নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জল পািন

জল পািন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোঁজার বিচি

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২১

প্রিতম এর সাথে চ্যাট করতেসিলাম। কথা হইতেসিল ১৯৭১ এখন হইলে কি হইতো। ওইটাই গল্প আকারে সাজায় লেখতেসি।



স্কাইপে তে প্রিতম ফোন দিল। আমি invisible দিয়া রাখসি, কিন্তু ও জানে আমি অনলাইন এ আসি।

"দোস্ত, অস্ত্র গুলা কই রাখুম।"

"এক কাজ করি চল, আজাদ স্যার এর বাসায় রাইখা আসি। আর যেই ফিরাক, স্যার ফিরাবে না।"

"দোস্ত স্যার এর কাসে যাইতে ডর লাগে।"

"হালা! পাকি রা তোর বাসায় আইবো এইডা তোর ডর লাগে না, স্যার এর বাসায় যাইতে তোর ডর লাগে।"



তারপর প্রিতম বলল ঠিক আসে আমি সবাইরে নিয়া ভ্যান এ কইরা স্যার এর বাসার সামনে আইতেসি, তুইও চইলা আয়।

হ্যালো হ্যালো (slow internet)

হ্যালো হ্যালো (slow internet)

connection failed.



প্রিতম রা স্যার এর বাসার নিচে দাঁড়ায় আসে। আমাকে ফোন দিল,

-"ওই হালা তুই কই?"

-"দোস্ত আমি কোরিয়ান মুভি দেখি।"

-"তোর টূ টূ টূ আমরা আজাদ স্যার এর বাসার নিচে।"

-"তোরা ওইখানে কি করস?"

ব্লা ব্লা ব্লা

-"ওকে মামা তারাতারি হাইটা আইতাসি।"



কলাবাগান, স্যার এর বাসার নিচে পৌঁছানর পর,

আমিঃ "এহনো স্যার এর বাসায় যাস নাই?"

প্রিতমঃ "না, ডর লাগে।"

আমিঃ "চুদির ভাই এখন যদি মিলিটারি আইয়া তোর ঠেলাগাড়ি চেক করত। "

মামুনঃ ওই বেটা ওই! তুই কই আসিলি রে হেন্ডা!

আমিঃ আমারে তো কেউ জানাস নাই

রায়হানঃ মনে হয় কানেকশন ফেইল আসিল।



যাই হোক অস্ত্র এর বস্তা নিয়া স্যার এর বাসায় গেলাম।

টিং টিং।

-কে এ এ।

ড্রিম ড্রিম(বুকের মধ্যে)

-স্যার আমরা।

দরজা খুললেন স্যার।



স্যারঃ আপনাদের ক্লাস এ কয়েক হাজার বার বলা হইসে, সরি কয়েক হাজারবার না, বহুবার বলা হইসে যে কোন উত্তর/প্রশ্ন করলে নির্দিষ্ট করে বলবেন যে কি। আমরা বললে আমি কিভাবে বুঝবো? আপনাদের বাবা-মা হুদাই আপনাদের আকিকা দিয়া নাম রাখসে, এর চেয়ে সব বাবা-মা একটা মিউচুয়াল আকিকা করে "আমরা" নাম রেখে দিত তাহলেই হত। যাই হোক, কি ব্যাপার?

আমিঃ স্যার আমরা যুদ্ধ শুরু করসি। কিন্তু অস্ত্র রাখার যায়গা পাইতেসিনা। আপাতোত প্রিতম এর বাসায় রাখা হইসিল, কিন্তু প্রিতম এর বাপের গার্মেন্টস এর সব মেয়েকে হানাদার নিয়া গেসে দেখে ওর বাসায় ও হানাদার আস্তে পারে এই সনদেহে আমরা এগুলা সরায় ফেলতে চাইতেসি, নির্ভরযোগ্য কেবল আপনি আসেন স্যার।

স্যারঃ আপনারা কিভাবে যুদ্ধ করবেন? আপনারা থাকেন ফেসবুক নিয়ে। যুদ্ধ কি ফেসবুক এ পড়েন। আপনাদের কত কাজ।

রায়হানঃ স্যার ছোটবেলায় গুলতি দিয়া গরুর বিচি ফাটায় দিসিলাম। আপ্নে দোয়া দিলে হানাদারের বিচিও ফাটাই দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।

স্যারঃ হুম। ঠিক আছে রেখে যান। যুদ্ধ করেন।



এরপর আমরা অস্ত্র রেখে বাইর হইয়া আসলাম।

আমিঃ কিরে পিয়াশ আর শুভ কই?

প্রিতমঃ শুভ ওর বান্ধবীর বাসায়। বান্ধবী নাকি অসহায় ফিল করতেসে তাই ও তারে কোম্পানি দিতে গেসে।

রায়হানঃ পিয়াশ সাইকেল এ পাকিস্তানের পতাকা লাগাইয়া বাজার করতে গেসে। ওর বাসায় নাকি গেস্ট আইবো।

আমিঃ গেস্ট কেডা?

মামুনঃ ওর গেস্ট গোঁজা। গোঁজা আল বদর প্রধান হইসে।

আমিঃ তাইলে এইডাই আমগো নেক্সট অপারেশন। অপারেশন "গোঁজার বিচি"।

প্রিতমঃ ওকে দোস্ত। আমি তাইলে বাসা থেকে আমার ল্যাপ্টপ টা নিয়া আসি। রায়হান তুই ক্যামেরা নিয়া আয়, ফাটাইয়া বিচির ছবি আপ্লোড দিমু।

মামুনঃ সাব্বাস প্রিতম তুই আজাদ স্যার এর সেরা ছাত্র।



২ঘন্টা পর। পিয়াশ এর বাসার নিচে।



-দোস্ত মজা মাস্তি মনে হয় ভাল চলতাসে। বিরিয়ানির গন্ধ।

-চুপ থাক বেটা। ফেসবুক এ ট্যাগ মাইরা চেকি ইন দে kill @ khilগাঁ।

-ওকে মামা ডান।

-রেডি! একশন!!!

দিচি দিচি ডিসিয়া। ঢুম দুম ভুম পোঁ পোঁ ফ্রার্ট ফ্রার্ট ফ্রার্ট.............!!!

-দোস্ত কাহিনি হইসে।

-কিচ্ছে?

-হেন্ডা গুলি খাইসে হেন্ডাতে।

-কস্কি? খারা স্ট্যাটাস দিয়া লই।

"আমাদের প্রাণপ্রিয় মেধাবি সহযোদ্ধা মামুন হেন্ডাতে গুলি খাইসে। মামুনের হেন্ডা বৃথা যেতে দেবনা।"

দিচি দিচি ডিসিয়া। ঢুম দুম ভুম পোঁ পোঁ ফ্রার্ট ফ্রার্ট ফ্রার্ট.............!!!

ব্যাপক হইহুল্লোড়! পাইসি পাইসি সালারে। গোজার হেন্ডা উইড বিচি।

রায়হানঃ ক্লিক ক্লিক!

ফেসবুক পোস্ট।



৯মাস পর,



আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি ই ই ই.............................!!!















মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:


এটা কি ছিলো ?!!!! B:-) B:-) :||



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.