নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের চুক্তি পত্র

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:১৫

জীবন কোনোদিনও আমাদের সাথে কোনো ওয়াদা করেনা। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী যা চাই তাই পাবো এমন কোনো চুক্তিপত্রেও জীবন স্বাক্ষর করেনা। কিন্তু মানুষ নানা চুক্তিপত্র লিখে। নানা কিছুর ওয়াদা করে। অনেকেই ছেড়ে না যাওয়ার শপথ করে- কিন্ত চলে যায়। অনেকেই আমৃত্যু সাথে থাকার চুক্তি করে-চুক্তি খেলাপ হয়। অনেকেই বলে- আপনিই তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান-সেটা একসময় মিথ্যা হয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্য হলো- একটা সময় আপনি অনুধাবন করতে পারেন-এসব ওয়াদা আর চুক্তিপত্রের সবকিছুই মিথ্যা। জীবন এরকম অসংখ্য ছোট ছোট, বড় বড়, মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যার সৃষ্টি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো এই মিথ্যাগুলোই আপনাকে প্রকৃত জীবনবোধ বুঝিয়ে দেয়। সবাই যখন ছেড়ে চলে যায়। মা যায়, বাবা যায়, ভাই যায়, বোন যায়, জীবন সাথী যায়। তাহলে-জীবনের প্রকৃত সাথী কে? কে আপনার সাথে থাকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।

আপনার শরীর। আপনার প্রকৃত সাথী। শরীরেরও আগে? মাতৃগর্ভে কি কখনো কান পেতে শুণেছেন। শরীর তৈরি হওয়ার আগেই মাতৃগর্ভে সৃষ্টি হয়-একটা টিক টিক, ধুক ধুক। এই টিক টিক, ধুক ধুক একেবারে একি নিয়মে চলে মৃত্যু পর্যন্ত। এটা যখন বন্ধ হয়-তখনো শরীরও আর রেসপণ্ড করেনা। আর এটা যখন অচল হয় ,তখন কেউ আর আপনার সাথে থাকেনা। আপনি ফাইভ স্টার হোটেলে থাকেন, শহরে থাকেন, গ্রামে থাকেন, আকাশে ওড়েন, জাহাজে ভাসেন, বিদেশ ঘুরেন- কিন্তু জীবনে আপনার আসল ঠিকানা হলো আপনার শরীর। এই শরীরটাই মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ কিংবা সবচেয়ে বড় লায়াবিলিটি। এতে অন্যের কারো কোনো অংশীদারিত্ব নেই। আপনি আপনার দেহ আর মনকে যেভাবে চালান ঠিক সেভাবেই দেহ আর মন আপনার কাছে ফিরে আসে। এই দেহ আর মনের যত্ন মানুষ যত বেশী নেয়। দেহ আর মনও ঠিক তেমন করে মানুষের যত্ন নেয়। কেউ যখন আমৃত্য আপনার সাথে থাকেনা। শুধু সাথে থাকে দেহ আর মন। এই দেহ আর মনকে কোনোদিন একেবারে আলাদা করে একটু সময় দিয়েছেন। কোনো সাথী ছাড়া, কোনো বই ছাড়া, কোনো ফোন ছাড়া মাঝে মাঝে নির্জনে একাকী চুপচাপ বসে থাকা ভালো। একা এক তরুর নীচে অথবা কোনো নদীর ধারে। তারপর একটি পত্রপতন, কোনো পাখির উড্ডয়ন, পানির সাথে পানির সন্তরণ -মৃদু মন্দ সমীরণ, তাদের গুণ্জরণ-এসব কিছু যদি নিবিঢ় ভাবে অনুধাবণ করা যায়-দেখবেন মনের ভিতর এমন এক অপূর্ব জগত তৈরি হয়-সেই জগতকে ধবংস করার শক্তি কারো নেই। এমন এক ধন সৃষ্টি হয়-যা কেউ কেড়ে নিতে পারেনা। এমন এক সবুজাভ উদ্যান সৃষ্টি হয় যা কেউ বিনষ্ট করতে পারেনা। মানুষের মন হলো এক বিস্ময়কর ভূমি। সেই ভূমিতে যেরকম চিন্তার বীজ রোপণ করা হয়-সেই ভূমি থেকে ঠিক তেমনি বৃক্ষ জন্ম নেয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিরাট চিন্তার বিষয়।

২| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: তাই প্রতিটা মুহুর্ত আমাদের মন ভরে সব কিছু উপভোগ করে নেওয়া দরকার।

৩| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, ",মানুষ নিজের দেহ ও মনের যত্ন নেন"; যাহা মন ও দেহের যত্ন নিচ্ছেন, উহাকে আপনি মানুষ বলছেন; ইহা ৩য় একটা স্বত্তা?

৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সূরা মূলকের দুই নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্‌ বলেন,
তিনি জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
অনলাইনে একাউন্ট খোলার মতো, সফটও্য়্যার ইনস্টলের সময়
যেভাবে না পড়েই এগ্রিড বলে কলিক করে দেই চুক্তিপত্রে!
রুহের জগতে আমাদের এই ভ্রমনের চুক্তিপত্রে সই করেছি স্বেচ্ছায়, নিজেকে প্রমাণের অতি আত্মবিশ্বাসে!
ব্যাস আইসা ফাইসা গেছি- মাইনকা চিপায়!
জীবন-মৃত্যু অবিরত, জন্মচক্র, পুনপুনরাবর্তন মুক্তি, মোক্ষ, নির্বান লাভ, মাকামে মাহমুদা প্রাপ্তির পথে।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: কথা গুলো শতভাগ খাঁটি ও সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.