নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশে অডিজিটালি নির্বাচনী প্রচারণা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২১

জননেতাদের রুচি কত নিম্নমানের হলে একটা শহরকে নিজেরাই এভাবে নোংরামির চূড়ান্ত করতে পারে। নির্বাচন যারা পরিচালনা করে আর নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করে- প্রতীক বরাদ্দ দেয়া এবং নেয়ার অফিসগুলোতো ফুলে সুশোভিত থাকে। ফুলের ভরে যেন মন্চ পড়ে যায়। কিন্তু অফিস থেকে বের হলেই এই ফুল মন আর এদের থাকেনা। হয়ে যায় পুরোটাই পুরিষের মন।
কোন নেতা কার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন-নির্বাচন কমিশন এটা দোষের মনে করেছে। কিন্তু এই যে শহরের প্রতিটি কোনা অশ্লীল নির্বাচনী পোষ্টারে ছেয়ে গেছে-আর হাও কাউয়ে ভরে গেছে- এটা নির্বাচন কমিশন দোষের মনে করেনা কেন??
আপনারাইতো বলেন-দেশকে ডিজিটাল বানিয়েছেন। কিন্তু একটা ডিজিটাল দেশের রাজধানী পরিচালনার নির্বাচন এতো অডিজিটাল কেন?
ট্যুইটার বাদ দিলাম। কিন্ত ফেসবুক, মোবাইলে নির্বাচনের যাবতীয় প্রচারণা করেন না কেন? আপনারা কি করতে চান-কি বলতে চান-সেটা ফেসবুকে লাইভ করেন না কেন? একটা টাউন হল মিটিং করে কীভাবে উন্নয়ন করবেন -সেটা জানান না কেন? সবাই মিলে কেন একটা কমন ডিবেট অংশগ্রহণ করে -কে ভালো কাজ করবেন কিংবা কি করতে চান- সেটা বলতে পারেন না কেন?

এইভাবে পুরো নগর পোস্টারে ঢেকে ফেলার চেয়ে -দিনরাত হাউ কাউ করার চেয়ে- কোনো প্রার্থীর দোকানে বসে চা বানানো, কারো গাড়ীর হেল্পার হিসাবে যাত্রী সেবা দেয়া, কোনো নায়কের প্রার্থীর সাথে হেঁটে যাওয়া অনেক ভালো।
নির্বাচনের পরপরই এসএসসি পরীক্ষা। প্রচণ্ড মশার উৎপাত, নির্বাচনী চীৎকার, পিকনিক পার্টির বিশ্রী উল্লাস, বিয়ে শাদীতে প্রচন্ড জোরে হিন্দি দামাকা গান, পূজার কীর্তন, হূজুরদের ওয়াজ এসবের ভিতর বাচ্চারা কীভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে -এটা কি কেউ একটিবারের জন্য ভেবে দেখেছেন? কর্তৃপক্ষ কি বুকে এতোটুকু সাহস নিয়ে বলতে পারেনা- আপনাদের সমস্ত দেশপ্রেম আর ধর্মপ্রেম রাত দশটার আগেই শেষ করতে হবে। এরপর করতে হলে চার দেয়ালের ভিতর করুন। রাব্বুল আলামীনের দেয়া সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হলো সময়। এই সময়টাকে যদি ঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারেন- তবে কি সেবা করবেন? কাকে সেবা করবেন? কীসের ওয়াজ নসিহত করবেন? সদ্য সন্তান প্রসবা মাতা, অসুস্থ শিশু, বৃদ্ধ, রোগী, শিক্ষার্থী এদেরও জীবন আছে। ওদেরকেও দয়া করে একটু শান্তিতে থাকতে দিন। এই জঘন্য অত্যাচার থেকে ওদেরকে মুক্তি দিন।

উন্নত দেশে রাত দশটার পর কুকুরে গ্যাঁও গ্যাঁও করলেও মালিককে এর জন্য জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু এখানে কে কাকে জবাবদিহি করবে? স্বাধীনতার এমন একচেটিয়া স্বেচ্ছাচারিতা পৃথিবীর বর্বর দেশগুলো ব্যতীত অন্য কোনো সভ্য দেশে দেখিনি।




মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দেশে নাকি সবদিকে এগিয়ে?

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা সিটিতে লিগ্যালী ডাকাতী করার লাইসেন্স দেয়া হবে নির্বাচনে, সবাই ভাগ চায়।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: জঘন্য অবস্থা। এই সব প্রার্থীরা মোটেও নগরীর জন্য কাজ করবে না। যে পাখি আকাশে উড়ে ডানা ঝাপটানো দেখলেই বুঝা যায়।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব কিছুর অপচয়। যে লাউ, সে কদু।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮

ময়ূরী বলেছেন: কেন জানি নির্বাচনের কথা ভাবলেই আমার হাসি পায়।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.