নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বয়সী বটের ঝিলিমিলি পাতা

কিটক্যট

নিতান্ত নগণ্য

কিটক্যট › বিস্তারিত পোস্টঃ

:(

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২

অনেক কিছু দেখলাম। অনেক কিছু জানলাম... ফেসবুক এ একাউন্ট খুলেছিলাম ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারি এর ১৪ ১৫ তারিখের দিকে। বলতে গেলে ২০১৩ এর জানুয়ারি এর ও ১৪ ১৫ তারিখ থেকে এখান থেকে যা জানতে পেরেছি, যে দেখতে পেরেছি, তা ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারি এর প্রথম week থেকে আজ এপ্রিলের ৬ তারিখ পর্যন্ত কিছুই না... এর সাথে ওর কোন তূলনাই চলে না... যাই হোক, শুরু হলো যুদ্ধাপরাধীর মাধ্যমে... আপনারা সবই জানেন এওবং অবগত... যুদ্ধাপরাধী নিয়ে কে কে কিভাবে কিভাবে খেলেছে, সেইদিকে অযথা আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। আমরা যারা এটলিস্ট মাথায় সামান্য কয়টা নিউরন আছে এবং আজও অনুরণন হয় তারা জিনিসটা দেড়িতে হলেউ একটা সময় বুঝতে পেরেছি । কিন্তু এর ভিতর কিছু নাস্তিক (এরা আগেউ এভাবে প্রচন্ড বাজে ভাবে লিখতো) প্রকট আকার ধারণ করলো... ভাবখানা এমন ধরলো, যুদ্ধাপরাধী মানেই দাড়ি টুপি পড়া লোক/এদের সাপর্টার... তাদের প্রকাশ্য কটাক্ষ আরো প্রকাশ্যতর করে তারা এসব লিখালিখি শুরু করলো। আমার মনে হয়েছে, ২০ বছর পতিতালয়ে থাকা কোন পতিতাও তাদের মুখের অশ্রাব্য বাণীর কাছে হার মানবে অবলীলায়। ওমা! এদের আবার সাপোর্ট দেওয়া শুরু করলো অনেক কলামিস্ট... আমাদের না, একটা ফালতু মেন্টালিটি আছে। আরে বাপ, সবাই রবীন্দ্র , নজরুল না। ফেসবুকে আর ব্লগ এ কলাম টলাম লিখলাম। ফলোয়ার বাড়াইলেই আমি কোন বড় সাইজের বাল হবো না। আবার সাহিত্যিক,ঔপন্যাসিক হয়েছি বলেই গাছে উঠে গেছি আমি ... এমনও না। তো উনারা কি করলেন? উনারা বলতে লাগলেন, ধর্মাণুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না। আবার এদেরকে “মুক্তমনা” নামে আখ্যায়িত করার পর বললেন, মুক্তমনাদের উপর হামলা করলে বিদেশের কাছে নাকি ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে... (শর্টকাটে তাদের বলি, অই হালা স্টুপিড! বিদেশের কাছে ভাবমুর্তি তো ভালই ছিল এতদিন। তো পদ্মা সেতু সহ আরো কিছু হয় নাই কেন? তারেক যখন চুরি করতো, দেশ যাচ্ছিলো রসাতলে। তখন কি বিদেশের কাছে ভাবমুর্তি খারাপ ছিলো?উহু... এখন আবার যারা আবুল হোসেন এর মতো সিস্টেম করে বলতেছে,”অসম্ভব! আমি এই কাজ করি নাই” দেশটারে ডুবায়া দিচ্ছে, কই? বিদেশের সাথে ভাবমুর্তি ভালো বা খারাপ এর তো কোন প্রশ্ন আসে না।দেশ গাছে উঠলে দায়ী হবো আমরা দেশের ইন্টারনাল পাবলিক।) এই জন্যই, কলামিস্ট দের দেখে এক অর্থে মেজাজ খারাপ লাগে। অন্য অর্থে আবার কিছুই মনে হয় না। আরে , উনার যা মনে হয়েছে, লিখছে। উনি তো জাস্ট উনার সুচিন্তিত অভিমত দিছে। সব তো সঠিক হবে না। ওটা তো আর কোন ধর্ম গ্রন্থ এর নির্যাস থেকে লিখা না। so, আমাদের কান না দিলেই হয়। যা হোক, যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি আমার মতে ফরয। এবং ওদের ফাঁসি দেওয়া হয় নাই ।এতা এক প্রকার লজ্জা। হায় আফসোস, স্বাধীণতার এতদিন পর সরকার ক্ষমতায় এসে এটা এজেন্ডা বানায়। আগে কি করছিলো? নিঃসন্দেহে এই একটা লাইন থেকেই বুঝা যায়, বি এন পি শিবির দের কতটা ইন্ধন যোগায়? আওয়ামী সরকার না হয় নির্বাচনে জিতার জন্যে এটাকে সামনে আনে। কিন্তু শেষ করে না... কিন্তু , বি এন পি ? যাই হোক। শিবির গর্তে থাকে, আর ধরে ধরে নার্ভাস সিস্টেম এ অনেকটা রেস্ট্রিকশন এনজাম প্রদান করে। প্রকাশ্যে বিচরণ ওদের অই জোট সরকারের সময়ই ছিলো। আর জোট সরকার রাজাকারের ফাঁসি তো দূরের কথা, অদের কি দেশের ফ্লাগ দিয়েছিল। আবার লজ্জাহীনের মতো, কোন আক্কালে নির্বাচনে আসার ইশতেহারে বলতেছিস, আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবো?তখনও কি জজ মিয়া কাহিনী বানাবি ? তোরা কি সর্বদা মাতাল? অল টাইম গাজার উপরে ? শাহবাগ এ সেই মানের আন্দোলন চলছে, সম্ভবত ফেব্রুয়ারির সেকন্ড উইক থেকে... শিবির বেপড়োয়া । চেষ্টা করলো। ব্লগে ওদের লোক এক করে আগানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু, না ... বিফলে গেলো প্রাথমিক ভাবে। বি এন পি কতাক্ষ করলো। এর অন্তরালের ঘটনা আমরা জানি। যাই হোক, পরে আসি। নাস্তিক দের লিখার স্টাইল রাতারাতি আপডেট নিলো। অবস্থা, এমন পর্যায়ে দাড়ালো যে, ওরা ইসলাম, মুসলিম দের মন ধরলেই এক্কেবারে চুবিয়ে দিচ্ছে।সঙ্গত কারণেই শিবির নতুন একটা ইস্যু পেয়ে গেলো। তারা এবার আস্তিকতার লেবাজ ধরে সামনে আসলো। আমার আর কিছুই বলার নাই। একের পর এক খেলা দেখতেছি তখন। ছাত্র ইউনিয়ন, বাম দল এর মতো সঙ্খ্যালঘু রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বি এন পি, লীগ ভায়া শিবির... কিছুই বলার নাই। আমি হতবাক হয়ে চেয়ে দেখি। আর বুয়েটের সেই ডি এফ ইউ স্যার এর মতো, “what is happen?“ (মনে মনে আউড়াতে থাকি) । এদিকে থাবা বাবা হত্যা হলো। প্রথমে খুব আপসেট ছিলাম। যখন তার লিখা গুলা দেখলাম, তখন শরীরের রক্ত মুহুর্তেই কেমন যেন হয়ে উঠলো। কাছে পাইলে মনে হয়, আমিও ওকে মারতাম। যাই হোক, এখানে ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত না।সো, এরকম কাজ করলে তার ব্যবস্থা সরকারের নিতে হবে। আমাদের কাজ হলো, তাকে সোপর্দ করা। আরো অবাক হলাম, শাহবাগে বিকেলে তার জানাজা পড়ানো হলো। সেদিন না, আর থাকতে পারলাম না। আমি বাঙ্গালী ।বাঙ্গালী সংস্কৃতি আমার মধ্যে বিচরণ করবে ।এতা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার জানামতে কোথাউ এরকম নাই, একটা লোক মারা গেলে তাকে জানাজা দেওয়া দেশীয় সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। জানাজা দেওয়া টা আমরা মুসলিমের জন্য ফরযে কিফায়া। যারা অন্য ধর্মাবলম্বী তাদের সাথে ফরয না নফল তার প্রশ্নই আসে না। অন্য ধর্মের লোক মারা গেলে তাকে আমি (ভালো মানুষ হলে) শ্রদ্ধা জানাতে পারি। কিন্তু, তার জানাজা করবো, এটা কি ধরণের কথা? আমি সেইদিন ই খুব হতাশ। ওমা ! দুই তিন পরের কথা, হতাশ আর অবাক পাড়াপাড়ি করতেছে। সংসদ রাজিবকে চরম আস্তিক লোকে পরিগণিত করে ফেললো । হায়রে বাংলাদেশ, কই যাবো? কিন্তু,কথা হলো, এই ফাকে আরো কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। শিবির এর এক বস, দেলোয়ার হসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় হলো। ওরে! সেইদিন দেখি, শিবির আর শিবির নাই... নতুন নাম দিলে ভালো হয়। চরম মারমুখী হয়ে গেছে। লজ্জা নাই কেন তোদের? আল্লাহর নাম মুখে এনে কিভাবে সাঈদীর মুক্তি প্রার্থনা করিস? সাঈদী এমনি এক লোক ছিলো, যে অই পিরোজপুর এর লোকেরা পাক বাহিনীর চেয়ে সাঈদী কে বেশি ভয় পাইতো। হায় রে, এগুলাই এখন বাংলাদেশের বড় আলেম হইছে (সবার কথা বলছি না। তবে এদের জন্যে অন্য ভালো মানুষ গুলা আজকে অযাচিত কথা শুনে)। “চন্দ্রে সাঈদীর চন্দ্রমুখ” শীর্ষক সিনেমা বানিয়েউ তারা ক্ষ্যন্ত হয় নি। শিবির কর্মী মড়িয়া... আবার আসলো তারা, “বাচলে গাজী, মরলে শহীদ” এই শ্লোগানে। কক্স বাজারে দেখলাম এর প্রমাণ। এদিকে ব্লগে নাস্তিক কতিপয় ব্লগার আরো সোচ্চার । উলেখ্য, আসিফ মহিউদ্দীন সাহেব, পুলিশ গার্ড পাওয়ার পর সেই পার্টে থাকলেন। এবং আগের মতো তার লিখা গুলা চালিয়ে গেলেন। সরকার চাইলেই পারতো, এদের দিকে তাকাতে। আর এদের দিকে কোন স্টেপ নেওয়া সরকারের তূলনামূলক easy হতো। কারণ, এরা শিবির এর মতো সংখ্যা গরিষ্ঠ না। আর এরা রগ কাটে না। so, আইন শৃংখলার প্রতি এদের সামান্যতম ভীতি হলেউ আছে। যেখানে শিবির দেশের প্রচলিত আইন দেখে এতটাই তাছিল্য করে যে, পারলে অর উপর প্রস্রাব করে দেয়। এরশাদ চাচা দূরে দাঁড়িয়ে তখন খালি মজা নেয়। বাস্তব! সবাই দেখেছে। দিন গত হলো এভাবে। শাহবাগ আন্দোলন টা শুরু হয়েছিল অবশ্যই ভালো কিছু ঘটার প্রত্যাশায়। যদিও, একটা সময় রাজনৈতিক ব্যাপার এখানে এসে যায়। আচ্ছা, একটু ব্যাক ট্র্যাক করুন। কয়দিন আগের ঘটনা। ২১ ফেব্রুয়ারিতে কি হয়েছিলো? –এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে বলা হয় কোন এক বই মেলায়? মনে পড়ে? ওরা নাকি সেই মানের বই পড়ুয়া। প্রায় প্রতিদিন বই মেলায় আসে। হায় রে, তো সংস্কৃতির এই অবস্থা কেন? স্পষ্ট করে ক্লাস সিক্সে পড়া দুইটা লাইন বলতে চাই, “আমরা যা, তাই হলো সংস্কৃতি । আর আমাদের যা আছে তাই সভ্যতা।“ হায় রে,আমাদের অনেক কিছু আছে, কিন্তু আসলে আমরা নিজেরাই কিছু না। না হলে, আমরা আমাদের কে বুঝতাম। একদিন শাহবাগে গিয়েই ভালো করে ৫ ঘণ্টায় পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম, এখানে অনেকেই আসছে মজা নেওয়ার জন্য। যাই হোক, তাও তো আসছে। মানুষ তো দেখতেছে এত গুলা লকের একসাথে সম্মেলনের ব্রডকাস্টিং! এটাও তো বিশাল কিছু। একটা বিশাল চাঞ্চ ছিলো, শিবির নির্মূল করার। কিন্তু, কতিপয় আবাল নাস্তিক দের ভর্তসনা না করে আমি পারছি না। ওরা আমার মতো অনেককেই আজকে শাহবাগ থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজেরা শাহবাগী রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু কেন?এদিকে আবার শিবির মূর্তি-ভাস্কর্য নষ্ট, পূজা মন্ডবে ধ্বংসযজ্ঞ চালালো।এতে আবার নাস্তিকরা আরেকবার আপডেট হলো। আবার শুরু করলো, সেই মানের ইসলামকে কটাক্ষ করে যাচ্ছে তাই বলা। সঙ্গত কারণে, ধর্মের উপর এমন কটাক্ষ করলে শিবির (অতি নিম্ন শ্রেণী) থেকে শুরু করে কোন মানুষেরই ভাল লাগবে না। হিফাযাতে ইসলামের আগমন তার প্রেক্ষিত ভালোই ছিলো। কিভাবে হিফাযাতে ঢুকলো মোটামুটি এত লোকের সমাগম?আমরা একটু অন্যভাবে তাকাই। এই ব্যাপারে এক বড় ভাইয়ের লিখা ইনক্লুড করে দিলামঃ “গতকাল শুক্রবার সারাদেশে জামাত-শিবির ধর্মীয় উন্মাদনার মাধ্যমে একটি সফল কর্মসূচি পালন করলো , এরজন্য কে দায়ী?? আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই শাহবাগের বলদ নেতৃবৃন্দই এর পেছনে দায়ী। ভুল ইস্যুতে কথা বলে কিছু ইসলাম বিরোধী এবং চটি ব্লগারদের কথা মত জামাতের ফাঁদে পা দিয়ে আজকে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি !!!

➤ আপনি যখন কোন আন্দোলন করতে যাবেন আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেই দেশের মানুষের চিন্তা চেতনা সম্পর্কে । এই দেশের ৭৬% লোক এখনো গ্রাম কিংবা মফস্বল এলাকায় বসবাস করে! হ্যাঁ! ৭৬% (ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য)!! এরা সেই ৭৬% যাদের কাছে ধর্ম মানে হইলো মসজিদের ইমাম সাহেব কে এক বেলা ভালো করে খাওয়ানো! এই ৭৬% হলো সেই ৭৬% যারা গ্রামের বাড়িতে বা এলাকায় মাদ্রাসা বা মসজিদ স্থাপন করাকে চরম পুণ্যের কাজ মনে করে ( আসলেই পূন্যের কাজ ) !!!এই ৭৬% হলো সেই ৭৬% যারা টিভি কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে নয়, ধর্মীয় বিষয় গুলো জানার জন্য গ্রামের/ পাড়া মহল্লার মসজিক/মাদ্রাসার হুজুরের শরণাপন্ন হয়!



➤➤ আর পাবলিক মতামত ???? বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাহিরে বাংগালী ফেইসবুক ইউজ করে খুব বেশি হলে ৫০ লাখ ??? আর পাড়া মহল্লায় খুব বেশি হলে ৫-১০% ইউজ করে। বাকী ৬৫-৭০% তারা কি করে ??? তারা দেখবে তার পাশের মসজিদ এর ইমাম গণজাগরণ মঞ্চ নিয়া নামাজের পড়ে কিংবা জুমার নামাজের খুতবার সময় কি আলোচনা করে , ইসলাম নিয়ে কি কথা বলে ......

” ১৩ দফা দাবী আজকে পড়লাম ভালো করে। ওখানের লাস্ট দাবী টাঃ “অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা,মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” আমরা একটু explanation এ যাই। সকল আলেম ওলামার মধ্যে কি সাঈদী, মুজাহিদেরা অন্তর্ভুক্ত না? আসলে কি জানেন, লিখতে অনেক কষ্ট হয়। আলেম ওলামার মধ্যে এরাউ পড়ে যায়। এটা কি অন্যান্য ধর্ম প্রাণ মুসলিম আলেম দের জন্য একটা কষ্টের বিষয় নয় ? আজকে উনাদের সাথে এদের মতো দুশ্চরিত্র লোকজন এক শ্রেনীতে লিপিবদ্ধ হচ্ছে। উনাদের একটা ইস্যু কি এইটা হতে পারতো, ১৩ তা দাবির মধ্যে একটা কি এরকম হতে পারতো না, বা লাস্ট দাবি টা কি একটু মডিফাইড হতে পারতো না, রাজাকারের ক্ষমা নাই। As soon as possible, they must be hanged in sha allah. আমি সিউর, তখন শিবির কোন ভাবেই উনাদের ছত্রছায়ার নিচে ঢুকতে পারতো না... আর এই হিফাযাতে ইসলামে সাথে সাথেই প্রবেশ করলো, রাজণীতি... এটা ৩ দিনের মাঝেই পরিগণিত হলো অনেক বড় দলের সিস্টার কনসার্ন হিসেবে। হায় রে, এখানের অনেক লোক ই আছেন, যারা আসল ঘটনার কিছুই জানেন না। জানবে কি করে? উনাদের কয়জন জানে ব্লগ এর খবর? আর আমি অনেক আগের বিভিন্ন লিখাতেই বলেছি, বাংলাদেশ ধর্মপ্রাণ লোকের বাসভূমি নয়, ধর্ম ভীরুদের বসতি। আর একাধারে হুজুগে স্বভাব টা তো আছেই। রেল লাইনে টিকিট কিনতে গেলে সামনে থেকে ভেজাল এর কিছু একটা আভাস পেলে যখন পিছন থেকে কেউ একটু চিল্লানো দেয়, তখন রেন্ডমলি অনেকেই চিল্লিয়ে উঠে (বাস্তবতা)। আসি,আবারো ফেসবুকে... উনারা ধার্মিক লোক, শিবির জামাত এর কেউ না। ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। প্লাস এতদিনের স্ট্যাটাস এউ তাই মনে হয়েছে। কিন্তু, হেফাযাতে ইসলামকে আরেকটু আপডেটেড দাবী না আনার কথা বলে, যুদ্ধারপরাধীদের উতসাহী করে গেছেন । এরকম একজন এর স্ট্যাটাস তুলে ধরলামঃ “"আজ থেকে ভুলে যান আপনি একজন জামাত-শিবির, আপনি একজন হিজবুত তাহরীর, আপনি একজন তাবলীগ, আপনি একজন সালাফিস্ট। আজ থেকে আপনার আমার পরিচয় একটাই আমরা মুসলিম। আল্লাহর কৃপায় আমরা আমাদের হারানো এক্য, হারানো চেতনা ফিরে পেয়েছি। আজ থেকে আমাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য নেই, নেই কোন মতবেদ। যদি থেকেও থাকে এগুলো পরে দেখা যাবে, আগে সাফল্য আসুক।



মুসলিমদের এই ঐক্যের দিনে, অভূতপূর্ব গণজাগরনের দিনে মুসলিম নামধারী যেসব মুনাফেক আলেম ও জালেম দূরে দাড়িয়ে আছে ওদেরকে নিয়ে চিন্তা করার কোন সময় নেই কারন এদের পূর্ব পুরুষরাই হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই। সব বাধা পায়ে মাড়িয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে বদরের দিকে, ওহুদের দিকে, তাবুকের দিকে।”

আমি উনাকে বলতে চাই, সবচেয়ে বড় মুনাফেক শিবির রা... নাস্তিকরা মুনাফেক না... কাফের এর দলগত... আর আমার খায়া দায়া কাজ নাই, আমি শিবির এর সাথে আতাত করি, এক হয়ে যাই... ... ?? হায় রে, এমন একটা স্ট্যাটাস উনি কিভাবে দিলেন? একটা শিবির কর্মী ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আর একাধারে যাবতীয় যাউড়ামি করে বলে ও নিশ্চয় নাস্তিক/ ঈষৎ আস্তিক এর চেয়ে জান্নাতে যাবার প্রায়োরিটি বেশি থাকবে না... বরং ও যাবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে... কারণ, সে আল্লাহর বেশি নিয়া আকাজ ও বেশি করে আর এতে প্রলুব্ধ হয়ে অনেকেই তার/তাদের সাথে হাত মিলিয়ে এই কাজ করতে উতসাহী হবে... আর অন্য নাস্তিকরা ইসলাম এর এরকম বাজে রিপ্রেজেন্টেশন দেখে তারা না বুঝে আরো দূরে সরে যাবে... অই মিয়া, মেজাজ টা খারাপ করে দিছেন... কিভাবে আমি এক টা সুস্থ মানুষ হয়ে রগ কাটা এক লোকের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবো... আল্লাহপাক বলছেন, "ফিতনা ফ্যাসাদ হত্যার চেয়েউ জঘণ্য" ... ... ... ...

হেফাযাতে ইসলামের ১৩ টার মধ্যে যদি এক্টাতে শিবির,মুজাহিদ, সাঈদী নিয়ে লিখা থাকতো... যদি বলা হতো, এদের সমূলে উৎপাটন করা হোক ...আল্লহার কসম, কতিপয় নাস্তিকও আল্লাহু আকবার বলে সাথে সাথে আস্তিকতায় আবার ফিরে আসতো পূর্ণ উদ্যমে। তারা নিজেদের অতীত ভুল বুঝতে পারতো। কেন? কেন? হিফাযাতে ইসলাম শিবির এর রুই কাতলার কথা শুনে যুদ্ধাপরাধের ইস্যু তা এড়িয়তে চলছে? কেন? ওরা কি পারে না, এই ইস্যু টা আনতে? আমি দেখেছিলাম, মসজিদের ঈমাম এসেছিলেন, অনেক হাজি মুসল্লী এসেছিলেন,শাহবাগে। দাবী এক্টাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি। আজ যদি, যাস্ট মেইন ২ টা ইস্যু নিয়ে হিফাযাত সামনে আসতো, ১। নাসতিকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ২। এই মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি একাধারে ইসলামী বড় বড় পদ থেকে সাঈদী ও এই টাইপ স্পিসিস দের অপসারণের পাশাপাশি জামাত শিবির নিষিদ্ধ। আল্লাহর কস্ম, তারে পিটাতাম , তখন যে লোক, উনাদের শাহবাগে ঢুকতে দিতো না। ইশ, তখন আন্দোলন তা কতই না, জোরদার হতো। আসলে কি জানেন, শাহবাগের হোক, আর বায়তুল মোকারমের পার্শবর্তীর কেউ ই হোক। সব আমরাই। বোধ শক্তি এক্টূ কম। মনে নেই, শাহবাগে গিয়ে জয় বাংলা বলে... হায় আফসোস, জয় বঙ্গবন্ধু বলে না। আজকে শাহবাগ থেকে কি যেন আপার নাম ভুলে গেলাম, বিশাল নেত্রী হয়ে যান। অথচ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ না করেই! অই যে বলে নিছি, সংস্কৃতি সভ্যতার ডেফিনিশন। আমাদের না ভিতরে ফুয়েল অথচ ওভারস্মার্ট... মানে ফোর পয়েন্ট সেভেন ইঞ্চির এইচডি AMOLED 1920*1080 (up to 10 finger multi touch) স্মার্ট ফোন , কিন্তু হায়, প্রসেসর ১০০ মেগা হার্টয আর র্যা0ম ১৬ মেগা বাইট ... :p আমরা শাহবাগে জয় বাংলা বলার পর “জয় বংবন্ধু” বলি না। কারণ দর্শাই ঐটা নাকি পলিটিক্যাল হয়ে গেল। আমি বলবো, তুমি বুঝ পলিটিক্স এর কচু। নিজের বিবেক যে প্রতিদিন হুজুগের কাছে পলিটিক্স এর কাছে সম্ভ্রম হারায়, তুমি তো এটা টেরও পাউ না। ঠিক এভাবেই ,আরেকটা উদাহরণ, শাহবাগে বঙ্গবন্ধুর কোন প্রতিকৃতি মেলে না, মেলে জাহানারা ইমাম এর । অবশ্যই উনি অনেক ত্যাগী। তাই বলে কি বঙ্গবন্ধুর ধারে কাছে? নেভার । এখনো শরীর কেঁপে উঠে, “আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমি এদেছের মানুষের অধীকার চাই” হায়রে, আমরা নাকি ৭১ এর চেতনার ফর্মেশন আবার ফূটিয়ে তুলেছি । আমাদের তো IDE প্লাটফর্মেই সমস্যা। কোড করবো কিভাবে? ইমপ্লিমেন্টেশন অল ইন ভেইন ডেফিনেটলি। সেদিন ই ফেসবুকে এসে চিল্লাইছিলাম, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ না করা মানে ৭১ এর সাথে বেঈমানী করা... ফাক দিয়ে মজাটা বরাবর শিবির ই নেয় এবং নিচ্ছে। আফসস, শাহবাগী , আফসস হেফাযাত। কেউ আসল কাজের সাইট দিয়ে যেতে পারলো না... সব জায়গায় পৃষ্ঠপোষকতা... ফলশ্রুতিতে মাঠে ওরাই ... তবে কখনো নিজ রূপে... কখনো সিস্টার কনসার্ন পয়দা করে,তাদের দিয়ে... আমি দেখতে দেখতে আজ বড় ক্লান্ত। আজ কেউ যদি বলে, তুই কোনটা সাপর্ট করিস, শাহবাগ না বায়তুল? আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। ফোনে কথা বললে, এর উত্তরে হারিয়ে যাই। সরে যায় মুখের ভাষা... হিফাযাতে ইসলাম, আপনাদের বলছি, কেন বলা গেলো না একটা দফাতে, যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসি, জামাত শিবির এর উপর নিষেধাজ্ঞা আর বাংলাদেশের ইসলামের বড় বড় জায়গা থেকে ওদের প্রত্যাহার করতে হবে। দিতে হবে আমাদের সম্মান। আমরা ওদের ঘৃণা নিজেদের উপর নিতে পারি না কোনক্রমেই। জাস্ট এই টুকু কি পারা যেতো না?? আর নাস্তিক, ওরা এক ধরণের পাগল... কিন্তু, পাগলামি বেড়ে গেলে সরকারের আশু ব্যবস্থা কামনা করি। আর পারি না, লিখতে লিখতে হারিয়ে যাই ৭১ এ ।কিংবা জামাত শিবির এর নাশকতার কোন এক মঞ্চে। কিংবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কূটনৈতিক মঞ্চে। ইশ, কল্পনাতে কেন ওখানে যাই? বাস্তবে যদি পারতাম ... ততক্ষণাত সব লোকদের জানিয়ে দিতাম... লাস্টলি, বাংলাদেশে সব পসিবল। এখানে স্বাধীণতার ঘোষক এর নাম পরিবর্তনও করা হয়... ২০০২ এর কথা আমরা ভুলি নি। এখানে সব হয়। আমাদের কে নিয়ে কেন এত খেলা? কারণ, অই যে আমরা জানি না, আমরা শুনে দৌড় দেই... লিখাটার মূল কথাটা এক লাইনে লিখিঃ নাস্তিকদের ক্ষমা নাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই ...

বিঃদ্রঃ সেমিস্টার ফাইনাল সন্নিকটে। পড়ালিখার যাচ্ছে তাই অবস্থা। কিছুক্ষণ আগে এক দোস্ত ফোন দিয়ে বলল, তুই কিছু লিখবি না। ওকে প্রমিজ করেছি, এই লিখা এই প্রসঙ্গে হয়তো শেষ লিখা। আর বাংলাদেশে থাকার ইচ্ছা নাই। এদিকে রেজাল্টও ততটা ভালো হচ্ছে না। আর দেশে থাকার ইচ্ছা নাই। পাশ করা মাত্রই ইন শা আল্লাহ এই ভূমি ত্যাগ করবো। আমি দৃঢ ভাবে বিলিভ করি, আমি একজন রিয়েল প্যেট্রিয়ট... হয়তো পরাজিত এক প্যেট্রিয়ট... নিজেকেই না হয় প্রচন্ড অভারস্মার্ট দের সামনে সংস্কৃতি নিয়ে পরে থাকা এক ছাগু বললাম। আমার মতো ছাগু প্যেট্রিয়ট আজকের পর এসব দেখেউ আর কিছু হয়তো লিখবে না। ভালো থাকার কামনা সবার জন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুক, বুঝার তৌফিক দান করুক । আমীন।

এস,এম, জোবায়েদ

কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশন

দ্বিতীয় বর্ষ

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি(IUT)



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.