নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিমান-ভ্রমণের সময় সচরাচর মাথাব্যথা, বমিভাব, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি বিমানবন্দরে ঘোরাঘুরিজনিত পীড়ন (stress) ও বিমানের অভ্যন্তরীণ শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানিস্বল্পতা সৃষ্টি হওয়ার ফল। নিম্নোক্ত কিছু সহজসাধ্য সতর্কতা পালন করে সজীব থাকুন পুরো ভ্রমণে !
পানি পান বিমান উড্ডয়নের আগে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন (বিমানে আরোহণের পূর্বে অবশ্যই 'rest room' সেরে নিন। কারণ বিমান রানওয়ের উপর দিয়ে চাকার সাহায্যে চলার সময় (taxi), উড্ডয়নকালে ও উড্ডয়নের প্রথম ১০ মিনিট সকল যাত্রীর জন্য আসন ত্যাগ করা নিষেধ)। ভ্রমণকালীন প্রতিঘন্টায় নিদেনপক্ষে ১ কাপ পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ।
ফলের রস আপনার সজীবতা রক্ষায় পানিই একমাত্র অবলম্বন নয়। পীড়ন-প্রতিরোধী প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ধারণ করায় কমলালেবুর রস একটি আদর্শ পানীয়। বিমানে প্রথমবার পানীয় সরবরাহের সময় ২ ধরনের পানীয় গ্রহণ করুন- ১ কাপ কমলালেবুর রস ও ১ কাপ পানি।
কফি কে না বলুন জানি কফিপ্রেমীরা মর্মাহত হবেন, কিন্তু আপনি যদি সজীব থাকতে চান তাহলে ভ্রমণে কফি পান করা অপেক্ষাকৃত মন্দকাজের একটি। ইহা আপনাকে অতিদ্রুত শুষ্ক করে তোলে। অগত্যা না হলে চা পান করা যেতে পারে; তবে সর্বোত্তম হলো এর কোনটিই পান না করা।
বমিভাব হলে চিনিজাতীয় পানীয় পরিহার করুন। বমনের ভাব হলে লেবুজাতীয় ১ কাপ কোমল-পানীয় যেমন 7-up, sprite বা আদা-মিশানো পানীয় পান করুন। ইহা আপনার পাকস্থলীর স্বাভাবিকাবস্থা বজায় রাখতে সাহায্যকারী। এ সময় পানি পান করা প্রকৃতপ্রস্তাবে আপনার বমিভাবের প্রকোপ অধিকতর বৃদ্ধি করে আপনার অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলবে।
আর্দ্রকরণ বিমানে সক্রিয় বাতাস পরিশ্রুতকরণ প্রক্রিয়ায় (airplane filtration system) আপনি সহসাই শুষ্কতার শিকার হবেন। এমতাবস্থায় হাত ও মুখমন্ডলে আর্দ্রকরণ (moisturising) লোশন ব্যবহার করুন।
অ্যালকোহল বিয়ার, মদ, ব্র্যান্ডি, হুইস্কি প্রভৃতি সুরাজাতীয় পানীয় পরিহার করুন। ইহা শরীরকে অতি দ্রুত শুষ্ক করে তোলে এবং বমিভাব ও অস্বস্তিবোধের উদ্রেক করে। স্বাচ্ছন্দ্য বিমান-ভ্রমণের স্বার্থে অ্যালকোহল পান পরিহার করুন। নিরুপায় হলে অন্তত অ্যালকোহলের পরিমাণ হ্রাস করুন।
চলবে
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
সরকার আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
প্রোপিকসম হাসি-খুশি থাকুন বিমান-ভ্রমণেও।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
রিফাত হোসেন বলেছেন: তবে এইগুলা তেমন জরুরী কোন পয়েন্ট না ।
দীর্ঘ সময় একজায়গায় বিমান ভ্রমন ছাড়াও গেইম বা কম্পুর সামনে বা অফিসের ডেস্কটপে বসে কাজ করলে একই সমস্যা ভুগবেন । আর্দ্রকরণ সহ বলছি । কারন কিছু আধুনিক অফিস গুলিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করা হয় ।
সুতরাং শরীরের পেশীকে শিথিল করুন, হালকা নড়াচড়া করুন । বাকি পয়েন্টগুলির ভিত্তিহীন বলছি না । তবে নিষ্প্রয়োজন ।
বমি বা অসস্তি বিমান নয় বরং যে কোন ভ্রমন রেল বা নৌ বা বাস ইত্যাদিতেই হতে পারে ।
তবে আপনার উদ্দেশ্য সঠিক ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
সরকার আলী বলেছেন: সহমত। তবে ...
পোস্টের তলায় চলবে লিখে আরও কিছু লেখার সুযোগ আছে বৈ কি !!!
আবারও ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
টুনা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সবই ঠিক আছে। কফির কথা শুনে মন খারাপ। এটা ২/৩ কাপ না হলে আমার উল্টো মাথা ব্যাথা হয়। এখন কি করি?
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
সরকার আলী বলেছেন: মানবদেহ এক আজব কারখানা। দেহের শারীররবৃত্তীয় কার্যক্রম বুঝা বড়ই দুস্কর।
মেডিকেল গবেষণায় স্বাস্থ্যের জন্য কফির উপকারি ও অপকারি উভয় দিকই সুপ্রমাণিত। ইহা ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যাবস্থা (বিশেষত যকৃত), প্রস্তুত প্রণালী, পানের পরিমাণ ও ধারাবাহিকতা ইত্যাদি দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। ক্যাফেইনযুক্ত কফি রক্তনালী ধমনীর গাত্র শক্ত/অনমনীয় করে তুলে। আবার নিয়মিত কফি পানকারী হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দিলে মাথাব্যথা, বিষাদগ্রস্ততা, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, শারীরিক এবং/অথবা মানসিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, অবসাাদ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
পান না করলে যেহেতু আপনার মাথাব্যথা হয় তখন কি আর করা, পান করুন, তবুও সুস্থ থাকুন ভ্রমণে
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: জেনে রাখলাম। আশা করি ভবিষ্যতে কাজে দিবে
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪
সরকার আলী বলেছেন: কাজে দিলেই হলো তা যখনি হোক না কেন।
ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
মৈত্রী বলেছেন:
ভাই, আপনি অযথাই এই পোস্ট টাইপ করে আংগুল ব্যাথা করছেন।
আপনি যেসব সমস্যার কথা বললেন সেগুলোর অধিকাংশই সুন্দরী বিমানবালা দেখে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব.....
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৩
সরকার আলী বলেছেন: বিমান-ভ্রমণে আপনার মাথাব্যথা না হয়ে 'সুন্দরী বিমানবালা দেখে মাথা চক্কর দিয়ে উঠল' কেন তা ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++