![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গরীব গরীব রবে, বড়লোক বড় হবে, বুদ্ধিজীবীগণ থাকবেন বেঁচে, বুদ্ধিদীপ্ত কোন ছদ্দবেশে।
এই জীবনে বেশিরভাগ কাজই আমি করেছি ঝোকের মাথায়।
ডিগ্রী শেষ করে দেশে ফিরলাম। সাত বছর আমেরিকায় কাটিয়ে যে সম্পদ নিয়ে ফিরলাম তা হল নগদ পঞ্চাশ ডলার, দুই স্যুটকেস ভর্তি বাচ্চাদের পুরানো খেলনা, এক স্যুটকেস বই এবং প্রচুর চকলেট।
আমি যে সব সময় ইমপালস- এর উপরে চলি তা কিন্তু না। কাজে-কর্মে, চিন্তা-ভাবনায় আমি শুধু যে গোছানো তা না, অসম্ভব গোছানো। কখন কি করব, কতক্ষণ করব তা আগে ভাগে ঠিক করা। কঠিন রুটিন। সময় ভাগ করা তারপরেও হঠাৎ হঠাৎ কেন জানি মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। উদ্ভট একেকটা কাণ্ড করে বসি। কোন সুস্থ মাথার মানুষ যা কখনো করবে না।
গুলতেকিনের সঙ্গে বিয়ে হয় এমন ঝোঁকের মাথায়। তখন আমি হতদরিদ্র। লেকচারার হিসেবে ইউনিভার্সিটি থেকে সব মিলিয়ে সাত/আটশ’ টাকা পাই। দুই ভাইবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবর রোডের এক বাসায় থাকি। সে বাসা সরকারী বাসা। এভিকেশন নোটিস হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিজে এসে বলে গেছেন বাড়ি ছেড়ে দিতে। পনেরো দিনের নোটিস। বাড়ি না ছাড়লে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেয়া হবে। টাকা পয়সার দিক দিয়ে একেবারে নিঃস্ব। মাসের শেষের দিকে বেশির ভাগ সময়ই বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে আসার পয়সাও থাকে না। হেঁটে হেঁটে আমি ক্লাসে যাই। ক্লাস শেষ করে ক্লান্ত হয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরি। নিতান্ত পাগল না হলে এমন অবস্থা কেউ বিয়ের চিন্তা করে না।
আমার মনে হল গুলতেকিন নামের এই বালিকাটিকে পাশে না পেলে আমার চলবে না। গুলতেকিনের মা-বাবা আমার কাছে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। বড় মেয়েরই বিয়ে হয় নি। ক্লাস টেনে পড়া মেয়ের বিয়ে হবে কি করে? কি করা যায় কিছুই ভেবে পাই না।
একদিন গুলতেকিন ডিপার্টমেন্টে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আমি বললাম, চল এক কাজ করি – আমরা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
সে চোখ বড় বড় করে বলল, কেন? কোর্টে গিয়ে বিয়ে করব কেন?
‘খুব মজা হবে। নতুন ধরনের হবে। ব্যাপারটা খুব নাটকীয় না? তোমাকে ভাবার জন্য তিন মিনিট সময় দিলাম। তুমি ভেবে দেখ, তারপর বল।’
সে ভাবার জন্য তিন মিনিটের মত দীর্ঘ সময় নিল না। এক মিনিট পরেই বলল, চলুন যাই। কিন্তু আমি তো শাড়ি পরে আসি নি। সালোয়ার-কামিজ পরে কি বিয়ে করা যায়?
কোর্টে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হল না। কনের বয়স চৌদ্দ। এই বয়সে বিয়ে হয় না। আমি কোন উপায় না দেখে তাঁর ফুপু খালেদা হাবীবকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখলাম। আমার সাহিত্যপ্রতিভার পুরোটাই ঢেলে দিলাম চিঠিতে। চিঠি পড়ে তিনি বিস্মিত এবং খুব সম্ভব মুগ্ধ। কারণ তিনি গুলতেকিনের পরিবারের সবাইকে ডেকে দৃঢ় গলায় বললেন, এই ছেলের সঙ্গেই গুলতেকিনের বিয়ে দিতে হবে। অন্য কোথাও নয়। ভবিষ্যৎ-এ যা হবার হবে।
আমার চিঠির জবাবে তিনি লিখলেন – “আপনার অদ্ভুত চিঠি পেয়েছি। এত বানান ভুল কেন?”
তারা ক্লাস টেনে পড়া মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজী হয়েছেন। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বিয়ে হবে। এই খবরে আমার এবং মা’র মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। হাতে একটা পয়সা নেই। যে কোন মুহুর্তে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। এই অবস্থায় বিয়ে। কে জানে নতুন বউ নিয়ে বাসায় এসে দেখা যাবে পুলিশ দিয়ে সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। নতুন বউ নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে।
মা তাঁর সর্বশেষ সম্বল বাবার দেয়া হাতের একজোড়া বালা, যা তিনি চরম দুঃসময়েও যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছিলেন, বিক্রি করে বিয়ের বাজার করলেন। জিনিসপত্রগুলি খুব সস্তা ধরনের কিন্তু তাতে মিশে গেল আমার বাবা এবং মা’র ভালবাসা। আমি জানতাম ভালবাসার এই কল্যাণময় স্পর্শেই আমার অনিশ্চয়তা, হতাশা কেটে যাবে।
বউ নিয়ে বাসায় ফিরে বড় ধরনের চমক পেলাম। আমার শোবার ঘরটি অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে আমার ছোট বোন। আমাদের কোন ফ্যান ছিল না। কিন্তু আজ মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। বিছানায় কি সুন্দর ভেলভেটের চাদর। খাটের পাশে সুন্দর দুটি বেতের চেয়ার। বেতের চেয়ারের পাশে ছোট্ট একটা টেবিলে একগাদা রক্ত গোলাপ। গোলাপের পাশে একটা চিঠিও পেলাম। মেজো বোন শিখুর লেখা চিঠি -
“দাদা ভাই,
তুমি যে সব গান পছন্দ করতে তার সব ক’টি টেপ করা আছে। কথা বলতে বলতে তোমরা যদি ক্লান্ত হয়ে পড় তাহলে ইচ্ছা করলে গান শুনতে পার। দরজার কাছে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার রেখে দিয়েছি।”
ক্যাসেট প্লেয়ার চালু করতেই সুচিত্রা মিত্রের কিন্নর কন্ঠ ভেসে এল – ভালবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন, তবে কেন মিছে এ ভালবাসা?
গভীর আবেগে আমার চোখে জল এসে গেল। আমি সেই জল গোপন করবার জন্য জানালা দিয়ে তাকিয়ে বললাম, কেমন লাগছে গুলতেকিন?
সে নিচু গলায় বলল, বুঝতে পারছি না। কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে।
‘ঘুম পাচ্ছে?’
‘না।’
সারারাত আমরা গান শুনে কাটিয়ে দিলাম দু’জনের কেউই কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গান শোনা ছাড়া উপায় কি?
পরদিন ভোরবেলা খুব দুঃখজনক ব্যাপার ঘটল। যাদের বাসা থেকে সিলিং ফ্যান ধার করে আনা হয়েছিল তারা ফ্যান খুলে নিয়ে গেল।
গুলতেকিন বিস্মিত হয়ে বলল, ওরা আমাদের ফ্যান খুলে নিচ্ছে কেন?
আমি মাথা নিচু করে রইলাম। জবাব দিতে পারলাম না। বিছানার চমৎকার চাদর, বেতের চেয়ার, ক্যাসেট প্লেয়ার সবই তারা নিয়ে গেল। এমন কি টেবিলে রাখা সুন্দর ফুলদানিও অদৃশ্য। গুলতেকিন হতভম্ব। সে বলল, এসব কি হচ্ছে বলুন তো? ওরা আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে কেন? আমরা বুঝি রাতে গান শুনব না?
গুলতেকিনের প্রশ্নের জবাব দেবার মত মানসিক অবস্থা তখন আমার নেই। আমার জন্য আরো বড় সমস্যা অপেক্ষা করছে। বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে আছে। আজ আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবে। এই কারনেই সবাই তড়িঘড়ি করে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
মা পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে লজ্জায় কাঁপছি। আমার ছোটবোন এসে বলল, দাদাভাই, তুমি ভাবীকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে চলে যাও। এই নোংরা ব্যাপারটা ভাবীর সামনে না হওয়াই ভাল।
আমি গুলতেকিনকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। বৈশাখ মাসের ঘন নীল আকাশ, পেঁজাতূলার স্তূপীকৃত মেঘ, চনমনে রোদ। আমরা রিকশা করে যাচ্ছি। হুড ফেলে দিয়েছি। আমার মনের গোপন ইচ্ছা – পৃথিবীর সবাই দেখুক, এই রূপবতী বালিকাটিকে আমি পাশে পেয়েছি। গভীর আনন্দে আমার হৃদয় পূর্ণ। বাসায় এখন কি হচ্ছে তা এখন আমার মাথায় নেই। ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়েও ভাবছি না। বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না। - ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার। আমরা বাস করি বর্তমানে – অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না।
---হুমায়ূন আহমেদ
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৬
স্বকন্ঠ বলেছেন: শাওনকে মেইল করার রুচি আমার নেই বলে দুঃখিত। যাইহোক, ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৯
জাকারিয়া জামান তানভীর বলেছেন: অনেক অজানাকে জানা গেল। আপনাকে ধন্যবাদ।।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
স্বকন্ঠ বলেছেন: আমার মনে হয় এই মানুষটার অনেক কিছুই এখনো আমাদের কাছে অজানা।ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১০
Eisenheim বলেছেন: পুরাই হিমুটাইপ, মনে হলো হিমুর কোনও বই থেকে দুই এক পাতা পড়লাম..
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
স্বকন্ঠ বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমারও তাই মনে হয়েছে। একটা ঘোর এর মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৪
shahinur70 বলেছেন: তথ্যসূত্র জানতে চাই।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০
স্বকন্ঠ বলেছেন: অনন্ত অন্বরে, কাকলী প্রকাশনী ।
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রিয়তে
লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১
স্বকন্ঠ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৯
কাজল কািন্ত কর বলেছেন: "তোমার হাত পাখার বাতাসে..... প্রাণ জুড়িয়ে আসে...." গানের শিল্পীর কথা মনে আছে? হানিফ সংকেতের আবিস্কার। আমি নামটা ভুলে গেছি। একজন রিকশাওয়ালা। যশোর বাড়ি। সাধারনত কিশোর কুমারের গান গায়তো। হঠাং বিশাল জনপ্রিয়তা পেল। কিছুদিনের মধ্যে তার বউকে তালাক দিল। কোন এক চিত্রনায়িকাকে বিয়ের খায়েশ জাগল। তবে বিয়ে হয়েছিল কিনা জানা নাই। ও হ্যা নামটা হচ্ছে আকবর। হুমায়ন আহমেদের মনমানসিকতা ও এরকম অনেকটা।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
স্বকন্ঠ বলেছেন: লেখাটি তে বেশ কিছু ফ্যাক্টস আছে যা সবার জানা দরকার, এই ভেবেই শেয়ার করা, কোন কমেন্টস করতে চাচ্ছিনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২৩
তাসনিয়া বলেছেন: বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না। - ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার। আমরা বাস করি বর্তমানে – অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
স্বকন্ঠ বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে অতীত টাও এক সময় বর্তমান ছিল এবং ভবিষ্যৎ ও একসময় বর্তমান হবে। এটা আমার একান্তই নিজস্ব অবজারভেশন।
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২৭
বায়স বলেছেন: কোনো বই থেকে নিয়েছেন ? বইয়ের নাম প্রকাশ করুন
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:২৯
রবিনহুড বলেছেন: লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হুমায়ন আহমেদের জীবনী নিয়ে লেখা সম্ভবত "আমার ছেলেবেলা" বইটার কি কেনা পিডিএফ লিন্ক আছে?
কারো কাছে থাকলে লিন্কটা দেবেন কি?
১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৪
নগরবালক বলেছেন: মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
স্বকন্ঠ বলেছেন: হওয়াটাই স্বাভাবিক।
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৪
অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম +
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
স্বকন্ঠ বলেছেন: লেখাটি তে বেশ কিছু ফ্যাক্টস আছে যা সবার জানা দরকার, এই ভেবেই শেয়ার করা, কোন কমেন্টস করতে চাচ্ছিনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৪
জীবন যোদ্ধা বলেছেন: ব্যাক্তি হুমায়ূনকে নোংরা কীট ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।
নিজের দুঃখের দিনের সাথিকে মানুষ এমন করে ফেলে দিতে পারলে তার মানসিকতা নিয়ে মন্তব্য করাই যায়।
১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৭
ধান শালিক বলেছেন: এই আকণ্ঠ ভালবাসাও একদিন ফুরিয়ে গেল , এক বালিকা যে নিসসতার সময় ও ছেড়ে যায় নি , সুসময়ে তাকেই ছেড়ে যেতে হবে ? হয়তো তেমন গুরুতর কোন কারন ছিল ? তবে বাঙালি ভালবাসায় শোভন নয় , রমন ই প্রধান । হুমায়ুন স্যার , আপনি প্রমান দিলেন ।
১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৩
আমিতপু বলেছেন: আহারে!!!!
উনি (আল্লাহ তাঁকে ভালো রাখুন) কিভাবে গুলতেকিনকে ছেড়ে গেলেন?? ডিসিশন নেয়ার আগে একবার নিজের এই লেখাটা পড়লে, তিনি কি ছেড়ে যেতে পারতেন?
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
স্বকন্ঠ বলেছেন: সহমত।
১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৪
বলাক০৪ বলেছেন: কিছু লোক জীবনকে বাস্তব না ভেবে উপন্যাস ভাবেন, হুমায়ুন তাদেরই একজন। গুলতেকিনকে উনার ভালো লাগতো এক উপন্যাসের চরিত্র হিসেবে। ব্যক্তি পর্যায়ে এমন অগভীর লোককে শ্রদ্ধা করা প্রায় অসম্ভব।
তবে এই কচলানি বাদ দেয়াই ভাল এখন।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
স্বকন্ঠ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৫
গিড়ীবাজ বলেছেন: ইহাতো বহুত পুরানা কাহিনী।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩
স্বকন্ঠ বলেছেন: লেখাটি তে বেশ কিছু ফ্যাক্টস আছে যা সবার জানা দরকার, এই ভেবেই শেয়ার করা, কোন কমেন্টস করতে চাচ্ছিনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৭
ভিয়েনাস বলেছেন: গুলতেকিনের মতো বিশাল মন মানুষিকতা হুমায়ূন আহমেদ এর কোনো দিনই ছিলনা........
১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮
অন্তি বলেছেন: লেখাটা আগেই ফেসবুকে গুলতেকিনের ফ্যান পেইজে পড়েছিলাম।
১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮
অন্তি বলেছেন: লেখাটা আগেই ফেসবুকে গুলতেকিনের ফ্যান পেইজে পড়েছিলাম।
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১০
সকাল>সন্ধা বলেছেন: আমি এই ঘটনাটি পরেছি কিন্তু কোন বই নাম বলতে পারবনা। যাই হোউক বিবাহ করা ভাল কিন্তু বিবাহর আগে ব্যবহার করা খারাপ।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
স্বকন্ঠ বলেছেন: উইটি কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
মরহুম ব্লগার বলেছেন: অনেকে তথ্য সূত্র চাচ্ছেন !
সূত্র
অনন্ত অন্বরে
---হুমায়ূন আহমেদ, Publisher: কাকলী প্রকাশনী ।
এমনটিই লেখা আছে ফেসবুকের যে পেজটি সোমবারে এ লেখাটি পোস্ট করেছিল ।এখানে !
লেখককে ধন্যবাদ যারা আগে পড়তে পারেন নি তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেওার জন্যে।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫
স্বকন্ঠ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১২
নিজাম বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ একজন যাদুকর লেখক। কল্পনার রং মিশিয়ে এমন লিখা লিখতে পারতেন যেন সত্যি! তাঁর কথায় বিশ্বাস নেই। প্রকৃত ঘটনার বাস্তব সাক্ষী কেউ থাকলে বলেন, শুনব।
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯
আদম_ বলেছেন: কাপুরুষ একটা। বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে, উনি পরিবারের পাশে না দাড়িয়ে বেড়াতে গেলেন।
২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: যারা পইটির পিডিএফ চাচ্ছেন তাদের বলি দেশী লেখকের বই অন্তত কিনে পড়ুন। এতে প্রাপ্য সম্মান দেখানো হবে। পোস্টে প্লাস!
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫
স্বকন্ঠ বলেছেন: সহমত।
২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০৬
শাহিন বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ, যারা আগে পড়তে পারেন নি তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে। আর কে ভালো আর কে খারাপ এরকম কোন মন্তব্যে যাওয়া ঠিক হবে না । সুন্দর, টেলেন্ট ছেলে মেয়ে আর এত গভীর ভালোবাসার থাকার পরও সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে এটা ভাবলেই যেন কেমন লাগে । নিজের সংসারের উপর বিশ্বাস রাখতে মন চায় না ।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬
স্বকন্ঠ বলেছেন: হুম....
২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
এই কথঅ গুলো পড়ে মনে হচ্ছে...
যখন তোমার কেউ ছিল না
তখন ছিলাম আমি...
এখন তোমার সব হয়েছে
পর হয়েছি আমি...
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
স্বকন্ঠ বলেছেন: খাঁটি কথা।
২৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
ধ্বংসমানব বলেছেন: সত্যিই মানুষ কেমন বদলে যায়- মানুষের জীবন কেমন বদলে যায়।
বলি না ভালো হোক, বলি যদি খারাপ ধেয়ে আসে তাকে ঠেকানোর শক্তি যেনো থাকে।
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
স্বকন্ঠ বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অন্বেষা নিরন্তর বলেছেন: খুব খুব খুব ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।
জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতিগুলো কত সুন্দর!!
২২ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮
স্বকন্ঠ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৪৩
আধারের কবি বলেছেন: মজা পেলাম
৩০| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৯
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম। এজন্য লেখককে ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ তাকে (হুমায়ূন আহমেদ) শান্তিতে রাখুন।
৩১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫০
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: অনেক অজানাকে জানলাম
৩২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৯
নিওন বলেছেন: মানুষের জীবনে কোনো কিছুই কন্সটান্ট না, পরিবর্তনই কন্সটান্ট.....পরিবর্তিত অবস্থা সবাই নিতে পারবে এমনটা আশা করা ঠিক না। চারপাশে তাকালেই পরিবর্তন চোখে পড়বে। শুধু একজন দোষেগুনে মানুষকে দোষ কেন দেই??
৩৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২২
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: পরিবেশনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৫
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: লেখকরা সাধারণ ঘটনাকে অসাধারণ করে উপস্থাপন করার জন্য মাঝে মাঝে মিথ্যার আশ্রয় নেন। অতিরঞ্জনের আশ্রয় নেন।
জানি না এই লেখার কতটুকু সত্যি কতটুকু মিথ্যা।
৩৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
জামানমখা বলেছেন: কি ভাবে হুমায়ুন ডিটিো সোংসার গোরলেন।
৩৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩১
নির্জন০০৭ বলেছেন: beshi dramatical laglo
৩৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৯
ইসরা০০৭ বলেছেন: লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
৩৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রডারিক বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের মনে হয় স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের প্রতি দুর্বলতা ছিল। বিয়ের সময় গুলতেকিন আর শাওনের বয়স অনেকটা একই রকম।
৩৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০০
নামহীনযোদ্ধা বলেছেন: পুরাই হিমুটাইপ, মনে হলো হিমুর কোনও বই থেকে দুই এক পাতা পড়লাম.. |
৪০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফেসবুকে আগেই পড়ছি
৪১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু একটু খটকা আছে। ১, বাবর রোড থেকে ঢা বি হেঁটে আসা যাওয়া করাটা লং রানার ছাড়া অন্য কারো পক্ষে একটু কঠিন ই। ২, দশম শ্রেনীর ছাত্রীর বয়স১৪, ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
কি জানি, হু আ হয়তো অতটা ভেবে লেখেন নি। যতটা মনে আছে ততটাই লিখেছেন। এটাকে মিথ্যাচার বলবো না। হু আ এর লেখা বরাবরই আসাধারণ, এত সুন্দর করে লিখেছেন যে, মনে হচ্ছে চোখের সামনে ঘটছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা।
৪২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯
শার্লক বলেছেন: এই সেই আওয়ামী লীগ সরকার ওদের কিছু চামচা তখন তাদের বাসা থেকে উচ্ছেদ করেছিল।
৪৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
গাধা মানব বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
৪৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৯
মনজুরুল হাসান আখন্দ বলেছেন: Valo Laglo na Kharap laglo bujte parsi na.
৪৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১
শ্রেষ্ঠ বলেছেন: ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু একটু খটকা আছে। ১, বাবর রোড থেকে ঢা বি হেঁটে আসা যাওয়া করাটা লং রানার ছাড়া অন্য কারো পক্ষে একটু কঠিন ই। ২, দশম শ্রেনীর ছাত্রীর বয়স১৪, ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
ভাই,১৪ সার্টিফিকেট এর বয়স।আমার ও তাই ছিল।আর পকেটে টাকা ছারা রাস্তায় বের হোয়া কি জিনিশ,তা আপনি আর আমি হয়তো বুঝবো না।
৪৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৯
রাখালছেলে বলেছেন: এই লোকটাই পেরেছে বাংলায় নতুন সংস্কৃতি তৈরি করতে । কোথা থেকে কোথায় আসছে তা ভাবতে কষ্ট হয় । আসলেই তাই। হুমায়ুন জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছে যার ফল আমরা দেখতে পাই । হুমায়ুন নাই যেন কেমন । বাদশা হুমায়ুন মারাও গেলেন বাদশার মত ।
৪৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৬
টুকিঝা বলেছেন: ভালবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন, তবে কেন মিছে এ ভালবাসা?
৪৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩১
স্তব্ধতা' বলেছেন: আমরা বাস করি বর্তমানে – অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না।.....তার সকল কর্মকাণ্ডে মনে হয় এই বিশ্বাসটাকে উনি প্রচণ্ড ভাবে লালন করতেন, আর এই বিশ্বাসটার মাধ্যমে যে পথ উনি গড়ে নিয়েছিলেন, সেই পথই তাকে এতো বিতর্কিত করেছে বলে আমার মনে হয়।
৪৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪০
নাজিয়া জামান বলেছেন: একসময় আসবে যখন লেখকের ব্যক্তি জীবন নয় তার সৃষ্টি নিয়েই আলোচনা হবে । সময় লাগবে । কিন্তু আসবে । অনেক বড় লেখক আছেন যাদের ব্যক্তি জীবন নিয়ে কেউ আলোচনা করে না তার সৃষ্টি ই যখন প্রধান হয়ে দাঁড়ায় তখন সৃষ্টি নিয়েই আলোচনা করা হয় । আমার মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ সেই মানের লেখক যার ব্যক্তিজীবনের উর্ধে তার সৃষ্টি । তার সৃষ্টি অমর । এরকম লেখক ১০০ বছরে একজন জন্ম নেয় । আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা তাঁর মত একজন বড় মাপের লেখক পেয়েছি । আল্লাহ তার আত্মার শান্তি দিন।
৫০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮
মোহনা১ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৫১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
শোভন শামস বলেছেন: লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৫২| ০১ লা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম................
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৯
কালীদাস বলেছেন: লেখাটা শাওনের ফেসবুকে মেইল করে ভাল হত।
আপনি কি ফেসবুক ইউজ করেন? করলে মেইল করে দেন প্লীজ!!