![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ কি ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে? নাকি বাংলার মানুষ রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে? তানা হলে হঠাৎ করেই সরকার ব্লগারদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো কেন? হেফাজতি ইসলাম এর সাথে সরকার ১৩ দফা নিয়ে সমঝোতার বৈঠকে বসছেন কেন? এতসব কিছুর পরও কি জনগণের বুঝতে বাকী সরকার আসলে কি করতে চাইছে ? সরকার আজ ভোটের রাজনীতি খেলায় মত্ত হয়ে আছে, তা না হলে ব্যঙ্গের ছাতার মতো গজে ওঠা ধর্মীয় সংগঠনগুলোর কাছে সরকারের এতো নতজানু হবার কি আছে ? কাদের খুশী করতে সরকার চট্টগ্রামে ১৪৪ ধারা দিতে বাধ্য হলো ? তাই কি আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সরকারের এই নতুন কৌশল ? যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে |
আজ বাংলাদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সুযোগ থাকার পরও আমরা ৭২এর সংবিধানে ফিরে আসতে পারলাম না, রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের রাজনীতি খেলতে গিয়ে ৫ম সংশোধনী তে হাত দিতে সাহস পেলো না, স্বৈরাচার এরশাদ আজ হওয়া বুঝে পাল তুলে দিচ্ছেন, বেগম খালেদা জিয়া গুলশান অফিসে আস্তিক দেবার সার্টিফিকেট কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছেন, হেফাজোতি ইসলামের আন্দোলনের কাছে সরকার নতজানু অবস্থান নিলো | সরকারের হেফাজত থেকে যুদ্ধ অপরাধীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নে ও প্রয়োগে সরকার এর গাফিলতি, রাজাকারদের সাক্ষীরা আজ ট্রাইব্যুনালে যেতে ভয় পাচ্ছে, সাকার সাক্ষীদের হত্যা করে সাক্ষীদের চিরতরে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে , জনগণের দাবী কে ধামাচাপা দিতে গণজাগরণ মঞ্চের একটিভিস্টদের নাস্তিক বলে অপবাদ দেয়া হচ্ছে |
আসলেই কি গণজাগরণ মঞ্চ টিকে থাকবে নাকি এটা হবে পরবর্তী শোয়ের জন্যে আওমীলীগের ইলেকশন টুল | আর যদি গণজাগরণ মঞ্চ থেকেই একটা রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয় সেটা হবে তরুণ সমাজের জন্যে একটা আশীর্বাদ|
সাহবাগ চত্বর, প্রজন্ম চত্বর, গণজাগরণ মঞ্চ যে ভাবেই বলেন না কেনও, এটাকে নিয়ে আজ
বাংলাদেশে তরুণ সমাজ আজ রাজনীতির এক অভূতপূর্ব পিংপং খেলার স্বীকার | তরুণ প্রজন্ম মনে করেছিলো আজকের সরকার হয়তো যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের বধ্য পরিকর কারণ এটাও ছিলো আওমীলীগ সরকারের অনেক গুলো অঙ্গীকার মাঝে একটি অঙ্গীকার | কিন্তু হায় বোকা তরুণ প্রজন্ম আজো বুঝতে পারলো না, বাংলাদেশে এখন দেশপ্রেম নিয়ে রাজনীতি হয় না, হয় ভোটের রাজনীতি | খুবই সহসা কি বাংলাদেশ একটি নতুন আইন সংযোজিত হতে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে Blasphemy law | আওমীলীগ সরকার হাইকোর্টের রায় কে উপেক্ষা করে ৭২ এর সংবিধান কে উপেক্ষা করলো, , হেফাজোতি ইসলামকে সান্ত্বনা দিতে বর্তমান আমলে ব্লগারদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠলো, আওমীলীগের যেন গণজাগরণ মঞ্চ একটা পিংপং খেলার টেবিল ব্যতীত অন্য কিছুই নয়|
জনসাধারণ তথা জনগণের মাঝে এক সংশয় আর সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে আর এটার জন্যে
গণজাগরণ মঞ্চের ব্যক্তি বর্গরাই বেশীর ভাগ দায়ী | ব্লগাররা যখন বুঝতে পারে কাদের মোল্লার রায় নিয়ে ট্রাইব্যুনালে একটা তাল বাহানা হচ্ছে, তখন ব্লগারদের মাঝে সরকার ও জামাত এর আঁতাত নিয়ে একটা সন্দেহ ঘনীভূত হওয়ায় কিছু ব্লগার মিলে শাহবাগ চত্বরের যুদ্ধ অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবীতে সাহবাগ চত্বরের বসে পরে | মিডিয়া এটাকে তাদের প্রচার মাধ্যমে এই আন্দোলনকে একটা গণজাগরণে রূপ দিতে সাহায্য করে | কারণ একটি ছিলো নতুন প্রজন্মের একটা মনের দাবী তাই নতুন প্রজন্মের মানুষ এই দাবী কে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সমর্থন জানায় | তারপর বিক্ষিপ্ত ভাবে দাবী দেওয়া শুরু হয় | প্রথমত আওমীলীগ ও জামাতের সাথে একটা আঁতাত এর গন্ধ, ট্রাইব্যুনালের রায় , মোটকথা সরকার বিরোধী আন্দোলন দিয়ে এই জাগরণ শুরু |এরপর শুরু হয় নতুন দাবী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিশিব্ধ করণ, সেটাও বেশী দিন টিকলো না, কারণ জামাত শিবিরের উৎপাতে সেটা থেকে জামাত নিষিদ্ধকরণ দাবীতে চলে আসতে হলো, এরপর মাহমুদুর রহমান কে গ্রেপ্তারের দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চ উত্তাল হয় কিন্তু এটাও বেশীদিন টিকে থাকতে পারলো না , তার পর এই জাগরণ কে নির্দলীয় রাখতে বিভিন্ন দলের নেতাদের অনেকটা ঘাড় ধরেই মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়া হয় কিন্তু ছাত্রলীগ অপ্রতিরোধ্য-ভাবে গণজাগরণ মঞ্চে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে, আর ইমরান সরকার সেটাতেই গা ভাসিয়ে দেন | কাজের কাজ একটাই হলো বাদী আর বিবাদী পক্ষ একই নিয়মে নতুন করে আবার আপিল করার সুযোগ পেলো মানে সব কিছুর উপর আবার নতুন করে কাদের মোল্লাকে কোর্টে আনা যাবে | হঠাৎ করেই ইমরান সরকার ঘোষণা দেন ২৬ মার্চ এর মধ্যে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু না হলে ২৬এ মার্চ এর পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে |জী, কর্মসূচী ঘোষণা হলে Dr.Imran H Sarker- -
””যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে সংগৃহীত ১ কোটি ৭ হাজার গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবী-নামাটি জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।””
এখন আপনারই বলুন এটাই যদি হয় কঠোর কর্মসূচীর নমুনা তা হলে আমার আর কিছুই বলার নাই |
রুমী স্কোয়াডকে আমিও স্বাগত জানি কিন্তু কথা হচ্ছে সব কর্মসূচী গুলি একটা জায়গা থেকে আসলে ভালো দেখাতো | তা না করে সেটাকে করা হলো একটু আলাদা করেই , তারপরও বলবো রুমী স্কোয়াড নিজেদের সংযত রেখেই গণজাগরণ মঞ্চের সাথেই একাত্মতা ঘোষণা করে | দ্বিমুখী, ত্রিমুখী, চতুর্মুখই আন্দোলনের ডাক নিশ্চয়ই অবাস্তব কোনও ঘটনা না, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ রকম বহুমুখী যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু সবাই একি উদ্দ্যশ্যে সেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো |
সাড়া বাংলার মানুষ এক সাথে এই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে সমর্থন জানায় | আমি এই আন্দোলনের সূত্রপাতটা ঠিক যে ভাবে উপলব্ধি করেছি সেটা হলো ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লার রায় দেবার পর কিছু অনলাইন ব্লগারদের মাঝে সন্দেহ আর ক্ষবের সৃষ্টি হয়, তারা ধারণা করে নেয় , বর্তমান সরকার এর সাথে জামাত শিবিরের একটা অলিখিত চুক্তি অথবা আঁতাত হচ্ছে, এইসব সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে এবং তারা কয়জন মিলে সাহবাগ চত্বরের কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে অন্দোলন করতে জমায়েত হয় | মিডিয়া এই জাগরণ কে এক আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে | বিষয়টা আমি ঠিক এ ভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম| ৭১ টি ভির মতো অন্যান্য টি ভি চ্যানেল গুলো একটা সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে দিলো, ব্যস আর যায় কোথায়, খেলা শুরু | লক্ষ লক্ষ মানুষ সাড়া বাংলাতে জাগরিত হতে থাকে| সাথে সাথে দেশে বিদেশে বাঙালী সমাজ এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানায় | লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এই আন্দোলনটা সম্পূর্ণ ভাবেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে প্রভাব মুক্ত ছিলো, বরং সরকার এর উপর তথা আওমীলীগের উপর সন্দেহের বসবর্তী হয়ে এই আন্দোলনের সূত্রপাত | এখন কথা হছে বর্তমান সরকারে ১৪টি দল, আওমীলীগ হচ্ছে সংসদের মেইন প্লেয়ার কাজেই আওমীলীগের উপরি নির্ভর করছে প্রজন্ম চত্তর বেচে থাকবে নাকি মরে যাবে, আমি আগেই লিখেছি প্রজন্ম চত্তরের এমন কোনো জাতীয় নেতা নাই যার ডাকে বাংলার মানুষ ডান থেকে বামে যাবে অথবা বাম থেকে ডানে যাবে, যেটা আছে সেটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এটার উপর ভর করেই প্রজন্ম চত্তর এর টিকে থাকা | আমি আজ কোথায় যেন সরকারের একাগ্রতার অভাব দেখতে পারছি, সরকার মনে হয় ইচ্ছে করেই তরুণ সমাজের এই মহা জাগরণকে খুবই সুকৌশলে শেষ করে দিতে চাইছে|
----- কিন্তু --------
©somewhere in net ltd.