নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি ট্রাপই মারাত্মক। প্রতিটি প্লাবনই ভয়ঙ্কর।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৮

ডেন পেনা নামক একজন বিজন্যাসম্যান হলিউড মেগাস্টার টমক্রুজের সাফল্য সম্পর্কে বলেন-সপ্তাহে সাত দিন নিয়মিতভাবে টমক্রুজ ভোর সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে জেগে ওঠে দৈনন্দিন কাজ শুরু করেন। এতো মন দিয়ে তিনি যে কোনো ছবির কাজ করেন-যেন এটাই তার জীবনের সর্বপ্রথম ছবি। এর আগে তিনি আর আগে কোনো ছবিতে কাজ করেন নি। তিনি যে এতো বড় স্টার সেটা কখনোই মাথায় রাখেন না। সর্বকালের সবচেয়ে বেশী আয়করা এই মেগাস্টার ছবি থেকে এক পেনিও আয় করেছেন-সেটাও ভুলে যান। গত চল্লিশ বছর ধরে হলিউড রাজত্ব করছেন-তিনি সেটা ভুলে গিয়ে প্রথম ছবি তৈরীর সময় যে কঠোর অনুশীলন করতেন- ঠিক একইভাবে তাঁর অনুশীলন করেন। এর কোনো ব্যতয় নেই। ডেন পেনা বলেন- এই হলো টমক্রুজ । আর এটাই হলো তাঁর সাফল্যের সূত্র।

বিশ্বব্যপী পরিচিত আরকেজন তারকা হলেন ওসাইন বোল্ট।
একের পর এক রেস, অলিম্পিক গোল্ড মেডেল, গীনিজ রেকর্ড করে তিনি দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার শেষ রেসে হেরে যান। শুধু হেরে যান- তা না। একেবারে ৩য় হন। জাস্টিন গ্যাটলিন হন প্রথম। অনেকে মনে করেন- বয়স হয়ে গেছে। সেজন্য হয়তোবা। কিন্তু ধারণটি ভুল। কারণ জাস্টিন গ্যাটলিন ছিলেন তাঁর চেয়ে প্রায় ৫ বছরের বড়। কাজেই বয়সটা এখানে ফ্যাক্টর না। বোল্টের ম্যানেজার বলেন- এর আগের সবগুলো রেসের প্রস্তুতির সময় বোল্ট এতো কঠোর অনুশীলন করতেন- তিনি প্রায় সময়ই বমি করে দিতেন। কিন্তু শেষের দিকে এসে -তিনি ভাবতে থাকতেন। এইতো। এরাইতো । যাদেরকে তিনি নিয়মিত হারিয়েছেন। তাদের সাথেইতো কম্পিটিশান। রেসের মাঠেতো তিনিই রাজা। তিনিইতো চ্যাম্পিয়ন। তাদের সাথেইতো রেস করতে হবে। একের পর এক সাফল্য আসছে। তিনি খুশীর জোয়ারে ভাসছেন। কাজেই এতো সিরিয়াস হওয়ার কী দরকার। তিনি তার নিয়মিত অনুশীলনে গ্যাপ দিতে লাগলেন। মর্জি মাফিক চলতে লাগলেন। আর যেই মুহুর্তে তিনি তার নিয়ম, অনুশীলন আর স্টান্ডার্ডকে নীচে নামিয়ে আনলেন- ঠিক সেই মুহুর্তেই তিনি হেরে গেলেন।

বড় সাফল্যের জন্য বড় অনুশীলন দরকার । আর সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে দরকার আরো কঠোর অনুশীলন । এটার ব্যক্তির জন্য যেমন জরুরী। একটা সুসংগঠিত দলের জন্য আরো বেশি জরুরী। বিজয়ের এই সাফল্যকে ধরে রাখতে আরো কঠোর অনুশীলন, নিয়মানুবর্তিতা, শৃংখলার দিকে কর্ত্বপক্ষ যেন নজর দেয়। আনন্দের প্লাবনে যেন সাফল্য ভেসে না যায়। গাড়ী, বাড়ি, অর্থকড়ি, মিডিয়া, বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য সহ অন্যান্য লোভনীয় ট্রাপে যেন আমরা তাদের না ফেলি। প্রতিটি ট্রাপই মারাত্মক। প্রতিটি প্লাবনই ভয়ঙ্কর।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে মানুষ কি আগে বাড়বে না?
কঠোর অনুশীলন অবশ্যই দরকার। তার সাথে ক্ষমতাবান মামা চাচাও দরকার।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Right

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: গুড অবজার্ভেশন।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪১

সোহানী বলেছেন: চমৎকার শেয়ারিং ও ভাবনা............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.