নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিশ কাহিনী

১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পে বালিশ, তোষকের কোটি টাকার খেলাধুলায় বদলে গেছে পুরো দেশের সংস্কৃতি।
বিবিসি বিশ্বস্ত সুত্রের খবরে জানিয়েছে- এই প্রথম বাংলাদেশের বিজয়ী ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু বালিশই উপহার চেয়েছেন। দেশের বিভিন্ন অফিস আদালত ঘুরে দেখা গেছে-ঘুষের যাবতীয় লেনদেন বালিশে হচ্ছে। সবার বগলে-বগলে বালিশ, হাতে হাতে বালিশ, মাথায় মাথায় বালিশ।
ভাই, আপনাকে আগেই বলেছিলাম- দশ বালিস না দিলে বস ফাইলে স্বাক্ষর করবেন না।
বালিশ যত বেশি, বস তত খুশি।
আরে মিয়া ফাইল ছাড়েন। এইগুলো সব এক নাম্বার শিমুল তুলার বালিশ।
এক বালিশই পুরো দেশ জুড়ে অন্য রকমের শান্তি নিয়ে এসেছে।
দেশে আর কোনো হাউ কাউ নাই।
বালিশ সংস্কৃতি চালু হওয়ার পর আমাদের অনুসন্ধানী রিপোটাররা বিভিন্ন অফিস ঘুরে দেখেছেন-
দুই উরুর মাঝখানে একখানা কোলবালিশ আর মাথার নীচে আরেকখানা বালিশ রেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যার যার অফিসে বেদুম ঘুম ঘুমাচ্ছেন।
কাজের আর কোনো প্রেশার নেই। শুধু শান্তি আর শান্তি। ঘরে বাইরে শান্তি।
বিশ্রামের জন্যও কাউকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে হয়না। ফলে রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যাম নাই বললেই চলে।

চাঁদাবাজির ধরণও পাল্টে গেছে। টাকা-টুকার পরিবর্তে এখন ব্যাপকভাবে তুলা আদায় হচ্ছে।
তোলাবাজরা হয়ে গেছে তুলাবাজ।

এদিেক শুধু ঘুষ আর চাঁদার বাজার না বিবাহের বাজারেও এর প্রভাব দেখা গেছে।
বিসিএস ক্যাডার, ডাক্তার, প্রকৌশলী সবাইকে টেক্কা দিয়ে তুলার কারবারিরা এখন জামাই নাম্বার ওয়ান। যে যত বড় তুলার কারবারী জামাই হিসাবে তার তত বেশি ডিমাণ্ড। বিয়ের মোহরানা ধার্য্য করা হচ্ছে দশ ভরি সোনার সাথে মোট পাঁচখানা বালিশ।

আবার বরপক্ষও গাড়ী, হোন্ডা, ফ্রীজের পরিবর্তে কনের বাপের কাছ থেকে বালিশ চেয়ে বরের বাবা বলছেন-
বেয়াই সাব- পাঁচখানা নতুন বালিশ না দিলে গ্রামেতো আমার আর কোনো ইজ্জত থাকেনা।
আগে মানুষের নামডাক ছিলো- লোকটি খুব পয়সাওয়ালা।
সেদিন আর নাই। ঘটক পাখি ভাই বলছে-
কইন্যা একটু শ্যাম বর্ণের। কিন্তু কইন্যার বাপ মাশাল্লাহ বিশাল বালিশওয়ালা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে "পিলো এণ্ড কটন" নামে লুটপাট অনুষদের আণ্ডারে নতুন বিভাগ ইতোমধ্যে চালু হইয়া গিয়াছে............
ছেলে ফোন করে- বাপকে বলছে- আর কোনো চিন্তা নেই বাপ। পিলো এণ্ড কটন বিভাগে চান্স পেয়ে গেছি। এখন, ধনী হওয়া আর ঠেকায় কে?
বিশ্বের সেরা রেসলাররা ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে লাইন দিয়েছেন। বালিশ আর তোষককে কীভাবে কাজে লাগিয়ে লুটপাটের চুড়ান্ত করা যায়-সেইজন্য বিশেষ টকশোর আয়োজন চলছে।

টকশোতে একজন বলছেন। সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেন আপনারা করছেন। একবার চিন্তা করে দেখেন- বালিশের জায়গায় যদি বাঁশ হতো। তখন, ব্যাপারটা কেমন হতো।
এখনতো একজন আরেকজনকে গোপনে বাঁশ দেয় তখন প্রকাশ্যে দিতো।
গদগদ সোয়ামী খুশীতে বউকে বলতো-
কাজটা মনে হয় এখন হয়ে যাবে। অফিসের বড় সাহেবকে আজ উন্নতমানের পাঁচখানা বাঁশ দিয়ে আসলাম।

মানুষ ঘুষের সাথে চিরকুট লিখতো-
স্যার, আপনার আর ম্যাডামের জন্য বাঁশ পাঠালাম। একটা মাথার নীচে আরেকটি পাছার নীচে দিবেন। দেখবেন সব টেনশন ভুলে গিয়ে কী শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছেন।
একটু পজেটিভ চিন্তা করতে শিখুন ভাইলোগ। সুতরাং প্লিগ লাগে, বালিশ নিয়ে আর কোনো নালিশ না।
বেয়াকুপ জনগণ ইস্যু পাইলেই শুধু চিল্লায়। এতোটুকু বুঝেনা, বালিশের পেছনেইতো এতো টাকা খরচ হয়েছে-বাঁশের পেছনেতো আর হয়নি।
কাজেই যার যার বালিশ সে সে সামলান। দেশজুড়ে শান্তি বিরাজমান। সবাই দুই রানের চিপায় আর মাথার নীচে বালিশ রেখে আরামে ঘুমান।







মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: বালিশ কি এখন জাতীয় বীর

২| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


'বালিশ' রূপক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে?

৩| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: বালিশে মাথা টানে।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: যাকগে বালিশ যখন পাওয়া গিয়েছে তখন চিন্তা নেই আর। এর পর সময় মতো বিছানা পাওয়া গেলেই বালিশ গুলো রাখা যাবে ঠিকমতো।

৫| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Creative !

এই নিন পাঁচখানা বালিশ। আমার কাজটা আশাকরি B-))

৬| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নম্বর শিমুল তুলার বালিশ তো আজকাল পাওয়াই যায় না।

৭| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০১

করুণাধারা বলেছেন: আমার ধারণা অনেকেই আপনার বালিশ কাহিনীর মাজেজা বুঝতে পারেনি, তাই এই লিঙ্ক দিলাম।

view this link

৮| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুবই ভালো করেছেন। লিঙকটি দেয়ার জন্য।

সবার প্রতি বিনম্র ধন্যবাদ রইলো

৯| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৭

মা.হাসান বলেছেন: মনোহর লেখা। ব্লগার করুণাধারার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। লেখায় +।

১০| ১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খেয়া ঘাট,



পারমানবিক ব্যাপার স্যাপার....................

করুণাধারার লিংকটি সবাই দেখুন যদি এই পোস্টের মাজেজা বুঝতে চান। :||

১১| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:০৮

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: আপনি জানেন না বাজারে নতুন এসেছে বুয়া আর ড্রাইভার কাহিনী! এখন বালিশ ছেড়ে সবাই রাধুনী আর ড্রাইভার হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে !

১২| ১৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: এসব কর্মকর্তাদের মানুষ বলতে ঘৃণা হয়।

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

নয়া পাঠক বলেছেন: এমন বালিশ এ জাতির কপালে থুক্কু মাথায় আরো পড়বে, পড়তেই হবে!

১৪| ১৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এখন ও বালিশ নিয়া নালিশ করলে চলবে ?
ড্রাইভার আর বুয়ার চাকরি তো হাতছাড়া হয়ে যাবে।

১৫| ১৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাজপথে আ্ওয়ামীলগ যতটা সফল প্রশাসনে ততটােই ব্যার্থ!

সেই ৭২-৭৫ থেকে আজকের বালিশ উপাখ্যান!
জনবিচ্ছিন্নতার কারণে পুলিশ, প্রশাসন এবং আর্মি নির্ভরতা!
আর তার অবধারিত প্রতিক্রিয়ায় তাদের স্বেচ্ছাচার!
দেখেওে কিছু বলতে পারেনা স্বৈরাচার! কারণ পরিপূরক তারা একে অন্যের

মাঝখানে জান যায় আমজনতার!
নাভীশ্বাস ওঠে!
পাকা ধানে মাঠে আগুন দেয়! মই দেয় যাতনায়
আর উন্নয়নশীল দেশের নব্য কোটিপতিরা টাকা পাচার করে ভিন দেশে!

ত্রহি মূধুসূদন হাল!!!!!!!

১৬| ১৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: রম্য লেখা খুবই কঠিন। আপনি খুব সুন্দর করে আজকের সরকারী অফিসগুলিতে বালিশের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন।
অগনতান্ত্রিক দেশে শুধু বালিশ নয় এর আর কত কিছু দেখবেন, অপেক্ষা করুন!
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

১৭| ১৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নীল আকাশ সঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.