নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা

০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীদের দেশে প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার র‌্যাংকিং এ বেহাল দশা কেন? জিপিএ ফাইভ পাওয়ার পরে এরা কি আকাশে ওড়ে যায়? পৃথিবীর আর কোনো দেশে জিপিএ ফাইভ বা গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ নামক এই উদ্ভট জিনিসটি আছে কিনা আমার জানা নেই। এসএসসি পাশের পর যারা জিপিএ ফাইভ পায় তারা আনন্দ করে, যারা পায়না তারা কান্নাকাটি করে, আর জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর ভুল জবাব শুনে সাংবাদিক, মানুষ হাসি তামাশা করে। শিক্ষার্থীকে নিয়ে হাসিতামাশা করলে উচ্চ শিক্ষার এমন দূর্গতি হবে। হাসি তামাশা করতে হয় সিস্টেমকে নিয়ে করুন। দশভাগ শিক্ষার্থীর দোষ। বাকি নব্বই ভাগ সিস্টেমের দোষ।

ফার্মেসী বিভাগের মেধাবী ছাত্রটি ডিসি এসপির ক্ষমতা দেখে ফার্মেসীর সমস্ত জ্ঞান চাঙে তোলে বিসিএস গাইড পড়ে সে ডিসি এসপি হয়। সাহিত্যের ছাত্রটি রাস্তায় রাস্তায় খাবারের ভেজাল চেক করে। ম্যাথের ছাত্রটি রামানুজন না হয়ে রাম রহিমকে পার্কে ধরে গুনে গুনে কান ধরে ওঠবস করায়। এসএসসি শিক্ষার্থীরা জিপিএ ফাইভে আর উচ্চ শিক্ষার্থীরা বিসিএসের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে।

বিসিএসের গাইড বইগুলো মনোযোগের সাথে দাগ দেয়া আর নিজ নিজ বিভাগের বইগুলো যে গুলো আসলেই গাইড করবে- সেগুলো ধুলোবালিতে মাখা। কিন্তু কেউ কেউ যে অধ্যাবসায় করেনা এমন নয়। দেশে যে তুখোড় মেধাবী নেই -তাও নয়। কিন্তু সেসব ব্যতিক্রম। আর ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হয়না। ফিনল্যান্ডের একটা স্কুল রেন্ডমলি সিলেক্ট করে আমাদের দেশের একটা স্কুল রেন্ডমলি সিলেক্ট করলেই শিক্ষার একটা তূলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে। ইনোভেশনের দিক দিয়ে পুরো পৃথিবীতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছি আমরা।

ইনোভেশন শেখাতে কোটি টাকা খরচা করে রোবট সোফিয়াকে আনা হলো। আর ছাত্ররা শিখলো- সোফিয়া এসেছিলেন কবে? সোফিয়া কি নায়িকার নাম নাকি গায়িকার নাম- নাকি এ দুটোর কোনটিই নয়। এগুলো আমরা মুখস্থ করবো। বিসিএস পাশ করবো। কিন্তু সোফিয়া কিভাবে কাজ করে-সেটা কোনোদিনই জানবোনা।

শিক্ষার্থীর দোষ দশভাগ এই জন্যই বললাম- সোফিয়াকে যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচা করে আনা হয় সেখানে- মশা, আরশোলার কামড় খেয়ে দশফুট বাই দশফুট রুমে ডালের পানি খেয়ে একসাথে বিশ পঁচিশজন ছাত্রকে থাকতে হয়। এদের শরীরে পুষ্টি আসবে কেমন করে। আর যা পুষ্টি থাকে তাতো বাধ্য হয়ে শ্লোগান দিতে দিতেই চলে যায়। শুনেছি, যাচাই করিনি-গবেষনা করাতো দূরের কথা, গতবছরের বইমেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনী থেকে কোনো বই-ই নাকি বের হয়নি। এগুলো নিয়ে শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষক কারো মাঝেই কোনো চিন্তা নেই। যত আর্গুমেন্ট হয় সরকারী ভালো না প্রাইভেট ভালো তা নিয়ে।

শিকাগো থেকে প্রকাশিত এক বিখ্যাত জার্নালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেলিব্রেটি শিক্ষিকার লেখা প্রকাশিত হলো। প্রকাশনা করার পরপরই জানা গেলো- লাইন প্রথম থেকে লাইন শেষ পর্যন্ত পুরোটাই নকল। চুরিবিদ্যার জন্য ওরা লেখাটি তোলে নেয়-লেখিকাকে চিঠি পাঠায়। লজ্জা আর লজ্জা।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিসিএস গাইড, পরীক্ষা আর জিপিএ ফাইভকেই যতদিন পর্যন্ত আমরা একটা দেশের "শিক্ষাব্যবস্থা" বুঝবো। ততদিন পর্যন্ত দেশে বিদেশে এরকম লজ্জা আর উচ্চ শিক্ষার র‌্যাংকিংএ এরকম ডাব্বা মারতে থাকবো।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: শিক্ষারর র্যাংকিং হয়তো আর কখনো ফিরবে না দেশে

২| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: শিক্ষারর র্যাংকিং হয়তো আর কখনো ফিরবে না দেশে

৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে, ১০ম শ্রেনীর ছেলেও মাষ্টার্স'এ পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারবে।

৫| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষার মান খুব বেশি কমেছে গত এগারো বছরে। খুব বেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.