![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা মেয়ে ধর্ষিতা হলে কি তার ইজ্জত চলে যায়? যেমন বলা হয়, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ষিতা হলে মেয়েদের ইজ্জতহানি হবে কেন? তাদের সম্মানহানি হবে কেন? যে মেয়েটি ধর্ষিতা হল সেতো কোনো অন্যায় করেনি, উল্টো অন্যায়ের শিকার হয়েছে। তাহলে মেয়েটির ইজ্জত কেন যাবে? আমিতো মনে করি যে ধর্ষন করে তার ইজ্জত যায়। কারণ সে একটা অন্যায় করেছে।
আমাদের মধ্যে এমন একটা মানসিকতা গড়ে তোলা উচিত যে ধর্ষিতা কোনো মেয়েকে যেন আলাদা দৃষ্টিতে দেখা না হয়। সে আগের মতই যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। ধর্ষিতা হলেই যে তার কোনোকিছু খোয়া গেল, তার জীবনের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল এরকম যেন আমরা না ভাবি এবং ধর্ষিতা মেয়েটিও যেন এরকম ভাবতে না পারে সেরকম পরস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। অন্যদিকে ধর্ষনকারীর অবশ্যই দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হতে হবে। সামাজিক ভাবেও তাকে বয়কট করা উচিত।
আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা হল ধর্ষিতা মেয়েদের বিয়ে হবে না (আমাদের সমাজে ছেলেদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তারা বিয়ে করে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তাদের বিয়ে হয়। এভাবে বলাটাও আমি সাপোর্ট করি না) বা হলেও তার জন্য সেরকম ভাল পাত্র পাওয়া যাবে না। এখানেও আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। একটি মেয়ে যদি ভাল মনের অধিকারী হয় তবে তাকে আমার বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়? (ধর্ষিতা মেয়েদের প্রতি করুনা দেখানোর জন্য কথাটা বলিনি) বিয়ের সময়তো আমি মেয়েটা কেমন সেটা দেখব, সে ধর্ষিতা এটা আমার কাছে একটা বিষয় কেন হবে? সমাজের ভালো মনের মানুষদের (নারী পুরুষ নির্বিশেষে) এই ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত। তবে তাদের প্রতি করুনা দেখানো হোক সেটা বলছি না।
অর্থাৎ আমি বলতে চাই অন্য একটা মেয়ের সাথে আমরা যেন একজন ধর্ষিতা মেয়ের পার্থক্য না করি। আমার উদাহরণ দিতে গেলে বলতে পারি, ধরুন, আমি একটা মেয়েকে ভালবাসি, দুর্ঘটনাবশত সে যদি ধর্ষনের স্বীকার হয় তবে তার প্রতি আমার ভালবাসা আগের মতই থাকবে, তার সাথে আচরনেও আমার কোনো পার্থক্য হবে না এবং অবশ্যই তাকে আমি বিয়ে করব। (করুনা করে নয়)
২| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২৯
কাঙাল মামা বলেছেন: ঠিকাচে
৩| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩০
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: বক্তব্যের সাথে একমত। আসলে আমাদের মনমানসিকতা তো পুরুষতন্ত্রের সৃষ্টি। আমরা মানুষতন্ত্র চাই, পুরুষতন্ত্র কিংবা নারীতন্ত্র চাই না। এব্যাপারে মনির হাসান ভাই একটা চমৎকার পোস্ট দিয়েছিলেন। দেখতে পারেন-http://www.somewhereinblog.net/blog/MonirHasan/28969570
৪| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
বিশ্বাসের ফেরিওওয়ালা বলেছেন: আপনার কথার নিশ্চয়ই যুক্তি আছে। ধর্ষিতার তো অন্যায় নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ধর্ষক ধর্ষিতারই কোন প্রেমিক বা প্রেমের অভিনয়কারী কোন ব্যক্তি। সে ক্ষেত্রে কি এ কথা বলা যায় না যে ধর্ষিতা যদি তাকে প্রশ্রয় না দিত বা তার সাথে প্রেমের অভিনয় না করত তাহলে হয়ত এমনটি ঘটত না। যে নারী ধর্মীয় নিয়মে নিরাপদ দুরত্বে থাকে তার ধর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেকে হয়তো ধরে নেন যে এক হাতে তো তালি বাঝে না। তবে এককভাবে নারীকেই দোষ দেয়া সঙ্গত হবে না। মানসিকতার পরিবর্তন অবশ্যই দরকার।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৫
খোলা_আকাশ বলেছেন: ছেলেটি যদি মেয়েটির সরলতা বা বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এধরনের কাজ করে তবে দোষতো ছেলেটিরই।
৫| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
নাজিম উদদীন বলেছেন: ঐটা কথার কথা, ধর্ষিত হওয়ার সাথে ইজ্জত যাওয়ার কোন সম্পর্ক নাই।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
খোলা_আকাশ বলেছেন: আমিও সেটাই বলতে চাই।
৬| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪১
দুরের পাখি বলেছেন: একশবিশ ভাগ একমত ।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
খোলা_আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
স্পাইডার বলেছেন: সবই ঠিকাছে, এখন বলেন এইখান কার মন্তব্য কারী কে কে ধর্ষিতা মেয়ে বিয়া করবেন
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০০
খোলা_আকাশ বলেছেন: ধর্ষিতা মেয়ে খুজতে হবে সেটা বলছি না। কিন্তু ধরুন আপনি একটা মেয়েকে ভালবাসেন, কিংবা আপনার সাথে একটা মেয়ের বিয়ের কথা চলছে, দুর্ঘটনাবশত সে যদি ধর্ষিতা হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?
সবার প্রতি এই প্রশ্ন রইল।
৮| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
ফালাক বলেছেন: না যায় না। ইজ্জত কি সেক্সের ভিত্রে থাকে?
৯| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
জহির২০১০ বলেছেন: সবার সাথে আমারও একমত
১০| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
নীল-দর্পণ বলেছেন: সহমত। সুন্দর লেখা। ভাল লাগল
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
খোলা_আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫
বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: সহমত
১২| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
আইরিন সুলতানা বলেছেন: এভাবে ভাবাটাই আসলেই খুব দরকার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার ...আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
তবে, উপরের একটা মন্তব্য এড়িয়ে যেতে পারলাম না....মুখে বলা আর কাজে-কর্মে তার প্রমাণ আসলেই বা কজন দিতে পারে!!! জানিনা মন্তব্যকারি কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রশ্ন করেছেন..তবে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন.....
স্পাইডার বলেছেন: সবই ঠিকাছে, এখন বলেন এইখান কার মন্তব্য কারী কে কে ধর্ষিতা মেয়ে বিয়া করবেন
এর উত্তরটা সবাই মনে যাতে পরিস্কার থাকে।
১৩| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭
মানুষ বলেছেন: ধর্ষিত হইলে যদি কোন ক্ষতিই না হবে তাইলে ধর্ষণকারীর শাস্তি হবার যৌক্তিকতা কি?
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
খোলা_আকাশ বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর আইরিন সুলতানাই দিয়েছেন।
১৪| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১২
আইরিন সুলতানা বলেছেন: মানুষ বলেছেন: ধর্ষিত হইলে যদি কোন ক্ষতিই না হবে তাইলে ধর্ষণকারীর শাস্তি হবার যৌক্তিকতা কি?
=======
কেউ যদি কারো সাথে জোরপূর্বক কিছু করে, বিশেষত যেখানে তার কোন অধিকার নেই, এবং এটা শারীরিক নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।
তবে নির্যাতনের শিকার যে, তাকে অচ্ছুত করে দেয়াটা ঠিক নয়। ঘৃণা তাকে করতে হবে যে ঘটনার জন্য দায়ী, তাকে নয় যে ঘটনার শিকার।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩
খোলা_আকাশ বলেছেন: আমিও সেটাই বলতে চাই।
১৫| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১৪
অন্যরকম বলেছেন: মানুর চিন্তা ভাবনা দেখি কঠিন!
১৬| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
জটিল বলেছেন: ভাই কি ধর্ষিতা কাউকে বিবাহ করতে যাচ্ছেন !
অভিনন্দন রইল
১৭| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল কথা বলেছেনতো! একমত
১৮| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৬
সচেতন বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আপনার লেখা ভালো লাগলো। আমাদের মানষিকতা পরিবর্তণ হচ্ছে এবং হয়ে যাবে ধিরে ধিরে। আবারো বলছি আপনার মুল বক্তব্যের সাথে একমত। তবে মেয়েদেরকেও নিয়ম মেনে চলতে হবে। উষ্কানি মুলক পোষাক, উষ্কানি দেয় এমন আচরন থেকে বিরত থাকা খুবই দরকার। (এখন আবার কেউ বইলেন না যে আমি স্বাধীন দেশে বাস করি যেমন খুশি তেমন করে চলবো। তবে কিন্তু সন্ত্রাসীরাও সেই কথা বলবে।) জাতীকেও সচেতন হতে হবে, উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন টিভি প্রোগ্রাম, সিনেমা, বন্ধ করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ জাগে তেমন প্রোগ্রামের দরকার ও তেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার। আমরা ছোট্টবেলা থেকে সব কিছুই শিখি। তাই এই বিষয়গুলিও সঠিক পথে শিখতে হবে।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
খোলা_আকাশ বলেছেন: ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই কথাটি প্রযোজ্য।
১৯| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৬
সাপ্নিক বলেছেন: @ বিশ্বাসের ফেরিওওয়ালা আপনে বলেছেন "যে নারী ধর্মীয় নিয়মে নিরাপদ দুরত্বে থাকে তার ধর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।" এটা কতটুকু সত্য, কারন ধর্ষণকারী নিশ্চয় বাছ বিচার করে ধর্ষণ করেনা আর আপনার কথা যদি সত্য বলে মেনে নিই তাহলে বলতে হয় মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে বুঝি ধর্ষণ হয়না???
@লেখকঃ+++
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৭
খোলা_আকাশ বলেছেন: একমত
২০| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:১৪
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: ভালো বলেছেন। এখানে আরও একটি পয়েন্ট যোগ করা যায়, তা হলো, যে মেয়েটিকে আপনি ভালোবাসেন সে যদি ধর্ষিত হয় শুধু তার ক্ষেত্রেই নয়, ধরুন একটি মেয়ে যাকে আপনি চেনেন না জানেন না, পারিবারিকভাবে তার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হলো, এবং তারপর আপনি জানতে পারলেন যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার, সেক্ষেত্রেও কি আপনার বা আপনার পরিবারের উচিত হবে না মেয়েটিকে আপন করে নেয়া, বা তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয়া?
এ ব্যাপারে লেখক এবং অন্যান্য সকল পাঠক ব্লগারের মন্তব্য আশা করছি।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২০
খোলা_আকাশ বলেছেন: সেক্ষেত্রেও আমার মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হবে না।
আর একই প্রশ্ন আমিও সবার উদ্দেশ্যে করেছি? উপরে খেয়াল করুন।
২১| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৬
আইরিন সুলতানা বলেছেন: মেয়েদের সচেতন হতে হবে....খুবই চমৎকার একটি কথা...আমি কিন্তু মেয়েদের সচেতনা বলতে প্রথমেই যেটা বুঝি সেটা হলো, মেয়েরা যে নিজেদের আত্মরক্ষায় পারদর্শী হয়....
তবে একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, শিশু-ধর্ষণের হার কিন্তু দেশে কম নয় !!
অন্য দিকে আধুনিক পোষাকের মেয়েদের কে বাদ দিয়ে দরিদ্র কিংবা গার্মেন্টস কর্মী মেয়েদের কথা ভেবে দেখুন...ধর্ষণের শিকার কিন্তু তারাও অহরহ হচ্ছে......আমাদের দেশে এখনও এমন অনেকগুলো কেস বিচারাধীন আছে....
এদের বেশীর ভাগই আধুনিক পোষাক পরিহিতা নয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু মেয়েদের শালীনতা বজায় রেখে পোষাকের কথাটি ধোপে টিকেনা.....শেষ পর্যন্ত কু-প্রবৃত্তিকেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ..সেটাই সু-শিক্ষার লক্ষণ।
২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩১
খোলা_আকাশ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কু-প্রবৃত্তিকেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ..সেটাই সু-শিক্ষার লক্ষণ।
একমত।
তবে আধুনিক পোশাক মানেই অশালীন পোষাক নয়।
২২| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩
অন্য কেউ বলেছেন: সহমত @ লেখক এবং আইরিন সুলতানা।
২৩| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অলস ছেলে বলেছেন: কথা ভালো। প্লাস দিলাম। আর জটিল ভাই দেখি ভিতরের অনেক খবর জানে। যাইহোক, আমাদেরকে না জানানোতে কিন্তু কোন রাগ করি নাই। অভিনন্দন থাকলো।
২৪| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী ধর্ষিত হৈলে ইজ্জত যায়। আপনারে কোন হোমো যদি .... করে সেক্ষেত্রেও একৈ ব্যাপার ঘটবো।
তবে ধর্ষিতাদের অচ্ছুৎ বানিয়ে দেয়াটা আমাদের সমাজের নীচু মানসিকতার প্রকাশ।
আমি অসংকোচে আমার এই নীচু মানসিকতা প্রকাশ করছি, কোন ধর্ষিতাকে আমি বিয়ে করবনা।
২৯ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
খোলা_আকাশ বলেছেন: ধর্ষিতা মেয়ে খুজতে হবে সেটা বলছি না। কিন্তু ধরুন আপনি একটা মেয়েকে ভালবাসেন, কিংবা আপনার সাথে একটা মেয়ের বিয়ের কথা চলছে, পরবর্তীতে দুর্ঘটনাবশত সে যদি ধর্ষিতা হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?
২৫| ২৮ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রাতেরপথিক বলেছেন: আমার যতদূর মনে হয় মেয়েদের ধর্ষনের পিছনে মেয়েদের বেশিরভাগ সময়ই দোষ থাকে। যত ধর্ষন হয় তার ৯৫% ক্ষেত্রেই মেয়েদের দোষ থাকে। এখনকার যত মেয়েকে আমি চিনি তাদের দেখে মনে হয় যে সেক্স তাদের অধিকার তার যখন খুশি যার সাথে খুশি সে সেক্স করতে পারবে এতে কোন দোষ হবে না। কিন্তু কোন ছেলে তার ইচ্ছার প্রকাশ ঘটাতে গেলে মহা দোষ হয়ে যাবে।
আমাদের উচিত ছেলে মেয়ে পার্থক্য না করে সবাইকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা হয় তা হল মেয়ে তার নিজের ইচ্ছায় সেক্স করে এবং পরে নিজের মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এইটা নিয়া হইচই শুরু করে।
আর মেয়েদের জন্য সবার সহমর্মিতা মনে হয় একটু বেশি কাজ করে। কোন পক্ষ নেওয়া ঠিক না প্রকৃত দোষির বিচার করতে হবে। আর দোষি যদি দুইজন হয় তবে দুইজনের বিচার করতে হবে। কিন্তু ঢালাও ভাবে একজনকে দোষারপ করা ঠিক হবে না।
২৯ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৪০
খোলা_আকাশ বলেছেন: রাতের পথিক বলেছেন, "যত ধর্ষন হয় তার ৯৫% ক্ষেত্রেই মেয়েদের দোষ থাকে।"
একমত হতে পারলাম না।
২৬| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:০২
জেরী বলেছেন: সেনসেটিভ ব্যাপার .......তবে হ্যা আমাদের সবার চিন্তা-ভাবনার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে
২৭| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:০৪
জেরী বলেছেন: @রাতের পথিকের ১ম দিকের কথা ভালো লাগলো না.....মানসিকতার পরিবর্তন অতীব জরুরি
২৮| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:০৮
অ্যামাটার বলেছেন: সমাজ পাল্টাতে হলে দৃষ্টিভঙ্গী আগে পাল্টাতে হবে। রাজা রামমোহন রায় যখন সতিদাহ প্রথা রদ করেছিলেন, তখন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন নিজের ছেলের সাথে এক বিধবার ধুমদামে বিয়ে দিয়েছিলেম, তখনও সমাজের এলিট ক্লাস থেকেই 'জাত গেলো জাত গেল' রব উঠেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রথা ভেঙ্গে সমাজের মুখে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়াবে কে? কে হবে আজকের বিদ্যাসাগর, যে' আজকের দিনে একজন ধর্যিতা-কে স্বীকৃতি দেওয়ার সাহস রাখে? @স্পাইডারের প্রশ্নে জাঝা! যতজন উপরে ব্লগবাজি করলো, তাদের কেউই যে ঐ পথ মাড়াবে না, আমি নিশ্চিৎ। কথায় কাজে যাদের মিল নায়, সব শালা মুনাফিক! আমি মুনাফিক না, তাই আগেই কইয়া দিলাম, পারুম না। আমি ওত বড় দিলদরাজ আদমী না।
২৯| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:১৮
আরিফুর রহমান বলেছেন: পঞ্চম ছত্রে 'অন্যায়ের স্বীকার' হবে না... হবে 'অন্যায়ের শিকার'
২৯ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:৫১
খোলা_আকাশ বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৩২
স্পাইডারওয়েব বলেছেন: সহমত।
৩১| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৩২
স্পাইডারওয়েব বলেছেন: সহমত।
৩২| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৩৯
অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
৩৩| ২৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:০১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিছু কথা বিবর্তমান। আমি মাঝে মাঝে স্রোতের উল্টা চলতে পছন্দ করি। কেন করি জানি না, তয় মনে হয় পানি খাইতে মুখ খোলতে হয় না!
একটা গল্প কই। সবাই জানে তাও কই। মুখতারান মাইয়ের গল্প। বেচারীকে গন ধর্ষন করা হইছিলো। কারন তার ভাই উচ্চ বংশের একটা মাইয়ারে ভালো বাসছিলো। ভাইরে বাসায় না পাইয়া প্রায় ১৬ জনের মতো লোক তাহাকে ধর্ষন করে। পরে উহা আদালতে যায়। হুদুদ আইনের বলে ধর্ষনকারীরা সসম্মানে মুক্তি পাইয়া সেই রাতে তার বাড়ির সামনে পটকা ফুটায়।
সেই মুখতারান মাই এখন ঘর সংসার করছে, যারা হুদুদ আইন করছিলো সেই সরকারে পতন হইছিলো মেলা আগে, যারা আকাম করছে তাদেরও শাস্তি হইছে!
আরেকখান ঘটনা কই, একটা মাইয়া ক্লাস নাইনে পড়তো, বাংলাদেশেরই সাভারের দিকে। এলাকার একটা ফটকা পোলা তারে পছন্দ করে। মাগার মাইয়া পাত্তা দেয় নাই। মাইয়াটা কিন্তু সুন্দর ছিলো। তাই ছেলেটা উদাস মনে এসিড মাইরা দিলো।
তারপরও মেয়েটিকে একজন ওসি বিয়ে করেছিলো, সেই এসিড নিক্ষেপকারীর চরম শাস্তি হয়েছিলো।
তবে এগুলান বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমাদের সমাজে যাদের এসিড মারা হয় না তাদের বাইরে থেকে দেখলেও বোঝা যাবে না তারা ধর্ষিত। কি দরকার বলার। উচিত হলো শুধু বিয়ে করেই কি ক্ষান্ত দেয়া!
আমার কথাটা হলো একটু অন্য, অনেকটা মুখতারান মাইয়ের মতো। তার ভাই তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলো, কিন্তু সে আইনের বিরুদ্ধে নিজে রাস্তায় দাড়িয়ে ব্যান করবার আবেদন করেছিলো। সে সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো যে আজকে সে ধর্ষিত হইছে কালকে তোমাদেরও মা বোন ধর্ষন হইবো তখন? পাকিস্তানরা হারামের জাত হইলেও তারা কিন্তু এর বিরুদ্ধে দাড়াইয়া পরিবর্তন আনছিলো!
আর আমরা তাদের চেয়ে ভালো জাত হয়ে ধর্ষিত দের ভালোবেসে বিয়ার আলাপ করতাছি, আমার কাছে মনে হইতাছে আমরা মনে হয় রামলীলা, লাইলী মজনুর প্রেম কাহিনী রচনা করতাছি!
হায়রে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি সবাই খালি ভূড়ি নাচাইয়া সোফা গরম কইরা আজাইড়া কাম পারবো তাও কেউ রাস্তা গরম করবো না! আজাইড়া কামে ঠিকই মানববন্ধন চালাইবো কিন্তু যেইটা করলে সমাজ পাল্টাইবো সেইটা কেউ করবো না!
আহো আমরা দলে দলে বিয়া করি। আর মাইয়ারা বিয়া কইরা বাকী জীবন স্বামীর ঘাড়ে চইড়া সুখে থাকুক সেই ব্যাবস্হা করি! এগো আর উচ্চশিক্ষা দিয়া দেশের কোনো প্রোডাক্টিভ কামের দরকার নাই!
পুরাই ফাউল!
৩৪| ২৯ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩
অন্য কেউ বলেছেন: শাবাশ @ উদাসী স্বপ্ন।
এই বিয়াটা কোন আল্টিমেট সমাধান না। তয় হাসান মাহবুবের কমেন্ট পৈড়া মিজাজটাই বিগড়ায়া গেলো।
যাকগা। কারা জানি কইতাসে দেখলাম, কেউ রেপড কাউরে বিয়া কর্তার্বো কি না।
আমি পারুম।
৩০ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:২১
খোলা_আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সৎ সাহসের জন্য।
৩৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৯
সোনালীডানা বলেছেন: হা হা হা
৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৪
পর্যবেক্ষক বলেছেন: আমি বিয়েটা করবো দ্রুততার সাথে। (যদি সে আমাকে পছন্দ করে। তবে বিয়েটা বড় নয়, তাকে মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠানো জরুরি। তা বিয়ে না করেও সম্ভব।) এরকম বিয়েতে পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানাবে, এটা একটা সমস্যা। তবে পরিবারেও বিদ্রোহী হবো, তাদের বলবো আমাকে বর্জন করো।
এরপর আমার স্ত্রী যেন প্রতিশোধ নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করবো। যেমন ধরুন, মাইনকা চিপায় ফেলে হাত-পা বেঁধে রেখে বলবো চাকুটা নিয়ে আসো আর কেটে ফেলো। গোড়ায় না কেটে এমনভাবে কাটতে বলবো যেন রশি দিয়ে বেঁধে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়। এটা বাঁধতে ঘেন্না লাগবে। কি করা যায়? ঐ হারামজাদাকে বলবো নিজেরটা নিজেই বেঁধে তাড়াতাড়ি মেডিকেলে যা। .......
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২৫
সততার আলো বলেছেন: appreciative