নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন লুঙ্গি গামছা পরার অভ্যাস রপ্ত করি

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

ZIRPI লিখে একটু কষ্ট করে গুগুল করে দেখেন। গড়ে প্রতি বছর প্রায় আট হাজার মানুষ শুধু এই আমেরিকায় জিপার রিলেটেড ইনজুরিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। আর যদি আরাম দায়ক কোনো পোষাকের লিস্ট করা হয়-তবে এক নাম্বারে আসবে আমাদের লুঙ্গি। লুঙ্গি আর গামছার যৌথ আরাম-বলে শেষ করা যাবেনা।

লুঙ্গি বায়ুপ্রবাহ সবসময় চলমান রাখে। ঘর্মাক্ত কিংবা আদ্র করে রাখেনা। আর গামছা সহজেই ধোঁয়া যায়, শুকানো যায়, গোসলের সময়-এক গামছা দিয়েই শরীরের সারা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সহ পেছন যেখানে সহজে পৌঁছানো যায়না-সেখানে আরাম করে ঘষা যায়, গোসলের পরপরই সেই গামছা দিয়ে পুরো শরীর আবার মুছাও যায়। একটা পরিষ্কার গামছা সাথে থাকলে প্রয়োজনে জায়নামাজ বানিয়ে নামাজও পড়া যায়।

একবার লুজিয়ানার এক ফাইভ স্টার হোটেলে এক কনফারেন্স উপলক্ষে কয়েক রাত কাটাতে হয়েছিলো। রাতের বেলায় লুঙ্গি পরা অবস্থায় আমাকে দেখে আমার সাদা বন্ধু ডেভিড বলেছিলো- এটা কি পোষাক-অনেকটা মেয়েদের স্কার্টের মতো।

আমি বললাম- একবার ট্রাই করে দেখো। আরামের জন্য এর কোনো তুলনা নেই।

দিলাম তারে একটা লুংগি। সেই যে লুংগির আরাম সে পেয়েছে। এখন দেশে গেলেই তার জন্য আমার লুংগি আনতে হয়।

পহেলা বৈশাখের শুধু একদিন লুংগি গামছা পরে একদিনের জন্য বাংগালি সাজার এই ইতরামি আর ফাতরামি না করে- যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের এই ঐতিহ্য লুংগি -গামছার ব্রাণ্ডিং করা যেতো- তবে এ দুটো দিয়েই বিশ্ব মার্কেট ধরা যেতো।

দুনিয়া কব্জা করার আরেকটা জিনিস ছিলো- সেটা হলো আমাদের ইলিশ।
শুধু একবার যদি দুনিয়াবাসীকে শিখানো যেত ইলিশের মজা কাকে বলে??
চায়না আর বৃটিশরা যেমন আফিম আর চা পানের মজা শিখিয়ে সারা দুনিয়া কব্জা করেছে।

এইতো গত কয়েক বছর আগে একদল চায়নীজ বিশেষগ্গ দল বাংলাদেশের উপকূলীয় অন্চল ভ্রমন করে অবাক হয়ে বলেছিলো-
এতো বড় সমূদ্র যে দেশের পাশে থাকে -সেই দেশ এতো গরীব কেন? কেন এরা নিজের জায়গা নষ্ট করে পুকুর কেটে মাছের চাষ করে- যেখানে এদের বিশাল একটা সমূদ্র রয়ে গেছে।

যাইহোক, লুংগি -গামছাতেই ফিরে যাই। লুংগি পরা দেখেছিলাম- প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরিকে। জাতিসংগ অধিবেশনে যোগ দিতে এসে কী আরাম করে লুংগি পরে নিজ রুমে বসে ডাল ভাত খাচ্ছেন।

অথচ, দুদিনের বৈরাগীরা লুংগি পরলে মনে করেন- জাতটা গেলো। আভিজাত্য ধুলোয় মিশে গেলো।

একভাই খুব ভাব নিয়ে বলেছিলেন- লুংগিটা আসলে পরতে পারিনা-কারণ গিট্টু দিতে জানিনা।

বললাম- দুনিয়ার জগৎ সংসারের সব জায়গায় গিট্টু লাগিয়ে রেখেছেন- শুধু লুংগির গিট্টুটাই দেয়া শিখলেন না।












মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

সুপারডুপার বলেছেন: লুঙ্গি আরামদায়ক পোষাক হলেও ঘুমানোর পর অজান্তেই লুঙ্গি উল্টে যেতে পারে। ঘরের বাহিরে হাঁটাহাঁটি দৌড়ানো খেলাধুলায় লুঙ্গি পরে করতে গেলে লুঙ্গি ফেঁটে যেতে পারে । শীতের দেশে গামছার চেয়ে তোয়ালা আরামদায়ক। সাদা বন্ধু ডেভিড ব্যাতিক্রম। আর ব্যাতিক্রম উদহারণ হতে পারে না।

ইলিশের মজা বুঝলেও ইলিশে কাঁটা আছে; তাই মজায় এক দুইবার খেলেও দুনিয়াবাসীর বেশির ভাগই কম খেতে চাবে। আর কারো কাঁটা ফুটে গেলে সর্বনাশ। পরিবারের সবাই ইলিশ খাওয়া ছাড়বে , সাথে ডাক্তার বাবু ও ইলিশ খেতে বারণ করে দিবেন।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫১

ইমরান আশফাক বলেছেন: বার্মিজদের জাতীয় পোশাকই কিন্তু লুংগী।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লুঙ্গি পরা এক ধরণের এডিকশন | একবার অভ্যাস হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা দুস্কর | আমার প্রবাস জীবনের ১৯ টি বছর এক রাতও লুঙ্গি না পরে ঘুমোতে পারি নি | :P

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক চেষ্টা করেও লুঙ্গি পরাটা রপ্ত করতে পারি নি।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১০ বছর প্রবাসে থেকেও লুঙ্গী ছাড়তে পারিনি। ১ টা ভাল লুঙ্গীর দামে ২ টা ট্রাউজার পাওয়া যায়। তবুও লুঙ্গীর যে আরাম তাতে বাধ্য হই পরা চালিয়ে যেতে...

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

নতুন বলেছেন: আমি জীবনে ১ দিনও লুঙ্গী পরিনাই। পায়জামা পড়েছি, এখনো ট্রাউজার পরি।

আর কে কি পরবে সেটা তার নিজেস্ব ব্যাপার। তাই বলে লুঙ্গী না পরলে তাকে ভাব নিচ্ছে বা দুই দিনের বৈরাগী বলাটাও ঠিক না।

আর লুঙ্গী বাংলাদেশী বা বাঙ্গালীর নিজেস্ব পোষাক নয়, এটা দক্ষিন ভারতীয় তামিলনাড়ুর থেকে এসেছে, এবং লুঙ্গী শব্দটাও মনে হয় মায়ানমারের ভাষা থেকে এসেছে।

ইলিশের সাথে আমিও একমত, যে এটা স্বাদে সব মাছের সেরা। স্যালমন মাছে কাটা নেই তাই এটা সবাই পছন্দ করে।

ইলিশের কাটা না থাকলে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে সেরা মাছ হিসেবে জনপ্রিয় হতো।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

রাশিয়া বলেছেন: ভাই, আপনি দেশ থেকে লুঙ্গি রপ্তানির একটা বাজার তৈরি করে দেন না। আরও কয়েকজন সাদা চামড়াকে ফ্রি লুঙ্গি দিন। সব বাঙ্গালিরা মিলে যদি লুঙ্গির একটা বাজার এসটাবলিশ করতে পারে - তবে আমাদের পকেটে তো দুটো পয়সা আসে।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৫

ঢাকার লোক বলেছেন: লুঙ্গি আরামদায়ক, তবে পরে কাজ কর্ম করায় তেমন সুবিধাজনক নয় মানতেই হবে । সেই সাথে "দুর্ঘটনা" ঘটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.