নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটি আমার সামু ব্লগে দ্বিতীয় একাউন্ট । যাই হোক, সামগ্রিক কবিতামোহতায় আচ্ছন্ন জাতিকে জাগ্রত করতে আসলাম আবার ।

জনৈক কবি২০১১

আমার পরিচয় আমি একজন কবি । একজন কবি হিসেবে সবধরনের কবিতা লিখতে আমি পছন্দ করি ।

জনৈক কবি২০১১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৫ সালের বিজয় দিবস দ্বারপ্রান্তে, আসুন পড়ে দেখি সেই বিজয়ের ঘটনাগুলো নিয়ে একটি কবিতা

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

পিপাসার্ত পাকিস্তানী হানাদাররা ঐ দূরে দেখা যায়
ধেয়ে আসছে এক একেকজন কামুক চাহনি
এক একটি জিপে মাত্র কয়েকজন করে
সাথে বিকট কিছু আর্তচিৎকার আর গোঙানির আওয়াজ
শাড়ি অর্ধ খুলে যাওয়া কিছু নারী, মুখ বাঁধা, হাত বাঁধা
একেকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিজেদের লালসা মেটাতে ।

তাদেরই ঐখানে ছিলেন রহিমা বানু, মাত্র আগেরদিনই লাল শাড়িটা পড়েছিলেন
বিয়ের রাতে স্বামীর মুখখানা পর্যন্ত দেখতে পারেন নাই
লজ্জায় মুখখানা সে কি লাল হয়েছিল, ভাবতেই কেমন লাগে
সেই মেয়েটিকেই কিনা লাল বেনারসি শাড়িতেই উঠিয়ে আনা হয়েছে
আজ তার সম্ভ্রম নিয়ে খেলা হবে, জীবন-মরণ খেলা
স্বামীর সামনে লজ্জা করলে কি হবে, চোখ বাঁধা অবস্থায় লজ্জা থাকবে না
আর থাকলেও তা নিয়ে বেঁচে দেওয়া হবে হাজারো কামুক পুরুষের বাজারে

রহিমা বানুরা সেই কবেই মা হয়েছে, মা ডাক শুনার অপেক্ষা পর্যন্ত করে নাই
জীবন দিয়ে দিয়েছে ট্রেনের নিচে এসে, কাঁটা ছটফটে শরীর, দেখা যায় না
কামুক পাকিস্তানিরা ফিরে ফিরে আসে সেই রহিমা বানুদের স্বাধীন স্বপ্নে
স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও তাই এই রহিমা বানুরা স্বাধীন হয় না
স্বাধীন হয় জালিমরা, অত্যাচারীরা, যারা দেশকে এখনও জিম্মি করে রেখেছে
তাদের সাথে পাকিস্তানিদের পার্থক্য খুব কম পরিমাণেই করা যায়
কারণ পাকিস্তানিরা ইজ্জত নিয়ে খেলেছে আর এরা খেলছে জীবন নিয়ে ।

তবে সেদিনও যেমন দেশকে বাঁচিয়েছিল রক্ত গরম থাকা তরুণরা
আজও তাদের রক্ত গরমই আছে, শুধু তারা সব সুযোগের অপেক্ষায়
আজ লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানিদের নাম অন্তর থেকে মুছে ফেলা হবে
লিখে ফেলা হবে মতান্তরের ইতিহাস, অজন্তাদের হার না মানার গল্প
আর লিখে ফেলা হবে জালিমদের ধ্বংস করে ফেলার মূল পরিকল্পনাটুকু
এই দেশ কারও নিজস্ব সম্পত্তি নয়, এ দেশ রহিমা বানুদের
লক্ষ লক্ষ জেগে থাকা তরুণের, এ দেশ আমাদের, আপনাদের, সবার ।

আজ বিজয়ের ক্ষণে জানিয়ে দিতে চাই সমস্বরে
আমি চেয়েছি যা শত আরাধ্য সময় জুড়ে
আমাকে তা-ই দেওয়া হয়েছে, শত বলীদান দিয়ে
আমার দেশটাকে আমি আমার মতই সাজাতে চাই
কে আছো বাঙালী, হও আগুয়ান,
দেশের পথেই লক্ষ-কোটি জান কোরবান ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:

কেহ পড়তে চাহে না? স্বাধীনতার জন্য যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই আজ নেই; এগুলো র পাটয়হাক কমে গেছে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

জনৈক কবি২০১১ বলেছেন: পাটয়হাক ব্যাপারটি কি ? ঠিক বুঝলাম না । যাই হোক, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হয়তো অনেকেই নেই, কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ধারণকারী লক্ষ কোটি প্রাণ আজও বেঁচে আছে । জেগে আছে । তাদের জন্যই এমন কিছু সৃষ্টি । যা তাদের ত্যাগকে, কষ্টকে সম্মান দিতে পারে, স্বীকৃতি দিতে পারে ।
.
.
.
.
ধন্যবাদ, কষ্ট করে কবিতাটি পড়ার জন্য ।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৯

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: *ধন্যবাদ ধন্যবাদ । আমরা আছি আমরাই আছি.....সেদিন বড় ভাই রা ছিল,আজ আমরা ছোট ভাই রা আছি আছি আছি ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৮

জনৈক কবি২০১১ বলেছেন: জি, আমরা সবাই মিলেই বাঙালী, বাংলাদেশী । আমরাই থাকবো । যুগে যুগে, কালে কালে । দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য যতদিন রক্ত লাগে, দিয়ে যাবো । ত্যাগ স্বীকার করতেও দ্বিধা নেই । তবু, মাথা নোয়াতে পারবো না কভু ।
.
.
.
ধন্যবাদ, কবিতাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.