![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধনীতে মন্ত্রী পরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর থেকে ফুঁসে উঠেছে তিন পার্বত্য জেলার বাঙালি সংগঠনগুলো। তবে আন্দোলনরত বাঙালি সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকায় বিভক্ত হয়ে পড়ছে তারা।
আইনটি বাতিলের দাবিতে পার্বত্য জেলাগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন, হরতাল, অবরোধ দিয়ে ভূমি কমিশনের সংশোধনীত আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে তারা।
এদিকে আইনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে বাঙালি সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্ময়হীনতা, দ্বিধা বিভক্তি, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নেতৃত্ব সমস্যা, আন্দোলন নিয়ে দলের ব্যানার পরিচিতের বিষয়টি উঠে এসেছে।
গত ২৮ মে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৩০ মে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ঘোষণা দেয় বাঙালি ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে রাঙ্গামাটি থেকে ৪টি সংগঠন ৩০ মে ও ২ জুন তিন পার্বত্য জেলায় পৃথকভাবে হরতাল ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয়। ২ জুন এককভাবে খাগড়াছড়িতে হরতালের ডাক দেয় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
এরপর গত ৭ জুন রাঙ্গামাটি থেকে তিন পার্বত্য জেলায় ৯ জুন থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ, পার্বত্য যুবফ্রন্ট, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।
আগের মত এতে সমর্থন না দিয়ে ৭২ ঘণ্টার শেষ দিনের হরতাল নিজেদের ব্যানারে ডেকে বসে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি।
আর এসব কারণে কোনো সংগঠন কখন হরতাল ডাকছে আর কখন প্রত্যাহার করছে তা বুঝতে পারছেনা পার্বত্যবাসী। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও রাঙ্গামাটি জেলা সম-অধিকার আন্দোলন মঙ্গলবারের হরতাল অব্যাহত রেখেছিলো।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার উল্লাহ বলেন, “৭২ ঘণ্টার হরতালতো মূলত আমরা ডেকেছিলাম অন্য সংগঠনগুলো এতে সমর্থন দিয়েছিলো। আর প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমাদের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস পাওয়ায় আমরা হরতাল প্রত্যাহার করেছি।”
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের (পিবিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে ৭২ ঘণ্টা হরতালের ডাক আগেই দেওয়া হয়েছিলো। সম অধিকারের সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারা যে হরতাল ডেকেছিলো আমরা শুধু তাতে নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। এখন তারা কোনো স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করেছে সেটা আমাদেরও জানা নেই। তবে আমরা হরতাল প্রত্যাহার করিনি।”
এদিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করতে পারেনি তাই সমর্থনের বিষটি জানাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পিবিসিপির খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।
এদিকে সম-অধিকার আন্দোলনের বাঙালি নেতা নামে কিছু ব্যক্তি অর্থের জন্য বাঙালিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি উজ্জল পাল।
তিনি বলেন, “উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার আশ্বাসেই মূলত তারা হরতাল প্রত্যাহার করেছে।” পার্বত্য যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বলেন, “সম-অধিকারের সঙ্গেই আমরা হরতাল ডেকেছিলাম। যেহেতু তারা প্রত্যাহার করেছে তাই আমরাও প্রত্যাহার করেছি।” তিনি সম-অধিকারের সমালোচনা করে বলেন, “তাদের মধ্যে নেতৃত্বজনিত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া চলমান আন্দোলন নিয়ে বাঙালি সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্ময়হীনতা কাজ করছে।”
©somewhere in net ltd.