নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাপ্তাহিক খোঁজখবর

সাপ্তাহিক খোজখবর

A National Weekly Newspaper

সাপ্তাহিক খোজখবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘যুক্তরাজ্য তারেককে ফেরত পাঠাতে পারবে না’

০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

যুক্তরাজ্য সরকার চাইলেও তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডনে বসবাসকারী ইমিগ্রেশন ল’ বিশেষজ্ঞ ও ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমান সম্প্রতি রাজনৈতিক সভায় যোগ দেন।

যদিও যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্রশ্ন তুলেছিল, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে কিভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন?

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা স্কাইপির মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকাকালে তারেক রহমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ যে কোনো আয়মূলক কাজে যুক্ত হতে পারেন। শুধু ব্রিটিশ আইন লঙ্ঘন করতে পারবেন না।”

তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য ইমিগ্রেশন রুল ৩৩৪বি ধারা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা যে সব সুবিধা পান, রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিও তা পাবেন। ব্যবসা, চাকরি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবেন।”

ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা জানান, সে কারণেই তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক সভা করতে পেরেছেন। ব্রিটিশ সরকার বাধা দেয়নি।

তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকাকালে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে পারেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, পারেন। তবে তার জন্য কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ব্রিটিশ অ্যাসাইলাম অনুযায়ী, কেউ যদি এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন, তাকে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পেতে ছয় বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সাত বছরের মাথায় তিনি নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এক বছর তাকে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ হিসেবে বাস করতে হবে। এর পরের বছর তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাবেন।”

কিন্তু তারেক রহমান বাংলাদেশের আইনে অভিযুক্ত। তাহলে যুক্তরাজ্য কি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে না, এর উত্তরে ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, “না, তা পারে না। তিনি যদি যুক্তরাজ্যে কোনো অপরাধ করতেন, তাহলে তাকে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী সাজা ভোগ করতে হতো। কিন্তু, যুক্তরাজ্য সরকার তারেক রহমানকে চাইলেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে এ দেশের আদালতের অনুমতি লাগবে।”

তিনি বলেন, “এক্সট্রাডিশন অ্যাক্ট-২০০৩ (প্রত্যর্পণ আইন) অনুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকাকালে কাউকে তার স্বদেশে ফেরত পাঠানোর আগে যুক্তরাজ্য সরকারকে আদালতের অনুমতি নিতে হয়।”

ইন্টারপোল তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্য সরকারের সাহায্য চাইতে পারে- এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা বলেন, “হ্যাঁ, সেটা পারে। তবে যুক্তরাজ্য সরকারকে আদালতের বিচারকদের সন্তুষ্ট করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রেও তারেককে ফেরত পাঠাতে পারবে না। কারণ, তারেক রহমান সে দেশের সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, দেশে ফেরত গেলে তিনি নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। সে কারণেই যুক্তরাজ্য সরকার তারেককে দেশে ফেরত পাঠাবে না। এ দেশে আইন ব্যবস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া।”

তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে যে, তারেক রহমান যুক্তরাজ্য সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট। সে কারণেই তারেককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না।”

তিনি আরো বলেন, “যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন কনভেনশনের আর্টিকেল-৬ অনুযায়ী, কারো যদি ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তবে তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো যায় না।”

ব্যারিস্টার মোল্লা বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি তারেক রহমানকে ফেরত আনতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু, এটা আসলেই সম্ভব নয়। কারণ, হয়ত তার এক্সট্রাডিশন অ্যাক্ট সম্পর্কে ধারণা নেই। তাদের এ কর্মকাণ্ডকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। কারণ, এটা বাস্তবসম্মত যুক্তি নয়।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তারেক রহমানকে বাংলাদেশে পাঠানোর সুযোগ আসলেই খুবই কম।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.