![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধসে পড়ার ১৭তম দিনে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের নারী শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সুস্থ ও অক্ষত আছেন।
শুক্রবার ৪টার ২৫ মিনিটে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোয়া ৩টার দিকে ভবনটির বেসমেন্টে তাকে জীবিত সন্ধান পাওয়া যায়।
সেনাসদস্য মোয়াজ্জেম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমরা প্রথমে তাকে অল্প পরিমাণ পানি ও বিস্কুট দেই। টানা দুই দিন সে না খেলে ছিল। তার সঙ্গে শুকনা খাবার ছিল। সেগুলো খেয়ে এতোদিন সে বেঁচে ছিল।”
সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের আপ্রাণ চেষ্টায় ভবন ধসের ৪১৫ ঘণ্টা পর শেষ পর্যন্ত তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সাড়ে তিনটার দিকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনের অংশে রেশমার সন্ধান পাওয়া যায়। বেসমেন্টের নামাজ পড়ার স্থানে রেশমা আটকে ছিলেন। পুরো ভবনটি ধসে পড়লেও সেই স্থানে তিনি অক্ষত ছিলেন।
মেজর দেলোয়ার ও কর্নেল মইনের নেতৃত্বে এ উদ্ধার কাজ চালানো হয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৪৫ মিনিট উদ্ধার অভিযান চলে। রেশমা নিউ ওয়েভ বটম কারখানার কর্মী। তার দেশের বাড়ি দিনাজপুরে বলে গেছে।
তার সন্ধান পাওয়া উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবক রফিক বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ওই স্থানটি দিয়ে যাতায়াত করছিলাম। এসময় একটি পাইপ নড়ে ওঠে। আমি পাইপটির কাছে যায়, এরপর গোঙানির আওয়াজ শুনি। একটি ফুটো দিয়ে কান পাতলে ভেতর থেকে এক নারী কণ্ঠ বলে ওঠে, আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান। তিনি তার নাম বলেন রেশমা। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত অনেকেই তার সঙ্গে কথা বলেছেন।” ধ্বংসস্তূপের ভেতরে রেশমা অক্ষত অবস্থায় বসে আছেন।
রেশমাকে উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারীর দল এ মুহূর্তে ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ রেখেছে। কাটার মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে তাকে বের করা হয়। এ মুহূর্তে আরো জীবিত প্রাণ আছে কিনা তা সন্ধান করে দেখছে উদ্ধারকর্মীর।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী উপস্থিত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭
মেকগাইভার বলেছেন: রেশমা নামটা অনেক আইরোনিক এই ঘটনাটায়। সে সুস্থ থাকুক।