![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আলু পিঁয়াজ না যে চাইলেই আমাকে কাটাকা্টি বা সস্তা ভাবতে পারবেন আর হ্যা ভিড়ের মধ্যে কম যাই কারণ বেশি ভিড়ে নিজেকে চিনতে কষ্ট হয়।
পৃথিবীর বহু দেশে অনেক গোয়েন্দা সংস্থা আছে। যেমনঃ এফ. বি. আই, এস. আই. এ, এম. আই.৬ ইত্যাদি। বাইরের দেশে যেমন গোয়েন্দা সংস্থা আছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (National Security Intelligence) সংক্ষেপে এনএসআই (NSI) সংস্থা রয়েছে। এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই রয়েছে অনেক কম জ্ঞান। তাই আজ এই সম্পর্কে কিছু লিখলাম।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (National Security Intelligence) সংক্ষেপে এনএসআই (NSI) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঢাকাতে অবস্থিত। এনএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরিণ নিরাপত্তা, কাউন্টার টেরোরিজম, প্রতি-গোয়েন্দাবৃত্তি(Counter intelligence) এবং বৈদেশিক গোয়েন্দাবৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান সংস্থা। এনএসআই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। এনএসআই এর পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও কয়েকটি ছোট পরিসরে এবং স্বল্প ক্ষমতার গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, যেমন ডিজিএফআই(DGFI), বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা(SB), সিআইডি(CID), পিবিআই(PBI), Army Intelligence, Naval Intelligence ইত্যাদি। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা স্বাধীন এবং বিশ্বমানের গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং এর কর্ম পরিধিও ব্যপক। বিশ্বজুড়ে ১৯টি দেশে ৩৭টি শাখা অফিসের মাধ্যমে বৈদেশিক গোয়েন্দাবৃত্তির মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া খুব দ্রুতই অন্যান্য দেশে এর অফিস স্থাপণের পরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা এবং কিছু কিছু উপজেলায় কার্যালয়/অফিসস্থাপণের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কার্যালয় সমূহের কার্যক্রম সম্পাদণের জন্য যুগ্ম-পরিচালক(উপ-সচিব)/ উপ-পরিচালক(সিঃসহকারী সচিব)/ সহকারী পরিচালক(সহকারী সচিব) পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ নিয়োজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়, সর্বেোচ্চ এবং একমাত্র স্বাধীণ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে এ সংস্থার প্রধান কাজ হলো দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠি, পলিটিকাল পার্টি ,ধর্মীয়, সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান/গোষ্ঠি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি এবং সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ প্রদান ও দেশের জন্য প্রতি-গোয়েন্দা (Counter-Intelligence against foreign Intelligence Agencies) কার্যক্রম গ্রহণ করা।
এনএসআই সরাসরি বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় বিধায় অন্য কোন সরকারি সংস্থা এ সংস্থার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এ সংস্থার কার্যক্রম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশণা পাওয়ায় সরকারের সাফল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইতিহাসঃ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা ([National Security Intelligence]), বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন হতেই তার নেতৃত্ত্বে ২৯ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে মন্ত্রিসভার একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে একটি অধিদপ্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সকল অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ যুগ্ম-সচিব/উপ-সচিব পদমর্যাদার হলে এনএসআই এর মহাপরিচালক হন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার এবং ১৯৭৫ সালেই তা পূর্ণ সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। এ সংস্থার সকল অফিসার এর মর্যাদা প্রদান করা হয় সরকারের গেজেটেড অফিসার হিসেবে। অফিসারদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতামুক্ত এবং এ কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ হতেও অব্যহতি প্রদান করা বিশেষ সংস্থা হওয়ায়।
গঠনঃ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হলেও এসংস্থার মহাপরিচালক/Director General(D.G) এর পদমর্যাদা বাংলাদেশ সরকারের সচিব সমমান।
মহাপরিচালক/Director General(D.G), এনএসআই প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই ম্যাজেট্রেসি ক্ষমতাসহ গ্রেফতারি(পুলিশি) ক্ষমতা প্রাপ্ত। এবং তাঁর এ ক্ষমতা লিখিত আদেশের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের প্রদান করতে পারেন।
এনএসআই প্রায় পুরোপুরি সিভিলিয়ান জনবলের মাধ্যমে গঠিত। কিছু কিছু পদে স্বল্প সময়ের জন্য কিছু দক্ষ জনবল ডেপিুটেশনের মাধ্যমে এ সংস্থায় পদায়ন করা হয়ে থাকে।
সাংগঠনিক কাঠামোঃ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র সাংগঠনিক কাঠামো ব্যপক এবং বিশাল। এ সংস্থা বর্তমানে ০৮) আটটি উইং বা স্তম্বের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমনঃ
*বহিঃ উইং (Directorate of External), বৈদেশিক গোয়েন্দাবৃত্তি এবং পতি-গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রম।
*সীমান্ত উইং (The Directorate of Border), বাংলাদেশের সীমান্ত ভিত্তিক গোয়েন্দাবৃত্তি এবং পতি-গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রম।
*অভ্যন্ত উইং (The Directorate of Internal), বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোয়েন্দাবৃত্তি এবং পতি-গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রম। দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনিয় কার্যrক্রম গ্রহণ করা। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র সবচেয়ে বড় এবং বৃস্তিত উইং এটি এবং এর কার্য-পরিধি ব্যপক ও বিশাল।
*নিরাপত্তা উইং (The Directorate of Security), বাংলাদেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য প্রয়োজনিয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং সরকার ঘোষিত ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তা প্রদান।
*প্রশাসন উইং (The Directorate of Administration), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র জনবল ব্যবস্থাপণা এবং গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনিয় লজিস্টিক সার্পোট প্রদান।
*প্রশিক্ষণ উইং (The Directorate of Training), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র জনবলের সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান, মানোন্নয়ন এবং সরকারী বিভিন্ন সংস্থাকে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ।
*নগর অভ্যঃ উইং (The Directorate of City Internal), বাংলাদেশের মহানগরীসমূহে গোয়েন্দাবৃত্তি এবং পতি-গোয়েন্দাবৃত্তি কার্যক্রম। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনিয় কার্যক্রম গ্রহণ করা।
*কাউন্টার টেরোরিজম উইং (The Directorate of Counter Terrorism), টেরোরিস্টদের কার্যক্রম প্রতিরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং কৈদেশিক জন্য এবং প্রয়োজনিয় কার্যrক্রম গ্রহণ করা। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা’র সবচেয়ে বড় এবং বৃস্তিত উইং এটি এবং এর কার্য-পরিধি ব্যপক ও বিশাল।
বিভিন্ন উইং এর অধীনে একাধিক শাখা রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমের সাথে জড়িত। যেমন টেকনিক্যাল শাখা সকল ধরণের প্রযুক্তিগত সার্পোট প্রদান করে থাকে এবং প্রশাসন শাখা সকল ধরণের লজিস্টিক সার্পোট প্রদান করে থাকে।
পদক্রমঃ
১। মহাপরিচালক/Director General (DG) [সচিব সমমান]
২। পরিচালক/Director [অতিরিক্ত সচিব]
অতিরিক্ত পরিচালক/Additional Director (AdD) [যুগ্ম-সচিব]
৩। যুগ্ম-পরিচালক/Joint Director (JD) [উপ-সচিব]
৪। উপ-পরিচালক/Deputy Director (DD) [সিনঃ সহকারী সচিব]
৫। সহকারী পরিচালক/Assistant Director (AD) [সহকারী সচিব] ১ম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার।
৬। Field Officer (FO) [সাব-ইনেসপেক্টর অব পুলিশ সমমান] ২য় শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার।
৭। Junior Field Officer (JFO)
৮। Watcher Constable (WC)
৯। Armed Constable (AC) [Police Constable]
১০। other staff.
দায়িত্বঃ
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে এ সংস্থার প্রধান কাজ হলো দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠি, পলিটিকাল পার্টি ,ধর্মীয়, সামাজিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান/গোষ্ঠি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি এবং সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ প্রদান ও দেশের জন্য পতি-গোয়েন্দা(Counter-Intelligence against foreign Intelligence Agencies) কার্যক্রম গ্রহণ করা।
প্রশিক্ষণঃ
এনএসআই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীসহযোগীতায় নিজস্ব ট্রেনিং একাডেমি’র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি /ব্রিটেনের এমআই৬ এর মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এনএসআই-এর অফিসার/কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
হাতিয়ারঃ
এনএসআই এর প্রাথমিক অস্ত্রগুলো হলো ওয়ালথার, নাইন এমএম পিস্তল, হ্যাকলার ও কচ ইউএসপি, জি১৭এসডি, এবং গ্লক পিস্তল।
সুত্রঃ উইকিপিডিয়া ও গুগল।
©somewhere in net ltd.