নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সার্সের (Severe acute respiratory syndrome- SARS) কুইক টেস্টের আবিষ্কারক, অণুজীববিজ্ঞানী, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি হচ্ছে, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার পেয়ারা, লেবু, আমলকি অথবা ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেতে হবে। এর সঙ্গে সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন সি এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আরেকটি হচ্ছে কেউ যদি আক্রান্ত হন, যেমন গলাব্যথা, শুকনো কফ ছাড়া কাশি, কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না। এটা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে করোনা ভাইরাস শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।
এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বেশি কড়া না হালকা রং চা বারবার খাওয়া, গরম পানি দিয়ে গার্গল করা। এর চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম করলে কালোমতো একটা রং হবে। এর সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে খেলে অথবা এই পানি দিয়ে গার্গল করতে হবে। এর ফলে গলায় যে ভাইরাসগুলো থাকে সেগুলো মারা যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের এন্টিসেপ্টিক গুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রোধ করে।
আপনার জ্বর হোক বা না হোক, এই মুহূর্তে আমাদের সবার উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গার্গল করা। এর ফলে শরীরে যদি ভাইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা ভাইরাস না আরও অনেক ইনফেকশনকে রোধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে পারে, তাহলে তার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
করোনা ভাইরাসের কারণে যদি কখনও কারও পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এসময় এমন রোগীকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।
করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও যাদের বাইরে কাজ করতে হয়, যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যদের করণীয় সম্বন্ধে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, করোনা ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তো আর আক্রমণ করে না। সময় নিয়ে আস্তে আস্তে শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে বাসায় ফিরে গরম পানি পান করা, এক কাপ হালকা রং চা খাওয়া, নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নেয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো হয়। তাহলে নাকটা আরও ভালোমতো পরিষ্কার হয়ে যাবে, ফলে ভাইরাস ঢুকলেও শরীরের মধ্যে বাড়তে এবং সুবিধা করতে পারবে না।
(সংগৃহীত)
২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৮
সরকার আলী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার মত লোক আমাদের দেশে মূল্য পায় না। ভালোবাসা উনাকে
২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
সরকার আলী বলেছেন: অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর (Peste des Petits Ruminants- PPR, also known as sheep and goat plague) ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিলেন। ২০০২ সালে ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কারকও ড. বিজন যা সিঙ্গাপুরে তার নামেই প্যাটেন্ট করানো। ২০০৩ সালে তিনি সার্স ভাইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন। এটাও তার নামে প্যাটেন্ট করা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী যার যা প্রাপ্য তা দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক উপদেশ। আপনি ব্লগের থেকে আশপাশের মানুষকে বেশী বলুন।
৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
সরকার আলী বলেছেন: আপনার, আমার, সবার যেখানে এই সঠিক উপদেশ বলার/দেয়ার সুযোগ আছে তার সদ্ব্যবহার করি।
৪| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
সরকার আলী বলেছেন: শুধু জানলে হবে না, অন্য সবাইকে জানাতে হবে; মানতে হবে, মানাতে হবে।
৫| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
জুন বলেছেন: ডাঃ জাফরুল্লাহ সাহেবের এই চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো হতো।
কাজে লাগবে সবার।
০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩
সরকার আলী বলেছেন: আপু, করোনা প্রতিরোধ চিকিৎসা পদ্ধতিটা ঠিক ডাঃ জাফরুল্লাহ স্যারের বাতানো নয়; ড. বিজন কুমার শীল স্যারের।
হ্যাঁ, সবার কাজে লাগুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: +++++