নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপু রায়

অপু রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিউটরিয়াল লেখার কৌশল

২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

শুভ অপরাহ্ণ,টিপ টিপ এই বৃষ্টি এর দিনে নিয়ে হাজির হলাম শিক্ষণীয় একটা টিউন । যারা টিউটরিয়াল লিখতে চায়, লেখার বিষয় খুজে পায় না বা ভাল মানের টিউটরিয়াল তৈরীতে সমস্যা তাদের জন্য সহায়ক হবে টিউটরিয়ালটি। এখানে ভিডিও টিউটরিয়াল বানানোর ব্যবারেও আছে বিস্তর বিবরণ। নতুন লেখকদেরও এ টিউটরিয়ালটি পড়া উচিত। কারো আরো কিছু জানার থাকলে শেয়ার করতে পাড়েন।

১. বিষয় নির্ধারন



আপনি কি পছন্দ করেন? কোন ধরনের টিউটরিয়াল আপনার পছন্দ? কোন বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা ভাল? এসব চিন্তা করে বিষয় নির্ধারন করুন। বিষয়টি নিয়ে আরো শিখতে থাকুন, বিষয়টিতে সার্চ দিয়ে আট-দশটা ইংরেজী সাইট ঘাটুন, লেখা গুলো পড়ুন। মোটামুটি একটা ভালআইডিয়া চলে আসলে, পরে লিখুন।

২. বেশি বেশি পড়ুন ।



বেশি বেশি টিউটরিয়ল সাইটগুলো পড়ুন । আমি কিছু টিউটরিয়ালের সাইটের ঠিকানা দেব(সব শেষে), সেগুলোতে গিয়ে দেখতে পাবেন কত সুন্দর টিউটরিয়াল লিখেছে তারা।

৩. সুন্দর শিরোনাম দিন।



আকর্ষনীয় সুন্দর ও মাঝারী আকৃতির শিরোনাম দিন। আমার মতে ১২ শব্দের বেশিতে যাওয়া উচিত না। আকর্ষনীয় শিরোনামের কারনে অনেক লেখাই বেশি হিট পায়।

৪. বিস্তারিত লিখুন এবং টিউটরিয়াল আকৃতির প্রতি নজর রাখুন।



ভাবতে হবে-আপনি যা জানেন পাঠক তা জানে না। তাই আপনার কথাটি বিস্তারিত লিখতে হবে। আমরা সাধানত: ৪০০ শব্দের নিচের টিউটরিয়াল প্রথমপাতায় প্রকাশ করি না, ফোরামে পাঠিয়ে দেই। অনেক বড় বা ধারাবাহিক টিউটরিয়ালগুলো এমন ভাবে ভাগ করুন যাতে তা এক – দুই দিনে রপ্ত করা যায়। প্রয়োজনে কয়েক পর্বে ভাগ করে লিখুন।

৫. প্রয়োজনীয় ছবি দিন।



যে টিউটরিয়ালটি লিখবেন তা নিজে একবার প্রাকটিস করুন। টিউটরিয়াল সম্পকির্ত ছবিগুলো Jpeg ফরমেটে সেভ করুন। লক্ষ্য রাখবেন কোন ছবি যেন ৩০০ কিলোবাইটের উপরে না যায়। প্রয়োজনে ফটোশপের সাহায্যে ছবি গুলো ছোট করে নিন। হাতের কাছে ফটোশপ না থাকলে picresize.com

এর মাধ্যমে খুব সহজেই ছবি ছোট করে নিন।

প্রয়োজনীয় ছবি দিনছবি দেয়ার ক্ষেত্রে ডান পাশে বা বাম পাশে মাঝারী আকৃতির ছবি দিন। ছবির মাপ মোটামুটি ৩০০*৩০০ পিক্সেল এর কাছাকাছি রাখুন। যে ক্ষেত্রে বড়আকৃতির ছবি দেয়া দরকার সেক্ষেত্রে বড়আকৃতির ছবি মাঝে দিন। ছবির বিবরন দিন।এভাবে বাম পাশে ছবিটি দিতে পারেন।

৬. প্রয়োজনীয় লিংক দিন।



মনে রাখতে হবে-লিংক একটি অপ্রিয় জিনিস। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় লিংকের জন্যই বারবার আপনার টিউন টিউটরিয়াল ভিজিট করতে পারে। প্রয়োজনে লিংক দিন।

একই সাইটের লিংক দেয়ার ক্ষেত্রে কৃপনতা করা উচিৎ না। ধারাবাহিক টিউটরিয়ালে ক্ষেত্রে পূর্বের ও পরের টিউটরিয়ালের লিংক দিন।

৭. ট্যাগ দিন



আপনার লেখাটি একদিনের নয়। বছর বছর আপনার ব্লগে হিট পরবে। সার্চ ইঞ্জিন যাতে খুজে পায় তার জন্য ট্যাগ দিন। মোটামুটি দশটি শব্দ (কমা দিয়ে দিয়ে ) ট্যাগ দেয়ার চেস্টা করুন। এ ব্যপারে আরো জানতে বাংলা শব্দ দেয়াই ভাল।

৮. বানান সতর্কতা



বানানের ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিৎ। পোস্ট করার আগে বানানটা একটু চেক করে নিন। বানানের জন্য দেখুন

৯. ফরমেটিং করা ও সুন্দর করে সাজানো।



প্যরা করে লিখুন। পাঠকের পড়তে সুবিধা হবে।

প্যরার হেডিঙে

ব্যবহার করুন।

প্রয়োজনে লিস্ট বা নাম্বারিং যুক্ত করুন।

কোড লেখার ক্ষেত্রে কোটেশন
ব্যবহার করুন।

১০. মতামতের টিপস



মতামতের উত্তর দেওয়ার চেস্টা করুন।

কেউ খারাপ মন্তব্য করলে তার সাথে বিতর্কে না যেয়ে তার সাপোর্ট করুন এবং আপনার ত্রুটি খুজে দেখুন।

মতামতে ছবি যুক্ত কররার প্রয়োজন হলে ছোট আকারের ছবি দিন।

আপনার প্রশংসা করলে তাকে ও তার সাইটের প্রশংসা করুন।

মতামতের মধ্যে কেউ কোন সমাধান চাইলে তার সমাধানের চেস্টা করুন।

করো টিউটরিয়ালে ত্রুটি ধরা পরলে সুন্দর করে জানিয়ে দিন।

মতামতের মাধ্যমে আপনার লিখিত বিষয়কে আরো গুরুত্বপূর্ণ বলে উপস্থাপন করুন।

১১. ভিডিও টিউটরিয়াল তৈরী করার কৌশল:



যাদের নিজের ডিজিটাল ক্যামেরা নেই তারাও খুবই ভালমানের টিউটরিয়াল বানাতে পারেন। এই লেখাটি দেখুন।

টেলিভিশনেও নানা রকম শিক্ষামূলক আলোচনা হয় ইন্টারনাল টিভি কার্ডে মাধ্যমে ক্যাপচার করে নিন। ইউটিউবে আপলোড করে দিন। লিঙ্কটি এমবেড করে দিলেই হয়েগেল টিউটরিয়াল।

আপনার ভাল মানের ডিজিটাল ক্যামেরা থাকলে তা দিয়ে সহজেই একটি ক্লাসরুম পরিবেশ বানিয়ে ভিডিও টিউটরিয়াল বানতে পারেন।

সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখুন:

১. শব্দ যাতে স্পস্ট আসে।

২. টিউটরিয়ালের লেখাগুলো একটু বড় করে লিখবেন যাতে ইউটিউব জাতীয় সাইটে আপলোড করার পরও ভাল ভাবে পড়া যায়।

৩. প্রতিটি টিউটরিয়াল যাতে ১০ মিনিটের কম সময়ের হয়।

১২. অনুবাদ টিউটরিয়াল



খুব সহজেই আপনি অনুবাদের মাধ্যমে খুব ভালমানের টিউটরিয়াল লিখতে পারেন। অনেক ভাল ভাল টিউটিরয়াল সাইট আছে যাদের আছে বিখ্যাত বিখ্যাত টিউটরিয়াল। আপনি সে সব টিউটরিয়াল অনুবাদ করে যে সব সুবিধা পাবেন:

১. চিন্তা করে আপনাকে কোন বিষয় নির্ধারন করতে হবে না।

২. স্ক্রিনসটগুলো তো রেডিই থাকে।

৩. পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করে নিজের করে বাংলাভাষায় অনুবাদ করুন।

৪. ভিডিও টিউটরিয়াল অনুবাদ করা আরো সহজ একটি কাজ। আপনাকে শুধুমাত্র ভিডিওটি দেখে বাংলায় কথাগুলো লিখে নিতে হবে একটি কাগজে। তারপর ভিডিও এডিটিং সফটের মাধ্যমে ( নির্দিস্ট সময় অন্তর অন্তর ) কাগজের লেখাগুলো পড়তে হবে। ব্যাস ।

৫. আপলোড করে নিন ইউটিউবে। এমবেড করে আপনার টিউটরিয়ালটি পোস্ট করে দিন।

ধন্যবাদ সবাইকে ভাল থাকবেন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.