নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিখ্যাত PEW রিসার্চ আর বিলগ্যাটসের মেয়েকে এক মুসলমান ছেলের বিয়ে

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২২

বিশ্ববিখ্যাত PEW রিসার্চ সেন্টারের ডাটা অনুযায়ি মুসলিম দেশগুলোর এ্যাভারেজ লিটারেসির হার ৪৬%। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার হার মুসলমান পুরুষের মাত্র ১০% আর মহিলাদের মাত্র ৬%। পক্ষান্তরে Jewish পপুলেশন মহিলা এবং পুরুষের শিক্ষার হার শতকরা ১০০%। পুরো বিশ্বে পার ক্যাপিটা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ইউনিভার্সিটি ডিগ্রিও ইহুদীদের। সায়েন্টিফিক পাবলিকেশানে ওরা এতো বেশী এগিয়ে ওদের আশে পাশেও কেউ নেই। সবচেয়ে লোয়েস্ট পাবলিকেশান হলো মুসলমানদের। ইসরাইলে রয়েছে অবাধ প্রেস ফ্রিডম। আরব দেশগুলোতে প্রেসফ্রীডম খুবই লিমিটেড অথবা নাই বললেই চলে। জ্বিন জাতি সম্পর্কে জানি- ওদের আমার দেখিনা। কিন্তু ওরা চাইলে আমাদের সবকিছু দেখে। যেকোনো জায়গায় যেকোনো মুহুর্তে হাজির হতে পারে। আধুনিক দুনিয়ার জ্বিন জাতি হলো এই টেকনোলজি। ইন্টারনেট, গুগুল, জিপিএস, নানা রকমের মিডিয়া হলো এইসব জ্বীনজাতির নিজস্ব গোয়েন্দা। গুগুল ম্যাপ টাইমলাইন থেকে আমার কাছে কয়েকদিন আগে একটা ইমেইল এসেছে। ইউরোপ-আম্রিকার কথা বাদই দিলাম। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। সবকিছুর একেবারে পুঙ্খানুপুঙখ ডাটা ওরা দিয়ে দিয়েছে। ইন্টারনেট, গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ট্যুইটার এসব আপনার চোখ খোলা থেকে চোখ বন্ধ করা পর্যন্ত পুরো জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। দুনিয়া এখন টেকনোলজির নিয়ন্ত্রণে। আর এই টেকনোলজিতে যারা এগিয়ে দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ তারাই করবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়ে বলেছেন- বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দুনিয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিয়েছি। যেটা একেবারে সুস্পষ্ট। নতুন রোগ প্রতিরোধেও আমাদের বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে হবে। খুব জরুরি বৈঠকে আমরা Biological Institute and Health Ministry কে নির্দেশ দিয়েছি- অতিদ্রুত কার্যকরি ভ্যাকসিন তৈরি করে ভ্যাকসিনেশন নেটওয়ার্ক সেট আপ করা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের নির্দিষ্ট একটা বাজেটের ভিতরেই আমাদের ট্যালেন্টেড সায়েন্টিস্টরা অতি শ্রীঘ্রই ভ্যাকসিন তৈরি করে- চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরো বিশ্বে এগিয়ে যাবে। নেতানিয়াহু যখন এই কথাগুলো বলছিলেন- তখন তার সামনে ছিলো-একটা পানির বোতল। আর একটা মাইক্রোফোন । আর কিছুই না। যেখানে আমাদের মন্ত্রী, এমপির কথা বাদই দিলাম। একজন কাউন্সিলর, মেম্বর বক্ত্বতা দিলেও মন্চ ফুলের ভারে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। একেকটা মন্চ যেন একেকটা তাজা ফুলের বাগান। আর এই ফুলের বাগানের আশেপাশেই থাকে নর্দমা। ওদের দেখানো কম। কাজ বেশী। আর আমাদের দেখানো বেশী। কাজ কম। ওরা টেকনোলজিতে এগিয়ে আছে। আর আমরা ওয়েলোজিতে এগিয়ে আছি। কে কাকে কীভাবে কেমন করে তেল দিতে পারে- চলছে তার প্রতিযোগিতা। ওদের অদম্য ইচ্ছে ধনে, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে ধনী হওয়া। আর আমাদের তৃপ্তি শুধু ধনীর মেয়েকে কোন মোছলমানের ছেলে বিয়ে করলো সেই খবরটা ভাইরাল করে দেয়া। আপাততঃ বিলগ্যেটসের মেয়েকে এক মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছে- এই তৃপ্তি ব্যতীত অন্যকোনো সুখবর আর আমাদের নেই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ সর্বাধিক একটা ফুলের তোড়া রাখে টেবিলে, আমাদের ইডিয়টগুলোর টেবিলকে ফুল দিয়ে ঢেকে দেয় কেন? ইডিয়টদের গায়ের গন্ধ ঠেকাতে?

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

রাশিয়া বলেছেন: বিল গেটসের মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় ইসলাম বা মুসলিম জাতির কি এমন যুগান্তকারী উপকার হল ব্যাখ্যা করুন। ইহুদিরা ছাড়া বিশ্বে সব ধর্মাবলম্বীরা যদি মুসলিম হয়ে যায়, তাতেই তা কি এসে যায়? এইসব মুসলিমদেরকে এখন দুনিয়ার জন্য বোঝা মনে হচ্ছে। বিশ্বে ১৩০ কোটি না থেকে যদি মাত্র ৩০ কোটি মুসলিম থাকত এবং তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে না হোক আমলে আখলাকে যদি সত্যকারের মুসলিম হত, তাহলেও গর্ব করে বলতে পারতাম "আমি মুসলিম জাতির অন্তর্ভুক্ত।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমান মেয়ে, হিন্দু ছেলে অথবা
হিন্দু ছেলে, মুসলমান মেয়ে ইত্যাদি ভাবা ভাব দিতে হবে।
মানুষকে ধর্ম দিয়ে বিচার করা যাবে না।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ইহুদীদের শিক্ষার হার জানতাম, কিন্তু মুসলমানদের শিক্ষার হার এত কম, জানতাম না। এই শিক্ষা নিয়ে চিন্তা আর চেতনার বিকাশ ঘটাবার আশা করা যায় না।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ওয়োলজিতে এগিয়ে যাবার পরিণাম ভয়াবহ। এখনই আমরা তা বুঝতে পারছি না, কিন্তু পিচ্ছিল ওয়েলের পথে হাঁটতে গেলে বার বার পা পিছলে নিচেই পড়তে হবে।

সারা বিশ্বেও শিক্ষায় মুসলমানরা পিছিয়ে।

আশার আলো নেই কোথাও!

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ বক্তব্য সম্বলিত পোষ্ট ।
সারভাইবাল ফর দি ফিটেষ্ট অনুসারে যোগ্যরাই টিকে থাকবে ।
যারা চেষ্টা করে আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে তারাই এগিয়ে যায় ।

ফুল সৌন্দর্যের প্রতিক তবে তা ফুল গাছে ও বাগনে । ঘরে ও টেবিলের কোনে ফুলদানীতে দু একটি ফুলের তোরা থাকতে পারে তাই বলে সভা সেমিনারে আলোচনা মঞ্চে গাদা গাদা ফুল দৃষ্টি কটু সকলের কাছেই,শুধু তৈল মর্দনকারী লোকজন ব্যতিত।
টেবিলের চারপাশে বিশাল একগাদা ফুলের উপরে বসে যারা নর্তন কির্তন করে হাত নেড়ে কথা বলে তা দেখলেও লজ্জা লাগে এগুলি দেখে মনের অজান্তে ক্ষোভ জাগে। অআলোচনার টেবিলে সুসোভিত ফুল আরসরকারীহসপিটালে গেলে নাকে মুখে রুমাল গুজে চলতে হয় , ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ সর্বত্র । সুশোভিত ফুলের তোরা দিয়ে সজ্জিত মঞ্চের পাশেই ময়লা আবর্জনার মাঝে মানুষ বসবাস করছে আর ডাষ্টবিন থেকে তুলে নিয়ে কিছু মানুষ খাবার খাচ্ছে ভাবলেও মনটা দু:খ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে । সভা সমিতির আয়োজকেরা বলতে গেলে বেশীরভাগ আয়োজনই হয়ে থাকে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলিতে, ফলে মঞ্চ সাজানোর জন্য জনগনের ট্যক্সের পয়সায় চড়া দামে বিশাল পরিমানে ফুল কিনে মঞ্চ সাজানো হয় ,একাজেও সেই বহুল আলোচিত লেপ বালিস ক্রয়ের মত বড় মাপের একটি অংক ব্যয় হয়, যা অডিট করলে বেড় হয়ে আসবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। অর্থ লোটপাটের এই বিশাল আয়োজনটি ঘটে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষের চোখের সামনেই,তারা এর প্রতিবাদ না করে মনে বিশাল আনন্দের ডেকুর তুলে এটাকে আরো বেশী করে উৎসাহিত করে । ফুলের সৌন্দর্যের আড়ালে দুর্নীতির কুৎসিত কালচার চলে ডাক ঢোল পিটিয়ে মহাসমারোহে। এই দুর্নীতি কালচার প্রভাব ফেলে সমাজ ও প্রশাসনের সর্বস্তরে । তাই একে ফুলের সৌন্দর্যের কালচার না বলে একে একটি জগন্ন্য দুর্নীতি বিস্তারের কালচার হিসাবে বিবেচনা করাই সমীচীন । এই ফুলের তোরার গাদায় আসীন ব্যক্তিবর্গ নির্লজ্জভাবে খুশীতে গদগদ হলেও তাদের প্রতি দর্শকের ক্ষোভ ও ঘৃনা প্রকাশই হওয়া উচিত উপযুক্ত প্রতিবাদের ভাষা ।

শুভেচ্ছা রইল

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, অথচ এরা তা ভুলে যায় বা ইচ্ছা করে করছে না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.