নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাপ্তাহিক খোঁজখবর

সাপ্তাহিক খোজখবর

A National Weekly Newspaper

সাপ্তাহিক খোজখবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশ আসছে, লাশ যাচ্ছে ....

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

সাভারে রানা প্লাজা ধসের প্রায় দু’দিন হতে চললো। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার লোকেরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মৃতের সংখ্যা ২১৭। তবে এ সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।

উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে লাশ উদ্ধার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে আসা হচ্ছে অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। যেখানে নিহতদের হাজার-হাজার স্বজন বুধবার থকে অপেক্ষায় আছেন তাদের নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায়।

ঢাকা জেলার এডিসি জেনারেল জিল্লুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “উদ্ধারকৃত ২১৭ লাশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬৮টি লাশ নিহতদের আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল উদ্ধার হওয়ার যে সকল লাশ এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়নি সেগুলো ঢাকা মেডিকেল, সিএমএইচ ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরো জানান, “যেসব লাশ শনাক্ত করার পর্যায়ে নেই সেগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো লাশই সে প্রক্রিয়ায় দাফন করা হয়েছে।”

ঢাকা জেলার এডিসি মোহাম্মদ ইফতেখার হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, “ যেসব লাশ সনাক্ত করা হয়েছে তাদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে লাশের সৎকার বাবদ। এছাড়াও সাভার মডেল থানা লাশ দাফন করা বাবদ সব ধরণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।”

২০ হাজার টাকা কাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, “নিহতের নিকট আত্মীয় অথবা রক্তের সম্পর্কের কেউ হলেই কেবল তার হাতে নগদ টাকা তুলে দিচ্ছি। কয়েক ধাপে পরীক্ষা করার পর প্রমাণ সাপেক্ষে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে লাশ তত্ত্বাবধানের জন্য সাভার মডেল থানার উদ্যোগে অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ থেকে শুরু করে লাশ তত্ত্বাবধানে বুধবার থেকে টানা কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ রোভার স্কাউটের প্রায় ২০০০ সদস্য।

সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, রোভার শহিদুল ইসলাম সেতু, একই কলেজের রাইসুল ইসলাম শিমুল, মীরপুর সরকারি বাংলা কলেজের সোহানূর রহমানসহ আরো অনেকেই জানায়, উদ্ধারকাজের পাশাপাশি তারা লাশগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে নিহতদের স্বজনদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ঢাকা জেলার সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি মামুন খান বলেন, “এতো লাশ জীবনে কখনো দেখিনি। বুধবার একটু ভয় ভয় লেগেছিল আজ আর কিছুই মনে হচ্ছে না। লাশ আসছে, লাশ যাচ্ছে। আসাও শেষ হচ্ছে না, যাওয়াও শেষ হচ্ছে না। আরো কতো যে আসে কে জানে?”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.