাঁর প্রিয় সৃষ্টি,,, এখন বলো যে উনি কী ভাবে তাঁর এই আদরের সৃষ্টিগুলারে আগুনে পোড়াবেন?:|


আমি মহা চিন্তায় পড়লাম,,:( স্যারের কথায় তো দেখি যুক্তি আছে,,,

তবে স্যার আস্তিক না নাস্তিক এইটা কখনো জিজ্ঞাস করা হয় নাই8-|

বহুত ভালো লিকচেন,,, ফেভারিট পোষ্ট

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৩০

খারেজি বলেছেন: আনন্দ পাইলাম।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:১৫

তনুজা বলেছেন:
ওহ খারেজি! আপনার এই মুহূর্তে ৪ , একটু আগে ৩ ছিলেন

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৩১

খারেজি বলেছেন: আমি লাস্ট বেঞ্চ।
এইখানে ফাস্র্ট হইবাম চাই না আর।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:২২

টুশকি বলেছেন: আপনি কি আস্তিক নাকি নাস্তিক? নাকি দুইটার মাঝামাঝি? নাকি একটাও না?

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৩১

খারেজি বলেছেন:
টুশকি রে, আম্রা তো খুঁজি।
পাইলে বুঝুম।

দাওয়াত দিয়া নানী তুমি পলাও কেন?

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩

~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: আপনার সাথে আমার চিন্তাভাবনার ব্যাফক মিল, ছোডুবেলা মাঝে মাঝে ভোর বেলা ঘুম ভাংলে মনে হইতো, কেয়ামত শুরু হইবো এখনই, কারন কেয়ামত হইবো এমন সময় - যখন দিনও না রাইতও না। ডোরে আমার ছূডু আত্মা কাইপা যাইতো তখন :P:P

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫৩

খারেজি বলেছেন: একই অবস্তা।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫১

বাঙ্গাল বলেছেন: জাজাকাল্লাহ! সোন্দর...মাঝে সূরা ফাতেহায় "সিরাতুল মুস্তাকিস" লিখছেন...চেঞ্জ করে আমার কমেন্টটা ডিলিট করে দেন। ওহাবী কি, কেন, কই থিকা আইলো ...এরেক্টু কন...আমারে আমার সুপারভাইজার জিগাইছেল...কইতে পারি নাই।
----------------------------------------------
ব্যানানা বাংলাদেশ-৩ (গডফাদারের স্টিমুলাস মূলা)

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫৪

খারেজি বলেছেন: কনসালটেন্সি দিবেন ওয়াহাবি নিয়া?

পড়ছি লেখাটা। প্লাসাইসি।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫২

চল যাইগা বলেছেন: + দিলাম| সুখপাঠ্য হওয়াতে|

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৫৫

খারেজি বলেছেন: দুঃখপাঠ্য হইলে মাইনাস!

দুঃখীরা বাঁচব কেমনে?

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:২৪

চল যাইগা বলেছেন: নিজে বড় দু:খী তাই আর দু:খীদের কথা ভাবি না|

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:২৫

খারেজি বলেছেন:
দুঃখীরা নিজেদের কথা না ভাবলে দুঃখ কি আর দূর হবে?

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৪৯

ব্যতিক্রমী বলেছেন:
কালিমাতুল বাতেল
ইউরিদূবিহাল বাতেল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৫৭

খারেজি বলেছেন: ব্যতিকমী কমেন্ট!
হিব্রু ভাষাডা শিখি নাই, এট্টু অনুবাদ কইরা দিতেন যদি...

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:২৭

চাঙ্কু বলেছেন: হুম

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

খারেজি বলেছেন: হুম হুম।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫

মুক্ত বয়ান বলেছেন: ব্যাপক লেখা!! চুপ-চাপ মাইনাস দিয়া গেছে কে?
কইয়া তারপর মাইনাস দে.. ফাউল যতসব।
+++

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২৯

খারেজি বলেছেন: ঠিক কথা।
কইয়া দে।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৪৫

অচেনা সৈকত বলেছেন: ভাল্লাগলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩০

খারেজি বলেছেন: ধন্যবাদ, অচেনা সৈকত।
এবার চেনা হ।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: ভাল্লাগছে .....চলুক

++

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩

খারেজি বলেছেন:

হ রে, ভাই এইডার জ্বালায় বিশ্বমন্দা নিয়া আর লেখাও বাইরাইলো না, স্টিকিও হইল না।

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২৭

ভন্ডপির বলেছেন: মারাত্নক লেখসেন :D

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩২

খারেজি বলেছেন:


গুরুতর বিশেষণ দিলেন!

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪০

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আছি

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৮

খারেজি বলেছেন: জানতাম আপ্নে থাকবেন।
ধন্যবাদ।

২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫

হোরাস্‌ বলেছেন: ভাই আপনি পারেনও :D

আপনার লেখার মধ্যে হিউমার অসাধারণ। তাড়াতাড়ি পরের পর্বগুলা দেন। প্লাস +

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪১

খারেজি বলেছেন:
ধন্যবাদ, হোরাস।
পারি, কিন্তু শুনতে ভাল্লাগে!

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:১০

মো: আজিজুল হক বলেছেন: সিরাতুল মোসতাকিম এর পথে অটল থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই তরিকা করতে হবে। তাতে আপনার কলবে আল্লাহর জিকির জারি থাকবেন এবং আপনার নফসকে মুতমাইন্নাহ করতে পারবেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪২

খারেজি বলেছেন:


ঠিক বলসেন, আমিও চেষ্টা চালায়া যাইতেছি।

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনে কি সবাইরে বেহেস্তবাসী করার মিশন নিয়া নামলেন নাকি? যারে যার পথে থাকবার দেন না ভাই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৩

খারেজি বলেছেন:


এদ্দিন পর এইডা কি কইলেন!
আমি কেন মিশন নিয়া নামুম: আল্লা সবাইরে এম্নিতেই বেস্তবাসী করবো।

কিন্তু অন্যরে ত্যক্ত করা যুদি আমার পথ হয়...

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩

অদ্রোহ বলেছেন: আমি ভাই বেহেশত-দোযখ এসব জায়গায় যামুনা,আম্মা আমারে বাসা থেকা বার হইতে মানা করসে;)

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: পরে মনোযোগ দিয়া পড়তে হবে। নিয়া গেলাম।


আছেন কেমুন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৫

খারেজি বলেছেন: আছি ভালাই, আপ্নের প্রফাইল তিনবেলা পাল্টায়... তাও আপনেরে চিনাবার পারলাম না।
পড়লে জানায়েন।

২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:০৮

ইফতেখার রাসেল বলেছেন: অাপনার সব প্রশ্নের ই উত্তর অাছে......
জাকির নায়েকের lecture দেখতে পারেন...........
অাপনার অাগ্রহ প্রশংসনীয়.....

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৭

খারেজি বলেছেন: জাকির নায়েক!

আপ্নে ভাই আমার নামডা দেখলেন না- খারেজি!!
খারেজিরা দ্বীনের ব্যাপারে কারোরে সালিশ মানে না।

৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ভাই জোস লেখছেন। সালমান রুশদির ঘটনার আমলে আপনে স্কুলে পড়তেন তাই না।


তাইলে তো বয়স ম্যালা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৮

খারেজি বলেছেন: অপরাধী কোন না কোন চিহ্ন রেখে যাবেই, ওয়াটসন।
আপ্নার তো গোয়েন্দা হওনের কাম ছিল।

হ, রে ভাই, গডনাডা লুকায়া ফেলা উচিত ছিল।

৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৩৯

ফারুক৫৫ বলেছেন: কোরানে ২/৩ জায়গায় বলা হয়েছে , "ফাবুদুনি , হাদা সিরাতুল মুস্তাকিম"। মানে হলো - আমারই উপাসনা কর, এইটাই সোজা রাস্তা।
কোরানে আরো বলা হয়েছে , আল্লাহ তাদেরকেই ভালবাসেন , যারা শুধুমাত্র তাঁরই উপর নির্ভর করে।

ইসলামে কোন মধ্যস্ততাকারী নেই। নবী , রসুল , পীর , খাজাবাবা কেউই কোন উপকারে আসবেনা। তাদের সকলকেই এমনকি নবী মুহাম্মদকেও নিজ কর্মফলের জবাবদীহি করা লাগবে আর সকলের মতোই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৪৩

খারেজি বলেছেন:


কথা সত্য, কিন্তু যারা এইটা না জাইনা (গরিব, অজ্ঞ, ভিন্নধর্মী) বা অন্য বুঝ পায়া আরেক পথে গেল, তারাও যে সিরাতুল মুস্তাকিম এ নেই... তা অত জোর দিয়া কই কেমনে? তারও তো সল দিলেই কাজটা করলো, নিজ বুঝ অনুযায়ীই চললো।

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৪৮

ভালো-মানুষ বলেছেন: আল্হাম্দুলিল্লাহ! জাজাকাল্লা খাইড়ান! পড়িয়া প্রীত হইলাম!

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৫৮

খারেজি বলেছেন:

দেরির জন্য জরিমান দিন।

৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৫৩

মনজুরুল হক বলেছেন:

মূল জায়গা থেকে সরে যাচ্ছি...

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৫৯

খারেজি বলেছেন: মূলটা যেন কি?

কোনো বৃক্ষের শেকড়?

৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:০২

ভালো-মানুষ বলেছেন: জরিমান হিসেবে এই কমেন্টটা নেন

আছেন কেমন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:০৫

খারেজি বলেছেন:


আপ্নেরে তো ভালা-মানুষ বইলাই ভাবছিলাম...

৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:০৩

মনজুরুল হক বলেছেন:

জ্বী, শেঁকড়। হরিতকী,বহেড়া,চিরতা.....

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১১

খারেজি বলেছেন: এগুলার তো শেকড় খায় না, ফল খায়।

৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:০৪

শিবলী রহমান বলেছেন: ;);););););)

সিরাতাল মুস্তাকিম

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১২

খারেজি বলেছেন: সিরাতল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম...

৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:০৯

মনজুরুল হক বলেছেন:

আমাকে একটা মেইল দিয়েন।
monjuraul এ্যাটyahoo.com

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

খারেজি বলেছেন:
কি বিপদে ফেললেন!
আমি তো ভার্চুয়াল চরিত্র।

মাফ করা যায় না... অন্য কুন হুকুম দেন...

(পরেরবার অপরবাস্তব সম্পদনা করার সম্ভবনাডা নষ্ট করিয়া দিয়েন না)

৩৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১২

ভালো-মানুষ বলেছেন: ঠিকই ভাবছেন; আমি অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ ;)

... ...
ইল্লতে স্বভাব হলে
পানিতে যায় না ধুলে
খাসলতি কিসে ধুবা।
ফকির লালন বলে, হিসাব কালে
সকল ফিকির হারাবা।।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:২০

খারেজি বলেছেন:
তাইতো, মানুষ ভালা হইলেও পিতলে অবলা ভুলাইবার খাসলত কিসে দূল হইবো?

৩৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:১৪

শিবলী রহমান বলেছেন: মামা তাহাজ্জুতের নামাজটা পইড়া আসো......



:):):)

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:২১

খারেজি বলেছেন: ভাগিনা, অহন মুনাজাতেই আছি।

৪০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৪১

ফারুক৫৫ বলেছেন: "কথা সত্য, কিন্তু যারা এইটা না জাইনা (গরিব, অজ্ঞ, ভিন্নধর্মী) বা অন্য বুঝ পায়া আরেক পথে গেল, তারাও যে সিরাতুল মুস্তাকিম এ নেই... তা অত জোর দিয়া কই কেমনে? তারও তো সল দিলেই কাজটা করলো, নিজ বুঝ অনুযায়ীই চললো।"

যাতে সকলে জানতে পারে এবং নিজ বুঝ অনুযায়ী না চলে , একারনেই যুগে যুগে , সকল জাতির কাছে আল্লাহ নবী রসুল পাঠিয়েছেন একই বার্তা দিয়ে। সেটা হলো তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা কর , তার সাথে কাউকে শরিক বানিয়োনা।

৪১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৪৩

মনজুরুল হক বলেছেন:

আসলে মেইলটা আমিই করব। আইডি নাই বলে আপনাকে করতে বলেছি। সমস্যা থাকলে দরকার নেই। আমি কাউকে বিপদে ফেলি না। আস্থা রাখুন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০৯

খারেজি বলেছেন: না, আমার এই নিকের মালিকই মেইল করবে।

৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮

অলস ছেলে বলেছেন: সালমান রুশদীর ফ্যাচাংকালের কথা একটু একটু মনে পড়লো। পুরা পাগলামী।
চালায়া যাও। ভালো লেগেছে যথারীতি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৫

খারেজি বলেছেন: কই আছিলা আইলসা?
মুনডা এম্নিতে খারাপ, তারউপ্রে তুমার দেখা নাই।

৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

কলুর বলদ বলেছেন: কি আর কমু !
কুপাইছেন !

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫২

খারেজি বলেছেন:

কি যে কন!

৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮

শয়তান বলেছেন: হকভাই খারেজিরে ছাইড়া দেন । ব্যাটা আগেরথিকাই পিসলা বাইন মাছ

২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬

খারেজি বলেছেন: গরীবরে নিয়া কি চক্রান্ত করতেসেন... মাবুদ জানে...

৪৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শয়তান বলেছেন: খারেজ করার চক্রান্ত ;)

২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:২০

খারেজি বলেছেন: হুম!

৪৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:৪০

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: লেখা ভালো লাগিসে ...

৪৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২৩

শিবলী রহমান বলেছেন: মামা
নতুন পুস্ট কই?????????????????/

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

খারেজি বলেছেন: লেখত্যাছি একটা।
দেহি সুবে সুবে দিতারি নাকি!

৪৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

পি মুন্সী বলেছেন: আপনার সিরাতাল মুস্তাকিম যদি টিকে যায় তো টিকবে নিচের অংশটার জন্য।
"দিনগুলো পার হতো যথারীতি, রাতগুলো ছিল ভয়ংকর। আমি তো ছিলাম ধূলিকনা, কেন মাবুদ প্রাণ দিলা! যদি দিলাই প্রাণ তো পরীক্ষায় কেন ফেল? কত আছে তোমার নির্বাচিত বান্দা, মায়ের গর্ভ থেকেই কোরআনে হাফেজ হয়ে আসে, শৈশব থেকেই চেনা যায় তাদে সুলক্ষণচিহ্ন। আমারে তো মাবুদ বানাইলা অতিসাধারণ, কেমনে এই ঘোর পরীক্ষায় পাড়ি দেই! পা ফস্কালে অনন্ত দোজখ, আর সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে গিয়ে পাই সার্বক্ষণিক উপহাস। অনন্ত আজাবের হাত থেকে মুক্তির একটা উপায় দেখায়া দাও, আমি জীবনভর যা অনুসরণ কর্তে রাজি আছি। কিন্তু এই অন্ধের মত পরীক্ষা যে আর সহ্য হয় না, মাবুদ। কেঁদে কেঁদে দিলটা সাফ হয়। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি। চোখের জল বোধ হয় মগজের টনিকও, ক'দিন বালিশ ভিজিয়েই ধা করে মাথায় আসে... তাইতো তাইতো। তারপর শান্তির ঘুম"।

এখানে খারেজিকে যেভাবে খুঁজে পাওয়া যায় - এটা সাংঘাতিক। সমস্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে এখানে। এর অন্তত দুইটা উল্লেখ করছি। আপনার
১। ধর্মের সাথে এনগেজমেন্ট এবং মোকাবিলার চেষ্টা
২। আগানোর মৌলিক পথ মানবিক - মানুযের ধর্ম; স্ব-ভাব ও সহ-জ অর্থাৎ সহ-জাত।

বর্ণনার উল্লেখযোগ্য স্পর্শকাতর অংশ:
"আমি তো ছিলাম ধূলিকনা, কেন মাবুদ প্রাণ দিলা! "
"আমারে তো মাবুদ বানাইলা অতিসাধারণ, কেমনে এই ঘোর পরীক্ষায় পাড়ি দেই!"
"মাবুদ। কেঁদে কেঁদে দিলটা সাফ হয়।"

সাবধানবাণী:
এভাবে নিজে অথবা কাউকে ভাবাবার সময় বেশিদিন পাবেন না। আপনার সিরাতাল মুস্তাকিম এলোমেলো হয়ে যাবে।


এহতেকাফের বিড়াল যেন, একনিষ্ঠ কিস্তি চালিয়ে যান, শেষ করুন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৬

খারেজি বলেছেন:


এহতেকাফের বিড়াল... হ্যা, মনে পড়েছে...নিষ্ঠতাও আসলে একরকম আত্মসংগ্রাম, আমি ওতে বরাবরই ব্যার্থ।

সেন্ট অগাস্টিন কিংবা গাজ্জালি ... আত্মানুসন্ধানের অনেকগুলো বড় উদাহরণের দু'টি। কিন্তু এরা দু'জনও, আমি মোটামুটি নিশ্চিত, অজানার ভীতিতাড়িত... আমাকে যেমন তাড়িয়ে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে লোভ, ইহ দুনিয়ার রঙ, মায়া, প্রীতি।

পুরো লেখাটা আসলে কিশোরের দেহের বিকাশ আর পাপের উপলদ্ধি এই দুই প্রাচীন ঘটনার দ্বন্দ্বের বর্ণনা, এমন লেখা পশ্চিমে অনেক আছে। সেদিক দিয়ে এটা এমন কোন নতুন প্রসঙ্গ নয়।
তারপরও আপনার ভাল লেগেছে শুনে দারুণ লাগলো।

৪৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২৩

পি মুন্সী বলেছেন: মনজুরুল কে:

মূল জায়গা থেকে সরে যাচ্ছি... বলে তাড়া দিচ্ছেন কেন?

ভয় করেন না। এটা আপনার রাস্তাতেই আছে; অথবা বলা যায় আপনিও এই রাস্তাতই থাকবেন। আপাতত প্রিযুডিস না হয়ে শান্ত হয়ে বসে, একজন মানুষের বেড়ে উঠার মানবিক অভিজ্ঞতা বুঝার চেষ্টায় মনোযোগ নিবদ্ধ করেন। গায়ে পরে পরামর্শ দিলাম বলে আবার রাগ করেন না, যেন। আমাদের বের হতে হবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৪

খারেজি বলেছেন:


না, মনজুরুল হক এই লেখাপ্রসঙ্গে তাড়া দেননি।
উনি ওনার নিজের একটা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন।

৫০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৩০

পি মুন্সী বলেছেন: খারেজি, আমার মন্তব্যে 'মানবিক' শব্দ ব্যবহার করেছি; মানবতা বুঝাইনি। মানবতা, মানবতাবাদী অথবা হিউম্যান রাইট চার্টার আমার ভাষা নয়। আশা করি, খেয়াল করে, আমাকে অবিচারের হাত থেকে বাঁচাবেন।

৫১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

ভূপর্যটক বলেছেন: মানুষ আশরাফুল মুখলুকাত। অপার সম্ভাবনাময়।
দুনিয়ায় আল্লাহ-মাবুদের খলিফা মানুষ; মাবুদের পক্ষে দুনিয়া দেখেশুনে রাখার দায়িত্ত্ব এই প্রতিনিধির।
দুনিয়া থেকে বে-ইনসাফি দূর করে, ইহলোকের দুনিয়াতেই পরলোক কায়েম করতে হবে। পরলোকে বেহস্ত না দোজখ পাই সেই বাকির খাতায় আমার ভরসা কম। যা করার এখানেই করে ফল ভোগ করে, দেখে যেতে চাই।

৫২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:০৪

ম্যাক্সিমাস বলেছেন: কমেন্ট দেখে ভূপর্যটক সাহেব কে ভোগবাদী বলে মনে হচ্ছে? নাকি আমার বোঝার ভুল?

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৩৭

খারেজি বলেছেন:
আপনার বোঝার ভুলই মনে হয়। আস্তিক- নাস্তিক নির্বিশেষে ভোগবাদী হল সেই যে কেবল নিজের জন্য দুনিয়াটাকে ভোগ করতে চায়। সে কারণেই পুঁজিবাদ এর অপর নাম ভোগবাদ।
"দুনিয়া থেকে বে-ইনসাফি দূর করে, ইহলোকের দুনিয়াতেই পরলোক কায়েম করতে হবে। "
এই মন্তব্যের পরও কাউকে ভোগবাদী বলা যায় কি?

৫৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১৬

পলাশমিঞা বলেছেন: কোন দল যে বেহেস্তে যাইব তা আল্লাই ভালা জানেন।

আমিতু হুনছি মদ খাইলে ইমান থাকেনা। তাইলে ওই বেটা বেহেস্তে যাইব কোন পথে?

আপনার লেখা আমার খুব ভালো লেগেছে, সত্যি বলছি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭

খারেজি বলেছেন:


ধন্যবাদ। আবার এমন সহীহ বুখারী হাদীসও আছে, সকলেই বেহেস্তে যাবে। কেউই বাদ পড়বে না।
কেননা মানুষ তো তার কর্মের জন্য দায়ী না।

৫৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৪২

ভূপর্যটক বলেছেন: ম্যাক্সিমাসএর কেন ভোগবাদী মনে হলো তাই ভাবছি। ঠিক ধরছেন,
খারেজি।
ম্যাক্সিমাস ও খারেজিকে অনুরোধ করব আমার একটা পোষ্ট আছে, "ধর্মের পারলৌকিক প্রজেক্ট....." নামে। ওখানে আমাকে জানা যাব ভাল।

খারেজি@, predator অর্থে যদি ভোগবাদ মানে করেন, তবে পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র (এপর্যন্ত যা চর্চা হতে দেখা গেছে) এরা ঊভয়ই predator ধারণার ধারক বাহক। প্রকৃতি জয়ী! প্রকৃতির দুই জানু চিপে নিজের ভোগ লালসার উপায় বের করাই মানুষের কাজ, সেইসাথে ভোগ লালসার প্যাটার্ন মেটানোর কাজে নিজেদের জয়ী মনে করে। এই হলো তাদের মানুষ-প্রকৃতি সম্পর্কবোধ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:১৪

খারেজি বলেছেন: পর্যটক, আপনাকে যদি ঠিকঠাক বুঝে থাকি, তবে আপনার সাথে একমত হতে পারছি না। ভোগবাদে আনন্দটাই মূল কথা, তা ধর্ষণ হলেও।

প্রকৃতির কথাই যদি বলেন, মুনাফার প্রয়োজনে একে লণ্ডভণ্ড করে ফেলছে পুঁজিবাদ। এঙ্গেলস এর একটা রূপক গল্প আছে, এক ছাগলরূপী পুঁজিবাদ এমনই ভোগকরে চলে যে, তার এলাকায় আর কোন ঘাস অবশিষ্ট রইল না। ফলে ছাগলের নিজেরও বিনাশ ঘটল।

সমাজতন্ত্রের অভিজ্ঞতায় প্রকৃতি নিয়ে শতভাগ ভাল নিদর্শন নেই বটে, কিন্তু প্রতিবেশ বিষয়ে মানুষের এই ভাবনাও অভিজ্ঞতায় ছিল না। কারণ ও ছিল না।

আজ কিন্তু পুঁজি প্রকৃতির সঙ্কটকে কাজি লাগিয়ে নিত্যনতুন বাণিজ্যের ধান্ধাতেই ব্যস্ত। ফলে সেই প্রাণের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই হচ্ছে আপনার ভাষায় দুই জানু চেপে ধরে ভোগ!

সমাজতন্ত্রে এটা সম্ভব না, অন্তত যতক্ষণ তা সমাজতন্ত্র থাকে।

আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়ব।

৫৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৪২

মো: আজিজুল হক বলেছেন: আমি আপনাকে একটি পথ দেখাতে পারি। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমি খাস মোজাদ্ধেতিয়া তরিকরা করি। এ তরিকায় আপনি বায়াত হওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে আপনার কলবে আল্লাহর জিকির জারি হবেই ইনশাআল্লাহ।
আপনি চাইলে করে ধেখতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনারও ভাল লাগবে। মারেফাতের লাইনে অনেক অনেক মজারে ভাই। সাভারণ ভাবে তা বোঘা যাবে না।
আপনি চাইলে আমি আপনাকে পথ দেখাতে পারি ?
এ পথে যতই হাটবেন ততই ভাল লাগবে । যতই তরিকার কাজ করবেন আপনার কাছে মনে হবে আপনি আল্লাহর ততই নইকট্য ভাজন হচ্ছেন। সুবাহানাল্লহি বিহামদিহী।
আল্লাহ ্্আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দান করুন। আমিন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮

খারেজি বলেছেন: ধন্যবাদ, আজিজ সাহেব।

তেমন যদি কোন পথ থেকে থাকে, আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

জানতে তো কোন ক্ষতি নাই।

৫৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:১২

মো: আজিজুল হক বলেছেন: খাস মোজাদ্দেদিয়া তরিকা করতে পারেন।
করলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
ইমেইল : [email protected]

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০

খারেজি বলেছেন: আচ্ছা, মেইল করবো।

৫৭| ০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৪

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: মারেফাতের দাওয়াত তাহলে এখন ইন্টারনেটেও দেয়া হচ্ছে?!!!! কিন্তু মন্তব্যে আরেকটু বিস্তারিত জানার খায়েশ আছিল। সম্ভবত আরো বেশি কিছু বললে গুপ্ত ভেদ সাধারনরা জেনে যাবে এজন্য মন্তব্যে বেশি কথা-বার্তা হয় নাই। এ জন্যই গুরু বলেছিলেন,

"অবোধ-অভক্ত যে জনা,
তারে গুপ্ত ভেদ বলো না।
বলিলে মানিবে না,
করিবে অহংকারী।"

হায়রে! আমাদের মতন পাপী বান্দারা তবে কি সিরাতুল মুস্তাকিম লভিবে না? কিছু সৌভাগ্যবান লোকই দীদার লভিবে?

গুরু যদি বেঁচে থাকতেন এ যুগে তবে হয়তো বলতেন,

"ব্লগাইও না যথা-তথা,
তরিকতের গোপন কথা,
হেদায়েত চাহিলে,
ফরমাইবেন মেইলে!"

***********************
মজা করলাম দাদা। কিছু মনে নেবেন না।

০৩ রা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

খারেজি বলেছেন: বেশ, বেশ।

আপনার যে হিংসা হচ্ছে তা বুঝতেই পারছি।

৫৮| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: রূপকথা নিয়া পুরা বায়াসড কইরা দিছেন আমারে। বাফড়ার মতন কইতে ইচ্ছে করতেছে, "খারেজি, আইজ মনডা বড়ই খুশ! এই নাও সিগ্রেট!!" (তুমি বললেম বলে কিছু মনে কর্বেন না, আমি পিচ্চি পুলা!)

আপনি জেরডার গল্পটা পইড়া এরকম কিছু একটা আমারও মাথায় আসি আসি কর্ছিল। হ্যান্স অ্যান্ডারসন নিজেইতো সৃজনশীলতার নানান ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে তারপর রূপকথায় কামিয়াবী লাভ কর্ছিলেন। তার অবচেতনের প্রভাব থাকতেও পারে। বেশি ভাবি না। নববর্ষের আগের রাতে একটি কিশোরীর মৃত্যুর বর্ণনা নিয়ে একটি অসাধারন রূপকথা আছে ওনার। সবগুলোর মধ্যে ওইটাই ভালো লাগে। তবে ওইটার মধ্যে কোনকিছু আবিষ্কার করতে আমি ব্যর্থ হইছি।

******
হিংসা?
না, দাদা! হিংসা হবে কেন? আপনি গুরু।

০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৯:০৯

খারেজি বলেছেন:

বিপ্লব, মুশকিল কি,

রূপকথা নিয়া লেখাটা লিখার পর পুরানের সমাজতত্ত্ব নিয়া আর লিখতে ইচ্ছা করতেছে না। এইটার পাঠকপ্রিয়তা আমারে যে চাহিদায় বন্দী করছে, সেটা থেকে বের হওয়া মুশকিল।

সেই অর্থে লেখাটা আমার কিছুটা ক্ষতিও করছে।

ভাল থাকবেন।













আর ভক্তদের চেয়ে বিপদজনক আর কিছু নেই, তাদের ভক্তি অটুট রাখতে গুরুর জান খারপ শুধু হয় না, আরো খারাপ হয় কৃত্রিম একটা ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। ব্যক্তিত্বের খাঁচা থেকে বেরুতে চাই বলেই তো 'খারেজি'র জন্ম। ওইটারে যদি নতুন খাঁচায় আটকান, পাখি আবার হাসফাস শুরু করবে।



বরং আসেন বন্ধু হই।

৫৯| ১৬ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৩৮

বৃত্তবন্দী বলেছেন: (এইখানে আমি একটু জানতে চাই কমেন্টগুলো পড়ার পর)

আমার সবসময়ই মনে হয়েছে রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্র যতটা মানুষের কাছের অন্য কোন তন্ত্রই তার সিকিভাগ কাছের না। এখন সমাজতন্ত্র যে পুরোটা ত্রুটিমুক্ত তা নয়। এতদিন ধরে অনেকেই অনেক ত্রুটি বের করেছে। আর সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। সেক্ষেত্রে প্রধান সমস্যাগুলোর যে সমাধান গুলো আসছে সেগুলো দিয়ে
সমাজতন্ত্র টাকে কি আরেকটু পরিমার্জন করে তোলা যায় না?

১৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪

খারেজি বলেছেন: আপনি দারুণ একটা প্রশ্ন করেছেন।
বহু মানুষের মাঝেই তত্ত্ব প্রায় ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পায়, বাস্তবতার সাথে তা মিলিয়ে দেখার চল থাকে কম।

কিন্তু সমাজতন্ত্রের তত্ত্বও কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি, মার্কসের আগে বহু শত মানুষ একটু একটু করে এই চিন্তার ভিত গেড়েছেন। তারা কেউ অনেকখানি ঠিক, কেউ অতি সামান্য। এমনকি কারো কারো চিন্তা রীতিমতো হাস্যকরও।

কিন্তু চিন্তার ইতিহাস এই বক্রপথ ধরেই আগায়। এবং চিন্তাকে জয়যুক্ত হতে হলে ইতিমধ্যে উত্থাপিত প্রশ্নগুলো অবশ্যই ফায়সালাও করতে হয়। ফলে আপনি ধরেই নিতে পারেন, আগামী দিনে কোন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব যদি হয়ও, তাকে সমাজতন্ত্রের রুপরেখা নিয়ে, চর্চা নিয়ে ইতিমধ্যে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েই তা করতে হবে।

না হলে যে বি্প্লবের সম্ভাব্য কর্মীদের কাছেই তার আবেদন জন্মাবে না। বরং উল্টোদিকে, সত্যিকারের কর্মীরা বহু আগেই সেই জবাব সন্ধান শুরু করেছেন।

আপনার প্রশ্নটা আমারও হৃদয়ের প্রশ্ন, দেখবেন আমার ব্লগের খারেজি নামের নিচেই একটা কবিতার ক'টি লাইন দেয়া আছে: আমার খুব প্রিয় একটা কবিতার কয়েকটি পংক্তি:
এই পথে আলো জ্বেলে, এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে,
সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ, এ বাতাস কি পরম সূর্যকরোজ্জ্বল,
প্রায় ততদূর ভালো মানব সমাজ, আমাদের মত ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে
গড়ে দেব আজ নয় ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে।

মাটি পৃথিবীর টানেমানব জন্মের ঘরে কখন যে এসেছি,
না এলেই ভাল হত অনুভব করে,
এসে যে গভীরতর লাভ হল, সেসব বুঝেছি।
দেখেছি যা হলো, হবে মানুষের যা হবার নয়
শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.