নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জন্ম টাঙ্গাইলের হামজানি গ্রামে। শৈশব, কৈশোরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ছিলাম; বাবার সরকারী চাকুরীর জন্যে। কলেজ ছিল টাঙ্গাইল জেলায়। তারপর পড়াশুনা ঢাবি\'র ফিন্যান্স বিভাগ। গত নয় বছর যাবত প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মজীবন চলছে। www.facebook.com/khokonz

খোরশেদ খোকন

এই শহরে কিছু কিছু শব্দ কলম নয় হ্রদয় থেকে নেমে আসে, একা। এই শহরে বিনয় ঝুলে থাকে মরা গাছের ডালের মতো, একা।

খোরশেদ খোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিত্র অভিজ্ঞতা -১ : চিকিৎসা সেবা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

গত ১৫ (পনের) দিন আগে, আমার মিসেস এর প্রেগন্যান্সি’র নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শের জন্য গিয়েছিলাম এক অভিজ্ঞ গাইনী বিশেষজ্ঞ (মহিলা ডাক্তার) এর চেম্বারে। গতবারের ঔষধগুলো চলছে কিনা আর শারীরিক পরীক্ষা শেষে... প্রেসক্রিপশনে লিখলেন আল্টাসনোগ্রাফি, ডায়াবেটিকস, রক্ত, ইউরিন, স্টুল ও অন্যান্য পরীক্ষা জরুরী ভিত্তিতে করে আনুন...।

গত ৭ (সাত) দিন আগে আবার সেই ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম, জানালাম ম্যাডাম কিছু পরীক্ষা আগের প্রেগন্যান্সি’র সময়ে করা আছে তাই অপ্রয়োজনীয় মনে করে, বাকি পরীক্ষাগুলো করে এনেছি... দেখুন অবস্থা কি?

ডাক্তার জানালেন, সবগুলো পরীক্ষা না করে এলে আমি কিভাবে বলবো, “আপনার স্ত্রী’র অবস্থা কি? আগে সব পরীক্ষা করে আনুন। আর শুনুন, সব পরীক্ষা না করালে আমার কাছে আসার দরকার নাই...।

কি আর করার...! দু’দিন যাবত সব পরীক্ষা শেষ করে, নিজেই ফলাফল প্যারামিটার ধরে (নেট ঘেঁটে) বুঝার চেষ্টা করলাম। আমার জানা মতে, সবই স্বাভাবিক মনে হল।

মনে মনে ভাবলাম, টাকা খরচ হয়েছে... হোক... পরীক্ষার ফলাফল খারাপ না, এটা জেনে আমার আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ হওয়া উচিৎ।

আজ (২০ শে ফেব্রুয়ারি) আবার গেলাম, সব পরীক্ষার ফলাফল সহকারে সেই ডাক্তারের চেম্বারে। তিনি গতবারের ঔষধগুলো চলছে কিনা আর শারীরিক পরীক্ষা শেষে...বললেন, আপনি আপনার স্ত্রী’র এতোগুলো অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা কেন করালেন? আমি বললাম, ম্যাডাম আপনি গতবার বলেছিলেন এই পরীক্ষাগুলো না করালে আমার স্ত্রীকে দেখবেন না...!

তিনি বললেন, পরীক্ষাগুলো আমি কেন দিয়েছিলাম? আপনি আমাকে বলেন তো? আপনি আপনার স্ত্রী’র কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নিয়ে আমাকে অভিযোগ করেছিলেন? আমি বললাম, না!

যাই হোক, “আমি খুশি মনে বাড়ী ফিরলাম, কেননা আমার স্ত্রীর অবস্থা স্বাভাবিক।“

মনে মনে ভাবছি, ডাক্তার কোথাও একটা ভুল করাতে আমার কিছু টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ডাক্তারের সরল স্বীকারক্তির জন্য তাকে ক্ষমা করা যায়...।

আমার বেদনা টাকার জন্য না, কেননা আমার টাকা আছে, তাই পরীক্ষার জন্য দিতে পেরেছি। আমার বেদনা অন্য কোথাও, সেটা হচ্ছে “ডাক্তাররা রোগীদের মনোযোগ দিয়ে দেখছেন না, একটু মনোযোগ দিয়ে সমস্যার গভীরে ডুব দিলে... ডাক্তাররা রোগীদের পকেটের টাকার পাশাপাশি তাদের ভালবাসাটাও অর্জন করতে পারতেন...!

সুদিনের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া; আমাদের আর কিইবা করার আছে, ভেবে দেখুন...।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪২

গরু গুরু বলেছেন: কথায় আছে না, বাশঁ থেকে কুঞ্চি বড়।
তেমনি ডাক্তার থেকে কম্পাউণ্ডার বড়।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

গরু গুরু বলেছেন: টেষ্ট না দিলে কমিশন পাবে কই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.