নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাপ্তাহিক খোঁজখবর

সাপ্তাহিক খোজখবর

A National Weekly Newspaper

সাপ্তাহিক খোজখবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেজুরের দাম নিয়ে কারসাজি!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

ইরাকের জাহেদি জাতের খেজুর গরিবের খেজুর নামেই পরিচিত। পুরান ঢাকার বাদামতলীতে অনেকে আবার একে ‘হলুদ বস্তা’ খেজুর নামেও অভিহিত করে থাকেন। ইরাক থেকে হলুদ বস্তায় আমদানি হওয়ার কারণেই এর এমন নামকরণ।

রমজানে দেশের ৮০ শতাংশ খেজুরের চাহিদা মেটায় জাহেদি খেজুর। তবে রমজানে এর দাম বেড়ে গেছে। চলতি রমজানে রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে জাহেদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। অথচ গত রমজানেও পাইকারি বাজারে জাহেদি খেজুর মিলত ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজিতে।

জানা গেছে, বাদামতলী পেরুলেই খেজুরের দাম বেড়ে যায় কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লালবাগের কেল্লার মোড়ের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জাহেদি খেজুর বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

বাজারের সবচেয়ে দামি খেজুর হচ্ছে ইরানের মরিয়ম খেজুর। বাদামলীতে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলজেরিয়‍ার ফরিদা খেজুর ২০০ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগাল খেজুর ১২০ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সায়ের খেজুর ১২০ টাকা, আলজেরিয়ার আল-শাহদ ২০০ ‍টাকা, সৌদি আরবের লুলু ১৩৫ টাকা, ইরানের হারমানি ১০০ টাকা এবং দুবাইয়ের দাবাস খেজুর ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্যাকেটজাত আলজেরিয়ান খোরমা খেজুর ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ কেজির প্যাকেটজাত তিউনিসিয়ার খেজুর ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০ কেজির প্যাকেটজাত দুবাই ক্রাউন খেজুর ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে খেজুরের দাম পাইকারি বাজারের থেকে বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বাইতুল মোকাররমের সামনে প্রতি কেজি ইরানি মরিয়ম খেজুর ১ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে, অথচ বাদামতলীর সাথী ফ্রেশ ফ্রুটে একই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে দরে।

তবে শুধু খুচরা বাজারই নয়, খেজুরের দামের কারসাজি দেখা গেছে পাইকারি বাজারেও। বাদামতলীর আল মদিনা ফার্মে প্রতি কেজি জাহেদি খেজুর ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ কয়েক গজ দূরে আহসানউল্লাহ রোডে অবস্থিত বন্ধু মেসার্সে একই খেজুরকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাদামতলীর অন্যতম খেজুরের পাইকারি আড়ৎ সাথী ফ্রেশ ফ্রুট। এখানে ৫ কেজি প্যাকেটজাত মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। অথচ একই খেজুর পাশের মৌসুমী এন্টারপ্রাইজে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ১শ’ টাকায় পর্যন্ত।

মাত্র কয়েক গজ দূরত্বেই খেজুরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার টাকারও বেশি!

তবে বাদামতলীর পাইকারি বিক্রেতারা অবশ্য দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করছেন রফতানিকারক দেশগুলোতে খেজুরের উৎপাদন কমে যাওয়াকেই।

মধ্যপ্রাচ্যে এ বছর খেজুরের উৎপাদন কম হয়েছে। বাদামতলীতে সাধারণত ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া থেকে খেজুর আমদানি করা হয়।

প্রতি বছর খেজুরের ফলন সমান হয় না। এক বছর পর পর খেজুরের ফলন ভাল হয়। ২০১২ সালে খেজুরের ফলন ভাল হওয়ায় আবার ২০১৪ সালে খেজুরের ফলন ভাল হবে আশা করছেন পাইকারি খেজুর বিক্রেতারা।

রমজানে ইফতারির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। সুস্বাদু ও মিষ্টি খেজুর ছাড়া যেন ইফতারি জমেই ওঠে না। খেজুর দিয়ে ইফতারি করা সুন্নত। পাশাপাশি খেজুরে খাদ্যের অনেক পুষ্টিগুণাগুণ থাকে। শর্করা, প্রোটিন, কার্বো-হাইড্রেড, ইনভার্ট সুগার, পটাশিয়াম, ফসফরাস,ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে খেজুরে।

এ সব কারণে রমজানে মানুষের মাঝে খেজুরের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ক্রেতাদের খেজুরের প্রতি এই দুর্বলতার সুযোগে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা রমজানে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেন। আর তাদের প্রতারণার অসহায় শিকারে পরিণত হতে হয় ক্রেতাদের।

খেজুরের দামের কারসাজি প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রফতানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,“ সরকারকে ৪ শতাংশ পোর্ট ডিউটি খরচ দিতে হয় যা গত বছর ছিল না। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরে বাড়তি খরচা ৭ টাকা পড়ে যায়। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩ টাকা। তা ছাড়া আমাদের দেশে প্রায় ৮০ ভাগ খেজুরের চাহিদা পূরণ করে জাহেদি খেজুর। এবার ইরাকে এই খেজুরের উৎপাদন কমেছে। ফলে এবার খেজুরের আমদানি কম। কিছু খেজুর পাইপ লাইনে আছে। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহেদি খেজুর ৭৩ টাকা দরে বিক্রি করছি এবং ঢাকায় বিক্রি করছি ৮৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পাইপ লাইনে থাকা খেজুর খালাস হলে আশা করা যায় দাম কিছুটা কমবে।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

পরিযায়ী বলেছেন: চামে, চিপা দিয়া সাথী ফ্রেশ ফ্রুট এর অ্যাড দিয়া দিলেন ভাইজান?

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ইসসসস ,,, , , , , , , , , কেন যে নবী এই দেশে জন্মাইলো না। তাইলে আম দিয়া ইফতার করত, আম খাওয়া ছুন্নত হৈত। আমরাও দুই-দশ টেকা কামাইতে ফারতাম! :-B :-B :-B :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.