নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিশেহারা

দিশেহারা

েসাফী

দিশেহারা

েসাফী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড় চোখে তাকানো দেখলে, লম্পট চেনা যায়

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২১

আর যে যা-ই বলুক, বর্তমান এই উদার গণতান্ত্রিক জীবনে নারীদের যে অবাধ অধিকারের কথা বলা হচ্ছে, তাহাতে যদি আপনি পূর্ণ সমর্থন করেন, তাহলে আপনাকে আরও কয়েকটি বিষয়ে মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্থুত থাকতে হবে, যেমন -



১। আপনার, বোন বা মেয়ে সে প্রেম করতে পারে, তাকে তার ইচেছ মত ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করতে আপনি বাধা দিতে পারবেন না।

২। আপনার স্ত্রীর পূর্ব প্রেমীক থাকবে, এবং আপনার সাথে আপনার স্ত্রীর বিবাহের পরও তাদের যোগাযোগ, সম্পর্ক থাকতে পারে।

৩। আপনার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে, তা আপনাকে মেনে নেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

৪। আপনার স্ত্রী কুমারী না-ও থাকতে পারে।

৫। আপনার মেয়ে, বোন, স্ত্রী কখন, কিভাবে, কার সামনে পরিবেশিত হচ্ছে, তা আপনি কোন মতামত দিতে পারবেন না।

৬। আপনার বোন, মেয়ে, স্ত্রী-কে তার চলাফেরার জন্যে আপনি কোনভাবে গালমন্দ করতে পারবেন না।





বাংলাদেশে এখন উপরের বিষয় সংশ্লির্ষ্ট আইন ও আছে, যা সরকার ২০১০ সালে পাশ করেছে, "পারিবারিক নির্যাতন দমন আইন ২০১০"।



সর্বোপরী

'আড় চোখে তাকানো দেখলে, লম্পট চেনা যায়"।



কিন্তু কোন পরিবারে যদি ধর্মীও অনুশাসন মেনে চলা হয়, তাহলেই কেবল মানুষ নৈতিকভাবে এধরনের অপরাধ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে এবং পবিত্রতম জীবনধারন করতে পারে।



নৈতিক শিক্ষার মূল ভিক্তি হচ্ছে ধর্ম।



বি:দ্র: একজন পুরুষের বেলায়ও বিষয়গুলো প্রযোজ্য।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: পুরুষের বেলায় প্রযোজ্য বিষয়টি বিশেষ দ্রষ্টব্য কেন? ওটা কি সরাসরি বলতে লজ্জা লাগছে?
বিষয়গুলো কেবল প্রেম আর যৌন সম্পর্ক দিয়ে বলছেন কেন? ওটা চাড়া কি আর কিছু নাই?
নারীকে সম্পদের ভাগ দেওয়ার বিধান কতটা কার্যকর করতে পেরেছেন নিজের জীবনে, আত্মীয় স্বজনদের বীবনে।
সন্তান জন্ম দেন মা, নাম রাখে দাদা, এই প্রথা থেকে কি বের হতে পেরেছেন?
মুক্ত মন মানে তো অবাধ যৌনসম্পর্ক নয়। মনে ঞয় ওটা ছাড়া আর কোনো কিছু চিন্তা করতে পারেন না নারীদের নিয়ে।
জামাতের নেতার ভাগ্নী যিনি আমার সহকর্মী-- তার বেতনের পয়সার পুরোটা এখনো তার স্বামীর কাছে জমা দিতে হয়। আবার একজন হিন্দু শিক্ষিকাকে জানি-- যিনি অনেক শিক্ষিত হওয়ার পরও স্বামীকে ঘাট প্রণাম না করে দিনে কাজ শুরু করতে পারেন না।

আর আপনার লেখাটি এ জন্য আপত্তিকর- যে এখানে যৌনতা ছাড়া কিছু নাই।
মুক্ত মনের সংজ্ঞা না জানাটা আগে দরকার।

অবাধ যৌনতা কেউ সমর্থন করে না। এমনকি মাদ্রাসাগুলোতে যে দু একটা সমকামের ঘটনা আসে- সেটা কিন্তু ধর্ম দিয়ে বন্ধ করা যায় নাই। ওটা মনোজগতের বিষয়।
ধর্মীয় অনুশাসনের বিষয়টি অবশ্যই মেনে চলতে হবে, সেটা সকল ক্ষেত্রেই। কেবল যৌন বিষয়গুলো নিয়ে নয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯

েসাফী বলেছেন:
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

প্রথমত আমার পরিবারে মেয়েদের পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এমনকি সম্পত্তি, পড়াশোনা, চাকুরীর সুযোগ, সবকিছুতেই। আমার আত্মীয়-স্বজনদের ক্ষেত্রেও তাই। আমার পরিবার ধর্মীও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি পরিবার। আমরা সবাই-ই এখন যার যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।

বর্তমানে মা-বাবা দু-জনই আলোচনা করে সন্তানের নাম রাখেন।এতে কারও অধিকার খর্ব হয় না। পাশাপাশি এটা বলা যায়, সন্তানের নাম কে রাখল, তা দিয়ে বস্তুত কিছু যায় আসে না।
কাউকে তার প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হলে দেশে প্রচলিত আইনেই প্রতিকার আছে এবং অনেকেই সেই প্রতিকার পাচ্ছে।

মুক্ত মন মানে যৌন সম্পর্ক নয়, আপনার কথা ঠিক। কিন্তু মুক্ত মন নিয়ে কেউ অবাধ মেলা মেশা করলে, সেটা একটা পর্যায়ে সহজে গ্রহনযোগ্য নয়, এটাই আমি বুঝাতে চাইছি। আর স্বাধীনতার নামে কি কি প্রশ্রয় দেওয়া হয় তা আপনিও জানেন, আমিও জানি। আমি সেটাই বুঝাতে চাইছি।

কেউ যদি কোন অপরাধ করে, তা সব সময়-ই অপরাধ, হোক সে জেনে করুক, আর না জেনে করুক, অথবা, সে যে-ই হোক।

ধর্ম মানলে আপনি আপনার পরিবারে ন্যায় পরায়নতা করতে পারবেন। কারন আল-কোরআনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার দেওয়া হয়েছে।

কারও পরিবারে ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে যদি স্ত্রী তার উপার্জিত টাকায় পরিবার চালায়, তাতে আপত্তির কিছু থাকার কথা নয়। তাছাড়া স্ত্রী যদি তার উপার্জন দিয়ে সংসার চালায় তাহলে তাতে তো কোন অপরাধ হয় না।

কিন্তু উদারনৈতিকতার নামে যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হয়, তহলে তা একটি অপরাধ, এবং জেনেশুনে তা কখোনও সমাহজ শান্তি আনতে পারে না।
এখন কেউ যদি এখানে মুক্তমনের দোহাই তোলে সামাজিক উশৃঙ্খলতাকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে তো আমি আমার মূল লেখায় যা বক্তব্য দিলাম, তা মেনে নেওয়ার জন্য আপনাকেও তৈরি হতে হবে।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩১

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: ৬টা প্রশ্ন। সবই আপত্তিকর। লেখকের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনা দরকার। আর এটাও মনে রাখুন সমাজে যাবার আগে একজন মানুষ পরিবারে পারিবারিক শিক্ষা পায়। পারিবারিকভাবে বিপদগামীর জন্য কিছু করার থাকে না কিন্তু সমাজে গিয়ে যে পরিবর্রতিত হয়ে যায় তাকে তার পরিবারই পারে ফিরিয়ে আনতে সঠিক পথে। আল্লাহ আপনার ভাল করুন। দোয়া রইলো।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনার উত্তর মেনে নিয়েছি। কিন্তু আপনার প্রশ্নগুলো কাকে? সমাজকে না ব্যক্তিকে। তাহলে তো ব্যক্তিকে ভাল হতে হবে। আর কাজটা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। দেশে প্প্রচলিত আইনে ইভ টিজিং অপরাধ। আইন মানলে কারোই অপরাধ করা সাজে না। ব্যভিচারের শাস্তির বিধান যেমন ইসলামী আইনে আছে তেমনি প্রচলিত আইনে আছে। কিন্তু কোনো আইনই কি তা কমানো যাবে যদি মানুষ শুদ্ধ না হয়?
আপনি যেগুলো বলেছেন- সেগুলো অবাধ স্বাধীনতার বিষয় নয়। এগুলো মানুষের সহজাত বিকৃতি। মানুষের মনে যেমন একটা মানুষ থাকে- তেমনি পশুও থাকে। দুএকজন পশুর জন্য সকল মানুষের স্বাধীনতাকে হরণ করা যাবে না। বরং পশুদের কিভাবে মানুষ বানানো যায় সেদিকে ভাবতে হবে।

আইন করে মানুষকে শুদ্ধ করা যাবে না। তাই রাষ্ট্রীয় আইনের চেয়ে সুশিক্ষার দিকে দৃষ্টি দেওয়া বিশেষ জরুরী। ইসলামী বা ধর্মীয় অনুশাসন হচ্ছে প্র্যাকটিসের। এটা মানুষ করার শিক্ষা গ্রহণ করবে পরিবার থেকে। রাষ্ট্রীয় অনুশাসন হচ্ছে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, অঞ্চল, বর্ণ নিরেপক্ষ। সকলকে সমান ভাবে বিবেচনা করা।
মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখার শিক্ষাটা তো ধর্মেরই শিক্ষা।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

েসাফী বলেছেন: আপনি পক্ষান্তরে আমার সব বক্তব্যকেই সমর্থন করলেন। ধন্যবাদ। ইসলাম ধর্মেই কেবল ব্যক্তি, গোষ্ঠী, অঞ্চল, বর্ণ নিরেপক্ষ ভাবে সকল মানুষের সুনিশিচত অধিকারের শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া হয়েছে, সেই ১৪০০ বছর আগে থেকেই।

আমাদের উচিত তা গ্রহন করা ও সর্বোতভাবে প্র্যাকটিসে নিয়ে আসা। তাহলেই কেবল সমাজে তথা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.